বিদায়ী মানপত্র নমুনা ১

 ……………………….. কলেজের অধ্যক্ষ ……………………. মহোদয়ের অবসরজনিত বিদায় উপলক্ষে ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে

শ্রদ্ধাঞ্জলি

হে বিদায়ী গুরুজন,
ফাগুন বেলা, শোভিত শিমুল-পলাশের বন, কোকিলের কুহুতান। বসন্তের এমনি এক উদাসী ক্ষণে বিদায় নামের বেদনা বিধুর পর্বে আমরা উপনীত হয়েছি। দীর্ঘদিন এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর নিয়মের বাধ্যবাধকতা আর সময়ের তাগিদে আপনার বিদায় যেনো এক অসহনীয় যন্ত্রণার নির্মম বাস্তবতা। তাইতো বিদায়ের করুণ সুরে আমাদের অন্তর আজ অব্যক্ত বেদনায় ভারাক্রান্ত। আমাদের হৃদয়-মন আজ বিষণ্নতায়  আচ্ছন্ন; আমাদের চোখ আজ অশ্ত্রু  ছল ছল।

হে শিক্ষাগুরু,
নবীনদের অন্তরে শিক্ষার আলো জ্বালাবার মহান দায়িত্ব নিয়ে একদিন যে পথে আপনার যাত্রা শুরু হয়েছিল; অবসর গ্রহণের মাধ্যমে আপনি সে পথের প্রান্তে উপনীত হয়েছেন। কিন্তু এর মাঝে জ্বালিয়ে দিয়ে গেছেন অগণিত অন্তরে জ্ঞানের স্নিগ্ধ আলো। মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে সুনিপুণ হাতে গড়ে তুলেছেন অগণিত জ্ঞানের আধার। আমাদের অগ্রজ হিসেবে অনেকেই আজ শত ক্রোশ দূরে থেকেও আপনার মত মহান কর্মীকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। তাদের অনুজ হিসেবে আমরাও আপনার প্রতি পরম শ্রদ্ধায় অবনত।

হে নিরলস কর্মী,
প্রতিষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্ব পালনে আপনি ছিলেন নিরলস কর্মী। তাইতো আপনার প্রতিটি দিন ছিল কর্মমুখর। নিজ দায়িত্বের প্রতি আপনি ছিলেন কর্তব্যনিষ্ঠ। আপনার কর্তব্যনিষ্ঠার সুবাদে আমরা সত্যিকার জ্ঞানের যে সন্ধান পেয়েছি, তা আলোকবর্তিকা হয়ে ভবিষ্যতে আমাদের পথ দেখাবে। আপনার স্নেহ  ও সুশাসন আমাদের স্মৃতিপটে চির ভাস্বর হয়ে বিরাজ করবে।

হে মহানুভব,
আজ আপনাকে বিদায় দিতে গিয়ে আমাদের মাঝে কান্নার রোল ধ্বনিত না হলেও আমাদের কণ্ঠ আজ বাষ্পরুদ্ধ; আমাদের চোখ আজ অশ্রু ছল ছল । স্নেহভাজন হিসেবে আমরা আপনার কাছাকাছি ছিলাম। বয়সজনিত চপলতায় হয়ত কখনো মনের অজান্তে আমরা আপনার বিরক্তির কারণ হয়েছি; আমাদের কথায় বা আচরণে হয়ত কষ্ট পেয়েছেন। আজ এ বিদায় লগ্নে আপনার মহানুভবতার কাছে আমাদের দাবি- আপনি আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।

পরিশেষে আপনার অবসর জীবন হোক অনাবিল সুখ-শান্তিতে সমৃদ্ধ- পরম করুণাময়ের কাছে এই আমাদের প্রার্থনা।

তারিখঃ                                                                                               আপনার গুণমুগ্ধ
………… ৭ ডিসেম্বর /২০১৪।
……………. কলেজের ছাত্র-ছাত্রী।

নমুনা ২

“প্রাণের জাগরণে তুমি আলোর দিশারী,
উর্ধ্বশিরে তুমি বরেন্য
তুমি অজেয়, তুমি নব শতকের পাঞ্জেরী”
একবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে মানবতা যখন জীর্ণতার আবরণে আচ্ছাদিত।অপ্রতিরোধ্য অপশক্তির আস্ফালনে সত্যের বাণী যখন নিরবে নিভৃতে ক্রন্দিত।নীতি নৈতিকতা উপেক্ষিত, সুস্থ সংস্কিৃতির দ্বার যখন রুদ্ধ।যখন চারিদিকে আধিপত্য বাদীদের দহরম মহরম।অমীয় সুধাহীন শিক্ষানীতি প্রনয়ণ, বিজাতীয় সসপ্তা অপসংস্কৃতির আগ্রাসন, চারদিকে পেরিয়ে, অন্ধকারের গাঢ়তা ভেদ করে আলোর মশাল হস্তে গগন মার্গে ছুটেছ তুমি ফুটন্ত হাসনা হেনা হয়ে সুবাস ছাড়াতে ছড়াতে পথভোলা মানুষকে সুবাসি চন্দন পানে ডেকে বেড়াও হেরার রশ্মিকে বক্ষে আঁকড়ে ধরে। তাই তো আজ বলতে বাঁধা নেইৃ..
“উত্তাল তরঙ্গে তমি বহমান তরী,
কন্টকাকীর্ণ পথ দিচ্ছ পাড়ি
তুমি জ্ঞানের কান্ডরী,
তুমি আলোর দিশারী।”
হে কালের নকীব:
“উদয় অস্তের আবর্তনে, জ্ঞানের প্রবল আকর্ষণে এসেছি তোমাদের দ্বারে
পিতৃসম হৃদয়ে ক্ষতের সৃষ্টি করে কত খুন ঝরিয়েছি বারে বারে
চিত্তে তব কত ব্যথা, কত যাতনা দিয়ে মোরা করেছি অপরাধ শত
হে কালের নকীব। ভালবাসা দিয়ে আগলে রেখে ক্ষমা করেছ ভুল যত।
আজি এ বিদায় ক্ষণে। মানসপটে সে স্মৃতি ভেসে ওঠে বারে বার”
জ্ঞান তৃষ্ঞা নিবারনের প্রয়াসের অংশ হিসাবে মাতৃবন্ধনকে দূরে ঠেলে দিয়ে এসেছি শ্রেষ্ঠ জ্ঞান তোরনের চুড়াতে। তোমরা আমাদের মমতা আর ভালবাসা দিয়ে আগলে রেখেছ। মাতৃবরে শিশুর ন্যায় তোমাদের অনুষ্ঠিত বিচ্ছুরিত আলোর দিশায় আমাদের মন সঞ্জুসা উদ্ভাসিত করেছে।তোমাদের স্বার্থহীন আন্তরিক অক্লান্ত সাধনায় মোদের চিত্তে জেগেছে নব প্রাণের অভিপ্রায়, কখনো তোমরা সোহাগ সমেত শাসনের ঝাণ্ডা শাসনের ঝান্ডা তুলেছো আমাদের উপর। যা আমাদের জন্য মহা আশীর্বাদ। মহাকালের নকীব হয়ে মোদের কর্নকুহরে বলেছ, “পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমায় সৃজিলেন” আমরা তোমাদের সে আহ্বানে বিবেকের দ্বারকে উন্মোচন করে জীবনের পথ প্রশস্তের অক্লান্ত প্রয়াস চালাচ্ছি।
হে জ্ঞানের ধারক:
জ্ঞানের মহাকালের ধারকদের প্রাপ্ত সম্মানের নূন্যতম অংশও পূরণে আমরা সক্ষম হয়নি। দিয়েছি কষ্ট, যাতনা, ব্যাথা, রুক্ষতা ও অমার্জিত আচরণ।বিনিময়ে পেয়েছি মমতার বাধন ও সোহাগ ভরা স্বপ্নচারী শাষণ।তোমাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার ভাষা আজ আমাদের কারো জানা নেই। তার পর ওৃৃ
“হে জ্ঞানের ধারক। ভাষাহীন নিরবতায় নয়নে অশ্রুবারি ঝরে
অশ্রু আাঁখির প্রতি ফোটা বিন্দুতে লেখা বিদায়ের প্রার্থনা।
হে শিক্ষাগুরু। আশীর্বাদ কর, মোদের পাপের কর মার্জনা।”
প্রান প্রিয় ভ্রাতৃকুল:
দীর্ঘদিন ধরে এ ক্যাম্পাসে বিচরণ করছি তোমাদের সাথে । স্নেহের বাধনে বাধতে পারিনি করেছি শুধু ভৎসনা ।মায়ার জালে ঘেরা আমাদের প্রিয় আঙ্গিনায় কতকাল মোরা এক স্বরের মৃনাল ধরে বিকশিত হয়েছি। কত হাসি আনন্দ, দুঃখ বেদনা ইত্যাদি সংমিশ্রনে যে উর্মিমালা গোচরে আসে তার অধকাংশেই রয়েছে তোমাদের সরব উপস্থিতি, আজ এই নিবিড়তার মাঝে শুনছি সাময়িক বিচ্ছিন্নতার করুন সুর ঝংকার । বিদায়ের বেহাগে, নাড়ীছেড়ার আর্তনাদে আমরা যখন আর্তিত তখন তোমাদের কাছে আমাদের অনুরন
.
“ভুলে যাও সব অপরাধ, মনে রেখ শুধু পূন্য,
দোয়া কর যেন, এ ধরার বুকে হতে পারি চির ধন্য”
হে পরম শ্রদ্বেয়:
দিনমুখের আগমনে, আজি যেতে হয় তোমাদের ছেড়ে ।কত শ্রম, কত ত্যাগে তব মোরা উঠেছি বেড়ে। হে পরম শ্রদ্বেয়। ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করিব, আজি এ ক্ষণে তাকাও মোদের দিকে। পড়ে নাও ক্ষমার ভাষা চোখের কোণে। ভুলে যাও করেছি যত পাপ। কর আশীর্বাদ মোদের। আজিকে স্মরি, তব কৃর্তী সবি, কৃতজ্ঞতায় তোমাদের তরে।
হে পরয়ার দিগার:
নতশিরে তোমারি সমীপে যাচি হে দয়াময় রহমানুর রহীম।পাপের সাগরে ভেসে চলি দিকে দিকে হে মহামহীম।ভুলে বসে তোমারি বাণী, মাথার পরে পাপের বোঝা টানি। হে শক্তিধর ! নতশির বোঝার ভারে, ক্ষমা কর’ শুনেব তোমার বাণী।
“শক্তি দিয়ে খোদা, করো মোরে ধন্য, কবুল করে প্রার্থনা ।
জীবনবৃক্ষ সফলতার পুষ্পে ভরে দাও, এ মোদের অর্চনা।”

আরো কিছু নমুনা


১. তোমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের/শিক্ষকের অবসর গ্রহণ/বিদায় উপলক্ষে একটি মানপত্র রচনা করো।

আলফাডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় প্রধান শিক্ষক
শিক্ষক আকবর খান স্যার-এর অবসর গ্রহণ/ বিদায়ে
শ্রদ্ধাঞ্জলি

হে মান্যবর,

ব্যথাতুর হৃদয়ে সালাম ও অশ্রুসজল প্রীতি গ্রহণ করুন। এ মূহুর্তে কোনোভাবেই কোনো সান্ত¡না খুঁজে পাচ্ছি না মনকে বোঝানোর, বিশ্বাস করতে পারছি না আপনাকে বিদায় জানাচ্ছি। শিক্ষকতার মহান ব্রত নিয়ে আপনি এসেছিলেন এ ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠে। সুদীর্ঘ সময় এর কর্ণধার হিসেবে সগৌরবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আজ বেজে উঠেছে বিদায়ের বেদনার সুর। আমাদের অবুঝ মনের করুণ কান্না আজ সকল বাঁধ ভেঙে বল্গাহীন হয়ে উঠেছে। চোখের জলে সব ঝাপসা মনে হচ্ছে। আমাদের ব্যথাহত অন্তরে কেবলই জেগে উঠছে বিষাদের বাণী-

এ অনন্ত চরাচরে
সবচেয়ে পুরাতন কথা
সবচেয়ে গভীর ক্রন্দন
“যেতে নাহি দিব’ হায়,
তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।”

হে শিক্ষাগুরু!

আপনার বিদায় সংবাদ আমাদের হৃদয়ে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। আপনার স্নেহমাখা হাসিমুখ আমরা আর দেখতে পাব না। আপনার মিষ্টি কথা আমরা আর শুনতে পাব না। এ কথা ভেবে আমাদের মন ব্যথায় কুঁকড়ে উঠছে। আপনাকে কেন্দ্র করে অসংখ্য স্মৃতি এ মুহূর্তে আমাদের অন্তরে ভেসে উঠছে। আমাদের যন্ত্রণাক্লিষ্ট মনে কেবলই রয়ে রয়ে বাজছে বিদায়ের করুণ সানাই। আপনার পানে চেয়ে মনে হচ্ছে-

“ঐ ব্যথাতুরা আঁখি কাঁদো কাঁদো মুখ,
দেখি আর শুধু হু হু করে বুক।”

হে মহান কর্মবীর,

আমাদের পরম সৌভাগ্য যে, আমরা আপনার মতো একজন কর্মঠ, উদারচিত্ত, সুদক্ষ ও প্রজ্ঞাবান শিক্ষকের পদপ্রান্তে বসে শিক্ষা লাভের সুযোগ পেয়েছি। আপনার কাছ থেকে আমরা কোনোদিন কোনো কিছুর অভাব বোধ করিনি। সবসময় পাখির ছানার মতো আগলে রেখেছেন আমাদেরকে। আমাদের স্মৃতির রাজ্যে আপনি অমর, অক্ষয় ও চিরঞ্জীব! প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আপনার দেওয়া আলো থেকে আমরা আলো ছড়াব দিক-দিগন্ত।

হে আদর্শ শিক্ষাদাতা

শিক্ষকতার মতো একটি মহান পেশাকে ব্রত হিসেবে নিয়ে যেভাবে আপনি সারা জীবন দেশ ও দশের সেবা করেছেন, সেজন্য আমরা গর্বিত। আমরা আজীবন মনে করব আপনি আমাদেরই লোক। আমরা এ কথা অকুণ্ঠচিত্তে স্মরণ করব যে, আপনি কথাবার্তায়, কাজে-কর্মে, মেধা ও মননে ছিলেন একজন আধুনিক লোক। আমাদের এই ঘুণেধরা শিক্ষাব্যবস্থায় আপনার মতো আদর্শ শিক্ষকের বড় প্রয়োজন। আমাদের কষ্ট এই যে, আমরা একজন গুণী লোককে হারালাম।

হে আলোর দিশারি!

আপনার বিদায় বেলায় আমাদের মানসপটে অসংখ্য স্মৃতি জ্বলজ্বল করছে। মনে পড়ে, কত সময় আপনার সাথে অন্যায় আচরণ করেছি, আপনাকে দুঃখ দিয়েছি। আশা করি আপনি আপনার মহান ঔদার্য দ্বারা সেগুলো ক্ষমা করবেন। আর আমাদের জন্য আশীর্বাদ করবেন যাতে ভবিষ্যতে আমরা আপনার নির্দেশিত পথে চলতে পারি।

পরিশেষে, পরম করুণাময়ের নিকট প্রার্থনা করছি আপনার ভবিষ্যৎ জীবন সুখী ও সুন্দর হোক।

আপনার গুণমুগ্ধ,
আলফাডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।
তারিখ : ১৫ জুন, ২০২২

২. তোমাদের বিদ্যালয়ের নতুন প্রধান শিক্ষকের যোগদান উপলক্ষে একটি মানপত্র রচনা করো।

মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবাগত প্রধান শিক্ষক জনাব মাহমুদুল হক সাহেবের যোগদান উপলক্ষে-

শ্রদ্ধাঞ্জলি

হে বরেণ্য শিক্ষক,

নিসর্গের আঙিনাজুড়ে আজ নতুন সাজ। প্রবহমান বাতাস তাই সুরভিত, চারদিক কল-কাকলিতে মুখর। খুশির ঝরনাধারায় স্নাত এদিন এক শুভ সূচনার বার্তা বয়ে এনেছে। এই বিদ্যালয়ের কর্ণধার হিসেবে আপনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। আমাদের আনন্দিত হৃদয়ের শ্রদ্ধার্ঘ্য গ্রহণ করুন।

হে নবাগত শিক্ষাগুরু!

আপনার মতো একজন শিক্ষিত ও জ্ঞানী ব্যক্তির সান্নিধ্য আমরা পেতে যাচ্ছি এ আনন্দে আমরা উদ্বেলিত। আপনার মহান শিক্ষায় আমরা শিক্ষিত হব, আপনার মহিমায় মহিমান্বিত হব, আপনার আলোকোজ্জ্বল জ্ঞানের প্রদীপে আলোকিত হব। আমরা পথ চলব আপনার শেখানো আদর্শকে বুকে ধরে। আপনার প্রেরণা আমাদের জোগাবে নতুন উৎসাহ।

হে জ্ঞানতাপস

আপনার অসাধারণ পাণ্ডিত্য সর্বজনবিদিত। আপনার মতো একজন মহান শিক্ষাগুরুর পদপ্রান্তে বসে শিক্ষালাভের সুযোগ পেতে চলেছিÑ এ আমাদের পরম সৌভাগ্য। আপনার আগমনে এ বিদ্যাপীঠের বিশাল শূন্যতা পূরণ হলো। আজ আমরা ধন্য ও গর্বিত। আপনি আমাদের হৃদয়ের জঞ্জাল দূর করে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বেলে দেবেন। আমরা আজ আপনাকে আশ্রয় ও ছায়ারূপে পেয়েছি। আপনার মূল্যবান শিক্ষা ও আদর্শ আমাদের নতুন পৃথিবীর সন্ধান দেবে। আপনার আগমনে আমাদের একমাত্র উপঢৌকন শ্রদ্ধা ছাড়া কিছুই দিতে পারলাম না। এটুকুই আপনি সাদরে গ্রহণ করবেন।

হে কর্মচঞ্চল বীর!

ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়ের আমরা হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী তাকিয়ে আছি আপনারই মুখপানে। আপনার যোগ্য নেতৃত্ব দেবে আমাদেরকে আলোর পথের ঠিকানা। আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আপনার মুখ উজ্জ্বল করার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব এবং বিদ্যালয়ের জন্য সুনাম বয়ে আনব।

হে পরম সুহৃদ,

আপনি আমাদের শিক্ষাগুরু, আমরা আপনার শিষ্য। তারুণ্যের প্রগলভতা, বয়সের চাপল্য কখনও আপনার বিরক্তির কারণ হতে পারে। আপনার উদার হৃদয়ের সীমাহীন স্নেহ আমাদের চাঞ্চল্যকে সংযত করে যথার্থ পথের সন্ধান দিয়ে সাফল্যের পথে পরিচালিত করুক। তারুণ্যের মাঝে নিহিত শক্তির উন্মেষ ঘটুক আপনার স্নেহস্পর্শে। এ প্রতিষ্ঠানে আপনার অবস্থান সুন্দর হোক, সার্থক হোক- এ আমাদের হৃদয়ের একান্ত কামনা।

পরিশেষে পরম করুণাময় মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

বিনয়াবনত
মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ
১১ ডিসেম্বর, ২০২২

৩. বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা উপলক্ষে একখানি অভিনন্দন-পত্র রচনা করো।

দেশবরেণ্য মুক্তিযোদ্ধাদের …. আগমন উপলক্ষে

অভিনন্দন

হে দেশের সূর্যসন্তান,

বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের কিংবদন্তির মহানায়ক তোমরা। তোমাদের কীর্তি কখনো ভোলার নয়। এদেশবাসী সোনার হরফে লিখে রাখবে তোমাদের নাম। আজ তোমাদের আগমনে এই এলাকার সর্বত্র জেগেছে নব প্রাণের স্পন্দন। আজ আমাদের এই ক্ষুদ্র আয়তনে গভীর আনন্দে আমরা অন্তরের অন্তস্থল থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

হে বীর সেনানীরা!

তোমরা ইতিহাসস্রষ্টা। তোমাদের সুদক্ষ রণকৌশল, চেতনাশক্তি, সাহসী ভ‚মিকা আর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব জাতিকে দিয়েছে মুক্তির স্বাদ। দেশমাতৃকাকে মুক্ত করার প্রত্যয়ে তোমাদের এমন বীরত্বপূর্ণ ভ‚মিকায় আমরা গর্বিত।

হে মহান দেশপ্রেমিকেরা!

দেশাত্মবোধের মহান প্রেরণাকে বুকে ধারণ করে তোমরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলে মুক্তির সংগ্রামে। দেশ এবং জাতির প্রতি তোমাদের এই আমরা আত্মত্যাগ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। এ দেশের প্রতিটি মানুষের মনে তোমাদের ত্যাগের স্মৃতি রইবে অমর।

হে মৃত্যুঞ্জয়ী বীরেরা!

বাংলার মুক্তিসংগ্রামে সমগ্র প্রতিক‚লতাকে অতিক্রম করে মৃত্যুকে পদদলিত করে যুদ্ধ করেছ তোমরা। পাক-হানাদারদের সুদক্ষ বাহিনীর মুখোমুখি হতেও পিছপা হওনি তোমরা। মৃত্যুকে নিশ্চিত জেনেও এগিয়ে গিয়েছিলে সেদিন। ফিরে এসেছ মৃত্যুঞ্জয়ীর বেশে। তোমাদের এই অবদান চির-ভাস্বর হয়ে থাকবে জাতির মানসভ‚মে। তোমরা আমাদের চেতনা, তোমরা আমাদের সঞ্জীবনী সত্তা।

হে সুমহান নেতৃবৃন্দ!

তোমাদের আগমন আমাদের এতটাই বিমোহিত করেছে, যা বোঝানোর কিংবা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। তোমাদের কী দিয়ে বরণ করে নেব সেটাও যে ভুলে গেছি আজ। আজ এমন দিনে, এমন একটি ক্ষণে তোমাদের প্রতি রইল আমাদের অন্তহীন ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার্ঘ্য। তোমাদের আগমন আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

পরিশেষে, মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে বিনীত নিবেদন করছি তিনি যেন তোমাদের সুদীর্ঘ জীবন দান করেন। তোমাদের অনাগত দিনগুলো যেন সুখের হয় সে প্রত্যাশাই করব আজীবন। খোদা হাফেজ।

বিনয়াবনত-
তোমাদের গুণমুগ্ধ
তারাগুনিয়ার সর্বস্তরের জনতা
তারিখ : ৩০শে মে, ২০২২

৪. তোমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে একটি মানপত্র রচনা করো। অথবা, তোমার বিদ্যালয়ে কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তির আগমন উপলক্ষে একটি মানপত্র রচনা করো।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী
জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ-এর শুভাগমন উপলক্ষে
শ্রদ্ধাঞ্জলি

হে বরেণ্য!

আপনার পদধূলি পেয়ে আমাদের এলাকা আজ উজ্জীবিত। আপনাকে একনজর দেখার জন্য প্রত্যন্ত জনপদ থেকে ছুটে এসেছে হাজার হাজার মানুষ। আপনার মূল্যবান বাণী শোনার জন্য চাতকের মতো উন্মুখ শত-সহস্র জনতা। আপনি আমাদের প্রাণঢালা অভিনন্দন গ্রহণ করুন।

হে শিক্ষানুরাগী!

আমাদের এ দরিদ্র দেশের বেশিরভাগ মানুষ এখনো শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। এসব নিরক্ষর মানুষকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার যে কঠিন দায়িত্ব আপনি কাঁধে তুলে নিয়েছেন, সেজন্য আমরা আপনাকে স্বাগত জানাই। আমরা আশা করি আপনার যোগ্য নেতৃত্বই এ জাতিকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করবে। আমাদের নিশ্চিত বিশ্বাস, জ্ঞানের যে মশাল আপনি জ্বালিয়েছেন, তার আলোতে সমগ্র বাংলাদেশ আলোকিত হবে।

হে দেশপ্রেমিক,

আপনি শিক্ষাক্ষেত্রে যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তা অনস্বীকার্য। আপনার নিরলস প্রচেষ্টা ও কঠোর সাধনায় শিক্ষাব্যবস্থায় এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। আপনার কাজের সুরভি আজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশ-দেশান্তরে। দেশবাসী আজ আপনার কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

হে আলোর দিশারি,

আপনি আমাদের পরম আপনজন বলে আপনার কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। নানা সমস্যার যাঁতাকলে পিষ্ট আমাদের এ বিদ্যালয়টি। শিক্ষাব্যবস্থার সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া ও আপনার প্রশংসনীয় উদ্যোগের কথা শুনে আজ আমরা আশাবাদী হয়ে উঠেছি। তাই এই বিদ্যালয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধানকল্পে আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

* সারা বিশ্ব বিজ্ঞানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, এ বিদ্যালয়ে কোনো বিজ্ঞানাগার নেই। তাই এতে আপনার আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

* খেলাধুলা ও পড়াশোনা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, খেলাধুলার জন্য এ বিদ্যালয়ে নিজস্ব কোনো মাঠ না থাকায় আমরা খেলাধুলা করার কোনো সুযোগ পাচ্ছি না। তা একটি মাঠ নির্মাণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

* আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় এক হাজার ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। কিন্তু এ বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বই না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই এ ব্যাপারে দৃষ্টি রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

* শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ও সুকুমার বৃত্তি লালনের জন্য বিদ্যাশিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম প্রয়োজন। কিন্তু এ বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যচর্চার জন্যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাব রয়েছে। তাই প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ক্রয়ের জন্যে অর্থ বরাদ্দের ব্যাপারে আপনার সহযোগিতা কামনা করছি।

আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস সমস্ত বিষয় আপনার সদয় বিবেচনা লাভ করবে এবং অবিলম্বে সমস্যাসমূহের সমাধান করে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। পরিশেষে পরম করুণাময় মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

বিনয়াবনত
পাটুয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ
০২/০৫/২০২২

৫. তোমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন প্রখ্যাত লেখক বা কবির শুভাগমন উপলক্ষে একটি অভিনন্দনপত্র রচনা করো।

কবি আল মাহমুদের শুভাগমন উপলক্ষে অভিনন্দনপত্র

হে কবি!

সভ্যতার সকল প্রকার প্রাণহীন কৃত্রিমতা হতে বহু দূরে অবস্থিত এই পল্লির আহ্বানে তুমি সাড়া দিয়েছ। আশা করি, তোমার কাব্য প্রেরণার মূলে এটি হয়তো খানিকটা রস সিঞ্চন করবে। কারণ, তুমি শহরের কবি নও, তুমি প্রকৃতপক্ষে পল্লির অসংখ্য মানুষের কবি, তোমাকে আমাদের হৃদয় নিংড়ানো অভিবাদন জানাই।

হে মহাজ্ঞানী!

কাব্য ও কবিতার ভেতর দিয়ে তোমার সাথে আমাদের যে পরিচয় ঘটিয়েছিল, তা আজ আরও নিবিড় ও মধুর হলো। এরপরে তোমাকে হয়তো নিজেদের মধ্যে এমন করে পাব না, কিন্তু তোমার কবিতা আমাদের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ, আরও মাধুর্যমণ্ডিত করবে। তোমার কবিতার জাদুস্পর্শ্বে যে ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে পড়বে, যে আম্রমুকুলকে ঘিরে মৌমাছি গুঞ্জন করে উঠবে, চৈত্র-সন্ধ্যাকে মুখরিত করে যে কোকিল ডেকে উঠবে, সে ফুল, সে আম্রমুকুল, সে কোকিলকে তো আমরা প্রত্যক্ষ করব আমাদেরই চারিপাশে। তখন নতুন করে ধরণীর সাথে আমাদের যে পরিচয় ঘটবে সেই নতুন পরিচয়ের অপরিসীম আনন্দের কথা কল্পনা করে আজ তোমাকে সশ্রদ্ধ অভিনন্দন জানাচ্ছি। বর্তমান যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে পল্লির শ্রীহীন অবস্থা নিদারুণ হয়ে উঠেছে। এই নিষ্ফলতার মধ্যে তুমি স্মরণ করিয়ে দিয়েছ, পল্লিগুলো জীর্ণ পাতার মতো প্রাণহীন আবর্জনা নয়, জাতীয় জীবনের দিক হতে এদের একটি বিশেষ মূল্য আছে। নৈরাশ্যের ঘন অন্ধকারে আমরা নিজেদের হারিয়ে ফেলেছিলাম, তোমার অমৃতময় করস্পর্শে আমরা নিজেদের ফিরে পেয়েছি। আমাদের সম্মুখে তুমি অনন্ত সম্ভাবনার দ্বার উদ্ঘাটন করে দিয়েছ। আমাদের অন্তরের গভীরতম কৃতজ্ঞতা তুমি গ্রহণ কর।

হে সংগ্রামী কবি!

তোমার সারাটা জীবন সংগ্রামের এক উজ্জ্বল খতিয়ান। অন্যায়, অসত্য ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে তোমার দৃপ্ত পদচারণ এখনও আমাদের আন্দোলিত করে। আধুনিক প্রগতিশীল সমাজ এবং অসা¤প্রদায়িক কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে তুমি যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছো তা জাতি চিরদিন স্মরণ করবে। তোমার মুখ থেকে নিঃসৃত বাণী এখনো জাতিকে দিচ্ছে পথের দিশা। এ জাতি কোনো দিন তোমাকে ভুলবে না।

হে দরদি বন্ধু!

আজ আমাদের আয়োজনে অনেক ত্রæটি রয়ে গেল, কিন্তু আমরা জানি আমাদের এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি গুলো তুমি উপেক্ষা করবে। তুমি বাইরের আয়োজনকে বাদ দিয়ে আমাদের অন্তরের ভাষাতীত প্রীতি গ্রহণ করবে। এখানে আসার কষ্ট ও অসুবিধা হাসিমুখে সহ্য করে তুমি নিজের উদারতারই পরিচয় দিয়েছ।

সৃষ্টিকর্তার নিকট কায়মনে প্রার্থনা করি, দীর্ঘ জীবন লাভ করে সুস্থ দেহে তোমার কবি-প্রতিভার পূর্ণ বিকাশ লাভ হোক; জাতি ও দেশ তোমার অপূর্ব অবদানে শক্তিশালী হয়ে উঠুক। তোমার চলার পথ আরো মসৃণ হোক।

ইতি
গুণমুগ্ধ
ফুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ
থানা- উল্লাপাড়া
জেলা- সিরাজগঞ্জ

৬. এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে একটি মানপত্র রচনা করো।

ফিলিপনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের

বিদায় উপলক্ষে মানপত্র

বিদায়ী বন্ধুরা,

যে পথ একদিন তোমাদের নিয়ে এসেছিল এই অঙ্গনে সে পথই আবার তোমাদের দিয়েছে ডাক। একদিকে চলার নেশা আর একদিকে পিছুটান! বেহাগ রাগিণীতে বাজছে বিদায়ের সুর। সে সুর এখন ধ্বনিত হচ্ছে এই বিস্তৃত প্রাঙ্গণে উপস্থিত প্রতিটি প্রাণে।

সম্মুখ পথের পথিকেরা,

এখানে তোমাদের কেটেছে স্মৃতিমধুর প্রীতিময় অনেকগুলো দিন। নিরলস শ্রম, কঠোর অধ্যবসায় ও আন্তরিক আগ্রহে নিজেদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ার সাধনায় তোমরা ছিলে সচেষ্ট। তোমাদের প্রাণোচ্ছল সাহচর্য আর শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকদের প্রীতিস্নিগ্ধ শিক্ষায় বিদ্যালয়ের দিনগুলো হয়েছে ঐতিহ্যময়। ভাই-বোনের মধুর স্নেহডোরে বেঁধেছিলে আমাদের। আজ ভবিষ্যতের সিঁড়িতে তোমরা যখন প্রজ্ঞার ছায়া ফেলতে যাচ্ছো তখন বলি, এই বিদ্যালয়ের স্মৃতিময় দিনগুলো তোমরা যেন ভুলে না যাও। যেন না ভোল প্রিয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঐকান্তিক অবদানের কথা। এই বিদ্যানিকেতনের অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্য যেন হয় তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রেরণা।

সূর্যশিখা ভাইবোনেরা,

লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের দেশ আজ স্বাধীন। দারিদ্র্য, অশিক্ষা, সংকীর্ণতা, পশ্চাৎপদতার আঁধার এখনও দেশ থেকে ঘোচেনি। নতুন শতাব্দীর অগ্রপথিক তোমরা। বিশ্বায়নের নবদিগন্তে এদেশে নব নব অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জনে তোমরা আমাদের প্রেরণা হবে এই প্রত্যাশা নিয়ে কামনা করব : মহৎ আদর্শে নতুন দেশ ও নতুন বিশ্ব গড়ার সাধনায় তোমরা সফল হও।

তোমরা দেশের হও, দশের হও, বিশ্বের হও। তোমাদের চিন্তা ও কর্ম হোক-দেশব্রতী কর্মীর, সৃষ্টিশীল কারিগরের, মানবমুক্তির সৈনিকের।

তোমরা সার্থক হও। তোমাদের সাধনা হোক দেশ ও জাতির ঐতিহ্য, গর্ব ও ইতিহাস।

তোমাদের সাথি
ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ
ফিলিপনগর উচ্চ বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
২৫শে জানুয়ারি, ২০২২
4.2/5 - (4 votes)