উত্তর: আহসান হাবীবের একটি উপন্যাসের নাম ‘আরণ্য নীলিমা’। আরো উপন্যাস রাণী খালের সাঁকো (১৯৬৫) আরণ্য নীলিমা (১৯৬২) জাফরানী রং পায়রা
উত্তর: আহসান হাবীবের একটি উপন্যাসের নাম ‘আরণ্য নীলিমা’।
আরো উপন্যাস
- রাণী খালের সাঁকো (১৯৬৫)
- আরণ্য নীলিমা (১৯৬২)
- জাফরানী রং পায়রা
ইসলামের ১২ জন খলিফার নাম কি?
১২জন খালীফা আঃ কে বা কারা?? মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন, আমার পরে আরও ১২জন খালীফা আসবেন। এই পরর্বতী ১২জন খালীফা সকলেই কুরাইশ বংশ থেকে আসবেন। তারা আমার দ্বীন সংরক্ষন করবেন এবং আমার প্রতিষ্ঠিত দ্বীনের সঠিক নির্দেশনা দান করবেন। [ মিশকাত শারীফ] নিম্নে ১২জন খালীফার নাম ও জন্ম সাল দেওয়া হলঃ ১) ১ম খালীRead more
১২জন খালীফা আঃ কে বা কারা?? মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন, আমার পরে আরও ১২জন খালীফা আসবেন। এই পরর্বতী ১২জন খালীফা সকলেই কুরাইশ বংশ থেকে আসবেন। তারা আমার দ্বীন সংরক্ষন করবেন এবং আমার প্রতিষ্ঠিত দ্বীনের সঠিক নির্দেশনা দান করবেন। [ মিশকাত শারীফ]
নিম্নে ১২জন খালীফার নাম ও জন্ম সাল দেওয়া হলঃ
১) ১ম খালীফা ; হযরত আবু বক্কর সিদ্দীক আঃ [ যিনি মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশের তাইম গোএে ৫৭৩ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম গ্রহন করেন]
২) ২য় খালীফা ; হযরত উমর ফারুখ আঃ [ যিনি মক্কার কুরাইশ বংশের এক সম্ভান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন ৫৮৩ খ্রিষ্টাব্দে ]
৩) ৩য় খালীফা ; হযরত উসমান গনী আঃ [ যিনি মক্কার কুরাইশ বংশের উমাইয়া গোএে ৫৭৩ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম গ্রহন করেন]
৪) ৪র্থ খালীফা; হযরত আলী মুরতাজা আঃ [ যিনি মক্কার কুরাইশ বংশের হাশেমী গোএে ৬০০ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম গ্রহন করেন]
৫) ৫ম খালীফা ; হযরত হাসান আঃ [ কুরাইশে বংশে ৩য় হিজরির ১৫ই রমজান ( ইং ৬২৫ সালে জন্ম গ্রহন করেন)]
৬) ৬ষ্ট খালীফা ; হযরত আবুল আব্বাস আঃ [ যিনি ইরাকের কুফায় বিখ্যাত কুরাইশ বংশে ৭২১ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম গ্রহন করেন]
৭) ৭ম খালীফা ; হযরত আবুল জাফারুল মানসূর আঃ [ যিনি সিরিয়ার বিখ্যাত কুরাইশ বংশে ৭১৪ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম হ্রহন করেন]
৮) ৮মম খালীফা; হযরত মাহাদী আঃ [ যিনি সিরিয়ার বিখ্যাত কুরাইশ বংশে হামিমাহ্ নামক গ্রামে ৭৪৪ মতান্তরে ৭৪৫ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম গ্রহন করেন]
৯) ৯ম খালীফা; হযরত হাদী আঃ [ যিনি ইরাকে বিখ্যাত কুরাইশ বংশে ৭৬৪ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম গ্রহন করেন]
১০) দশম খালীফা; হযরত হারুন- উর – রশীদ আঃ [ ইরানের রাজধানী তেহরানে মতান্তরে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে্ ৭৬৩ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম গ্রহন করেন]
১১) একাদ্বাশ খালীফা ; হযরত মুহাম্মদ শামসুজ্জোহা আলাব্বী সাঃ [ যিনি বাংলাদেশে ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল থানার আমাজুয়ান শারীফ নামক বিখ্যাত কুরাইশ বংশে জন্ম গ্রহন করেন ১৩১৪ হিজরির ১৩ই রামজান রোজ মঙ্গলবার]
১২) দাদ্বশ খালীফা ; হযরত মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ { উরফে ইমাম মাহাদী আঃ} [ যিনি ভবিষৎতে দাজ্জাল ধ্বংশের জন্য মক্কার কুরাইশ বংশে জন্ম গ্রহন করবেন ]
উক্ত ১২ জনের মধ্যে ১ম থেকে যথাক্রমে ১০ তম খালীফা হচ্ছেন নবুয়াতী খালীফা। আর একাদ্বশ খালীফা হযরত মুহাম্মদ শামসুজ্জোহা সাঃ হচ্ছে উলুলে আজম খালীফা। আর দ্বাদশ খালীফা ইমাম মাহাদী আঃ হবেন গায়র উলুলে আজম খালীফা।
See lessইসলামের ৪ খলিফার নাম কি
ইসলামের ৪ জন খলিফা হলেন: হজরত আবু বকর (রাঃ), খেলাফত কাল ২৭ মাস হজরত ওমর ফারুক (রাঃ), খেলাফত কাল ১৩ বছর হযরত ওসমান ইবনে আফফান (রাঃ), খেলাফত কাল ১০ বছর হজরত আলী (রাঃ), খেলাফত কাল ৫ বছর। এই চার জন খলিফা ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৬৬১ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত মোট ৩০ বছর খিলাফতের দায়িত্ব পালন করেন। দুঃখের বিষয় হRead more
ইসলামের ৪ জন খলিফা হলেন:
এই চার জন খলিফা ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৬৬১ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত মোট ৩০ বছর খিলাফতের দায়িত্ব পালন করেন।
দুঃখের বিষয় হলো উপরোক্ত চার জন খলিফার ভিতরে শুধুমাত্র আবু বকর রাঃ ছাড়া কারোরই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। বাকি তিনজন কোন না কোন ঘাতকের হাতে নিহত হয়েছেন।
ইসলামের চার জন প্রধান খালিফা সম্পর্কে বিস্তারিত-
হজরত আবু বকর রা.
ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর (রা.) ৫৭৩ সালে মক্কার কুরাইশ বংশের বনু তাইম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবু কুহাফা ও মায়ের নাম সালমা বিনতে সাখার।
শৈশবকাল থেকে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে আবু বকর (রা.)-এর বন্ধুত্ব ছিল। রাসুল (সা.) নবুয়তপ্রাপ্ত হওয়ার পর বয়স্ক স্বাধীন পুরুষদের মধ্য সর্বপ্রথম তিনিই ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শুশুর ছিলেন। তার মেয়ে আয়েশা রা.- রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহধর্মীনী ছিলেন।
তরুণ বয়সে আবু বকর (রা.) একজন বণিক হিসাবে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন। ইয়েমেন থেকে বাণিজ্য শেষে ফেরার পর তিনি মুহাম্মাদের ইসলাম প্রচারের সংবাদ পান। এরপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। তার ইসলাম গ্রহণ অন্য অনেকের ইসলাম গ্রহণের উৎসাহ জুগিয়েছে।
আবু বকর রা. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একান্ত কাছের মানুষ ছিলেন। ইসলামের প্রথম যুগে কাফের-মুশরিকদের নির্মম নির্যাতনের দিনগুলোতে তিনি আল্লাহর রাসুলের পাশে ছিলেন। হিজরতের সময় তিনিই ছিলেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একমাত্র সঙ্গী। ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ সব জিহাদে তিনি অংশগ্রহণ করেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাতের পর তিনি খলিফা হন এবং মুসলমানদের নেতৃত্ব দেন।
আবু বকরের খিলাফত ২৭ মাস অর্থাৎ দুই বছরের কিছু বেশি সময় স্থায়ী ছিল। এ সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তাকে বেশ কিছু অস্থিতিশীলতার সম্মুখীন হতে হয় এবং তিনি তা সফলভাবে মোকাবিলা করেন। নতুন নবী দাবিকারী বিদ্রোহীদের তিনি রিদ্দার যুদ্ধে দমন করেন। তিনি বাইজেন্টাইন ও সাসানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন, যা ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
এসব অভিযানের ফলে মুসলিম সাম্রাজ্য কয়েক দশকের মধ্যে শক্তিশালী হিসাবে আবির্ভূত হয়। আবু বকর সর্বপ্রথম গ্রন্থাকারে কুরআন সংকলন করেন। ইতোপূর্বে কুরআনের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্নভাবে লিপিবদ্ধ ছিল। মৃত্যুর আগে আবু বকর (রা.) কুরআনের এ কপিটি তার উত্তরসূরি উমর ইবনুল খাত্তাবকে দিয়ে যান। উমর (রা.)-এর শাসনকালে এটি তার কাছেই রক্ষিত ছিল।
পারিবারিক জীবনে তিনি স্ত্রী, ছেলেমেয়েদের সঙ্গে প্রীতি ও সদ্ভাব রাখতেন। তার চাল-চলন ছিল সাদাসিধে, মোটা কাপড় ব্যবহার করতেন। বাহ্যিক কোনো জাঁকজমক ছিল না। জগতের আদর্শ প্রশাসক, মহানবীর সাথি খলিফা হজরত আবু বকর (রা.) ৬৩৪ সালের ২৩ আগস্ট, ২২ জমাদিউস সানি ১৩ হিজরি ইন্তেকাল করেন। আয়েশা (রা.)- এর ঘরে মুহাম্মাদ (সা.)-এর পাশে তাকে দাফন করা হয়।
হজরত ওমর ফারুক রা.
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর ফারুক (রা.)। ৫৮৩ খিস্টাব্দে তিনি কুরাইশ বংশের বিখ্যাত আদ্দি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। উমর (রা.) এর বাবা খাত্তাব কুরাইশ বংশের একজন বিখ্যাত লোক ছিলেন। উমর (রা.) এর মাতার নাম হানতামা।
হজরত উমর (রা.) শিক্ষা-দীক্ষায় বেশ অগ্রসর ছিলেন। তিনি কবিতা লেখায় পারদর্শী ছিলেন। কুস্তিবিদ্যায় তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়।
নবীজি যখন মানুষকে ইসলামের পথে আহ্বান করছিলেন এসময় কাফের-মুশরিকেরা সত্য ধর্মের আহ্বান সহ্য করতে না পেরে নবীজীকে হত্যা করার ঘোষণা দিল। এ জন্য তারা পুরস্কারও ঘোষণা করল। এ ঘোষণার পর কেউ মহানবী (সা.) কে মারার দুঃসাহস দেখাতে না পারলেও ওমর রা রাজি হয়ে যান। কিন্তু নবীজিকে হত্যা করতে গিয়ে তিনি নিজেই প্রিয় নবীর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন।
ওমর রা.-এর ইসলাম গ্রহণ মুসলমানদের শক্তিশালী করে। তার ইসলাম গ্রহণের আগে কেউ প্রকাশ্যে ইসলাম গ্রহণের কথা বলার সাহস পেত না এমনকি মুসলমানদের কেউ প্রকাশ্যে কোরআন তেলাওয়াত করার সাহস পেত না। কিন্তু ওমর রা. ইসলাম গ্রহণের পর কাবার সামনে প্রকাশ্যে ইসলাম এবং নামাজ আদায়ের ঘোষণা দেন।
ইসলাম গ্রহণের পর তিনি নবীজি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুখ-দুঃখ ও সমস্যাবলির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। বদর, ওহুদ, খন্দক, হুনাইন, খাইবার প্রভৃতি যুদ্ধে যোগদান করে অসাধারণ বীরত্ব, যোগ্যতা ও দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন।
ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর রা.-এর ওফাতের পর হজরত ওমর (রা.) শাসনভার গ্রহণ করেন। তার খেলাফতকাল (৬৩৪-৬৪৪) ইসলামের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা করে। বিশ্বের সর্বকালের শাসকদের কাছে তিনি ছিলেন আদর্শ স্থানীয়।
হজরত ওমর (রা) শুধু একজন বিখ্যাত বিজেতাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক এবং নিরঙ্কুশ সফলকাম জাতীয় নেতাদের অন্যতম। এক বিশাল সাম্রাজ্যের শাসক হয়েও হজরত ওমর (রা) সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতেন।
১০ বছর ৬ মাস ৩ দিন ইসলামি রাষ্ট্রের খেলাফতের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার শাসনকাল থেকে ব্যাপকভাবে ইসলামের বিকাশ ঘটে। তার সময়ে সাসানীয় সাম্রাজ্য ও বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের দুই তৃতীয়াংশ মুসলিমদের অধীনে আসে। তার শাসনামলেই জেরুজালেম মুসলিমদের হস্তগত হয়।
হজরত ওমর (রা) জ্ঞান চর্চার অনুরাগী ছিলেন। বিদ্বান ও বাগ্মী হিসেবে তার সুখ্যাতি ছিল। কোরআন-হাদিসে তার অসাধারণ পাণ্ডিত্য ছিল। সামরিক বিজ্ঞান ও কৌশলের দিক দিয়ে তিনি সমগ্র আরবের সুপরিচিত ছিলেন। তিনি ২৬ জিলহজ ২৩ হিজরি/৬৪৪ খ্রিস্টাব্দে দুষ্কৃতকারীর হাতে শাহাদাত বরণ করেন।
হজরত উসমান ইবনে আফফান রা.
হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা.)। তাঁর বংশধারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে আবদে মানাফ পর্যন্ত গিয়ে মিলিত হয়েছে। উসমান (রা.) এর জন্ম ৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দে অর্থাৎ হস্তীসনের ছয় বছর পর।
হজরত উসমান (রা.) কে বলা হয় জুননুরাইন (দুই নুরের মালিক)। এর ব্যাখ্যা হিসেবে বলা হয়, তিনি হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুই মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন।
হজরত উসমান (রা.) ছিলেন দয়ালু ও মহানুভাব একজন সাহাবি। ওমর রা.-এর ওফাতের পর তিনি খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তাকে খলিফা নির্বাচিত করা হলে তার নম্রতা ও বিনয় আরো বৃদ্ধি পায়। তিনি নিজ সম্পদ থেকে জনগণের খাদ্যের ব্যবস্থা করতেন। কিন্তু নিজে সিরকা ও যায়তুনের তেল ব্যবহার করতেন।
ইবনে কুতাইবা (রা.) বলেন, হজরত উসমান (রা.)-এর খিলাফতকালে মিশর, ইরান, আফ্রিকা, তিবরিস, রোম উপকূল, শেষ উস্তাখার, প্রথম পারস্য, তিবরিস্তান, কিরমান, সিজিস্তান, আল আসাবিয়াহ, জর্দানের উপকূলীয় এলাকা, মারভ ইত্যাদি এলাকা বিজয় হয়।
হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা.) সম্পর্কে আল্লাহর নবী বলেন, যাকে দেখে ফেরেশতাগণ লজ্জা পায়, আমি তাকে দেখে কেন লজ্জা পাব না? তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন। তার শাহাদাতের ব্যাপারে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দে হজরত উসমান (রা.) ৮৮ বছর বয়সে শাহাদাত বরণ করেন। তার খিলাফাত কাল ছিল, ১১ বছর ১১ মাস ৪ দিন।
হজরত আলী রা.
ইসলামের চতুর্থ খলিফা হজরত আলি (রা.)। তিনি ৬০০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের বনু হাশিম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাচা আবু তালিবের ছেলে এবং তার জামাতা ছিলেন। তিনি আল্লাহর রাসুলের কলিজার টুকরো ফাতেমা রা.-কে বিয়ে করেছিলেন।
আলী রা. ১০ বছর বয়সেই ইসলাম গ্রহণ করেন। বালকদের মধ্যে তিনিই প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী সাহাবি। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরত করে মদিনা যাওয়ার সময় হজরত আলি (রা.)-কে আমানতের মালের দায়িত্ব দিয়ে রেখে যান।
ইসলামের সূচনাকাল থেকেই হজরত আলী ছিলেন মহানবীর প্রিয়পাত্র। ইসলামের প্রতিটি কাজে তার অংশগ্রহণ থাকত অনিবার্য। রাসূলে পাক (সা.)-এর প্রতিটি কাজের প্রতি তার ছিল অগাধ বিশ্বাস। মনে প্রাণেই তিনি নবী করিম (সা.)-এর কর্মকাণ্ডকে বিশ্বাস করতেন এবং মানতেন।
তিনি বদর, ওহুদ, খন্দক, বনু কোরায়জা যুদ্ধ, হোদায়বিয়ার সন্ধি, খায়বর বিজয়, হুনাইনের যুদ্ধ, আদিউসের যুদ্ধ ও ইয়ামিনের যুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শন করে সবার শ্রদ্ধাভাজন হয়ে ইসলামের ইতিহাসে শেরে খোদা উপাধি লাভ করেন।
তিনি অনাড়ম্বর ও সহজ-সরল জীবন যাপন করতেন। নিজ হাতে কাজ করে উপার্জন করতেন। কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
হজরত উসমান (রা.)-এর সময় খেলাফতে প্রবল বিদ্রোহ দেখা দিলে হজরত আলী গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। বিদ্রোহীদের হাতে হজরত উসমান (রা.) ইন্তেকালের পর সব সম্প্রদায় এবং সমগ্র আরব জাহানের অনুরোধে হজরত আলী (রা.) খলিফা নির্বাচিত হন।
হজরত আলী (রা.) ৪ বছর ৮ মাস ২৩ দিন খেলাফতের দায়িত্ব পালন করে ১৭ রমজান ৪০ হিজরি/৬৬১ খ্রিস্টাব্দে কুফায় শাহাদাত বরণ করেন।
ইসলামের প্রধান খলিফা কয়জন?
ইসলামের প্রধান খালিফা ৪ জন। ১. হজরত আবু বকর (রাঃ), খেলাফত কাল ২৭ মাস ২. হজরত ওমর ফারুক (রাঃ), খেলাফত কাল ১৩ বছর ৩. হযরত ওসমান ইবনে আফফান (রাঃ), খেলাফত কাল ১০ বছর ৪. হজরত আলী (রাঃ), খেলাফত কাল ৫ বছর। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো উপরোক্ত চার জন খলিফার ভিতরে শুধুমাত্র আবু বকর রাঃ ছাড়া কারোরই স্বাভাবিক মৃত্যুRead more
ইসলামের প্রধান খালিফা ৪ জন।
১. হজরত আবু বকর (রাঃ), খেলাফত কাল ২৭ মাস
২. হজরত ওমর ফারুক (রাঃ), খেলাফত কাল ১৩ বছর
৩. হযরত ওসমান ইবনে আফফান (রাঃ), খেলাফত কাল ১০ বছর
৪. হজরত আলী (রাঃ), খেলাফত কাল ৫ বছর।
সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো উপরোক্ত চার জন খলিফার ভিতরে শুধুমাত্র আবু বকর রাঃ ছাড়া কারোরই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। বাকি তিনজন কোন না কোন ঘাতকের হাতে নিহত হয়েছেন।
ইসলামের চার জন প্রধান খালিফা সম্পর্কে বিস্তারিত-
হজরত আবু বকর রা.
ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর (রা.) ৫৭৩ সালে মক্কার কুরাইশ বংশের বনু তাইম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবু কুহাফা ও মায়ের নাম সালমা বিনতে সাখার।
শৈশবকাল থেকে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে আবু বকর (রা.)-এর বন্ধুত্ব ছিল। রাসুল (সা.) নবুয়তপ্রাপ্ত হওয়ার পর বয়স্ক স্বাধীন পুরুষদের মধ্য সর্বপ্রথম তিনিই ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শুশুর ছিলেন। তার মেয়ে আয়েশা রা.- রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহধর্মীনী ছিলেন।
তরুণ বয়সে আবু বকর (রা.) একজন বণিক হিসাবে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন। ইয়েমেন থেকে বাণিজ্য শেষে ফেরার পর তিনি মুহাম্মাদের ইসলাম প্রচারের সংবাদ পান। এরপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। তার ইসলাম গ্রহণ অন্য অনেকের ইসলাম গ্রহণের উৎসাহ জুগিয়েছে।
আবু বকর রা. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একান্ত কাছের মানুষ ছিলেন। ইসলামের প্রথম যুগে কাফের-মুশরিকদের নির্মম নির্যাতনের দিনগুলোতে তিনি আল্লাহর রাসুলের পাশে ছিলেন। হিজরতের সময় তিনিই ছিলেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একমাত্র সঙ্গী। ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ সব জিহাদে তিনি অংশগ্রহণ করেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাতের পর তিনি খলিফা হন এবং মুসলমানদের নেতৃত্ব দেন।
আবু বকরের খিলাফত ২৭ মাস অর্থাৎ দুই বছরের কিছু বেশি সময় স্থায়ী ছিল। এ সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তাকে বেশ কিছু অস্থিতিশীলতার সম্মুখীন হতে হয় এবং তিনি তা সফলভাবে মোকাবিলা করেন। নতুন নবী দাবিকারী বিদ্রোহীদের তিনি রিদ্দার যুদ্ধে দমন করেন। তিনি বাইজেন্টাইন ও সাসানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন, যা ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
এসব অভিযানের ফলে মুসলিম সাম্রাজ্য কয়েক দশকের মধ্যে শক্তিশালী হিসাবে আবির্ভূত হয়। আবু বকর সর্বপ্রথম গ্রন্থাকারে কুরআন সংকলন করেন। ইতোপূর্বে কুরআনের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্নভাবে লিপিবদ্ধ ছিল। মৃত্যুর আগে আবু বকর (রা.) কুরআনের এ কপিটি তার উত্তরসূরি উমর ইবনুল খাত্তাবকে দিয়ে যান। উমর (রা.)-এর শাসনকালে এটি তার কাছেই রক্ষিত ছিল।
পারিবারিক জীবনে তিনি স্ত্রী, ছেলেমেয়েদের সঙ্গে প্রীতি ও সদ্ভাব রাখতেন। তার চাল-চলন ছিল সাদাসিধে, মোটা কাপড় ব্যবহার করতেন। বাহ্যিক কোনো জাঁকজমক ছিল না। জগতের আদর্শ প্রশাসক, মহানবীর সাথি খলিফা হজরত আবু বকর (রা.) ৬৩৪ সালের ২৩ আগস্ট, ২২ জমাদিউস সানি ১৩ হিজরি ইন্তেকাল করেন। আয়েশা (রা.)- এর ঘরে মুহাম্মাদ (সা.)-এর পাশে তাকে দাফন করা হয়।
হজরত ওমর ফারুক রা.
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর ফারুক (রা.)। ৫৮৩ খিস্টাব্দে তিনি কুরাইশ বংশের বিখ্যাত আদ্দি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। উমর (রা.) এর বাবা খাত্তাব কুরাইশ বংশের একজন বিখ্যাত লোক ছিলেন। উমর (রা.) এর মাতার নাম হানতামা।
হজরত উমর (রা.) শিক্ষা-দীক্ষায় বেশ অগ্রসর ছিলেন। তিনি কবিতা লেখায় পারদর্শী ছিলেন। কুস্তিবিদ্যায় তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়।
নবীজি যখন মানুষকে ইসলামের পথে আহ্বান করছিলেন এসময় কাফের-মুশরিকেরা সত্য ধর্মের আহ্বান সহ্য করতে না পেরে নবীজীকে হত্যা করার ঘোষণা দিল। এ জন্য তারা পুরস্কারও ঘোষণা করল। এ ঘোষণার পর কেউ মহানবী (সা.) কে মারার দুঃসাহস দেখাতে না পারলেও ওমর রা রাজি হয়ে যান। কিন্তু নবীজিকে হত্যা করতে গিয়ে তিনি নিজেই প্রিয় নবীর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন।
ওমর রা.-এর ইসলাম গ্রহণ মুসলমানদের শক্তিশালী করে। তার ইসলাম গ্রহণের আগে কেউ প্রকাশ্যে ইসলাম গ্রহণের কথা বলার সাহস পেত না এমনকি মুসলমানদের কেউ প্রকাশ্যে কোরআন তেলাওয়াত করার সাহস পেত না। কিন্তু ওমর রা. ইসলাম গ্রহণের পর কাবার সামনে প্রকাশ্যে ইসলাম এবং নামাজ আদায়ের ঘোষণা দেন।
ইসলাম গ্রহণের পর তিনি নবীজি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুখ-দুঃখ ও সমস্যাবলির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। বদর, ওহুদ, খন্দক, হুনাইন, খাইবার প্রভৃতি যুদ্ধে যোগদান করে অসাধারণ বীরত্ব, যোগ্যতা ও দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন।
ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর রা.-এর ওফাতের পর হজরত ওমর (রা.) শাসনভার গ্রহণ করেন। তার খেলাফতকাল (৬৩৪-৬৪৪) ইসলামের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা করে। বিশ্বের সর্বকালের শাসকদের কাছে তিনি ছিলেন আদর্শ স্থানীয়।
হজরত ওমর (রা) শুধু একজন বিখ্যাত বিজেতাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক এবং নিরঙ্কুশ সফলকাম জাতীয় নেতাদের অন্যতম। এক বিশাল সাম্রাজ্যের শাসক হয়েও হজরত ওমর (রা) সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতেন।
১০ বছর ৬ মাস ৩ দিন ইসলামি রাষ্ট্রের খেলাফতের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার শাসনকাল থেকে ব্যাপকভাবে ইসলামের বিকাশ ঘটে। তার সময়ে সাসানীয় সাম্রাজ্য ও বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের দুই তৃতীয়াংশ মুসলিমদের অধীনে আসে। তার শাসনামলেই জেরুজালেম মুসলিমদের হস্তগত হয়।
হজরত ওমর (রা) জ্ঞান চর্চার অনুরাগী ছিলেন। বিদ্বান ও বাগ্মী হিসেবে তার সুখ্যাতি ছিল। কোরআন-হাদিসে তার অসাধারণ পাণ্ডিত্য ছিল। সামরিক বিজ্ঞান ও কৌশলের দিক দিয়ে তিনি সমগ্র আরবের সুপরিচিত ছিলেন। তিনি ২৬ জিলহজ ২৩ হিজরি/৬৪৪ খ্রিস্টাব্দে দুষ্কৃতকারীর হাতে শাহাদাত বরণ করেন।
হজরত উসমান ইবনে আফফান রা.
হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা.)। তাঁর বংশধারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে আবদে মানাফ পর্যন্ত গিয়ে মিলিত হয়েছে। উসমান (রা.) এর জন্ম ৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দে অর্থাৎ হস্তীসনের ছয় বছর পর।
হজরত উসমান (রা.) কে বলা হয় জুননুরাইন (দুই নুরের মালিক)। এর ব্যাখ্যা হিসেবে বলা হয়, তিনি হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুই মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন।
হজরত উসমান (রা.) ছিলেন দয়ালু ও মহানুভাব একজন সাহাবি। ওমর রা.-এর ওফাতের পর তিনি খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তাকে খলিফা নির্বাচিত করা হলে তার নম্রতা ও বিনয় আরো বৃদ্ধি পায়। তিনি নিজ সম্পদ থেকে জনগণের খাদ্যের ব্যবস্থা করতেন। কিন্তু নিজে সিরকা ও যায়তুনের তেল ব্যবহার করতেন।
ইবনে কুতাইবা (রা.) বলেন, হজরত উসমান (রা.)-এর খিলাফতকালে মিশর, ইরান, আফ্রিকা, তিবরিস, রোম উপকূল, শেষ উস্তাখার, প্রথম পারস্য, তিবরিস্তান, কিরমান, সিজিস্তান, আল আসাবিয়াহ, জর্দানের উপকূলীয় এলাকা, মারভ ইত্যাদি এলাকা বিজয় হয়।
হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা.) সম্পর্কে আল্লাহর নবী বলেন, যাকে দেখে ফেরেশতাগণ লজ্জা পায়, আমি তাকে দেখে কেন লজ্জা পাব না? তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন। তার শাহাদাতের ব্যাপারে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দে হজরত উসমান (রা.) ৮৮ বছর বয়সে শাহাদাত বরণ করেন। তার খিলাফাত কাল ছিল, ১১ বছর ১১ মাস ৪ দিন।
হজরত আলী রা.
ইসলামের চতুর্থ খলিফা হজরত আলি (রা.)। তিনি ৬০০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের বনু হাশিম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাচা আবু তালিবের ছেলে এবং তার জামাতা ছিলেন। তিনি আল্লাহর রাসুলের কলিজার টুকরো ফাতেমা রা.-কে বিয়ে করেছিলেন।
আলী রা. ১০ বছর বয়সেই ইসলাম গ্রহণ করেন। বালকদের মধ্যে তিনিই প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী সাহাবি। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরত করে মদিনা যাওয়ার সময় হজরত আলি (রা.)-কে আমানতের মালের দায়িত্ব দিয়ে রেখে যান।
ইসলামের সূচনাকাল থেকেই হজরত আলী ছিলেন মহানবীর প্রিয়পাত্র। ইসলামের প্রতিটি কাজে তার অংশগ্রহণ থাকত অনিবার্য। রাসূলে পাক (সা.)-এর প্রতিটি কাজের প্রতি তার ছিল অগাধ বিশ্বাস। মনে প্রাণেই তিনি নবী করিম (সা.)-এর কর্মকাণ্ডকে বিশ্বাস করতেন এবং মানতেন।
তিনি বদর, ওহুদ, খন্দক, বনু কোরায়জা যুদ্ধ, হোদায়বিয়ার সন্ধি, খায়বর বিজয়, হুনাইনের যুদ্ধ, আদিউসের যুদ্ধ ও ইয়ামিনের যুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শন করে সবার শ্রদ্ধাভাজন হয়ে ইসলামের ইতিহাসে শেরে খোদা উপাধি লাভ করেন।
তিনি অনাড়ম্বর ও সহজ-সরল জীবন যাপন করতেন। নিজ হাতে কাজ করে উপার্জন করতেন। কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
হজরত উসমান (রা.)-এর সময় খেলাফতে প্রবল বিদ্রোহ দেখা দিলে হজরত আলী গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। বিদ্রোহীদের হাতে হজরত উসমান (রা.) ইন্তেকালের পর সব সম্প্রদায় এবং সমগ্র আরব জাহানের অনুরোধে হজরত আলী (রা.) খলিফা নির্বাচিত হন।
হজরত আলী (রা.) ৪ বছর ৮ মাস ২৩ দিন খেলাফতের দায়িত্ব পালন করে ১৭ রমজান ৪০ হিজরি/৬৬১ খ্রিস্টাব্দে কুফায় শাহাদাত বরণ করেন।
See lessইসলামের দ্বিতীয় খলিফার নাম কী?
উত্তরঃ হযরত উমর (রাঃ)। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফার নাম হযরত উমর (রাঃ)। হজরত ওমর ফারুক রা. সম্পর্কে বিস্তারিত- ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর ফারুক (রা.)। ৫৮৩ খিস্টাব্দে তিনি কুরাইশ বংশের বিখ্যাত আদ্দি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। উমর (রা.) এর বাবা খাত্তাব কুরাইশ বংশের একজন বিখ্যাত লোক ছিলেন। উমর (রা.) এর মাতাRead more
উত্তরঃ হযরত উমর (রাঃ)।
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফার নাম হযরত উমর (রাঃ)।
হজরত ওমর ফারুক রা. সম্পর্কে বিস্তারিত-
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর ফারুক (রা.)। ৫৮৩ খিস্টাব্দে তিনি কুরাইশ বংশের বিখ্যাত আদ্দি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। উমর (রা.) এর বাবা খাত্তাব কুরাইশ বংশের একজন বিখ্যাত লোক ছিলেন। উমর (রা.) এর মাতার নাম হানতামা।
হজরত উমর (রা.) শিক্ষা-দীক্ষায় বেশ অগ্রসর ছিলেন। তিনি কবিতা লেখায় পারদর্শী ছিলেন। কুস্তিবিদ্যায় তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়।
নবীজি যখন মানুষকে ইসলামের পথে আহ্বান করছিলেন এসময় কাফের-মুশরিকেরা সত্য ধর্মের আহ্বান সহ্য করতে না পেরে নবীজীকে হত্যা করার ঘোষণা দিল। এ জন্য তারা পুরস্কারও ঘোষণা করল। এ ঘোষণার পর কেউ মহানবী (সা.) কে মারার দুঃসাহস দেখাতে না পারলেও ওমর রা রাজি হয়ে যান। কিন্তু নবীজিকে হত্যা করতে গিয়ে তিনি নিজেই প্রিয় নবীর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন।
ওমর রা.-এর ইসলাম গ্রহণ মুসলমানদের শক্তিশালী করে। তার ইসলাম গ্রহণের আগে কেউ প্রকাশ্যে ইসলাম গ্রহণের কথা বলার সাহস পেত না এমনকি মুসলমানদের কেউ প্রকাশ্যে কোরআন তেলাওয়াত করার সাহস পেত না। কিন্তু ওমর রা. ইসলাম গ্রহণের পর কাবার সামনে প্রকাশ্যে ইসলাম এবং নামাজ আদায়ের ঘোষণা দেন।
ইসলাম গ্রহণের পর তিনি নবীজি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুখ-দুঃখ ও সমস্যাবলির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। বদর, ওহুদ, খন্দক, হুনাইন, খাইবার প্রভৃতি যুদ্ধে যোগদান করে অসাধারণ বীরত্ব, যোগ্যতা ও দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন।
ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর রা.-এর ওফাতের পর হজরত ওমর (রা.) শাসনভার গ্রহণ করেন। তার খেলাফতকাল (৬৩৪-৬৪৪) ইসলামের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা করে। বিশ্বের সর্বকালের শাসকদের কাছে তিনি ছিলেন আদর্শ স্থানীয়।
হজরত ওমর (রা) শুধু একজন বিখ্যাত বিজেতাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক এবং নিরঙ্কুশ সফলকাম জাতীয় নেতাদের অন্যতম। এক বিশাল সাম্রাজ্যের শাসক হয়েও হজরত ওমর (রা) সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতেন।
১০ বছর ৬ মাস ৩ দিন ইসলামি রাষ্ট্রের খেলাফতের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার শাসনকাল থেকে ব্যাপকভাবে ইসলামের বিকাশ ঘটে। তার সময়ে সাসানীয় সাম্রাজ্য ও বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের দুই তৃতীয়াংশ মুসলিমদের অধীনে আসে। তার শাসনামলেই জেরুজালেম মুসলিমদের হস্তগত হয়।
হজরত ওমর (রা) জ্ঞান চর্চার অনুরাগী ছিলেন। বিদ্বান ও বাগ্মী হিসেবে তার সুখ্যাতি ছিল। কোরআন-হাদিসে তার অসাধারণ পাণ্ডিত্য ছিল। সামরিক বিজ্ঞান ও কৌশলের দিক দিয়ে তিনি সমগ্র আরবের সুপরিচিত ছিলেন। তিনি ২৬ জিলহজ ২৩ হিজরি/৬৪৪ খ্রিস্টাব্দে দুষ্কৃতকারীর হাতে শাহাদাত বরণ করেন।
See lessইসলামের তৃতীয় খলিফার নাম কী?
উত্তরঃ হযরত উসমান (রাঃ)। ইসলামের তৃতীয় খলিফার নাম হযরত উসমান (রাঃ)। হজরত উসমান ইবনে আফফান রা. সম্পর্কে বিস্তারিত- হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা.)। তাঁর বংশধারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে আবদে মানাফ পর্যন্ত গিয়ে মিলিত হয়েছে। উসমান (রা.) এর জন্ম ৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দে অর্থাৎ হস্তীসনের ছRead more
উত্তরঃ হযরত উসমান (রাঃ)।
ইসলামের তৃতীয় খলিফার নাম হযরত উসমান (রাঃ)।
হজরত উসমান ইবনে আফফান রা. সম্পর্কে বিস্তারিত-
হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা.)। তাঁর বংশধারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে আবদে মানাফ পর্যন্ত গিয়ে মিলিত হয়েছে। উসমান (রা.) এর জন্ম ৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দে অর্থাৎ হস্তীসনের ছয় বছর পর।
হজরত উসমান (রা.) কে বলা হয় জুননুরাইন (দুই নুরের মালিক)। এর ব্যাখ্যা হিসেবে বলা হয়, তিনি হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুই মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন।
হজরত উসমান (রা.) ছিলেন দয়ালু ও মহানুভাব একজন সাহাবি। ওমর রা.-এর ওফাতের পর তিনি খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তাকে খলিফা নির্বাচিত করা হলে তার নম্রতা ও বিনয় আরো বৃদ্ধি পায়। তিনি নিজ সম্পদ থেকে জনগণের খাদ্যের ব্যবস্থা করতেন। কিন্তু নিজে সিরকা ও যায়তুনের তেল ব্যবহার করতেন।
ইবনে কুতাইবা (রা.) বলেন, হজরত উসমান (রা.)-এর খিলাফতকালে মিশর, ইরান, আফ্রিকা, তিবরিস, রোম উপকূল, শেষ উস্তাখার, প্রথম পারস্য, তিবরিস্তান, কিরমান, সিজিস্তান, আল আসাবিয়াহ, জর্দানের উপকূলীয় এলাকা, মারভ ইত্যাদি এলাকা বিজয় হয়।
হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা.) সম্পর্কে আল্লাহর নবী বলেন, যাকে দেখে ফেরেশতাগণ লজ্জা পায়, আমি তাকে দেখে কেন লজ্জা পাব না? তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন। তার শাহাদাতের ব্যাপারে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দে হজরত উসমান (রা.) ৮৮ বছর বয়সে শাহাদাত বরণ করেন। তার খিলাফাত কাল ছিল, ১১ বছর ১১ মাস ৪ দিন।
See lessইসলামের চতুর্থ খলিফার নাম কী?
উত্তরঃ হযরত আলী (রাঃ)। ইসলামের চতুর্থ খলিফার নাম হযরত আলী (রাঃ)। হজরত আলী রা. সম্পর্কে বিস্তারিত- ইসলামের চতুর্থ খলিফা হজরত আলি (রা.)। তিনি ৬০০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের বনু হাশিম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাচা আবু তালিবের ছেলে এবং তার জামাতা ছিলেন।Read more
উত্তরঃ হযরত আলী (রাঃ)।
ইসলামের চতুর্থ খলিফার নাম হযরত আলী (রাঃ)।
হজরত আলী রা. সম্পর্কে বিস্তারিত-
ইসলামের চতুর্থ খলিফা হজরত আলি (রা.)। তিনি ৬০০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের বনু হাশিম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাচা আবু তালিবের ছেলে এবং তার জামাতা ছিলেন। তিনি আল্লাহর রাসুলের কলিজার টুকরো ফাতেমা রা.-কে বিয়ে করেছিলেন।
আলী রা. ১০ বছর বয়সেই ইসলাম গ্রহণ করেন। বালকদের মধ্যে তিনিই প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী সাহাবি। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরত করে মদিনা যাওয়ার সময় হজরত আলি (রা.)-কে আমানতের মালের দায়িত্ব দিয়ে রেখে যান।
ইসলামের সূচনাকাল থেকেই হজরত আলী ছিলেন মহানবীর প্রিয়পাত্র। ইসলামের প্রতিটি কাজে তার অংশগ্রহণ থাকত অনিবার্য। রাসূলে পাক (সা.)-এর প্রতিটি কাজের প্রতি তার ছিল অগাধ বিশ্বাস। মনে প্রাণেই তিনি নবী করিম (সা.)-এর কর্মকাণ্ডকে বিশ্বাস করতেন এবং মানতেন।
তিনি বদর, ওহুদ, খন্দক, বনু কোরায়জা যুদ্ধ, হোদায়বিয়ার সন্ধি, খায়বর বিজয়, হুনাইনের যুদ্ধ, আদিউসের যুদ্ধ ও ইয়ামিনের যুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শন করে সবার শ্রদ্ধাভাজন হয়ে ইসলামের ইতিহাসে শেরে খোদা উপাধি লাভ করেন।
তিনি অনাড়ম্বর ও সহজ-সরল জীবন যাপন করতেন। নিজ হাতে কাজ করে উপার্জন করতেন। কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
হজরত উসমান (রা.)-এর সময় খেলাফতে প্রবল বিদ্রোহ দেখা দিলে হজরত আলী গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। বিদ্রোহীদের হাতে হজরত উসমান (রা.) ইন্তেকালের পর সব সম্প্রদায় এবং সমগ্র আরব জাহানের অনুরোধে হজরত আলী (রা.) খলিফা নির্বাচিত হন।
হজরত আলী (রা.) ৪ বছর ৮ মাস ২৩ দিন খেলাফতের দায়িত্ব পালন করে ১৭ রমজান ৪০ হিজরি/৬৬১ খ্রিস্টাব্দে কুফায় শাহাদাত বরণ করেন।
See lessকুরআন অর্থ কি?
কুরআন শব্দের অর্থ পঠিত বা আবৃত্তি করা । যা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর নিকট হতে ওহীর মাধ্যমে পেয়ে আবৃত্তি করেছেন । যদিও কুরআন বলতে সাধারভাবেযরত মুহাম্মদ (সাঃ) উপর অবতীর্ণ ওহীর সমষ্টিকে বুঝায়। কুরআন শব্দের উৎপত্তি ক্বারউন নামক শব্দ থেকে যার অর্থ পঠিত, যা অধিক পাঠ করা হয়, অন্য অর্থ মিলিত। সারা বিশ্বRead more
কুরআন শব্দের উৎপত্তি ক্বারউন নামক শব্দ থেকে যার অর্থ পঠিত, যা অধিক পাঠ করা হয়, অন্য অর্থ মিলিত। সারা বিশ্বের মুসলমানগণ কুরআন অধিক পরিমাণে তিলাওয়াত করেন তাই এর নামের অর্থ পঠিত। কুরআনে আল্লাহ্ জ্ঞান-বিজ্ঞানের যাবতীয় বিষয় একত্রিত করেছেন, তাই এর নামের অর্থ মিলিত।
মূলধাতু অনুযায়ী কুরআন শব্দের প্রথম অর্থ হলো তেলাওয়াত করা বা পাঠ করা এবং দ্বিতীয় অর্থ হলো একত্রিত করা অর্থাৎ সকল হেদায়েতি বাণী সমূহ একত্রিত করা।
কুরআন যেহেতু আরবি শব্দ, তাই অবশ্যই এর শব্দের অর্থ আমাদের জানা প্রয়োজন ছিল এবং আশা করি আপনারা অর্থ জানতে পেরেছেন।
কুরআনের সংজ্ঞা
কুরআনের সংজ্ঞা বা কুরআন কাকে বলেঃ ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায়, মানবজাতির হেদায়েতের লক্ষ্যে আল্লাহ তা’আলা হযরত জিবরাঈল (আ.) এর মাধ্যমে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী করীম (স.) এর উপর যে কিতাব নাজিল করেছিলেন তাকে আল কুরআন বলে।
অন্যভাবে বলতে গেলে, ইসলামে শরীয়তের সকল বিধি-বিধানের মূল উৎস, ভিত্তি, অকাট্য ও প্রামাণ্য দলিলকে কুরআন বলা হয়।
কুরআন হচ্ছে আমাদের জন্য দলিল স্বরূপ এবং এখানে জীবন পরিচালনা করার জন্য সমস্ত বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে যথাযথভাবে।
আবার হেদায়েতের হিসেবে কুরআনুল কারীমের সকল প্রকার তথ্য প্রদান করা হয়েছে যার দ্বারা মানুষ তার জীবন পরিচালনা করতে পারে।
আবার পার্থক জীবনের সকল সমস্যার সমাধান করার উপায় সম্পর্কেও কোরআনে উল্লেখ রয়েছে যা অবশ্যই আমাদের জন্য খুশির সংবাদ।
যে কেউ চাইলে আল্লাহর নিকট সমস্যা ব্যক্ত করে সমাধান নিতে পারে তবে এর জন্য আমল রয়েছে যা কুরআনে উল্লেখ হয়েছে।
কুরআনের অবতরণ
আল কুরআন হলো মহান রাব্বুল আলামীনের পবিত্র কালাম ও বাণী।
সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব আল কুরআনকে আল্লাহ তা’আলা কদরের রাতে একত্রে লাওহে মাহফুজ থেকে “বাইতুল ইযযাহ” নামক একটি বিশেষ স্থানে নাযিল করেছিলেন।
বাইতুল ইযযাহ নামক এই স্থানটি হল আসমানের একটি বিশেষ জায়গা বা স্থানের নাম।
মহানবী (স.) হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকা অবস্থায় মহান রব্বুল আলামীনের নির্দেশে জিব্রাইল (আ.) সূরা আলাক এর প্রথম পাঁচটি আয়াত নিয়ে মহানবী (স.) এর নিকট অবতরণ করেন।
আর এটাই ছিল পৃথিবীর বুকে আল কুরআনের প্রথম অবতরণ বা নাযিল এর ঘটনা।
কোরআন বা আল কুরআনের সংরক্ষণ
আল কুরআন নাযিল হওয়ার পর আমাদের প্রিয় নবী (সঃ) প্রত্যেকটির সাহাবীকে নাযিলকৃত প্রত্যেকটি আয়াত মুখস্ত করার আদেশ দেন।
প্রিয় নবীর আদেশক্রমে সাহাবীগণ তার মুখস্ত করতেন, দিনরাত তেলাওয়াত করতেন, নামাজের পাঠ করতেন এবং পরিবার পরিজন ও স্ত্রীর সন্তানদেরকে মুখস্ত করার আহ্বান দিতেন। গভীর রাতে প্রত্যেকটি সাহাবীদের ঘর থেকে কুরআন তিলাওয়াতের গুনগুন মধুর আওয়াজ শোনা যেত এবং অনেক সময় রাসুলুল্লাহ (সঃ) স্বয়ং তাদের গৃহপার্শ্বে গিয়ে তেলাওয়াত শ্রবণ করতেন।
আর এভাবেই কুরআন মুখস্ত করার মাধ্যমে সর্বপ্রথম আল কুরআন কে সংরক্ষণ করা হয় এবং এখানে উল্লেখ্য যে সেসময় বা তৎকালীন সময়ে আরববাসীদের স্মৃতিশক্তি ছিল খুবই ভালো এবং তীক্ষ্ণ।
আল কুরআন এর সংকলন
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর সময় আল কুরআন লেখনির মাধ্যমে পুরো সংরক্ষণ করা হয়।
কিন্তু সে সময় তা একত্রে গ্রন্থাবদ্ধ করা হয়নি বা গ্রন্থে রূপান্তর করা হয়নি।
বরং এই লেখনি গুলো বা লিপিবদ্ধগুলো বা লিপিবদ্ধের টুকরো গুলো নানাজনের নিকট সংরক্ষিত ছিল তবে একত্রে ছিল না। পরবর্তীতে হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) সর্বপ্রথম কুরআন সংকলনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) এর শাসনামলে নবুয়তের মিথ্যা দাবিদার ও ভন্ড নবীর আবির্ভাব ঘটেছিল এবং হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) তাদের বিরুদ্ধে ইয়ামামার যুদ্ধ করেছিলেন।
এই সকল ভন্ড নবীদের জন্য কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের মধ্যে মানুষের মাঝে ভুলভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
এই যুদ্ধে অনেক কুরআন মুখস্থ করা হাফেজ শাহাদাত বরণ করেন এবং এর কারণে কুরআন সংকলন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
কুরআন সংকলন করার সময় মোট চারটি পর্দা অবলম্বন করা হয়েছিল, কুরআন সংকলনের ক্ষেত্রে বিশেষ চারটি পন্থা নিচে উল্লেখ করা হলো:
আল কুরআনের সংকলন সম্পর্কে এই তথ্যগুলো সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় পাঠ্য বই এবং বিভিন্ন প্রকার অন্যান্য বই।
আমি বিভিন্ন বই হতে তথ্যগুলো সংগ্রহ করে এখানে উল্লেখ করেছি যেন আপনি অল্প একটু পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
কুরআন শব্দের অর্থ কি এবং কুরআনের সংজ্ঞা নিয়ে আজকের এই পোস্টটি সাজানো এবং আশা করে তথ্য দিতে পেরেছি অনেক।
আল কুরআন হচ্ছে মানবজাতির হেদায়েতের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব এবং পৃথিবীর বুকে এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ কিতাব কখনো আসবেনা।
তাই অবশ্যই আপনাকে আমাকে এই কিতাবকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং সেই সাথে মর্যাদার সহিত আমল করতে হবে।
সাপের খোলস – এক কথায় প্রকাশ
উত্তরঃ নির্মোক । সাপের খোলস-নির্মোক। ব্যাখ্যাঃ এককথায় প্রকাশ : সাপের খােলস - নিমোক; বাঘের চর্ম - কৃত্তি, হরিণের চর্ম - অজিন; করভ অর্থ - হস্তিশাবক বা উটের শাবক। হাতির শাবক - করভ।
উত্তরঃ নির্মোক ।
সাপের খোলস-নির্মোক।
ব্যাখ্যাঃ এককথায় প্রকাশ :
সাপের খােলস – নিমোক;
বাঘের চর্ম – কৃত্তি,
হরিণের চর্ম – অজিন;
করভ অর্থ – হস্তিশাবক বা উটের শাবক।
হাতির শাবক – করভ।
See lessএক গাছে তিন তরকারি বলতে পারে কোন ব্যাপারী?
উত্তরঃ কলাগাছ। যেমনঃ কাচা কলা, কলার থোর আর গাছের মজ্জা
উত্তরঃ কলাগাছ।
যেমনঃ কাচা কলা, কলার থোর আর গাছের মজ্জা
See lessওযুর ফরজ কয়টি ও সেগুলো কি কি?
ওযুর ফরজ ৪টি। যথাঃ সমস্ত মুখমণ্ডল ভালভাবে ধৌত করা। কনুইসহ দুই হাতের কব্জি ভালভাবে ধৌত করা। মাথা মসেহ করা টাকনুসহ দুই পা ধৌত করা। ওযুতে এই মোট চারটি ফরজ বা অবশ্য করণীয় কাজ। যা না করলে ওযু হবে না। ইসলামের বিধান অনুসারে ওযু হল দেহের অঙ্গ-পতঙ্গ ধৌত করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জনের একটি পন্থা। পবিত্র কোরআনেRead more
ওযুর ফরজ ৪টি। যথাঃ
ওযুতে এই মোট চারটি ফরজ বা অবশ্য করণীয় কাজ। যা না করলে ওযু হবে না।
ইসলামের বিধান অনুসারে ওযু হল দেহের অঙ্গ-পতঙ্গ ধৌত করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জনের একটি পন্থা। পবিত্র কোরআনে আছে -‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তওবাকারীকে ভালবাসেন এবং যাহারা পবিত্র থাকে তহাদিগকেও ভালবাসেন। ’-(সূরা বাকারা,আয়াত:২২২)।
নামাজের পূ্র্বে অবশ্যই ওযু করতে হয়। আল্লাহ তাআলা বান্দার নামাজ আদায়ের জন্য ওযুকে করেছেন ফরজ। বিনা ওযুতে ফরজ ইবাদত করা পাপের কাজ।
কোরআন শরীফ পড়তে ও স্পর্শ করতেও ওযু করতে হয়। পবিত্র কোরআনে আছে -‘যাহারা পূত-পবিত্র তাহারা ব্যতীত অন্য কেহ তাহা স্পর্শ করো না। ’-(সূরা ওয়াক্কিয়াহ্, আয়াত:৭৯)। দেহ ও পরিধেয় কাপড়ের পবিত্রতা আর্জনকে বলে তাহারাত্। ওযু বা গোসলের মাধ্যমে তাহারাত্ আর্জন করা যায়। হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেন – ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ধর্মের অর্ধেক। ’ (সহীহ মোসলিম)
See less