মোবাইল ফোন

(এই রচনাটি পঞ্চম শ্রেণীর উপযোগী করে রচিত।)

[ রচনা সংকেত : ভূমিকা ; আবিষ্কার ; মোবাইল ফোনের প্রচলন ; উপকারিতা ; অপকারিতা ; উপসংহার।]

ভূমিকা : আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার হলো মোবাইল ফোন। এটি টেলিফোনের উন্নততর সংস্করণ। দ্রুত যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটি আজ মানুষের কাছে জনপ্রিয় ও নিত্যপ্রয়োজনীয় মাধ্যম।

আবিষ্কার : মোটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত ড. মার্টিন কুপার এবং জন ফ্রান্সিস মিচেলকে প্রথম মোবাইল ফোনের উদ্ভাবকের মর্যাদা দেওয়া হয়। তারা ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে প্রথম সফলভাবে একটি প্রায় ১ কেজি ওজনের হাতে ধরা ফোনের উদ্ভাবন করতে সমর্থ হয়।

মোবাইল ফোনের প্রচলন : উনিশ শতকে বিজ্ঞানী গ্রাহাম বেল সর্বপ্রথম দূরে অবস্থিত মানুষের কথাবার্তা টেলিফোনের মাধ্যমে আদান-প্রদানে সক্ষম হন। এর আরো সহজ ব্যবহারের প্রচেষ্টা থেকে আবিষ্কৃত হয় মোবাইল ফোন। জার্মানিতে প্রথম মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল ফোনের ব্যবহার শুরু হয় ১৯৯৬ সালে।

উপকারিতা : যোগাযোগ ব্যবস্থায় মোবাইল ফোন যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। গতিশীল মানবজীবন নিশ্চিত করতে এটি অত্যাবশ্যকীয় যোগাযোগ মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। দূর-দূরান্তে অবস্থিত মানুষের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মুহূর্তের মধ্যে অবহিত হওয়া যায় এই যন্ত্রের মাধ্যমে। বর্তমানে উন্নত ও আকর্ষণীয় মোবাইলগুলোতে গান শোনা, সিনেমা দেখা, ছবি তোলা, ইন্টারনেট ব্রাউজিং প্রভৃতি ফাংশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় সব সময় কাছে রাখা যায়।

অপকারিতা : মোবাইল ফোন অনেক ক্ষেত্রেই বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া এর অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে রেডিয়েশনের মাত্রা বেড়ে চলেছে। এই রেডিয়েশন মানবদেহের স্নায়ুতন্ত্র, মস্তিষ্ক, চোখ প্রভৃতিতে ক্রিয়া করে অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করছে।

উপসংহার : মোবাইল ফোন তথ্য-প্রযুক্তির এক অভিনব সংযোজন। এর দ্রুত প্রসার দূরত্বকে যেমন জয় করেছে তেমনি যোগাযোগের ক্ষেত্রে সৃষ্টি করেছে অবিচ্ছিন্ন বন্ধন। মোবাইল ফোনের প্রয়োজনীয় ব্যবহার, পাশাপাশি এর অপব্যবহার থেকে সকলকে সচেতন থাকতে হবে।

Rate this post