প্রশ্নঃ কারবারি ও নগদ বাট্টার ধারণা দাও। 

Concept of Trade Discount & Cash Discount

কারবারি বাট্টাঃ পণ্যের তালিকা মূল্য থেকে বিক্রেতা পণ্য বিক্রয়ের সময় ক্রেতাকে যে ছাড় দিয়ে থাকেন তাকে কারবারি বাট্টা বলা হয়। সাধারণত এ বাট্টা ক্রয়-বিক্রয়ের সময়  বিক্রেতা ক্রেতাকে প্রদান করেন। এ বাট্টা নগদে কিংবা ধারে বিক্রয় উভয় ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। সাধারণত এ বাট্টার জন্য ক্রেতা বা বিক্রেতা কেউই হিসাবের বইতে কোনো জাবেদা দাখিলা প্রদান  করেন না। ক্রেতার নিকট এ বাট্টাকে বলা হয় ক্রয় বাট্টা। অপরদিকে বিক্রেতার নিকট এ বাট্টাকে বলা হয় বিক্রয় বাট্টা।  

নগদ বাট্টাঃ ধারে পণ্য বিক্রয়ের পর বিক্রেতা পাওনা টাকা দ্রুত আদায়ের জন্য ক্রেতাকে যদি কোনো ছাড় দেয় তাকে নগদ বাট্টা বলা হয়। নগদ বাট্টা শুধু ধারে ক্রয় বা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয়। ক্রেতার নিকট এটি প্রাপ্ত বাট্টা এবং বিক্রেতার নিকট এটি প্রদত্ত বাট্টা।  

উদাহরণঃ মি. আসাদ ৫০,০০০ টাকার তালিকা মূল্যের পণ্য ধারে মি. আকাশের নিকট বিক্রয় করেন। তিনি বিক্রয়ের সময় পণ্যের তালিকা মূল্যের উপর ১০% হারে বাট্টা প্রদান করেন। এ ছাড়াও টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে ২/১০ n ৩০ এ শর্ত অনুসরণ করেন। (২/১০ n ৩০ বলতে বুঝায় পাওনা টাকা ১০ দিনের মধ্যে প্রদান করলে ২% বাট্টা প্রদান করা হবে। তবে অবশ্যই ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ ১১ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পাওয়া গেলে কোনো বাট্টা প্রদান করা হবে না।) 

করণীয়ঃ  

ক.  কারবারি বাট্টার পরিমাণ নির্ণয় কর।  

খ.  বিক্রয়ের ৮ম দিনে টাকা পাওয়া গেলে কত টাকা পাওয়া যাবে তা নির্ণয় কর।  

গ.  বিক্রয়ের ২৫তম দিনে টাকা পাওয়া গেলে নগদ টাকা পরিশোধ করতে হবে তা নির্ণয় কর।   

সমাধানঃ    

ক.  কারবারি বাট্টার পরিমাণ হবে ৫০,০০০ × ১০% = ৫,০০০ টাকা।  

খ.  অষ্টম দিনে টাকা পাওয়া যাবেঃ    

তালিকা মূল্য ৫০,০০০ টাকা   

কারবারি বাট্টা  ৫,০০০ টাকা   

নিট বিক্রয় মূল্য ৫০,০০০ – ৫,০০০ = ৪৫,০০০ টাকা।   

যেহেতু ৮ম দিনে টাকা পাওয়া গেছে সেক্ষেত্রে ক্রেতা নগদ বাট্টা পাবে।   

সুতারং নগদ বাট্টা হবে ৪৫,০০০ × ২% = ৯০০ টাকা।  

নগদ টাকা পাওয়া যাবে ৪৫০০০ – ৯০০ = ৪৪,১০০ টাকা।   

গ.  বিক্রয়ের ২৫তম দিনে টাকা পাওয়া গেলে শর্ত মোতাবেক কোনো নগদ বাট্টা থাকবে না। সুতরাং ৪৫,০০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।  

Rate this post