যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের সাংবিধানিক উল্লেখপূর্বক লিখিত ও অলিখিত সংবিধানের মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা করুন।

বাংলাদেশের সাংবিধানিক চর্চায় সাংবিধানিক রেওয়াজরীতি উদ্ভাবনের কোন সুযোগ আছে কি? 


সুপ্রীম কোর্টের বিচারক নিয়োগ কর্তৃক বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শ করার বর্তমান অভ্যাসের প্রকৃতি কি?


সংবিধান হলাে বিশ্বের সকল স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের চালিকা শক্তি। একটি দলিল যা কোন রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্ম্পক নির্ণয় করে এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহারের ও বণ্টনের নীতি নির্ধারণ করে। সংবিধানকে রাষ্ট্রের দর্পণ বা আয়নাস্বরূপ বলা হয়। সংবিধানে নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য, শাসকের ক্ষমতা এবং নাগরিক ও শাসকের সম্পর্ক কিরূপ হবে তা সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ থাকে। Woolsey মতে “Constitution is the collection of principles according to which the powers of government , the rights of the governed and relation between the two are adjusted”. অন্যকথায়, সংবিধানকে রাষ্ট্রের মৌলিক দলিলও বলা হয়ে থাকে। কারণ সংবিধান রাষ্ট্রে যেমন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে, তেমনি নাগরিকদের সকল অধিকার সংরক্ষণ করে এবং জনগণের সাথে সরকারের সম্পর্ক কি তা স্থির করে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক অ্যারিস্টটল বলেন, সংবিধান হলো এমন এক জীবনপদ্ধতি, যেটি রাষ্ট্র স্বয়ং বেছে নিয়েছে (The way of life the state has chosen for itself.)। প্রতিটি রাষ্ট্রের মূল ও অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হচ্ছে সংবিধান। সুতরাং প্রতিটি আধুনিক রাষ্ট্রের জন্য সংবিধান অপরিহার্য।

লিখিত সংবিধান

যে সংবিধান এক বা একাধিক দলিলে লিপিবদ্ধ থাকে তাকে লিখিত সংবিধান বলা হয়। গেটেলের(R G Gettel) ভাষায় “যখন কোন দলিলে সরকারী প্রশাসন ব্যবস্থার সকল মৌলিক নীতিগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে তখন তাকে লিখিত সংবিধান বলে।”লিখিত সংবিধানের বেশির ভাগ ধারা লিখিত থাকে বলে এটি জনগণের কাছে সুস্পষ্ট ও বোধমগ্য হয়। লিখিত সংবিধানে সাধারণত সংশোধন পদ্ধতি উল্লেখ থাকে বিধায় খুব সহজে পরিবর্তন বা সংশোধন করা যায় না। কিন্তু সমাজ প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। লিখিত সংবিধান পরিবর্তিত সমাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না। এ জন্য এটি কখনো কখনো প্রগতির অন্তরায় হিসেবে কাজ করে। তা ছাড়া অনেক সময় সংবিধান সংশোধনের জন্য জনগণ বিপ্লব করতে বাধ্য হয়। লিখিত সংবিধান স্থিতিশীল বিধায় শাসক তাঁর ইচ্ছামতো এটি পরিবর্তন বা সংশোধন করতে পারেন না। বাংলাদেশ, ভারত, আমেরিকা, ফ্রান্স প্রভৃতি রাষ্ট্রের সংবিধান লিখিত। লিখিত সংবিধানের অধিকাংশ অংশ লিখিত।

অলিখিত সংবিধান

অলিখিত সংবিধান কোন নির্দিষ্ট দলিলে লিপিবদ্ধ থাকে না। এই ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের শাসন সম্পর্কিত বিষয়াদি প্রচলিত প্রথা, রীতিনীতি, দেশাচার এবং বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্তের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে। তবে অলিখিত সংবিধানের কিছু অংশ লিখিত থাকতে পারে। এ ধরনের সংবিধান প্রথা ও রীতি-নীতিভিত্তিক, চিরাচরিত নিয়ম ও আচার-অনুষ্ঠানের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে। অধ্যাপক ফাইনারের মতে, “যেখানে আইন প্রণেতাগণ সংবিধানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন নি এবং এর ফলে সাংবিধানিক আইনকে অন্য প্রকার আইন থেকে পৃথক করা যায় না, তখন তাকে অলিখিত সংবিধান বলা হয়।” যুক্তরাজ্যের সংবিধানকে অলিখিত সংবিধান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। 


লিখিত ও অলিখিত সংবিধানের পার্থক্য

[Distinction between Written and Unwritten Constitution]

সাধারণত যুক্তরাজ্যের সংবিধান অলিখিত। গ্রেট ব্রিটেনের সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছ প্রচলিত প্রথা বা প্রথাগত বিধান। প্রথাগত বিধানকে ব্রিটেনের সংবিধানের কেন্দ্র ও আত্মা বলা হয়। প্রথাগুলো আইন নয়, কিন্তু আইনের মত মান্য করা হয়। কিন্তু যারা শাসন পদ্ধতির সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন, যারা রাজনৈতিক ক্ষমতা পরিচালনা করেন অথবা যারা সরকারের বিরোধিতা করেন তাঁরা সকলেই প্রথাগুলো মেনে চলেন। গ্রেট ব্রিটেনের রাজনীতির ক্ষেত্রে এ সকল সাধারণ নিয়ম। প্রথাগুলো এমন কতকগুলো বুঝাপড়া ও অভ্যাস যা সরকারী কর্তৃপক্ষের পারস্পরিক সম্পর্ক ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। গ্রেট ব্রিটেনের পার্লামেন্টের কার্যপদ্ধতি, পার্লামেন্ট ও মন্ত্রিপরিষদের সম্পর্ক, ক্যাবিনেটের কাজ ও রাজার ক্ষমতা প্রভৃতি বিষয়গুলো প্রথাগত বিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। যুক্তরাজ্যের সংবিধান অলিখিত হলেও এখানে বেশ কিছু লিখিত সাংবিধানিক দলিল আছে। যেমন, The Magna Carta 1215, The Petition of Rights 1628, The Bill of Rights 1689, The Great Act of Settlement 1701 ইত্যাদি

পক্ষান্তরে, লিখিত সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার অত্যাবশ্যকীয় মূলনীতিগুলো সুস্পষ্টভাবে লিখিত থাকে। যে সংবিধানে শাসনব্যবস্থা সংক্রান্ত মৌলিক নীতিসমূহের অধিকাংশ লিখিত থাকে তাকে লিখিত সংবিধান বলা হয়। শাসন সংক্রান্ত সকল বা অধিকাংশ মৌলিক নীতিসমূহ একটি বা কয়েকটি দলিলে লিপিবদ্ধ থাকতে পারে। লিখিত সংবিধান সাধারণত গণপরিষদ (Constitution Assembly) কনভেনশন (Convention) কর্তৃক প্রণীত ও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয়। এই সংবিধানের বিধানসমূহ রীতি- নীতি, প্রথা প্রভৃতির ভিত্তিতে গড়ে ওঠে না। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের সংবিধানের মত বাংলাদেশের সংবিধানও লিখিত ও সুস্পষ্ট। কারণ, এটি একটি বিশেষ দিনে (১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর) বিশেষ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পাশ করা হয়। বাংলাদেশ, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইত্যাদি দেশের সংবিধান লিখিত। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে ১১টি ভাগে ১৫৩টি অনুচ্ছেদ, ৭টি তফসিল ও ১টি প্রস্তাবনা রয়েছে। যা হোক, লিখিত ও অলিখিত সংবিধানের পার্থক্য নিচে উপস্থাপন করা হলো-

১. লিখিত সংবিধান প্রণয়ন ও আনুষ্ঠানিকভাবে তা ঘোষণা করে গণপরিষদ বা কনভেনশন। অপরদিকে অলিখিত সংবিধান বিবর্তনের মাধ্যমে প্রথা, আচার-ব্যবহার ও রীতি-নীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে।


২.লিখিত সংবিধানে সাংবিধানিক আইনসমূহ হচ্ছে সর্বোচ্চ আইন। সরকার সৃষ্ট আইন যদি সাংবিধানিক আইনের বিরোধী হয় তবে তা বাতিল হয়ে যায়।


৩. লিখিত সংবিধানে সাধারণ আইন এবং সাংবিধানিক আইনের মধ্যে পার্থক্য করা হয়। অপরপক্ষে অলিখিত সংবিধানে এরূপ কোন পার্থক্য করা হয় না।


৪. লিখিত সংবিধান পরিবর্তন বা সংশোধন করতে হলে ‘বিশেষ পদ্ধতি’ বা জটিল পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। লিখিত সংবিধান চরিত্রগতভাবে দুষ্পরিবর্তনীয় (rigid)। অপরদিকে অলিখিত সংবিধানের নিয়মকানুনগুলি পরিবর্তনের অনুসারে অলিখিত সংবিধান পরিবর্তিত ও সংশোধিত হয়ে থাকে। অলিখিত সংবিধান চরিত্রগতভাবে সুপরিবর্তনীয়(Flexible)।


৫. লিখিত সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন। সরকার সংবিধান অনুযায়ী কাজ করতে বাধ্য থাকে। অপরদিকে অলিখিত সংবিধান বা এর যেকোন অংশ যেকোন সময় সংশোধন  বা বাতিল করতে পারে।


৬. লিখিত সংবিধানে বিচার বিভাগের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়। অপরদিকে অলিখিত সংবিধানে আইন বিভাগের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়।


৭. লিখিত সংবিধান সুনিশ্চিত ও সুস্পষ্ট। অপরদিকে অলিখিত সংবিধান অনিশ্চিত ও অস্পষ্ট।


লিখিত ও অলিখিত সংবিধানের মধ্যে এরূপ পার্থক্য অনেকটা অবৈজ্ঞানিক, অযৌক্তিক ও অবাস্তব। অধ্যাপক গেটেলের মতে, “লিখিত ও অলিখিত সংবিধানের মধ্যে পার্থক্য মাত্রাগত, মূলগত নয়।” (One of degree rather than of kind)। কেননা, লিখিত সংবিধানেরও বহু অলিখিত অংশ থাকে যেগুলি প্রথা, আচার, ব্যবহার, রীতিনীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে। যেমন, আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসের কার্যপ্রণালী, দলপ্রথা, যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতের ক্ষমতা, ক্যাবিনেট প্রথা প্রভৃতির কথা সংবিধানে লিখিত নেই। এগুলি প্রথা ও রীতি-নীতির ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। অপরদিকে ব্রিটিশ সংবিধান অলিখিত হলেও ১২১৫ সালের মহাসনদ, ১৬৮৯ সালের অধিকার বিল, ১৯১১ ও ১৯৪১ সালের পার্লামেন্ট আইন প্রভৃতি লিখিত আইন সংবিধানে উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে রয়েছে।


সুতরাং লিখিত ও অলিখিত সংবিধানের মধ্যে যে পার্থক্য লক্ষ করা যায়, তা পরিমাণগত বা মাত্রাগত, মূলগত নয়। অলিখিত সংবিধানের যেমন অনেক লিখিত দিক রয়েছে, তেমনি লিখিত সংবিধানেরও অলিখিত দিক রয়েছে।

বাংলাদেশের সাংবিধানিক চর্চায় সাংবিধানিক রেওয়াজরীতি উদ্ভাবনের কোন সুযোগ


অলিখিত সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছ প্রচলিত প্রথা বা প্রথাগত বিধান। এই প্রথাকে সাংবিধানিক রেওয়াজরীতি বলে। প্রথাগত বিধানকে অলিখিত সংবিধানের কেন্দ্র ও আত্মা বলা হয়। প্রথাগুলো আইন নয়, কিন্তু আইনের মত মান্য করা হয় কিন্তু যারা শাসন পদ্ধতির সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন, যারা রাজনৈতিক ক্ষমতা পরিচালনা করেন অথবা যারা সরকারের বিরোধিতা করেন তাঁরা সকলেই প্রথাগুলো মেনে চলেন। গ্রেট ব্রিটেনের রাজনীতির ক্ষেত্রে এ সকল সাধারণ নিয়ম। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে লিখিতরূপে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। এই সংবিধান পার্লামেন্টের কার্যপদ্ধতি, পার্লামেন্ট ও মন্ত্রিপরিষদের সম্পর্ক, ক্যাবিনেটের কাজ ও সরকারের ক্ষমতা, জনগণ ও সরকারের মধ্যেকার সম্পর্ক প্রভৃতি বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ থাকে। রাষ্ট্র পরিচালনার প্রায় সব বিষয়ই সংবিধানে লিপিবদ্ধ করা আছে। তাই অন্য প্রথাগত বিধানের উপর নির্ভর করার প্রয়োজন পড়ে না। তাছাড়া সংবিধানের ৭, ৭খ, ২৬ অনুচ্ছেদে সাংবিধানিক সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে। এই কারণে বাংলাদেশের সাংবিধানিক চর্চায় সাংবিধানিক রেওয়াজরীতি উদ্ভাবনের কোন সুযোগ নেই। 


সুপ্রীম কোর্টের বিচারক নিয়োগ কর্তৃক বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শ করার বর্তমান অভ্যাসের প্রকৃতি


সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হবেন এবং প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগদান করবেন। এখানে প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শ করে অন্যান্য বিচারপতি নিয়োগ দেয়াটি রাষ্ট্রপতির সাংবিদানিক বাধ্যবাদকতা। এটি কোনভাবেই এড়াতে পারেন না তিনি। তবে কী উপায়ে তিনি প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শ করবেন তার কোন নির্দেশনা সংবিধানে নেই। সুপ্রীম কোর্টের একটি মামলার রায় থেকে আমরা এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পেয়ে থাকি। 


২০০৮ সালের ১৭ জুলাই বিএনপি আমলে বাদ পড়া ১০ বিচারকের পুনর্নিয়োগ মামলার রায়ে তৎকালীন বিচারপতি আবদুর রশীদ, বিচারপতি এস কে সিনহা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ও বিচারপতি সৈয়দ জিয়াউল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ অভিমত দিয়েছিলেন, ‘বিচারক নিয়োগে গাইডলাইনের অনুপস্থিতি বিনা উদ্দেশ্যে নয় বরং সুচিন্তিত হতে পারে। এর পরে একই মামলায় বিচারপতি এম এম রুহুল আমীন, বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম, বিচারপতি মোঃ তাফাজ্জাল ইসলাম, বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীন এবং বিচারপতি এম এ মতিন সমন্বয়ে গঠিত আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিচারক নিয়োগে প্রথমবারের মতো একটি গাইডলাইন করে দেন। এতে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতির পরামর্শ নেবেন এবং তাঁরা পরস্পর চিঠিপত্রের মাধ্যমে বা টেবিলে বসে পরামর্শ করতে পারেন।কিন্তু এই পরামর্শের প্রক্রিয়াকে অধিকতর স্বচ্ছ করতে তাদের মধ্যকার আলাপের রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে যাতে বিরোধ বা মতানৈক্য দেখা দিলে কোনো দ্ব্যর্থকতা ছাড়াই তা নিরসন করা যায়। (পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত অনুলিখন)


ক্রেডিট:

মুহাম্মদ আয়াজ আজাদ

এলএল.বি (অনার্স), প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয়

এলএল.এম, প্রথম শ্রেণিতে প্রথম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

Rate this post