উত্তরঃ পৃথিবীর বৃহত্তম হ্রদ কাস্পিয়ান সাগর। আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম হ্রদ কাস্পিয়ান সাগরের আয়তন ৩,৯৫,২৯৯ বর্গকিমি। এটি রাশিয়া, আজারবাইজান, কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও ইরানের কিছু অঞ্চল নিয়ে গঠিত। এর সর্বোচ্চ গভীরতা ৯৪৬ মিটার। বৈকাল হ্রদ রাশিয়ায় অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে গভীর হ্রদ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়Read more
উত্তরঃ পৃথিবীর বৃহত্তম হ্রদ কাস্পিয়ান সাগর।
আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম হ্রদ কাস্পিয়ান সাগরের আয়তন ৩,৯৫,২৯৯ বর্গকিমি। এটি রাশিয়া, আজারবাইজান, কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও ইরানের কিছু অঞ্চল নিয়ে গঠিত। এর সর্বোচ্চ গভীরতা ৯৪৬ মিটার। বৈকাল হ্রদ রাশিয়ায় অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে গভীর হ্রদ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় এবং ভিক্টোরিয়া হ্রদ তাঞ্জানিয়া এবং উগান্ডায় অবস্থিত।
See less
লোকশিল্প জাদুঘর কোথায় অবস্থিত
উত্তরঃ সোনারগাঁও বাংলাদেশের লোকশিল্প জাদুঘর সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত। ব্যাখ্যাঃ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন। এটি রাজধানী ঢাকা থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলায় অবস্থিত।
উত্তরঃ সোনারগাঁও
বাংলাদেশের লোকশিল্প জাদুঘর সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত।
ব্যাখ্যাঃ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন। এটি রাজধানী ঢাকা থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলায় অবস্থিত।
See lessবিখ্যাত সাধক শাহ সুলতান বলখীর মাজার কোথায়?
উত্তরঃ মহাস্থানগড় বিখ্যাত সাধক শাহ সুলতান বলখীর মাজার মহাস্থানগড়ে । ব্যাখ্যাঃ শাহ সুলতান বলখী ১৪ শ শতকে বল্লখ/বলখ (আফগানিস্তান) থেকে বাংলায় আসেন। বলখ থেকে আসায় তাঁর নামের শেষে বলখী যুক্ত হয়েছে। কথিত আছে তিনি মাছের পিঠে বা মাছের মতো তৈরি নৌকায় এসেছিলেন । এজন্য তাঁকে মাহিসাওয়ারও বলা হয়। তাঁর ইসলামিক দRead more
উত্তরঃ মহাস্থানগড়
বিখ্যাত সাধক শাহ সুলতান বলখীর মাজার মহাস্থানগড়ে ।
ব্যাখ্যাঃ
শাহ সুলতান বলখী ১৪ শ শতকে বল্লখ/বলখ (আফগানিস্তান) থেকে বাংলায় আসেন। বলখ থেকে আসায় তাঁর নামের শেষে বলখী যুক্ত হয়েছে। কথিত আছে তিনি মাছের পিঠে বা মাছের মতো তৈরি নৌকায় এসেছিলেন । এজন্য তাঁকে মাহিসাওয়ারও বলা হয়। তাঁর ইসলামিক দাওয়াতে দলে দলে লোক ইসলাম গ্রহণ করলে পুণ্ড্রবর্ধনের শেষ রাজা পরশুরাম তাঁর বিরোধিতা করে। ফলে যুদ্ধের সূচনা হয় এবং রাজা পরশুরাম পরাজিত হন ও মৃত্যুবরণ করেন৷
শাহ সুলতান বলখীর মাজার মহাস্থানগড় তথা পুন্ডবর্ধনে।
See lessগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান প্রবর্তিত হয় কত তারিখে?
উত্তরঃ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ ব্যাখ্যাঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এটি একটি লিখিত দলিল। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ঠা নভেম্বর তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে এই সংবিধান গৃহীত হয় এবং একই বছরের ১৬ই ডিসেম্বর অর্থাৎ বাংলাদেশের বিজয় দিবসের প্রথম বার্ষিকী হতেRead more
উত্তরঃ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২
ব্যাখ্যাঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এটি একটি লিখিত দলিল। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ঠা নভেম্বর তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে এই সংবিধান গৃহীত হয় এবং একই বছরের ১৬ই ডিসেম্বর অর্থাৎ বাংলাদেশের বিজয় দিবসের প্রথম বার্ষিকী হতে এটি কার্যকর হয়। মূল সংবিধান ইংরেজি ভাষায় রচিত হয় এবং একে বাংলায় অনুবাদ করা হয়[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]। তাই এটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় বিদ্যমান। তবে ইংরেজি ও বাংলার মধ্যে অর্থগত বিরোধ দৃশ্যমান হলে বাংলা রূপ অনুসরণীয় হবে।
See lessবাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রের ঘোষণা হয়েছিল কবে?
উত্তরঃ ১৭ এপ্রিল ১৯৭১। ব্যাখ্যাঃ মুজিবনগর সরকার হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকার। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১০ এপ্রিল এ সরকার গঠিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে। বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিRead more
উত্তরঃ ১৭ এপ্রিল ১৯৭১।
ব্যাখ্যাঃ মুজিবনগর সরকার হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকার। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১০ এপ্রিল এ সরকার গঠিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে। বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে বৈদ্যনাথতলা গ্রামের নামকরণ হয় মুজিবনগর। মুজিবনগর সরকারের কর্মকান্ড বাংলাদেশ ভূখন্ডের বাইরে থেকে পরিচালিত হয়েছিল বলে এ সরকার প্রবাসী মুজিবনগর সরকার হিসেবেও খ্যাত। পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথ তলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। সকাল প্রায় ৯ টা থেকেই সেখানে নেতৃবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিদের আগমন শুরু হয়। দেশি বিদেশি প্রায় ৫০ জন সাংবাদিক উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বেলা ১১টার দিকে শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয় । কোরান তেলাওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় এবং শুরুতেই বাংলাদেশকে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ রূপে ঘোষণা করা হয়।
See lessIn Cricket game the length of pitch between the two wickets is —–
Answer: 22 yards. ক্রিকেট প্রতি দলে এগারো জন খেলোয়াড় নিয়ে গঠিত দুটি দলের মধ্যে ব্যাট ও বলের খেলা । ডিম্বাকৃতির মাঠ বা গ্রাউন্ডে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা পরিচালনার জন্য তিনজন আম্পায়ার ও একজন ম্যাচ রেফারি থাকেন। ক্রিকেট ব্যাটের প্রস্থ সর্বাধিক ৪.৫ ইঞ্চি এবং দৈর্ঘ্য সর্বাধিক ৩৮ ইঞ্চি। মাটি থেকে স্টাম্পRead more
Answer: 22 yards.
ক্রিকেট প্রতি দলে এগারো জন খেলোয়াড় নিয়ে গঠিত দুটি দলের মধ্যে ব্যাট ও বলের খেলা । ডিম্বাকৃতির মাঠ বা গ্রাউন্ডে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা পরিচালনার জন্য তিনজন আম্পায়ার ও একজন ম্যাচ রেফারি থাকেন। ক্রিকেট ব্যাটের প্রস্থ সর্বাধিক ৪.৫ ইঞ্চি এবং দৈর্ঘ্য সর্বাধিক ৩৮ ইঞ্চি। মাটি থেকে স্টাম্পের উচ্চতা ২৭ ইঞ্চি এবং পিচের দৈর্ঘ্য ২২ গজ।
See lessনাযিরা তিলাওয়াত বলতে কি বোঝ?
নাযিরা তিলাওয়াত একটি উত্তম ইবাদত। পবিত্র কুরআন মুখস্থ করে তিলাওয়াত করা যায়। আবার দেখেও পাঠ করা যায়। দেখে দেখে তিলাওয়াত করাকে নাযিরা তিলাওয়াত বলে। নাযিরা তিলাওয়াত নাযিরা তিলাওয়াত হলো দেখে দেখে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা। নাযিরা তিলাওয়াতের ফজিলত অনেক। কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের ফজিলতের বর্ণনা আমরা জেনেছিRead more
নাযিরা তিলাওয়াত একটি উত্তম ইবাদত। পবিত্র কুরআন মুখস্থ করে তিলাওয়াত করা যায়। আবার দেখেও পাঠ করা যায়। দেখে দেখে তিলাওয়াত করাকে নাযিরা তিলাওয়াত বলে।
নাযিরা তিলাওয়াত
নাযিরা তিলাওয়াত হলো দেখে দেখে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা। নাযিরা তিলাওয়াতের ফজিলত অনেক। কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের ফজিলতের বর্ণনা আমরা জেনেছি। অতএব আমরা নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করব এবং এর পূর্ণ ফজিলত লাভ করতে চেষ্টা করব।
কুরআন তিলাওয়াতের আদব
কুরআন মজিদ আল্লাহ তায়ালার বাণী। আল্লাহ তায়ালা যেমন মহান তেমনি তাঁর পবিত্র কালামও মহান। আল্লাহর কালামের মর্যাদা অন্য সব কালামের চেয়ে এত বেশি, যেমন আল্লাহ তায়ালার মর্যাদা সমস্ত সৃষ্টিজগতের চেয়ে বেশি। অতএব, সর্বোচ্চ সম্মান ও আদবের সাথে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে।
পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের কতিপয় আদব নিচে উল্লেখ করা হলো :
ক. পূর্ণরূপে ওযু করে পাক-পবিত্র স্থানে বসা।
খ. কিবলামুখী হয়ে নামাযের অবস্থার মতো বসা।
গ. তিলাওয়াতের আগে কয়েক বার দুরূদ শরিফ পড়া।
ঘ. আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ বলে তিলাওয়াত শুরু করা।
ঙ. হিফয বা মুখস্থ করার নিয়ত না থাকলে ধীরে স্থিরে তাজবিদের সাথে তিলাওয়াত করা।
চ. সক্ষম হলে অর্থ বুঝে তিলাওয়াত করা।
ছ. অর্থ বুঝে না আসলে কুরআন মজিদের প্রতি ভালোভাবে মনোযোগ দেওয়া।
জ. সুন্দর সুরে তিলাওয়াত করা।
ঝ. তিলাওয়াতের সময় কোনোরূপ কথাবার্তা, হাসি-ঠাট্টা না করা।
ঞ. আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের জন্য তিলাওয়াত করা।
ট. তিলাওয়াত শেষে খুব সম্মান ও তাযিমের সাথে কুরআন মজিদকে পবিত্র উঁচুস্থানে রেখে দেওয়া।
আমরা আদবের সাথে নিয়মিত কুরআন পড়ব । পবিত্র কুরআনের প্রতি যেন কোনোরূপ বেয়াদবী না হয় সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ রাখব।
নাযিরা তিলাওয়াতের জন্য নির্ধারিত পাঠ-সূরা বাকারার ৯ম রুকু থেকে ১২তম রুকু।
See lessতিলাওয়াত শব্দের অর্থ কি? হক আদায় করে কুরআন তিলাওয়াত করা মানে কি?
ওয়ালাইকু সালাম। আপনি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন। 'তিলাওয়াত' শব্দের অন্তত বিশটি অর্থ আছে। এর মধ্যে প্রধান প্রধান অর্থগুলো হোলঃ ০১। আবৃতি করা। ০২। অধ্যয়ন ও উপলব্ধি করা। ০৩। আলো গ্রহণ করা। ০৪। আলো বিতরণ করা। ০৫। অনুসরণ করা। ০৬। পিছে পিছে চলা। কুরআন তিলাওয়াত করা বলতে অন্তত এই কাজগুলো করা বুঝায়। কুরআন মজRead more
মাজলুম কাকে বলে? আখিরাতে জুলুমের পরিণতি কি?
কারো প্রতি অন্যায় আচরণ করাকেই জুলুম বলা হয়। যে অন্যায় করল সে জালিম (অত্যাচারী) আর যার উপর অন্যায় করা হল সে মাজলুম (অত্যাচারিত)। এছাড়াও মাজলুম অর্থ অত্যাচারিত । জুলুমের উদাহরণ: অন্যায়ভাবে আঘাত করা, রক্তপাত ঘটানো, সম্পদ লুণ্ঠন করা, অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, ন্যায় বিচার না করা, গালি দেয়া, অপবাদ দেয়া, কারRead more
কারো প্রতি অন্যায় আচরণ করাকেই জুলুম বলা হয়। যে অন্যায় করল সে জালিম (অত্যাচারী) আর যার উপর অন্যায় করা হল সে মাজলুম (অত্যাচারিত)। এছাড়াও মাজলুম অর্থ অত্যাচারিত ।
জুলুমের উদাহরণ:
অন্যায়ভাবে আঘাত করা, রক্তপাত ঘটানো, সম্পদ লুণ্ঠন করা, অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, ন্যায় বিচার না করা, গালি দেয়া, অপবাদ দেয়া, কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, গিবত বা অসাক্ষাতে দোষত্রুটি নিয়ে সমালোচনা করা বা অন্য কোনো উপায়ে অন্যায়ভাবে কষ্ট দেয়া ইত্যাদি। এগুলো সবই জুলুমের অন্তর্ভুক্ত।
জুলুমের পরিণতি:
• মাজলুমের বদদুআ আর আল্লাহর মাঝে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা মাজলুমের দুআ সরাসরি কবুল করেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছেে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
اتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّهَا لَيْسَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ اللَّهِ حِجَابٌ
“মাজলুমের বদদোয়া থেকে বেঁচে থাক। কারণ তার বদদোয়া ও আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা নেই।।” (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
• আখিরাতে জুলুমের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। সে দিন মানুষের অন্যায়-জুলুম-অবিচারগুলো অন্ধকার রূপ ধারণ করে সামনে এসে হাজির হবে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
اتَّقُوا الظُّلْمَ ، فَإِنَّ الظُّلْمَ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
“তোমরা জুলুম থেকে বেঁচে থাকো। কেননা জুলুম কিয়ামতের দিন অন্ধকার রূপ নিয়ে হাজির হবে।” (সহীহ মুসলিম)
• সবচেয়ে মহান ন্যায় বিচারক মহান আল্লাহ সে দিন বিচারের কাঠ গড়ায় জালিমদের বিচার করবেন। তিনি মাজলুমের পক্ষে রায় দিবেন। তিনি জালিমের নেকি কর্তন করে মাজলুমকে দান করবেন আর মাজলুমের গুনাহ জালিমের উপর চাপিয়ে দিবেন। আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন। আমীন।
ক্ষমা ও সমঝোতা উত্তম:
যদি দুনিয়াতেই একে অপরের সাথে সমঝোতা করে নেয়, ক্ষমা চায় অথবা মাজলুম ব্যক্তি নিজের পক্ষ থেকে জালিমকে ক্ষমা করে দেয় তাহলে তা নি:সন্দেহে উত্তম। এ জন্য সে আখিরাতে প্রতিদান পাবে।
▪ আল্লাহ তাআলা বলেন:
وَإِن تَعْفُوا وَتَصْفَحُوا وَتَغْفِرُوا فَإِنَّ اللَّـهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
“যদি তোমরা মার্জনা কর, উপেক্ষা কর এবং ক্ষমা কর, তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।” (সূরা তাগাবুন: ১৪)
▪ আল্লাহ আরও বলেন:
وَأَن تَعْفُوا أَقْرَبُ لِلتَّقْوَىٰ ۚ
“আর তোমরা যদি ক্ষমা কর, তবে তা হবে তাকওয়া (আল্লাহ ভীতি) এর অধিক নিকটবর্তী।” (সূরা বাকারা: ২৩৭)
উল্লেখ্য যে, সব চেয়ে বড় জুলুম হল, আল্লাহর ইবাদতে শিরক করা। তাছাড়া মানুষ যখন আল্লাহর অবাধ্যতা বা পাপকর্মে লিপ্ত হয় তখন সে যেন নিজের উপর নিজেই জুলুম করে। প্রতিটি পাপকর্মই জুলুমের অন্তর্ভুক্ত।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জুলুম, অবিচার ও সকল প্রকার অন্যায় আচরণ থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
See less(লিসান্স, মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।
মাজলুম অর্থ কি
মাজলুম অর্থ অত্যাচারিত । 'মজলুম' শব্দের অর্থ অত্যাচারিত ;উৎপীড়িত। নিঃসহায় বা সহায়হীন কে বলে অসহায় । দশজনে যাকে ভালবাসে তাকে বলে জনপ্রিয় ;লোক প্রিয়, popular। সংকটাপন্ন;আপদগ্রস্ত;বিপন্ন শব্দ দ্বারা বোঝায় বিপদাপন্নকে।
মাজলুম অর্থ অত্যাচারিত ।
‘মজলুম’ শব্দের অর্থ অত্যাচারিত ;উৎপীড়িত। নিঃসহায় বা সহায়হীন কে বলে অসহায় । দশজনে যাকে ভালবাসে তাকে বলে জনপ্রিয় ;লোক প্রিয়, popular। সংকটাপন্ন;আপদগ্রস্ত;বিপন্ন শব্দ দ্বারা বোঝায় বিপদাপন্নকে।
See lessকুরআনকে কুরআন বলার কারণ কি
কুরআন শব্দটি আরবি। এটি কারউন শব্দমূল থেকে উদ্ভূত বা নির্গত। কারউন অর্থ পড়া বা পাঠ করা। অতএব, কুরআন শব্দের অর্থ হলো পঠিত। আল-কুরআন পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পঠিত কিতাব। এই জন্য হয়তো এ কিতাবের নাম রাখা হয়েছে আল-কুরআন। আর কুরআন হলো এমন একটি ঐশীগ্রন্থ যা শুধু শোপিচে সাজিয়ে রাখার জন্য নয়। বরং এটাকে বারংবার পRead more
কুরআন শব্দটি আরবি। এটি কারউন শব্দমূল থেকে উদ্ভূত বা নির্গত। কারউন অর্থ পড়া বা পাঠ করা। অতএব, কুরআন শব্দের অর্থ হলো পঠিত। আল-কুরআন পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পঠিত কিতাব। এই জন্য হয়তো এ কিতাবের নাম রাখা হয়েছে আল-কুরআন।
কোনো কোনো তাফসিরবিদগন অন্যান্য ব্যাখ্যাও করে থাকেন।
See less