একটি দেশের বহিঃপ্রকাশ হলো সেই দেশের জাতীয় সংগীত। দেশের প্রতিটি মানুষের অনুভূতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকে যে সংগীত তাকেই বলা হয় জাতীয় সংগীত। আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত – রচনা লিখতে আসে। তাই আমি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত – রচনা যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি আমার এইবাংলাদেশের জাতীয় সংগীত – রচনা লিখলে তোমরা অনেক ভালো নম্বর পাবে।

বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের এই জাতীয় সংগীতটি রচনা করেছেন ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ চলাকালীন সময়ে এই গান রচিত হয়। পরবর্তীতে এই গানটি জাতীয় সংগীতের মর্যাদা লাভ করে।নিচে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত – রচনা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

পোস্ট সূচিপত্রঃ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত রচনা 

ভূমিকা

বাংলাদেশ তথা আমাদের দেশের জাতীয় সংগীত নিয়ে সবাই বিস্মিত। আমাদের জাতীয় সংগীতের রয়েছে প্রেমময় সুর ও সুরেলা ভাষায় রচিত। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের জাতীয় সংগীতের মতো আমাদের দেশের জাতীয় সংগীতে জাত্যাভিমানের কোন কথা নেই, কোন শাসকের বন্দনা নেই ,কোন রাজা বা রাজন্য বর্গের সৌর্য বীজের কথাও নেই, কোন যুদ্ধজয়ের কথাও নেই, রণকৌশল নেই, শাসকের শক্তি নেই ,সাম্রাজ্য বিস্তারের কোন কাহিনী নেই, কোন রাজা বা রাজাদের ক্ষমতা ও শ্রেষ্ঠত্বের কোন বাণী নেই, এতে কোন আধিপত্যেরও জায়গা নেই, ভালোবাসার রসে ভরপুর

আরো পড়ুনঃ স্বদেশপ্রেম – রচনা (৫-১২ শ্রেণী ) সম্পর্কে জেনে নিন

আর এতে জড়িয়ে রয়েছে প্রকৃতির প্রেম। দেশ আমাদের মাতৃস্বরূপ তাই এতে রয়েছে মাতৃ বন্দনা ও মাতৃ প্রেম। প্রকৃতি থেকে মানুষ তার বেঁচে থাকার অসহযোগ জোগাড় করে থাকে এবং প্রকৃতির খেয়ালে জন্ম নেয় মানুষের  পতিকৃতি।  প্রকৃতি মানুষের শারীরিক এবং মানসিক ক্ষুধা নিবারণ করে, তাই প্রকৃতিকে মাতৃস্বরূপ বলা হয়ে থাকে। আকাশ মানুষকে স্বপ্নচারী করে তোলে এবং বাতাস মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে তাই আকাশ – বাতাস মানুষের হৃদয়ে সুরেলা বাঁশি বাজায় প্রেম ও ভালোবাসার।

জাতীয় সংগীতের উৎপত্তি

জাতীয় সংগীত হলো প্রতিটি মানুষের আবেগের নাম অনুভূতির নাম।”আমার সোনার বাংলা “হলো আমাদের দেশ তথা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। “সোনা” শব্দটির অর্থ হল “স্বর্ণ” আর “সোনার” শব্দটি স্বর্ণের অন্তর্গত যা স্বর্ণ দিয়ে তৈরি তাকে বোঝায় এবং “আর” দিয়ে দখলদারিত্ব বোঝানো হয়ে থাকে। প্রিয় কথাটির অর্থ “প্রিয় কথা” হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু জাতীয় সংগীতে “সোনার বাংলা” শব্দটির দ্বারা বাঙালির মূল্যবোধের প্রকাশ করা হয়েছে এবং ফসল তোলার আগে ধানক্ষেতে যে সোনালী রং বা স্বর্ণের মত রং ধারণ করে তাকে বোঝানো হয়েছে এবং সোনার বাংলা কথাটি দ্বারা ধানক্ষেতের রং এর সাথেই তুলনা করা হয়েছে।

জাতীয় সংগীতের ইতিহাস

১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে “আমার সোনার বাংলা” গানটি রচিত হয়েছিল। এই গানটি সঠিক রচনা-কাল পাওয়া যায়নি কারণ এর কোন পান্ডুল লিপি পাওয়া যায়নি। সত্যেন রায়ের রচনা থেকে শুধু এটুকু জানা যায় যে ১৯০৫ সালের ৭ই আগস্ট কলকাতার টাউন হলে প্রথম এই গানটি গাওয়া হয়েছিল। একই বছর অর্থাৎ ১৯০৫ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর বাংলা ১৩১২ বঙ্গাব্দের বাইশে ২২ ভাদ্র রবীন্দ্রনাথের স্বাক্ষরের সঞ্জীবনী পত্রিকায় গানটি মুদ্রিত বা প্রকাশিত হয়েছিল।

তবে ৭ ই আগস্ট গানটি গাওয়ার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। আমাদের জাতীয় সংগীত কোন সাদামাটা চিন্তার নিভৃতে রচিত হয়নি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জির নেতৃত্বে ১৯০৫ সালে সারা বাংলায় শুরু হয় বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন। আর এর ধারাবাহিকতায় ১৯০৬ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি” গানটি রচনা করেন এবং এর সুর আরোপ করেন।

আরো পড়ুনঃ  কৃষি উদ্যোক্তা –  রচনা  সম্পর্কে জেনে নিন

এছাড়া ঠিক একই সময়ে রচিত আরেকটি গান আর তা হলো “আজই বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি”। ১৯০৫ সাল থেকে ১৯০৬ সাল হলো বাঙ্গালী জাতির জন্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সময়। আন্দোলন শুরু হয় ১৯০৬ সালে আর এই আন্দোলন কে কেন্দ্র করে রচিত হয় জয় বাংলা স্লোগানটি।

ভাষা আন্দোলনের সময় অর্থাৎ ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সালে পূর্ব বাংলার বাঙালি ও সাংস্কৃতিক জাতিসত্তার বিষয় টি সামনে আসে। ঠিক একই সময়ে “আমার সোনার বাংলা” গানটির চর্চা বেশি হতে থাকে এমন কি দেশভাগের পূর্বকালের চেয়েও অনেক বেশি হতে থাকে। সেই সময় সানজিদা খাতুন ছিলেন প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ছায়ানট এর প্রতিষ্ঠাতা সানজিদা খাতুনের মতে ১৯৫৬ সালে ঢাকায় পাকিস্তান গণপরিষদের অধিবেশন বসে ছিল।

এই সময় পশ্চিম পাকিস্তান থেকে যারা এসেছিলেন তাদের সম্মানে আয়োজন করা হয়েছিল ঢাকার কার্জন হলে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা। বঙ্গবন্ধুর সানজিদা খাতুনকে এই গানটি গাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন এবং সানজিদা খাতুন পুরো গানটি গেয়েছিলেন।

জাতীয় সংগীতের সুর

শিলাইদহের ডাক পিয়ন গগন হরকরা রচিত “আমি কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যেরে” গানটির সুরের অনু সঙ্গে আমার সোনার বাংলায় গানটি রচিত হয়েছিল। ১৩০৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে সরলা দেবী চৌধুরানী তার শত গান সংকলনে গগনহর করা রচিত গানটির স্বরলিপি প্রকাশ করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের অনেক স্বদেশীয় গানের সুর গৃহীত হয়েছিল এই স্বরলিপি গ্রন্থ থেকেই। রবীন্দ্রনাথের সাথে ইতিপূর্বে পরিচিত হয়েছিল পূর্ববঙ্গের বাউলদের ভিউ মেড ও ভাটিয়ালি সুর। 

আরো পড়ুনঃ  লঞ্চ ভ্রমনের অভিঙ্গতা রচনা সম্পর্কে জেনে নিন

১৮৮৯ সাল থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত জমিদারের কাজে ভ্রমণ ও বসবাসের সময় পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে বাংলার লোক ও সুরে সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পরিচয় ঘটে আর তার ঐ অভিপ্রকাশ ঘটে এই “আমার সোনার বাংলা” গানের মাধ্যমে।

যেভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত

১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ  স্বাধীন বাংলার কেন্দ্রীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ঢাকা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত পল্টন ময়দানে তিন মার্চ অনুষ্ঠিত জনসভার শেষে স্বাধীনতার ইস্তেহারে এই গানটি জাতীয় সংগীত হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৭১ সালে ১৭ এপ্রিল এই গানটি প্রথম জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া হয় মুজিবনগর এ স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠনের শপথ অনুষ্ঠানে। এছাড়াও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গানটির পুনর্জীবন ঘটে।

১৯৭১ সালে ৩ জানুয়ারি ঢাকার পল্টন ময়দানে গাওয়া হয় এই গানটি। এছাড়া ও ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের প্রাক্কালেও এই গানটি দেওয়া হয়েছিল স্বাধীনতা প্যারাডেও আনুষ্ঠানিকভাবে এই গানটি গাওয়া হয়েছিল।

জাতীয় সংগীতের স্বীকৃতি

বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার মুজিব-নগরে এই গানকে বাংলাদেশের সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই গানটি নিয়মিত প্রচার করা হতো স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে। স্বাধীনতার পর সংবিধানের ৪.১ নং অনুচ্ছেদে আমার সোনার বাংলা ঘোষিত হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় সংগীত হিসাবে।

 এই গানের বা জাতীয় সংগীতের প্রথম ১০ লাইন কন্ঠস্বরগীত এবং প্রথম চার লাইন যন্ত্রসংগীত হিসেবে বাজানোর বিধান রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমার সোনার বাংলা মর্যাদা পায় জাতীয় সংগীতের এবং জয় বাংলা স্লোগানটি একই সময় স্বীকৃতি পায়।

জাতীয় সংগীত রেকর্ড কখন হয়

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ১৯৭০ সালে সানজিদা খাতুন, কলিম সারাবি, জাহিদুর রহিম ও আব্দুল আহাদ এর আয়োজনে ছায়া নটের পরিবেশনায় গানটি রেকর্ড করা হয়। অবশ্য এর আগে ১৯৬৯ সালে চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান তার “জীবন থেকে নেওয়া” চলচ্চিত্রে গানটি দৃশ্যায়ন করেন যা যোগ করেছিল সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক নতুন মাত্রা।

জাতীয় সংগীতের জনপ্রিয়তা

বাংলার প্রকৃতির সুরে রচিত এই গানটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছিল। শ্রোতাদের পছন্দের পছন্দ অনুযায়ী  বি বি সি bbc বাংলায় তৈরি ২০ টি বাংলা গানের মধ্যে আমার সোনার বাংলা গানটি তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে নেয়।

জাতীয় সংগীতের বিশ্ব রেকর্ড

বাংলাদেশে অনেক গান রয়েছে যেগুলো মানুষের হৃদয় স্পর্শ করে কিন্তু তা বিশ্ব রেকর্ড গড়ে তুলতে পারেনি। আর বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হলো এমন একটি সংগীত বা গান যা বাংলার প্রকৃতিকে ঘিরে রচিত হয়েছে। এখানে রয়েছে শত বাঙালির রক্তের বিনিময়ে অর্জিত প্রাণের সুর আর এজন্যই হয়তো জাতীয় সংগীত বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। ১৯১৪ সালের ২৬ শে মার্চ ঢাকা বাংলাদেশ একসঙ্গে জাতীয় প্যারেড ময়দানে .২৫৪ ও ৫৩৭ জন জাতীয় সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে গিনিস বিশ্বে রেকর্ড করেছিল। (আমাদের বাংলাদেশের সকল শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত – রচনা অবশ্যই পড়া উচিত)

চলচ্চিত্র রচিত

১৯৭০ সালে শহীদ চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান তার মুক্তিপ্রাপ্ত বিখ্যাত ‘জীবন থেকে নেওয়া” কাহিনী চিত্রে এই গানের চল চিত্রায়ন করেছিলেন। তিনি এই চিত্র চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাঙ্গালীদের ওপর ঘটে যাওয়া নির্যাতনের কাহিনী তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। তিনি বিশ্বের দরবারে দেখাতে চেয়েছেন বাংলা দেশ স্বাধীন করার জন্য কত মানুষকে শহীদ হতে হয়েছে আর কত মা বোনকে দিতে হয়েছে তাদের ইজ্জত। আর লক্ষ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই বাংলাদেশ।  (আমাদের বাংলাদেশের সকল শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত – রচনা অবশ্যই পড়া উচিত)

জাতীয় সংগীতের গুরুত্ব

বাঙালি জাতির ইতিহাসে জাতীয় সংগীতের গুরুত্ব অপরিসীম। এই জাতীয় সংগীতে বাংলার আকাশ বাতাস সোনালী ফসল সবকিছুই তুলে ধরা হয়েছে ।এক কথায় বাংলাদেশের সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়েছে। এ জাতীয় সংগীতটি বাংলাদেশ রাষ্ট্রে সত্তিকার স্পিরিট ধারণ করে কারণ এই গানটি রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের সময় রচিত হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ   মাদকাসক্তি ও এর প্রতিকার রচনা ২০-৩০ পয়েন্ট সম্পর্কে জেনে নিন

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল মন্ত্র ছিল শান্তি এবং সোহার্দর আর সোনার বাংলা ছিল অলিখিত দৃশ্য কাব্য যা দখলমুক্ত করতে দুই লাখ নারী ধর্ষিত হয়েছেন এবং ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছ্। আমাদের জাতীয় সংগীত বিশ্বের সমস্ত জাতীয় সংগীত থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্য নিয়ে রচিত হয়েছে।

বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত রবীন্দ্রনাথের কোন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত

১৯০৫ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর বাংলা ১৩১২ বঙ্গাব্দের বাইশে ২২ ভাদ্র রবীন্দ্রনাথের স্বাক্ষরের সঞ্জীবনী পত্রিকায় গানটি মুদ্রিত বা প্রকাশিত হয়েছিল। (আমাদের বাংলাদেশের সকল শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত – রচনা অবশ্যই পড়া উচিত)

জাতীয় সংগীত ১০ লাইন

আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।

চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।

ওমা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রানে পাগল করে,

মরি হায়, হায় রে –

ওমা, অগ্রাণে তোর ভরা খেতে আমি কি দেখেছি মধুর হাসি।

কি শোভা, কে ছায়া গো, কি স্নেহ কি মায়া গো –

কি  আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কুলে কুলে।

মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মত,

মরি হায়, হায় রে,

মা, তোর বদনখানি মনিন হলে, ও মা, আমি নয়ন জলে ভাসি।

 (আমাদের বাংলাদেশের সকল শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত – রচনা অবশ্যই পড়া উচিত)

গাওয়ার জন্য জাতীয় সংগীত

আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।

চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।

ওমা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রানে পাগল করে,

মরি হায়, হায় রে –

ওমা, অগ্রাণে তোর ভরা খেতে আমি কি দেখেছি মধুর হাসি।

কি শোভা, কে ছায়া গো, কি স্নেহ কি মায়া গো –

কি  আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কুলে কুলে।

মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মত,

মরি হায়, হায় রে,

মা, তোর বদনখানি মনিন হলে, ও মা, আমি নয়ন জলে ভাসি।

বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত সম্পূর্ণ

আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।

চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।

ওমা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রানে পাগল করে,

মরি হায়, হায় রে –

ওমা, অগ্রাণে তোর ভরা খেতে আমি কি দেখেছি মধুর হাসি।

কি শোভা, কে ছায়া গো, কি স্নেহ কি মায়া গো –

কি  আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কুলে কুলে।

মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মত,

মরি হায়, হায় রে,

মা, তোর বদনখানি মনিন হলে, ও মা, আমি নয়ন জলে ভাসি।

তোমার এই খেলা ঘরে শিশুকাল কাটিলে রে,

তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাটি ধন্য জীবন  মানি।

তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কি দীপ জ্বালিস ঘরে,

মরি হায়, হায় রে-

তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি।।

ধেনু – চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়া ঘাটে,

সারাদিন পাখি -ডাকা ছায়ায় ঢাকা তোমার পল্লী বাটে,

তোমার ধানে – ভরা আঙ্গিনাতে জীবনের দিন কাটে,

মরি হায় ,হায় রে-

ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষী।।

ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে –

দে গো তোর পায়ের ধুলা, সে যে আমার মাথায় মানিক হবে।

ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণ তলে,

মরি হায়, হায় রে –

আমি পরের ঘরে কিনবো না আর, মা, তোর ভূষণ ব’লে গলার ফাঁসি।

উপসংহার

পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, প্রত্যেকটি স্বাধীন দেশের রয়েছে নিজস্ব সার্বভৌমত্ব এবং একটি স্বাধীন পতাকা এবং রয়েছে তাদের নিজস্ব জাতীয় সংগীত বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাংলাদেশের  মাটির সাথে মিশে রয়েছে। আমাদের এই প্রাণীর সংগীতকে আমরা সবাই ভালোবাসি এমন একটি জাতীয় সংগীত পেয়ে আমরা সবাই গর্বিত।  (আমাদের বাংলাদেশের সকল শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত – রচনা অবশ্যই পড়া উচিত)

Rate this post