বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা ও প্রতিকারের উপায় 

অথবা, জনসংখ্যা সমস্যা ও সমাধান

অথবা, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও তার প্রতিকার

[সংকেত : ভূমিকা; বিশ্বের জনসংখ্যা বাড়ছে; গবেষকদের পর্যবেক্ষণ; জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন; বাংলাদেশে জনবিস্ফোরণ; জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার; জনবহুল রাজধানী; জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ; বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি; জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানের উপায়; জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার; উপসংহার ।]

ভূমিকা : বিশ্বব্যাংকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ম্যাগনেমোরা বলেছেন, পারমাণবিক শক্তির পরে বিশ্ববাসীর জন্য যে সমস্যা সবচেয়ে ভয়াবহ, তা হলো অধিকতর জনসংখ্যার সমস্যা। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জনসংখ্যা সমস্যা হবে এক নম্বর সমস্যা। এ সমস্যা মোকাবিলার জন্য সারা বিশ্বেই বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে । জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির ভয়াবহ প্রভাব সম্পর্কে বিশ্ব মানবকে সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে প্রতি বছর ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হয়। বিশ্বের অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি হ্রাস করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । বস্তুত নারী-পুরুষ নির্বিশেষে জনগণের অসচেতনতাই জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

বিশ্বের জনসংখ্যা বাড়ছে : জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের জনসংখ্যা অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে দ্রুত বেড়ে চলেছে । বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ৬৫০ কোটি । এর মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জনসংখ্যা প্রায় ৫০০ কোটি । আগামী এক দশকে বিশ্বের জনসংখ্যা আরও প্রায় একশ’ কোটি বাড়বে। এর শতকরা ৯০ ভাগ বৃদ্ধি পাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে । পিছিয়ে পড়া অর্থনীতির দরিদ্র দেশগুলোর জন্য এটি একটি অশনি সংকেত।

গবেষকদের পর্যবেক্ষণ : জনসংখ্যা বৃদ্ধি সম্পর্কে সর্বপ্রথম বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আলোচনা করেন ম্যালথাস তাঁর জনসংখ্যা নীতি বিষয়ক গ্রন্থে ১৭৯৮ সালে । তিনি সেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রাকৃতিক নিয়ম ও তার ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, পৃথিবীর সম্পদ বাড়ছে না কিন্তু জনসংখ্যা বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। প্রকৃতি যে হারে অবাধে প্রাণী বৃদ্ধি করে চলেছে এর ফলে পৃথিবীতে জীবজন্তু ও মানুষের দাঁড়াবার জায়গা পর্যন্ত থাকত না। কিন্তু প্রকৃতি যেমন জীবের সংখ্যা বৃদ্ধি করে তেমনি দুর্ভিক্ষ, মড়ক, মহামারি, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সাইক্লোন, বন্যা প্রভৃতি দিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়িয়ে ঐ বৃদ্ধিকে রোধ করে।

জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন : জনসংখ্যা বৃদ্ধি সম্পর্কে বিশ্ব বিবেক জাগরণের লক্ষ্যে জাতিসংঘ কাজ করছে দীর্ঘদিন ধরে। জনসংখ্যার চাপে বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। সীমিত সম্পদ ও অত্যধিক জনসংখ্যার ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর দারিদ্র্যাবস্থা থেকে উত্তরণ বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মিশরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত হয় জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্মেলন । সম্মেলনে জনসংখ্যার ঊর্ধ্বগতি কমানোর জন্য বাস্তবভিত্তিক সুপারিশ পেশ করা হয়। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জনসংখ্যা বৃদ্ধি সমস্যার কার্যকর মোকাবিলার জন্য উদার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রতি সম্মেলনে গুরুত্বারোপ করা হয়। সম্মেলনে নারীর ক্ষমতায়ন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের উন্নয়নের প্রতি বিশেষ জোর দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে জনবিস্ফোরণ : বাংলাদেশ বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত । জনসংখ্যা সমস্যা দেশের এক নম্বর সমস্যা। বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে নব্বইতম দেশ হয়েও জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের স্থান অষ্টম । ১ লাখ ৪৪ হাজার বর্গকিলোমিটার বা প্রায় ৫৬ হাজার বর্গমাইল আয়তনের দেশে বর্তমানে জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি । এদেশে প্রতি বছর জনসংখ্যা বাড়ছে প্রায় ২৪ লাখ । প্রতি মিনিটে ভূমিষ্ঠ হচ্ছে ৪ জনেরও বেশি শিশু।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার : ১৯৮১ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল শতকরা ২.৩১ ভাগ । বর্তমানে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৯০ তে নেমেছে ৷ দেশের মোট প্রজননের হার ১৯৯০ সালে ছিল ৪.৫, বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৩.৪ এ । ১৯০১ সালে এদেশের জনসংখ্যা ছিল ২.৮৯ কোটি । ১৯৭৪ সালে জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ৭ কোটি, ১৯৮১ সালে তা দাঁড়ায় ৯ কোটিতে। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ১০.৬৬ কোটি, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শতকরা ২.১৮ । ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা দাঁড়ায় ১২ কোটির উপরে । যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পপুলেশন কাউন্সিলের ভাষ্যমতে, বর্তমানে প্রতিবছর বাংলাদেশে জনসংখ্যা বাড়ছে ২৫ লাখ করে । জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বর্তমান ধারায় চলতে থাকলে ২০৩৭ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে কমপক্ষে ২১ কোটিতে । আর ২০৫১ সালে তা ২৮ কোটি ছাড়িয়ে যাবে ৷

জনবহুল রাজধানী : বিশ্বের জনবহুল নগরীর মধ্যে ঢাকা অন্যতম । বর্তমানে এর জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ । ঢাকায় প্রায় দশ লাখ ছিন্নমূল মানুষের বাস। প্রায় ১৫ লাখ মানুষ মাত্র ২ বর্গমাইল আয়তনের ১,১৫০টি বস্তিতে বসবাস করছে। এখানে প্রতি বর্গমাইলে ৪ লাখেরও বেশি লোক বাস করে । রাজধানীর ছিন্নমূল ও বস্তিবাসীদের মধ্যে শিশু জন্মের হারও বেশি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার সুবিধা কম থাকায় এখানে শিশু মৃত্যুর হারও খুব বেশি। অপেক্ষাকৃত কম বয়সি মেয়েদের মা হওয়ার প্রবণতা এদের মধ্যে প্রকট ।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ : বাংলাদেশের উন্নয়নের সমস্যা অনেক। জনসংখ্যা সমস্যা অন্যান্য সমস্যার তুলনায় বেশি । জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির কারণগুলো হলো— দারিদ্র্য বা নিম্নমানের জীবনযাত্রা, অশিক্ষা, ভৌগোলিক প্রভাব, ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কার, বাল্য বিবাহ ও বহু বিবাহ, খাদ্যাভ্যাস, বিনোদনের অব্যবস্থা, বেকার সমস্যা, অজ্ঞতা ও অশিক্ষা, জন্ম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে অনীহা, পুরুষের আধিপত্য ইত্যাদি। এবার সমস্যাগুলো একটু গভীরভাবে আলোচনা করা যাক—

দারিদ্র্য : জনসংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে কিন্তু দেশে জমি বাড়ছে না । খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছে না লক্ষ্যমাত্রায় । জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে মাথাপিছু উৎপাদন কমে যায় । আয় হ্রাস পায় । জনগণ ঋণগ্রস্ত হয়। সঞ্চয় কমতে থাকে। এভাবে ধীরে ধীরে মানুষের জীবনে দারিদ্র্য নেমে আসে।

খাদ্য ঘাটতি : জনসংখ্যা বাড়ছে জ্যামিতিক হারে, অথচ মানুষের আবাসিক প্রয়োজনের জন্য ভূমি কমে যাচ্ছে । আজ যেখানে আম- কাঁঠালের বাগান, দশ বছর পর সেখানেই হচ্ছে বহুতল ভবন শোভিত সুন্দর আবাসিক এলাকা । বসতির জন্য পাহাড় কাটা হচ্ছে, বনাঞ্চল সাফ করা হচ্ছে । গাছ কাটা হচ্ছে নির্বিচারে । মানুষের জন্মের সাথে পাল্লা দিতে পারছে না ফসলের উৎপাদন। ফলে খাদ্যের ঘাটতি লেগেছিল বহু বছর । বর্তমানে দেশে খাদ্য ঘাটতি না থাকলেও ভবিষ্যতেও যে আশঙ্কামুক্ত থাকবে তা বলা যায় না। 

শিক্ষার অভাব : পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শিক্ষিতদের চেয়ে অশিক্ষিতদেরই সন্তান সংখ্যা বেশি। শিক্ষিত ব্যক্তি তার মেধা, বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে পড়াশুনার মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কু-প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেশে প্রায় শতকরা ৭০ ভাগ লোকই অশিক্ষিত । শিক্ষা বিস্তারের পদ্ধতিগত ত্রুটি ও অশিক্ষিত নারী-পুরুষের অসচেতনতার কারণে জনসংখ্যার বৃদ্ধি হচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণেই আমাদের শিক্ষার হার আশানুরূপ বাড়ছে না। অশিক্ষিত মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনসংখ্যার কুফল তুলে ধরার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। অশিক্ষিত মানুষের মনে নানা ধরনের ধর্মীয় কুসংস্কার বাসা বাঁধে। পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে এদের কোনো ধারণা নেই । অশিক্ষিতদের মধ্যে বাল্য বিবাহ প্রথা রয়েছে, যা অধিক সন্তান জন্মদানে সহায়তা করে।

বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি : আমাদের দেশে নারীর অনগ্রসরতা ও নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলার কারণেই দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় । আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে দেশে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যভিত্তিক পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে । সরকার জন্মহার কমানোর ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করছেন । অনেক বছর ধরে আমাদের দেশে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি চালু হয়েছে । বর্তমানে এক্ষেত্রে বেশকিছু সাফল্য অর্জিত হয়েছে। অপেক্ষাকৃত কমবয়সি দম্পতির মধ্যে সন্তান কামনার হার কিছুটা কমেছে । বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ভয়াবহতা সম্পর্কে দেশবাসীকে সচেতন করে তোলাই এর লক্ষ্য।

জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানের উপায় : জনসংখ্যা বিস্ফোরণ রোধ করতে হলে কয়েকটি জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলো হলো— জন্মশাসন, জনসংখ্যা পুনর্বণ্টন, সম্পদ পুনর্বণ্টন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা বিস্তার, বাল্য বিবাহ ও বহু বিবাহ নিষিদ্ধ করা, বিনোদনের ব্যবস্থা করা, কঠোর আইন প্রয়োগ, ধর্মীয় ফতোয়া বন্ধ করা, পুত্র লাভের বাসনা ত্যাগ করাসহ আরও অনেক পদক্ষেপ নিতে হবে । এ কাজে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসতে হবে।

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার : সম্প্রতি জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার সম্পর্কে এক রিপোর্ট পেশ করা হয় । জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের ১৯৯৫ সালের রিপোর্টে বলা হয়, পৃথিবীতে পরিবার পরিকল্পনা সেবার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটার পর এখনও ৩৫ কোটি সক্ষম দম্পতি পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কিত আধুনিক সকল তথ্য ও সেবা থেকে বঞ্চিত । প্রায় ১২ কোটি নারী ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও জন্মনিয়ন্ত্রণের কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারছে না । পৃথিবীতে এখনও প্রতি বছর জনসংখ্যা বাড়ছে ৮ কোটি ৬০ লাখের বেশি । ১৯৬৫-৭০ সালের তুলনায় পৃথিবীতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহারের হার বেড়েছে ৫ গুণ । উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর হার ছিল যেখানে ১৪ শতাংশ তা বেড়ে এখন হয়েছে ৫৭ শতাংশ। বাংলাদেশে সরকারি হিসেবে এ হার ৪৫ শতাংশ। জন্ম নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিগুলোর মধ্যে টিউরেকটমি, ভেসেকটমি, লাইগেশন, ইনজেকশন, কপারটি, খাওয়ার বড়ি, আইইউডি’র ব্যবহার অনেক বেড়েছে । জনসংখ্যা কার্যক্রমে আগামী ২০ বছরে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ব্যয় করা হবে ২১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার । বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব এখনও অত্যধিক।

উপসংহার : পরিবার পরিকল্পনা বা জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সম্পর্কে এখন বিশ্বের সর্বত্রই জনসমর্থন বাড়ছে। এর ফলে জন্ম-মৃত্যুর হার, মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমেছে, মানুষের আয়ু বেড়েছে । শিক্ষা ও উপার্জনের সুবিধা লাভে নারী-পুরুষের মধ্যকার ব্যবধান কমেছে। জনসংখ্যা নীতির প্রতি রাজনীতিক অঙ্গীকার জোরদার হয়েছে । তবুও আমাদের দেশে ধর্মভীতি ও জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণের ক্ষেত্রে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে । এগুলো কাটিয়ে উঠলে বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে, জনসম্পদ শক্তিতে পরিণত হবে।

Rate this post