সংজ্ঞা : এক বা একাধিক ধ্বনির সম্মিলনে যে অর্থপূর্ণ ক্ষুদ্রতম একক গঠিত হয়, তাকে রূপমূল বলে। কোনাে ভাষার রূপমূলগুলি এবং তাদের পরিবেশগত বৈচিত্র্য নির্ণয় করাকে রূপমূলবিজ্ঞান বা রূপিমবিজ্ঞান (Morphemics) বলে। রূপমূল দিয়ে কী করে শব্দ গঠিত হয়, শব্দ ও ধাতুর সঙ্গে কী কী শব্দবিভক্তি, ক্রিয়াবিভক্তি ও প্রত্যয় যােগ হয়, যােগ হওয়ার ফলে শব্দরূপ ও ক্রিয়ারূপ কী রকম হয়, ইত্যাদি বিষয় ভাষাবিজ্ঞানের যে বিভাগে আলােচিত হয়, তাকেই রূপতত্ত্ব (Morphology) বলে।


আলােচ্য বিষয় : পদ এবং শব্দের গঠন ও রূপবৈচিত্র্যই হল রূপতত্ত্বের প্রধান আলােচ্য বিষয়।


যে-কোনাে ভাষার রূপতত্ত্বের আলােচনায় প্রথম আলােচিত হয় ভাষায় ব্যবহৃত শব্দের গঠনকৌশল সম্পর্কে। সেক্ষেত্রে দেখা যায় যে, রূপ হল শব্দগঠনের প্রধান উপাদান। এই রূপ কখনও একাই একটি শব্দ, যেমন—মা, এ, ও; কখনওবা একটা রূপ-এর সঙ্গে অন্য একটা রূপ যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গড়ে ওঠে, যেমন- গড় + অন্ = গড়ন। আবার কখনও দুটো আলাদা শব্দ পরস্পর যুক্ত হয়েও নতুন শব্দ গঠিত হয়, যেমন- জন + শূন্য = জনশূন্য।


এই নবগঠিত শব্দ যখন ভাষায় বা বাক্যে ব্যবহৃত হয় তখন কীভাবে তার রূপবৈচিত্র্য সাধিত হয়, সেটাই হল রূপতত্ত্বের পরবর্তী আলােচনার বিষয় বাক্যের মধ্যে শব্দ কী ভূমিকা গ্রহণ করে এবং তার সেই ভূমিকা কীভাবে চিহ্নিত হয়, সেটাই এই অংশে আলােচিত হয়। বাক্যে ব্যবহৃত শব্দকে পদ বলে। বাক্যের পদগুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক প্রকাশ করার জন্য শব্দের অঙ্গ হিসেবে যেসব রূপ যােগ করা হয়, সেগুলিকে বলে বিভক্তি। এই বিভক্তি ছাড়াও প্রত্যয়, উপসর্গ ইত্যাদি রূপ যুক্ত হয়ে শব্দের রূপবৈচিত্র্য সাধন করে।


রূপমূল বা রূপিমের প্রধান চারটি শ্রেণিভেদের সংক্ষিপ্ত আলােচনা করাে। 

সহ রূপমূল বা Allomorph সম্বন্ধে যা জান সংক্ষেপে লেখাে। 

সহরূপমূলের রূপভেদ হিসেবে শূন্য রূপমূলের ভূমিকা নির্দিষ্ট করাে। 

বাক্যে ব্যবহৃত শব্দের রূপবৈচিত্র্য সম্পর্কে আলােকপাত করাে। 

প্রত্যয় কাকে বলে? ব্যাবহারিক প্রয়ােগের অবস্থান অনুযায়ী প্রত্যয়ের কটি ভাগ ও কী কী? প্রত্যেক ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও। 

সমন্বয়ী ও নিম্পাদিত রূপমূল সম্পর্কে লেখাে। 

আধুনিক ভাষাবিজ্ঞান অনুযায়ী বাক্য বিশ্লেষণ করে বাক্যের গঠনের ধারণাটি সুস্পষ্ট করাে। 

বাক্যের গঠন ও গঠনগত উপাদানের তুলনা করে বাক্যের অন্যতম গঠনগত উপাদান হিসেবে অব্যবহিত উপাদান-এর স্বরূপ ব্যাখ্যা করাে। 

উত্তর আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানের ধারায় বাক্যবিশ্লেষণের ক্ষেত্রে পদগুচ্ছ সংগঠন ও তার সূত্রগুলি ব্যাখ্যা করাে। 

বাক্যগঠন তত্ত্ব অনুসারে অধিগঠন ও অধােগঠন প্রক্রিয়া কাকে বলে লেখাে এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় করাে। 

গঠনগত দিক থেকে বাক্যকে কটি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? উদাহরণ-সহ প্রত্যেকটি ভাগের পরিচয় দাও। 

বাংলা বাক্যের ভঙ্গিগত শ্রেণিবিভাগ করে তাদের বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করাে। 

অথবা, ভঙ্গিগত দিক থেকে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ করাে। যে-কোনাে এক প্রকারের উদাহরণসহ পরিচয় দাও। 

অথবা, বাক্যের অর্থগত শ্রেণিবিভাগগুলি আলােচনা করাে। 

Rate this post