কোন প্রোগ্রাম রচনার জন্য পর্যায় ক্রমিকভাবে লিখিত অ্যালগারিদমকে চিত্রের সাহায্যে প্রকাশ করাকে ফ্লোচার্ট বলে ।

অ্যালগরিদমকে চিত্রের মাধ্যেমে প্রকাশ করাই হল ফ্লোচার্ট (Flowchart)। ফ্লোচার্ট হল কতকগুলো জ্যামিতি আকৃতির এমন কিছু ছবি যেটা থেকে বোঝা যায়, একটি প্রোগ্রামে কোন ধাপ এর পর কোন ধাপ করে সম্পন্ন হবে। অর্থাৎ আরো সহজভাবে বলতে গেলে অ্যালগরিদমের প্রত্যেকটি ধাপকে চিত্রের মাধ্যেমে বোঝানোকে ফ্লোচার্ট বলে।

যে চিত্রের মাধ্যমে কোন সিস্টেম বা প্রোগ্রাম কিভাবে কাজ করবে তার গতিধারা নির্ধারণ করা হয় তাকে ফ্লোচার্ট (Flowchart) বলে। একে প্রবাহচিত্রও বলা হয়। ফ্লোচার্টের সাহায্যে প্রোগ্রাম বুঝতে কম সময় লাগে এবং প্রোগ্রাম প্রবাহের দিক সহজেই বুঝা যায়। অ্যালগরিদমের চিত্ররূপ হলো ফ্লোচার্ট।

সমস্যা বিশ্লেষণের পর তা সহজে বোঝানোর জন্য ফ্লোচার্ট কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ফ্লোচার্টে কতগুলো জ্যামিতিক ছবি ও চিহ্ন ব্যবহৃত হয়।

১৯৪৫ সালে ফ্লোচার্টের প্রথম নকশাটি ডিজাইন করেছিলেন “জন ভন নিউমান (John Von Neumann)”।

 

ফ্লোচার্ট তৈরির নিয়ম

ফ্লোচার্ট তৈরির নিয়মগুলো নিচে দেওয়া হলোঃ

  1. প্রতিটি ফ্লোচার্টের অবশ্যই একটি শুরু (Start) এবং শেষ (End) অবজেক্ট থাকবে।
  2. নিয়ন্ত্রণ প্রবাহ অবশ্যই টপ থেকে শুরু হবে।
  3. নিয়ন্ত্রণ প্রবাহ অবশ্যই বটম থেকে শেষ হবে।
  4. প্রচলিত চিহ্ন বা প্রতীক ব্যবহার করে ফ্লোচার্ট তৈরি করতে হবে।
  5. তীর (Arrow) চিহ্ন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ প্রবাহ দেখাতে হবে।
  6. ফ্লোচার্টে কোন প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করা যাবে না।
  7. চিহ্নগুলো ছোট বড় হলে সমস্যা নেই তবে আকৃতি ঠিক থাকতে হবে।
  8. অতিরিক্ত সংযোগ রেখা ও প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না।

ফ্লোচার্টের প্রকারভেদ (Types of Flowchart)

ফ্লোচার্ট প্রধানত দুই প্রকার। যথাঃ

  1. সিস্টেম ফ্লোচার্ট (System Flowchart) এবং
  2. প্রোগ্রাম ফ্লোচার্ট (Program Flowchart)
১. সিস্টেম ফ্লোচার্ট (System Flowchart) : অনেকগুলো কাজ বা প্রক্রিয়ার সমন্বয় হচ্ছে সিস্টেম। সিস্টেমের ডেটার প্রবাহ বা প্রক্রিয়াকরণ এর প্রবাহ প্রদর্শনকারী চার্টই সিস্টেম ফ্লোচার্ট।
২. প্রোগ্রাম ফ্লোচার্ট (Program Flowchart) : প্রোগ্রাম লেখার আগে প্রোগ্রামের কাজের ধাপগুলো চিত্রের সাহায্যে লেখাই হলো প্রোগ্রাম ফ্লোচার্ট।ফ্লোচার্টের সুবিধা (Advantages of Flowchart)

  1. একটি প্রোগ্রাম উপস্থাপন করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ফ্লোচার্ট।
  2. ফ্লোচার্ট ব্যবহার করে সমস্যা বিশ্লেষণ করা সহজ।
  3. প্রোগ্রাম উন্নয়নের সময় ফ্লোচার্ট একটি নীলনকশা (blueprint) এর ভূমিকা পালন করে, যা প্রোগ্রাম উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে তোলে।
  4. ফ্লোচার্ট এর সাহায্যে প্রোগ্রাম বা সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণ সহজ হয়।
  5. ফ্লোচার্টকে যেকোন প্রোগ্রামিং ভাষার কোডে রূপান্তর করা সহজ।
এখানে যা শিখলাম–
ফ্লোচার্ট কাকে বলে?; ফ্লোচার্ট এর অপর নাম কি?; প্রথম কে ফ্লোচার্টের নকশা ডিজাইন করেছেন?; ফ্লোচার্ট তৈরির নিয়ম কি?; ফ্লোচার্ট কত প্রকার ও কি কি?; ফ্লোচার্টের সুবিধা কি?;
কিছু প্রশ্নঃ
০১) ফ্লোচার্ট কি ?
উত্তরঃ কোন প্রোগ্রাম রচনার জন্য পর্যায় ক্রমিকভাবে লিখিত অ্যালগারিদমকে চিত্রের সাহায্যে প্রকাশ করাকে ফ্লোচার্ট বলে ।
০২) কম্পিউটার প্রজন্ম কি ?
উত্তরঃ কম্পিউটার বিবর্তনের ইতিহাসকে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়ছে । এ ভাগকে কম্পিউটার প্রজন্ম বলে ।
০৩) GUI এর পূর্ণরূপ কি ?
উত্তরঃ Graphical User Interface .
০৪) কম্পিউটার প্রোগ্রাম কি ?
উত্তরঃ নির্দিষ্ট ব্যবহারিক প্রয়োজনের সম্ভাব্য সকল প্রকার নির্দেশ এবং সুযোগ একত্র করে যেসব ব্যবহারিক প্রোগ্রাম তৈরি করা হয় তাকে কম্পিউটার প্রোগ্রাম বলে ।
০৫) সাইবার ক্রাইম কি ?
উত্তরঃ আধুনিককালে কম্পিউটার এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে বিকাশ হচ্ছে । এর সাথে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহারিক এর সংখ্যা । আর এই ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে বর্তমানে সংগঠিত হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের ক্রাইম । এসব ক্রাইম কে বলা হয় সাইবার ক্রাইম ।
০৬) বাইট বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ ৪ বিটের সমন্বয়ে গঠিত হয় একটি বাইট । বিট বা বাইটের সমন্বয়ে তৈরি হয় শব্দ ।
০৭) ইউনিকোডের সুবিধা কি ?
উত্তরঃ বিশ্বের ছোট বড় সকল ভাষাকে কম্পিউটারের কোডভুক্ত করা যায় ।
০৮) MIS কি ?
উত্তরঃ Management Information System হলো কম্পিউটারভিত্তিক সিস্টেম যা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকদের ইনফরমেশন প্রদান করে ।
০৯) ALU কি ?
উত্তরঃ Arithmetic Logic Unit .
১০) কী-বোর্ড বলতে কি বুঝায় ?
উত্তরঃ কী-বোর্ড হল কম্পিউটার একটি ইনফুট ডিভাইস । এর মাধ্যমে বিভিন্ন অক্ষর ও নির্দেশ সিস্টেম প্রবেশ করানো হয় ।
১১) Virtual Memory কী ?
উত্তরঃ কম্পিউটার তৈরি করার সময় কিছু প্রোগ্রাম এর মধ্যে সেট করে দেওয়া হয় , যা ডিলিট বা নষ্ট করা যায় না ।
১২) লজিক গেইট বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ যে সকল ইলেকট্রনিক সার্কিট কোন বুলিয়ান প্রক্রিয়ায় অর্থাৎ যোগ , বিয়োগ , গুণ বা পূরকের কাজ করে থাকে তাকে লজিক গেইট বলে ।
১৩) ডিজিটাল কম্পিউটার কি ?
উত্তরঃ যে কম্পিউটার বাইনারি পদ্ধতিতে অর্থাৎ 0 এবং 1 এর উপস্থিতির উপর নির্ভর করে উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণের কাজ করে তাকে ডিজিটাল কম্পিউটার বলে ।
১৪) কম্পিউটার কোডিং কি ?
উত্তরঃ তথ্য ইনপুট এর ক্ষেত্রে কম্পিউটারের অভ্যন্তরে গৃহীত সকল প্রকার বর্ণ , চিহ্ন , সংখ্যা , প্রীক ইত্যাদি সমতুল্য বাইনারি সংখ্যার রূপান্ত করে নেয়ার প্রয়োজন হয় । এরূপ রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকে কম্পিউটার কোডিং বলে ।
১৫) ড্রাগ এন্ড ড্রপ বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ কোন ফাইল বা ডাইরেক্টরি সিলেক্ট করার পর মাউসের বাম পাশসের বোতাম চেপে ধরে নির্ধারিত তপ্ত এক স্থান থেকে অন্যত্র স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকে ড্রাগ এন্ড ড্রপ বলে ।
১৬) স্ক্যানার কি ধরণের যন্ত্র ?
উত্তরঃ স্ক্যানার একটি আধুনিক ইনপুট ডিভাইস ।
১৭) সফটওয়্যার কি ?
উত্তরঃ সফটওয়্যার হল কত গুলো প্রোগ্রামের সমষ্টি ।
১৮) ইউএসবি ( USB ) পোর্ট সম্পর্কে লিখ ।
উত্তরঃ U S B এর পূর্ণরূপ হচ্ছে – Universal Serial Buspart । সিস্টেম ইউনিটের সাথে ইউএসবি বাস ও ইউএসবি সাপোর্টেড ডিভাইসসমূহের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্য মাদার বোর্ডের সাথে যে পোর্ট ব্যবহার করা হয় তাকে ইউএসবি পোর্ট বলে ।
১৯) সি ডি রম কি ?
উত্তরঃ তথ্য সংরক্ষণ ও আদান-প্রদানের অন্যতম বাহন হচ্চে – CD ROM ( Computer Disk Read Only Memory )
২০) মাল্টিমিডিয়া কি ?
উত্তরঃ মাল্টিমিডিয়া কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য একটি অতি পরিচিত শব্দ । আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বহু মাধ্যম । এর মাধ্যমে এক সাথে বহু কাজ করা যায় ।
২১) ইলেকট্রনিক পেমেন্ট কি ?
উত্তরঃ ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে টাকা পয়সা লেনদেনের একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতি ।
২২) ইনফরমেশন সিস্টেম বলতে কি বুঝায় ?
উত্তরঃ ইনফরমেশন সিস্টেম হল মানুষ ও যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে গঠিত ব্যবস্থা যা ডেটা প্রক্রিয়া করণ করে ব্যবহারকারীর ব্যবহার উপযোগী করে তুলে ।
২৩) ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কি ?
উত্তরঃ এটি এমন একটি সফটওয়্যার যা ডেটাবেজ তৈরি , পরিবর্তন , সংরক্ষণ , নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত হয় ।
২৪) VIRUS এর পূর্ণরূপ কি ?
উত্তরঃ Vital Information and Resource Under Seize .
২৫) কম্পিউটার কি ?
উত্তরঃ কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র । ইহা ইলেকট্রনিক বর্তনী ও যান্ত্রিক সরঞ্জামের সমন্বয়ে সঙ্গগঠিত প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্র ।
২৬) BCD কোড কি ?
উত্তরঃ দশমিক সংখ্যার প্রতিটি অংককে সমতুল্য বাইনারি সংখ্যা দ্বারা প্রাকশ করাকে BCD কোড বলে ।
২৭) সেন্সর কি ?
উত্তরঃ সেন্সর হলো এমন এক ধরণের ডিভাইস যা কোন সংকেতকে চিহ্নিত বা শনাক্ত করে থাকে । অধিকাংশ সেন্সরই ইলেকট্রনিক্যাল হয়ে থাকে । সেন্সরগুলো এক ধরণের ট্রান্স ডিউসার ।
২৮) প্যাকেজ সফটওয়্যার কি ?
উত্তরঃ বাণিজ্যিকভাবে সফলতা লাভের জন্য একাধিক সফটওয়্যারকে একত্রে সন্নিবেশিত করে বাজারজাত করা হয় । একেই প্যাকেজ সফটওয়্যার বলে ।
২৯) মাল্টি প্রোগ্রামিং সিস্টেম কি ?
উত্তরঃ এ অপারেটিং সিস্টেম একই সাথে একাধিক প্রোগ্রাম মেমোরির নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে সমান্তরালভাবে পরিচালিত হয় ।
৩০) ফ্লোচার্ট কি ?
উত্তরঃ কোন প্রোগ্রাম রচনার জন্য পর্যায় ক্রমিকভাবে লিখিত অ্যালগারিদমকে চিত্রের সাহায্যে প্রকাশ করাকে ফ্লোচার্ট বলে ।
৩১) ওয়ার্ড প্রসেসিং কি ?
উত্তরঃ কম্পিউটারের মাধ্যমে সহজে এবং উন্নত পদ্ধতিতে ডকুমেন্ট প্রস্তুত , সম্পাদন , ডকুমেন্টের বানান সংশোধন , সংরক্ষণ , মুদ্রণ , ইত্যাদি কাজের জন্য ব্যবহৃত প্যাকেজ প্রোগ্রামকে ওয়ার্ড প্রসেসিং প্রোগ্রাম বা ওরার্ড প্রসেসর বলা হয় ।
৩২) MIS কি ?
উত্তরঃ Management Information System হলো কম্পিউটারভিত্তিক সিস্টেম যা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকদের ইনফরমেশন প্রদান করে ।
৩৩) CAM – এর পূর্ণরূপ কি ?
উত্তরঃ Computer Aided Manufacturing ।
৩৪) ব্যাক আপ কি ?
উত্তরঃ মাস্টার ফাইলের একই কপি অন্য কোন স্টোরেজ ডিভাইস রাখা হলো ব্যাক আপ ।
৩৫) রোবটিক্স কি ?
উত্তরঃ কম্পিউটার বুদ্ধিমত্তা সম্বলিত এবং কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত দেখতে অনেকটা মানুষের মতো এবং মানুষের মতোই দৈহিক ক্ষমতাসম্পন্ন মেশিন ।
৩৬) TQM – এর পূর্ণরূপ কি ?
উত্তরঃ Total Quality Management .
৩৭) কম্পিউটার প্রজন্ম কি ?
উত্তরঃ কম্পিউটারের বিবর্তনের ইতিহাসকে পর্যায়ক্রমে ছয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে । এ ভাগকে কম্পিউটারের প্রজন্ম বলে ।
৩৮) ALU – কি ?
উত্তরঃ Arithmetic Logic Unit
৩৯) বাইনারি পদ্ধতি কি ?
উত্তরঃ বাইনারি পদ্ধতি একটি সরলতম সংখ্যা পদ্ধতি । কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ কাজ সম্পন্ন হয় বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে । বাইনারি পদ্ধতিতে ০ এবং ১ এই দুটি মাত্র অঙ্ক ব্যবহৃত হয় । এজন্য বাইনারি পদ্ধতির বেস ২ ।
৪০) স্মার্ট কার্ড কি ?
উত্তরঃ স্মার্ট কার্ড বা চিপ কার্ড অথবা ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট কার্ড হলো পকেট সাইজের সার্কিটযুক্ত কার্ড ।
৪১) ফার্মওয়্যার কি ?
উত্তরঃ কম্পিউটার তৈরি করার সময় উহার মেমরিতে যে সকল প্রোগ্রাম সমূহ স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে দেয়া হয় তাকে ফার্মওয়্যার বলে ।
৪২) ইলেকট্রনিক পেমেন্ট কি ?
উত্তরঃ ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে টাকা পয়সা লেনদেনের একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতি ।
৪৩) এ্যাসেম্বলার কি ?
উত্তরঃ একটি দ্রুতগতিসম্পন্ন প্রোগ্রামের নাম ।
৪৪) মাল্টিমিডিয়া কি ?
উত্তরঃ মাল্টিমিডিয়া কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য একটি অতি পরিচিত শব্দ । আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বহু মাধ্যম । এর মাধ্যমে এক সাথে বহু কাজ করা যায় ।
৪৫) GUI – এর পূর্ণরূপ কি ?
উত্তরঃ Graphical User Interface .
৪৬) ইউএসবি ( USB ) পোর্ট কি ?
উত্তরঃ U S B এর পূর্ণরূপ হচ্ছে – Universal Serial Buspart । সিস্টেম ইউনিটের সাথে ইউএসবি বাস ও ইউএসবি সাপোর্টেড ডিভাইসসমূহের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্য মাদার বোর্ডের সাথে যে পোর্ট ব্যবহার করা হয় তাকে ইউএসবি পোর্ট বলে ।
৪৭) প্রসেসর কি ?
উত্তরঃ প্রসেসর হচ্ছে কম্পিউটারের যেকোনো তথ্যকে দ্রুত কার্যকর করা বা কম্পিউটারকে সু-শৃঙ্কল্ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা ।
৪৮) ভাইরাস কি ?
উত্তরঃ কম্পিউটার সিস্টেমের জন্য ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম ওয়ার্ম স্পাইওয়্যার , ম্যালওয়ার ইত্যাদি প্রোগ্রামই হলো ভাইরাস ।
৪৯) ডিজিটাল কম্পিউটার কি ?
উত্তরঃ যে কম্পিউটার বাইনারি পদ্ধতিতে অর্থাৎ ০ এবং ১ এর উপস্থিতিতির উপর নির্ভর করে উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যেম প্রক্রিয়াকরণের কাজ করে তাকে ডিজিটাল কম্পিউটার বলে ।
৫০) BCD কি ?
উত্তরঃ BCD – এর পূর্ণরূপ হল ( Binary Code Decimal ) । যা দশমিক পদ্ধতির সংখ্যাকে বাইনারি সংখ্যায় প্রকাশ করার জন্য BCD Code ব্যবহৃত হয় ।
৫১) প্লটার কি ?
উত্তরঃ প্লটার হচ্ছে একটি বিশেষ ধরণের আউটপুট ডিভাইস । খুব সুক্ষ্ম রেখা বিশিষ্ট নকশা বা রেখা চিত্রের মুদ্রণ নেয়ার জন্য যে মুদ্রণ যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাকে প্লটার বলে ।
৫২) OMR – এর পূর্ণরূপ কি ?
উত্তরঃ Optical Mark Reader .
৫৩) কম্পিউটার কোডিং কি ?
উত্তরঃ তথ্য ইনপুট এর ক্ষেত্রে কম্পিউটারের অভ্যন্তরে গৃহীত সকল প্রকার বর্ণ , চিহ্ন , সংখ্যা , প্রীক ইত্যাদি সমতুল্য বাইনারি সংখ্যার রূপান্ত করে নেয়ার প্রয়োজন হয় । এরূপ রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকে কম্পিউটার কোডিং বলে ।
৫৪) সফটওয়্যার এর সংজ্ঞা দাও ।
উত্তরঃ প্রোগ্রাম সমষ্টি যা হার্ডওয়্যার ও হিউম্যানওয়্যারের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে হার্ডওয়্যারেকে সক্রিয় করে তাকে সফটওয়্যার বলে ।
৫৫) সেন্সর কি ?
উত্তরঃ সেন্সর হলো এমন এক ধরণের ডিভাইস যা কোনো সংকেতকে চিহ্নিত বা সনাক্ত করে থাকে । অধিকাংশ সেন্সরই ইলেকট্রিক্যাল হয়ে থাকে ।
৫৬) ফ্লোচার্ট কি ?
উত্তরঃ কোন প্রোগ্রাম রচনার জন্য পর্যায় ক্রমিকভাবে লিখিত অ্যালগরিদমকে চিত্রের সাহায্যে প্রকাশ করাকে ফ্লোচার্ট বলে ।
৫৭) DSS কী ?
উত্তরঃ DSS ( Decision Support System ) হল একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ইনফরমেশন সিস্টেম । এটি ব্যবস্থাপকদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিতে সহায়তা করে ।
৫৮) ডেটা প্রসেসিং কি ?
উত্তরঃ সংগৃহীত ডেটাকে অর্থপূর্ব তথ্যে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে ডাটা প্রসেসিং বলে ।
৫৯) ব্যাক আপ কি ?
উত্তরঃ মাস্টার ফাইলের একই কপি অন্য কোন স্টোরেজ ডিভাইস রাখা হলো ব্যাক আপ ।
৬০) হ্যাকিং কি ?
উত্তরঃ প্রোগ্রাম রচনা ও প্রয়োগের মাধ্যমে কোন কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কের ক্ষতিসাধন করাকে হ্যাকিং বলা হয় ।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “ফ্লোচার্ট (Flowchart) কাকে বলে? ফ্লোচার্টের প্রকারভেদ ও সুবিধা” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।
5/5 - (2 votes)