বুড়াে কর্তা মারা যাওয়ার সময় দেশের সমস্ত লােক তাকে জানাল যে, তিনি চলে যাওয়ার পর তাদের অবস্থা করুণ হয়ে পড়বে। এ কথা শুনে মৃত্যুপথযাত্রী বৃদ্ধ দুঃখ পেলেন। তিনি চলে যাওয়ার পর দেশসুদ্ধ লােক কীভাবে নিশ্চিন্তে থাকবেসেই চিন্তায় তিনি ভাবিত হলেন। ...
QNA BD Latest Articles
কর্তার ভূত’ রচনাটিকে কী জাতীয় রচনা | কর্তার ভূত ছােটোগল্পের রূপকার্থটি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কর্তার ভূত’ ছােটোগল্পে স্বাধীনভাবে ভাবতে চাওয়া দেশবাসীর কথা-প্রসঙ্গে লেখক বলেছেন যে, তারা ভূতের কানমলা খায়। মৌলিক চিন্তার অধিকারীদেরই ভাগ্যে জোটে ‘ভূতের কানমলা’ অর্থাৎ কঠোর বিধিনিষেধ এবং অনুশাসন। সেই কানমলা থেকে নিজেকে মুক্ত করা যেমন কঠিন, তেমন। সেখান থেকে ...
কর্তার ভূত ছোট গল্পের বিষয়বস্তু | কর্তার ভূত ছোট গল্প অবলম্বনে ভুতুড়ে জেলখানার বর্ণনা
কর্তার ভূত রচনায় লেখক ধর্মতন্ত্রের দ্বারা শাসিত জনসাধারণের সেই বেশিরভাগ অংশ, যারা ভীরু ও উদ্যমহীন, তাদেরই দেশসুদ্ধ সবাই বলে উল্লেখ করেছেন আর যারা যুক্তির আলােকে দেশের প্রাচীন সংস্কারের মায়াজাল থেকে নিজেদেরকে এবং দেশবাসীকে বের করে আনতে চাইছে, তাদের স্বভাবদোষে যারা ...
দেশের লােক ভারি নিশ্চিন্ত হল | একেই বলে অদৃষ্টের চালে চলা | সেই জেলখানার দেয়াল চোখে দেখা যায় না
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্তার ভূত রচনার বুড়াে কর্তা ছিলেন দেশবাসীর অভিভাবকস্বরূপ। তিনি মারা যাওয়ার সময় দেশবাসী তাকে জানাল যে, তিনি চলে গেলে তাদের অবস্থা ভীষণ সঙ্গিন হয়ে উঠবে। এ কথা শুনে মৃত্যুপথযাত্রী বৃদ্ধ দুঃখ পেলেন। তিনি চলে যাওয়ার পরও দেশসুদ্ধ লােক ...
কর্তা বলেন, সেইখানেই তাে ভূত | ওরে অবােধ, আমার ধরাও নেই ছাড়াও নেই, তােরা ছাড়লেই আমার ছাড়া | দেশের মধ্যে দুটো-একটা মানুষ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্তার ভূত রচনায় খিড়কির আনাচেকানাচে ঘুরে বেড়ায় ভূতের পেয়াদারা, আর অভূতের পেয়াদারা ঘুরে বেড়ায় সদরের রাস্তায়-ঘাটে। গৃহস্থ দেশবাসীর কাছে উভয়ই খাজনা দাবি করে। রূপকের আড়ালে এখানে এই সত্য প্রকাশ করা হয়েছে যে, ধর্মতন্ত্র প্রতিনিয়ত দেশবাসীর কাছে যেমন ধর্মজীবনের ...
‘কর্তার ভূত’ রচনায় ওঝা প্রসঙ্গটির তাৎপর্য | সে ভবিষ্যৎ ভ্যাও করে না ম্যাও করে না | কেননা ওঝাকেই আগেভাগে ভূতে পেয়ে বসেছে | ‘কর্তার ভূত’
কর্তার ভূত রচনার মধ্য দিয়ে লেখক রবীন্দ্রনাথ পরাধীন ভারতবাসীর নির্বিকার গতানুগতিক জীবনপ্রণালীকে বিদ্রুপ করেছেন। এদেশের মানুষ ‘ভূত’ অর্থাৎ অতীতের জরাজীর্ণ সংস্কারকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে ভালােবাসে। কর্তা মরলে কর্তার ভূতও তাই তাদের কাছে নতুনের চেয়ে অনেক বেশি গ্রহণযােগ্য। ফলে নতুনত্বের ...
‘কর্তার ভূত’ রচনাটির ভাষাশৈলী তথা রচনাশৈলী | ‘কর্তার ভূত’-রচনাটির নামকরণের সার্থকতা | কেন কিছু দেশবাসীর ভূতশাসনতন্ত্র নিয়ে দ্বিধা জাগল
উদ্ধৃত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কর্তার ভূত’ রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে। রচনাটি “লিপিকা গ্রন্থের একটি গল্পিকা। প্রাচ্যের দেশগুলি তাদের প্রাচীন কুসংস্কারকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছে। পুরােনাে অচল এইসব নিয়মনীতিকে ভূতের প্রভাব বলে মনে করা হয়েছে। ভূত অর্থাৎ অতীত যখন বর্তমানের ওপর ...
তারা ভয়ংকর সজাগ আছে | কেবল অতি সামান্য একটা কারণে একটু মুশকিল বাধল
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কর্তার ভূত’ ছােটোগল্প থেকে সংকলিত এই উদ্ধৃতিটিতে বিদেশিদের কথা বলা হয়েছে। ভূতগ্রস্ত ভারতবাসীর কথা বলতে গিয়ে এ গল্পে বলাহয়েছে যে, ‘পৃথিবীর অন্য দেশগুলােকে ভূতে পায় নি।’ আমাদের দেশের ঘানি থেকে বেরােনাে পেষণকারীর রক্ত ভূতের মাথার খুলিতে ঢালতেই ব্যবহৃত ...
তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের নামকরণ
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘তেলেনাপােতা আবিষ্কার’ ছােটোগল্পটিতে কথক পাঠককে মধ্যমপুরুষে সম্বোধন করে, তেলেনাপােতা নামক একটি অখ্যাত স্থান আবিষ্কারের সূত্র ধরে নিজের জীবনের কাহিনিই বলে গেছেন। কিন্তু লেখনীর মুনশিয়ানায় কথকের এই আবিষ্কার অভিযানের সমস্ত ঘটনাই পাঠকের একেবারে নিজের কাহিনি হয়ে উঠেছে। ...
তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের রচনাশৈলী পর্যালােচনা | তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের মধ্যে রােমান্টিকতার বৈশিষ্ট্য
প্রেমেন্দ্র মিত্রের তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পটি আঙ্গিক এবং উপস্থাপনা-ভঙ্গিতে এক অভিনব সৃষ্টি। গল্পের প্রথমেই একটি দীর্ঘ বাক্যে বলা হয়েছে যে, ক্লান্ত কোনাে দুপুরে নাগরিক দৈনন্দিনের দীনতায় বীতস্পৃহ মন যদি কিছু সময়ের অবকাশ খুঁজে নিতে উধাও হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সরলতম মাছেদের সন্ধানে, ...