বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উদ্ভব বাঙলা সাহিত্যের যুগবিভাগ দশম থেকে দ্বাদশ শতক পর্যন্ত বিস্তৃত কালসীমায় তথা প্রাচীন যুগে গৌড়বঙ্গের সামাজিক পটভূমি কিরূপ ছিল, তার পরিচয় দাও। চর্যাপদগুলির রচনার পটভূমিকা বিশ্লেষণ করে বাঙলা সাহিত্যের ইতিহাসে চর্যাপদণ্ডলির স্থান নির্ণয় কর। চর্যাপদে প্রতিফলিত ...
QNA BD Latest Articles
বাংলা সাহিত্যে চর্যাগীতির ঐতিহাসিক মূল্য নিরূপণ করো। পরবর্তীকালে বাংলা সাহিত্যে চর্যাপদের ভাবাদর্শ ও রচনা পদ্ধতির কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায় কি?
শুধু বাংলা ভাষা কেন, সমস্ত পূর্বভারতের নব্যভাষার প্রথম গ্রন্থ এই ‘চর্যাচর্য বিনিশ্চয়’। মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এই পুঁথি আবিষ্কারও করে প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের লুপ্ত সম্পদ উদ্ধার করেন। এই গ্রন্থটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অবশ্যই ঐতিহাসিক। ঐতিহাসিক গুরুত্বগুলি হল— সামাজিক দলিল হিসেবে অত্যন্ত ...
“ধর্মবোধের কথা বলতে গিয়ে চর্যাপদের সহজিয়া সাধকেরা প্রকৃতপক্ষে বাস্তব চর্চিত জীবনযাত্রার কথাই বলেছেন”—মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
চর্যাপদের মধ্যে একদিকে যেমন আচার সর্বস্ব বৈদিক ব্রাহ্মণ্য ধর্মাচরণের প্রতি বিদ্রুপ এবং অবিশ্বাস প্রকাশিত অন্যদিকে তেমনি হিন্দু ব্রাহ্মণ্য তান্ত্রিক দেহবাদের প্রতি আস্থা জ্ঞাপনও লক্ষ্য করা যায়। বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন যানের প্রতি কোন না কোনভাবে সমর্থন জানানো হয়েছে। চর্যাপদে কোনভাবে হিন্দু ...
‘চর্যাপদের আবিষ্কার ও পুঁথি সংক্রান্ত তথ্য বিবৃত করে এর সাহিত্যমূল্য নিরূপণ করো।
চর্যাপদের আবিষ্কার : বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন এই চর্যাপদগুলি। মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী হলেন এগুলির আবিষ্কর্তা। তিনি নেপালের রাজদরবার থেকে চর্যাপদের পুঁথি আবিষ্কার করেন এবং ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ‘হাজার বছরের পুরান বাঙ্গলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ ...
শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্যটির আবিষ্কার ও প্রকাশ সম্বন্ধে আলোচনা করে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে গ্রন্থটির গুরুত্ব নির্দেশ করো।
বড়ু চন্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্ত্তন কাব্য আবিষ্কারের পর সাহিত্য জগতে এক প্রবল চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল। এটি রাধাকৃষ্ণ লীলা বিষয়ক পুরাতন ধরনের আখ্যান কাব্য। শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্যটির আবিষ্কার ও প্রকাশ : শ্রীকৃষ্ণকীর্তন আবিষ্কার করেন সমুদ্রের নাবিক পণ্ডিত বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্ববল্লভ মহাশয়। ১৩১৬ বঙ্গাব্দে ...
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটির কাব্যপরিকল্পনায় কবি বড়ু চণ্ডীদাস যে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন তার পরিচয় দাও।
বড়ু চণ্ডীদাস রচিত ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যটি রাধাকৃষ্ণ লীলা বিষয়ক কাব্য। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যকে প্রেম, সৌন্দর্য ও দিব্য চেতনার কাব্যতীর্থে উন্নীত করেছে যে বৈশ্বব সাহিত্য, সে-টি জয়দেব রচিত ‘গীতগোবিন্দ’। দুটি সাহিত্যেই মধ্যযুগের রাধা কৃষ্ণ বিষয় কাহিনি। তবে ‘গীতগোবিন্দ’-এর তুলনায় শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে নাটকীয়তা অধিক ...
মিথিলার কবি বিদ্যাপতিকে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অন্তর্ভূক্তির কারণ দেখিয়ে বৈশ্বব পদ সাহিত্যে তাঁর অবদান সম্পর্কে আলোচনা করো।
বিদ্যাপতি মিথিলার অধিবাসী হয়েও রসিক বাঙালি হৃদয়ে তিনি সুপ্রতিষ্ঠিত। তাঁকে মৈথিলি কোকিল বলা হয়। তিনি বাঙালি ছিলেন না তবুও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তাঁর অবদানের শেষ নেই। বিদ্যাপতি মূলত রাধা কৃষ্ণ বিষয়ক পদ রচনা করেছেন। এছাড়াও তার অনেক গ্রন্থের সন্ধান পাওয়া ...
বাংলার সর্বাধিক প্রসিদ্ধ রামায়ণ রচয়িতার আবির্ভাব কাল ও পরিচয় উল্লেখ করে এই গ্রন্থের সাহিত্যমূল্য ও বাঙালির সমাজজীবনে এর প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা কর।
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের একটি ধারা হল অনুবাদের ধারা। রামায়ণ, মহাভারত, ভাগবত প্রভৃতি সাহিত্যের অনুবাদ হতে থাকে। মহাভারত অনুবাদ করেছিলেন শীরাম দাস। অনুরূপভাবে রামায়ণ অনুবাদ করেছিলেন কৃত্তিবাস ওঝা। তবে কৃত্তিবাসী সাহিত্যকে বাঙালিরা শ্রীরাম ‘পাঁচালী’ বলে থাকে। একথা ঠিক বাল্মীকির রামায়ণ যে ...
বাংলা ভাষায় সংস্কৃত মহাভারতের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক কে? কাশীরাম দাসের কবি প্রতিভার পরিচয় দিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের কারণ নির্দেশ করো।
মহাভারতের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক কবি কাশীরাম দাস। রামায়ণের কবি কৃত্তিবাসের সঙ্গে এক সূত্রে গ্রথিত হয়ে আছে কাশীরাম দাসের নাম। মধ্যযুগে বৈব সাহিত্যের কথা বাদ দিলে, কৃত্তিবাসী রামায়ণ ও কাশীদাসী মহাভারতের মতো অক্ষুণ্ণ গৌরব এবং জনপ্রিয়তা লাভ আর কোনও কাব্যের পক্ষে সম্ভব ...
তুর্কি আক্রমণ থেকেই মধ্যযুগের সূত্রপাত। বাংলার সমাজ ও সাহিত্যে ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়া নির্ণয় করো এবং এই সময় থেকে যুগ বিভাজনের যুক্তি কোথায় তা আলোচনা কর।
ত্রয়োদশ শতাব্দীর সূচনায় দুর্ধর্ষ তুর্কী-কাহিনি এক দুর্বার বন্যার মতো বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তখন গৌড়াধিপতি লক্ষণ সেনের রাজত্বকাল। কথিত আছে লক্ষণ সেন তাঁর রাজধানী নবদ্বীপ, ত্যাগ করে গঙ্গাপথে পূর্ববঙ্গাভিমুখে যাত্রা করেন। এই সময় তুর্কিরা গৌড় লুণ্ঠনের জন্য ধাবিত হয়। বাংলার বুকের ...