মুক্ত অ্যাকুইফার
(১) কোনাে অপ্রবেশ্য বা প্রায় অপ্রবেশ্য শিলাস্তরের ওপরেই কেবল অবস্থান করে।
(২) সম্পৃক্ত ও অসম্পৃক্ত স্তরে বিভক্ত। অসম্পৃক্ত স্তর মৃত্তিকা জল ও মাটি বায়ু স্তরে উপবিভক্ত।
(৩) জলতল বা জলপীঠ ওঠা-নামা করে যা ভৌমজলের পরিপূরণ ও ক্ষরণের ওপর নির্ভর করে।
(৪) উন্মুক্ত হওয়ায় জল কোনাে চাপের অন্তর্গত হয় না। জল প্রবেশের পরিমাণ বেশি হলে জলতল উপরে উঠে এবং নদী, হ্রদের মধ্যে বা প্রস্রবণ আকারে নির্গত হয়।
(৫) ডার্মির সূত্র অনুযায়ী জলের একটি নির্দিষ্ট প্রবাহ থাকে যদিও জল প্রবাহের গতিবেগ যথেষ্ট কম। বছরে 1 মি. থেকে সর্বাধিক 500 মি. পর্যন্ত হয়।
(৬) স্থায়ী সম্পৃক্ত স্তর পর্যন্ত কূপ বা নলকূপ বসিয়ে যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জল উত্তোলন ও সংগ্রহ করা হয়।
আবদ্ধ অ্যাকুইফার
(১) দুটি অপ্রবেশ্য শিলাস্তরের মধ্যে অবস্থান করে।
(২) সম্পৃক্ত স্তর রূপে কেবল একটি মাত্র স্তর থাকে।
(৩) জলপীঠ অনুপস্থিত, তবে জলচাপ পৃষ্ঠের অস্তিত্ব আছে যাকে অদৃশ্যভাবে জলতলের সমান ধরা হয়। ভৌমজলের পরিপূরণের ওপর এর ওঠানামা নির্ভরশীল।
(৪) আবদ্ধ হওয়ায় জল প্রচণ্ড চাপের অন্তর্গত হয়। জল ক্ষরণের সম্ভাবনা কম। কম প্রবেশ্য স্তরের মধ্য দিয়ে কিছু জল অধােনমিত হয়।
(৫) জল প্রবাহ বাধা পায়। ফলে জলের কোনাে প্রকার প্রবাহ নেই বললেই চলে। কিংবা মুক্ত অ্যাকুইফারের মত প্রবাহ ঘটে না।
(৬) আর্টেজীয় কূপ খননের ফলে জল ফোয়ারার মতাে বেরিয়ে আসায় যান্ত্রিক পদ্ধতির প্রয়ােগ করা হয় না।
অ্যাকুইড : ভূত্বকের উপপৃষ্ঠীয় অংশে কাদা গঠিত স্তরকে অ্যাকুইড বলে। এর জল শােষণ করার ক্ষমতা থাকলেও জলের পরিবহণ ক্ষমতা তেমন থাকে না। তাই এই স্তর থেকে কূপ বা নলকূপে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এটি অপ্রবেশ্য শিলাস্তরের মতাে আচরণ করে।
অ্যাকুইটার্ড : বেলে-দোআঁশ মাটিতে গঠিত উপপৃষ্ঠীয় অংশের স্বল্প প্রবেশ্যতা- যুক্ত সম্পৃক্ত স্তরকে অ্যাকুইটার্ড বলে। এই স্তর ভৌমজল পরিবহণে বাধার সৃষ্টি করে। কূপ বা নলকূপে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল সঞ্চারিত হয় না। এর পাশে পুরু জলবাহী স্তর উপস্থিত থাকলে এই স্তর দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পরিবাহিত হয়।