বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী কমলকুমার মজুমদার একাধারে তিনি ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, মিনিয়েচার চিত্র শিল্পী, নাট্যকার এবং নাট্য পরিচালক। ফলত রকমারি ভাবে শিল্পের মধ্যে জীবন বিশ্বন তুলে ধরতে তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তাই যুগের বিবর্তনে ছবির বিবর্তিত ধারাতেই যেন তিনি সাহিত্যকে শিল্পিত ...
QNA BD Latest Articles
কমলকুমারের ভাষা ও রচনাশৈলী স্বতন্ত্র স্বাদের আলোচনা করো।
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী কমলকুমার মজুমদারের রচনার মধ্যে কাহিনি ও ব্যঞ্জনার চেয়ে অধিক আকর্ষক হল তার ভাষা ও রচনা নৈপুণ্য। অত্যন্ত ছোট একটা কাহিনি বীজকেও তিনি কেবলমাত্র ভাষা ও উপস্থাপন কৌশলে অনবদ্য করে তুলেছেন। বলা বাহুল্য, এই রকম রচনা-শৈলী বাংলা সাহিত্যে ...
“আর একজনের কথা তাঁর মনে হয়, যিনি নিজের অস্থি দিয়ে মানুষের মনে সবুজতা এনেছিলেন।”—উৎস নির্দেশ করো। কার কথা এখানে বলা হয়েছে? আলোচ্য গল্পে তাঁর প্রসঙ্গ ওঠার কারণ কী?
“পেয়ারার ডাল দিয়ে গুলতি করবার সময় মনে হল, এটা ঠিক ক্রিশ্চানসম্মত কাজ নয়, যদি লাগে পাখীদের।”- উৎস নির্দেশ করো। গুলতি বানানো ক্রিশ্চানসম্মত কাজ নয় কেন? আলোচ্য অংশটি কমলকুমার মজুমদারের ‘মতিলাল পাদরী’ নামক ছোটোগল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। মতিলাল পাদরীর একমাত্র আশা ...
সাবিত্রী রায়ের ‘অন্তঃসলিলা’ গল্পটিতে আসলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নারীপীড়নের একটি রূপকেই তুলে ধরা হয়েছে আলোচনা করো।
বাংলা সাহিত্যে নারীর জীবনসমস্যা ও যন্ত্রণা সম্ভবত আদিযুগ থেকেই প্রতিফলিত। চর্যাপদ থেকে শরু করে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, মঙ্গলকাব্যসমূহ কিংবা বৈয়ব বা শাক্ত পদসাহিত্য—সর্বত্রই নারীর অসহায়তা ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর সমস্যাগুলি কোনো-না-কোনোভাবে উঠে এসেছে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বঙ্কিমচন্দ্রের হাতে বাংলা উপন্যাসের আবির্ভাব। একদিকে সামন্ততন্ত্র, ...
সাবিত্রী রায়ের ‘অন্তঃসলিলা’ গল্পটির নামকরণ কতদূর সার্থক হয়েছে বিচার করো।
কোনো সাহিত্যবস্তুর শিরোনামটি তেমনভাবে আবশ্যিক না হলেও শিরোনামের গুরুত্বটি সাহিত্য-আলোচকের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কেননা শিরোনামটি আসলে সংশ্লিষ্ট সাহিত্যের মর্মকথাটিকে পাঠকমনে আভাসিত করে। শুধু তা-ই নয়, লেখকের বিশেষ অভিপ্রায়টিও প্রতিফলিত হতে পারে শিরোনামে। সাবিত্রী রায়ের ‘অন্তঃসলিলা’ গল্পটির নামকরণেও একটি গভীর ব্যঞ্জনা ...
সাবিত্রী রায়ের ‘অন্তঃসলিলা’ গল্প অনুসরণে শকুন্তলা দেবীর চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো
সাবিত্রী রায়ের ‘অন্তঃসলিলা’ গল্পটির প্রধান তথা কেন্দ্রীয় চরিত্র শকুন্তলা সেন। বিংশ শতাব্দীর কলকাতা নগরীর শিক্ষিতা রমণী শকুন্তলা। সমাজের অগ্রসর শ্রেণির প্রতিভূ অধ্যাপক সেনের স্ত্রী সে। অতএব শিক্ষা, স্বামীর শিক্ষাজগতের সঙ্গে সংযোগ, নাগরিক জীবন ইত্যাদি দিক থেকে শকুন্তলার আপাতভাবে একটি আলোকিত ...
‘অন্তঃসলিলা’ গল্পটির মধ্যে লেখিকা অসামান্য দক্ষতায় অঙ্কন করেছেন অনেকগুলি গৌণ চরিত্রও—মন্তব্যের আলোয় ‘অন্তঃসলিলা’ গল্পের গৌণচরিত্রগুলি সৃষ্টিতে সাবিত্রী রায়ের নৈপুণ্য বুঝিয়ে দাও।
‘অন্তঃসলিলা’ সাবিত্রী রায়ের একটি অসামান্য ছোটোগল্প। একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের এক অসামান্যা গৃহবধূর আখ্যান সাবিত্রী রায়ের ‘অন্তঃসলিলা’। প্রফেসর সেনের স্ত্রী শকুন্তলা দেবী বৃহৎ সংসারের প্রাত্যহিক বোঝা ঠেলেও সাহিত্যসাধনা করেন, এখানেই তাঁর অসামান্যতা। আসলে সাবিত্রী রায় এই গল্পে দেখাতে চান, পুরুষশাসিত এই ...
‘অন্তঃসলিলা’ গল্পটির ছোটোগল্প হিসাবে সার্থকতা বিচার করো।
সাবিত্রী রায়ের ‘অন্তঃসলিলা’ গল্পটি বহুল পঠিত ও জনপ্রিয় গল্প না হলেও নিঃসন্দেহে বলা যায় বাংলা সাহিত্যে এটি একটি সার্থক ছোটোগল্পের উদাহরণ। ছোটোগল্পের চরিত্রলক্ষণ সার্থকভাবে প্রযুক্ত হয়েছে গল্পটির ভাববস্তুর বিন্যাসে এবং গঠনকলায়। ছোটোগল্পের প্রাথমিক বহিরঙ্গ লক্ষণ যদি হয় সংক্ষিপ্ততা, তাহলে ‘অন্তঃসলিলা’ ...
সমরেশ বসুর ‘আদাব’ গল্পটির নামকরণ কতখানি সার্থক, আলোচনা করে দেখা।
সাধারণভাবে নামকরণ ব্যাপারটিকে আপাত লঘু ও বাহ্য ব্যাপার বলে মনে হলেও সাহিতো নামকরণ বিষয়টি নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। আসলে সাহিত্যের শিরোনামের মধ্য দিয়েই রচনার মূল বিষয় বা ভাবটি পাঠকের নিকট আভাসিত হয়ে ওঠে। সাধারণত ছোটগল্পের বিষয়বস্তু অথবা নায়ক নায়িকার নাম অনুসারে ...
সমরেশ বসুর ‘আদাব’ গল্পে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প কীভাবে সাধারণ মানুষের জীবনে গভীর সংকট ঘনিয়ে তুলেছে, কাহিনী ও চরিত্র অনুসরণে তা বিশ্লেষণ করে দেখাও।
সমরেশ বসুর ‘আদাব’ গল্পের প্রারম্ভেই দেখা যায়, শহরে ১৪৪ ধারা আর কারফিউ অর্ডার জারির থমথমে রাত্রি পরিবেশ। রাতের নিস্তব্ধতাকে কাঁপিয়ে দিয়ে মিলিটারি গাড়ির টহল। রাতের শহরের এরকম পরিস্থিতির মূলে রয়েছে ১৯৪৬-এর ১৬ আগস্ট তৎকালীন মুসলিম লিগের প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস’-এর আহ্বান। ...