বর্তমানকালে প্রত্যেক দেশের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে স্থায়ী সরকারী কর্মচারী বা আমলাগণ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন। সরকারী ক্ষেত্রে তাঁদের এই গুরুত্ব ও প্রভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে রাষ্ট্রীয় কাজকর্মের ক্ষেত্রে আমলাতন্ত্রের এত গুরুত্ব ছিল না। ইংল্যাণ্ডে ঊনবিংশ শতাব্দীতে আমলতন্ত্র বিশেষ স্বীকৃতি লাভ করে এবং উল্লেখযোগ্য রাজনীতিক আবিষ্কার হিসাবে বিবেচিত হয়। জার্মান সমাজতত্ত্ববিদ্ ওয়েবারের মতানুসারে আধুনিক রাষ্ট্রে প্রকৃত শাসন পরিচালনার উৎস দক্ষ, কুশলী ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন বিশাল পেশাদার কর্মীবাহিনীর মধ্যেই নিহিত আছে। জন স্টুয়ার্ট মিল তাঁর Representa tive Government গ্রন্থে বলেছেন: “The entire government is skilled employment.” বর্তমানে প্রকৃত প্রস্তাবে সরকারী কর্মচারীরাই শাসনকার্য পরিচালনা করেন। ফাইনার মন্তব্য করেছেন: “Though the legislature, the cabinet, the presidents may rule, the civil service administers.” হোয়ার তাঁর Parliaments and Politics গ্রন্থে বলেছেন: “That means that it cannot be undertaken by people who are ignorant or untrained; it will require professional and specialised skill and knowledge. Every government needs therefore civil service, its body of administrators, technicians, and clerical officers.” নিম্নলিখিত কারণ বা বিষয়গুলির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারী কর্মচারীদের গুরুত্ব অনুধাবন করা সহজ হয়।

(১) জনকল্যাণকর রাষ্ট্রের কার্যাবলীর বিস্তার:

ন্যূনতম কার্যসম্পাদনকারী ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী শাসনব্যবস্থার দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানকালে জনকল্যাণমূলক আদর্শের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের কল্যাণহস্ত মানবজীবনের সকল ক্ষেত্রে প্রসারিত। ঊনবিংশ শতাব্দীতে রাষ্ট্র ছিল পুলিশী রাষ্ট্র (Police State)। এই রাষ্ট্রের কার্যাবলী বৈদেশিক আক্রমণ থেকে দেশের নিরাপত্তা রক্ষা এবং আভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বিংশ শতাব্দীর বর্তমান রাষ্ট্র হল জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র (Welfare State)। এই রাষ্ট্রকে দেশ ও দেশবাসীর সামগ্রিক কল্যাণ সাধনে সর্বতোভাবে সক্রিয় হতে হয়। শিক্ষা-স্বাস্থ্য, কৃষি শিল্প প্রভৃতি সকল ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এর ফলে সরকারের দায়-দায়িত্ব ও কাজকর্মের পরিধি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় তত্ত্বগতভাবে এই দায়িত্ব মন্ত্রীদের উপর ন্যস্ত থাকে বটে, কিন্তু কার্যত এই সকল দায়িত্ব নির্বাহ বা কার্য সম্পাদনের ব্যাপারে সরকারী কর্মচারীদেরই মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করতে হয়। তাই সমাজকল্যাণকর আধুনিক কর্মমুখর রাষ্ট্রে সরকারী কার্যাবলীর পরিধি যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে মন্ত্রীদের পক্ষে সকল বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখা ততই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ বহু বিষয়ে বিচার-বিবেচনার দায়িত্ব সরকারী কর্মচারীদের উপর ন্যস্ত হচ্ছে। তার ফলে তাঁদের গুরুত্ব ও প্রভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অ্যালান বল তাঁর Modern Politics and Government গ্রন্থে বলেছেন: “. the increased functions of modern states have emphasized the roles and the size of modern bureaucracies. The regulatory fields of public health and policing have been joined by welfare functions such as education, and by those functions concerned with economic regulation and control.”

(২) রাজনীতিক শাসন কর্তৃপক্ষের জ্ঞানের অভাব:

পার্লামেন্টারী শাসনব্যবস্থায় কার্যত মন্ত্রিগণই শাসনকার্য পরিচালনা করেন। মন্ত্রিগণ নির্বাচিত হন চতুর রাজনীতিবিদ হিসাবে বা দলের উপর ব্যক্তিগত প্রভাবের ভিত্তিতে। অর্থাৎ প্রশাসনিক দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা মন্ত্রিত্ব লাভের ক্ষেত্রে যোগ্যতার মাপকাঠি হিসাবে বিবেচিত হয় না। এই কারণে রাষ্ট্রনৈতিক শাসন-বিভাগ (political executive) সাধারণত অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত হয়। পল অ্যাপলবি তাঁর Public Administration in India Report of a Survey শীর্ষক রচনায় মন্তব্য করেছেন: “The hallmark of democracy is dominance of government by politicians popularly oriented, chosen and accoun-table and those skilled in popular politics are inevitably and desirably amateurs in everything else,” আবার তত্ত্বগত জ্ঞান কোন মন্ত্রীর থাকলেও ব্যবহারিক জ্ঞান-বুদ্ধি অনেকেরই থাকে না। আধুনিক শাসনব্যবস্থা বিশেষভাবে জটিল। এবং এই কারণে সাধারণ জ্ঞান-বুদ্ধির অগম্য। এখনকার এই শাসনব্যবস্থা পরিচালনার জন্য কলা-কৌশলগত জ্ঞানের সঙ্গে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। শ্রীদুর্গাদাস বসু মন্তব্য করেছেন: “In the modern age government it is not only an art, but also a science, and to that extent a business for experts.” আধুনিক শাসনব্যবস্থা যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজন হল বিশেষীকৃত জ্ঞানের। মন্ত্রীদের বা আইনসভার সদস্যদের এই জ্ঞান সবসময় থাকে না। আমলারাই শাসনকার্যে এই বিশেষীকৃত জ্ঞান সরবরাহ করে থাকেন। এর ফলে, শাসনকার্য পরিচালনার ব্যাপারে রাষ্ট্রনৈতিক শাসকদের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বিশেষীকৃত জ্ঞানের অধিকারী আমলাদের উপর একান্তভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হয়। ফাইনার মন্তব্য করেছেন: “In a parliamentary Government, the minister must of necessity be a paramount amateur, and the civil servant a paramount expert.” আমলাদের পরামর্শ অনুসারে নীতি নির্ধারিত হয় ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং সমগ্র প্রশাসন যন্ত্রের উপর আমলাদের সামগ্রিক নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পায়। কেবল পার্লামেন্টারী শাসনব্যবস্থাতেই নয়, রাষ্ট্রপতি-শাসিত শাসনব্যবস্থাতেও আমলারাই বিচক্ষণতা, অভিজ্ঞতা ও কলা-কৌশলগত প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও পরামর্শ সরবরাহ করেন।

(৩) অরাজনীতিক প্রশাসকদের গুণগত উৎকর্ষ:

বর্তমানকালে সকল দেশেই উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মচারিগণ জ্ঞান-বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে মন্ত্রীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে শাসনব্যবস্থার পুরোভাগে অবস্থান করেন। স্থায়ী সরকারী কর্মচারিগণ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ব্যক্তিগত যোগ্যতা ও গুণগত উৎকর্ষের প্রমাণ দিয়ে দায়িত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত হন। ফলে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিগণই সরকার পরিচালনায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান। উন্নতমানের প্রশাসনিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তাঁরা সরকারী ক্ষেত্রে তাঁদের প্রাধান্যকে প্রতিষ্ঠিত করেন। মার্টন তাঁর Social Theory and Social Structure শীর্ষক গ্রন্থে বলেছেন: “The chief merit of bureaucracy is its technical efficiency, with a premium placed on precision, speed, expert control, continuity, discretion and optional returns on input.” এই সমস্ত কিছুর সামগ্রিক ফল হিসাবে প্রশাসনিক দক্ষতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।

(8) আমলারাই শাসনকার্যে নিরবচ্ছিন্নতা বজায় রাখেন:

সর্বোপরি প্রতিনিধিমূলক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকারী কর্মচারিগণই শাসনকার্যে নিরবচ্ছিন্নতা বজায় রাখেন। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় নির্দিষ্ট সময় অন্তর বা তার আগেই শাসকের পরিবর্তন হয়ে থাকে। কিন্তু শাসক পরিবর্তনের অন্তবর্তীকালীন সময় দেশের শাসনকার্য থেমে থাকতে পারে না। শাসনকার্যে নিরবচ্ছিন্নতা বজায় রাখা প্রয়োজন। স্থায়ী সরকারী কর্মচারিগণই শাসনব্যবস্থার নিরবচ্ছিন্নতা বজায় রাখেন এবং সর্বদা প্রশাসনিক কাঠামোকে অটুট রাখেন। এই গুরুদায়িত্বের ধারক ও বাহক হিসেবে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে তাঁদের গুরুত্ব অপরিসীম।

(৫) আমলারা সরকারী আইন, নীতি ও সিদ্ধান্ত কার্যকরী করেন:

আমলাদের সক্রিয় ও আন্তরিক সহযোগিতা ব্যতিরেকে আধুনিক সরকারের অস্তিত্ব বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। সরকারের আইন, শাসন ও বিচার বিভাগ যে সকল আইন বা নীতি প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সেগুলিকে বাস্তবে রূপায়িত করে সরকারী কর্মচারীবৃন্দ। এদের দিক থেকে দক্ষতা, সহযোগিতা ও আন্তরিকতার অভাব ঘটলে সরকারের মৌলিক উদ্দেশ্যসমূহ ব্যর্থ হতে বাধ্য। আপ্পাডোরাই বলেছেন: “For the problems of modern government are very complex, requiring for their efficient solutions a body of men who are trained for the job and who take to government service as a vocation for life.” সেইজন্য বর্তমানে আমলাতন্ত্রের গুরুত্ব যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। আমলাদের উদ্যোগ-উৎসাহ এবং অভিজ্ঞতা দক্ষতার উপর সরকারী উন্নয়নমূলক পরিকল্পনাসমূহের সাফল্য নির্ভরশীল। তাই ফাইনারের অভিমত হল যে বর্তমানে আমলাতন্ত্র প্রশাসনের উৎকর্ষ বিধান ত করেই, তা ছাড়া আমলাতন্ত্রের সাহায্য ছাড়া সরকারের অস্তিত্বই অসম্ভব। হার্বার্ট মরিসন মন্তব্য করেছেন: “Bureaucracy is the price of parliamentary democracy.”

(৬) অর্পিত ক্ষমতাপ্রসূত আইন প্রণয়ন:

বর্তমানে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে শাসন-বিভাগের দায়িত্ব ক্রমশ বাড়ছে। এবং এই দায়িত্ব চূড়ান্ত বিচারে আমলাদের উপরই এসে পড়ে। আমলারাই অর্পিত ক্ষমতাপ্রসূত আইন (delegated legislation) প্রণয়ন করে থাকেন। এখনকার কর্মমুখর রাষ্ট্রের জন্য বহু ও বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করতে হয়। আইনসভার পক্ষে সকল আইন বিস্তারিতভাবে প্রণয়ন করা সম্ভব হয় না। আইনসভা আইনের মূল কাঠামোটি তৈরি করে দেয়। আইনের ফাঁকগুলি পুরণের দায়িত্ব শাসন-বিভাগের উপর ন্যস্ত হয়। স্থায়ী সরকারী কর্মচারীরা শাসন-বিভাগের এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তাঁরা আইনের ব্যাখ্যা ও উপ-আইনের মাধ্যমে এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ ক্ষেত্রেও আমলাতন্ত্রের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

(৭) জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ:

আমলারা আভ্যন্তরীণ শাসনকার্য পরিচালনা করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিক দ্বন্দ্ব-বিবাদের মীমাংসা করেন। তাঁরা বিভিন্ন স্বার্থগোষ্ঠীর (Interest Group) পরস্পর-বিরোধী স্বার্থের সংঘাতের মধ্যে নিরপেক্ষ ভূমিকা গ্রহণ করেন এবং সমন্বয় সাধন করেন। বিভিন্ন চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী (Pressure Group), রাজনীতিক দল ও জনসাধারণের মধ্যে এবং বিভিন্ন রাজনীতিক ব্যবস্থার মধ্যে সংযোগ সাধনের ক্ষেত্রে আমলাতন্ত্রের ভূমিকার অপরিসীম গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এইভাবে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আমলাতন্ত্র কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে।

(৮) নীতি নির্ধারণ ও রূপায়ণ:

সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় রাজনীতিক শাসন কর্তৃপক্ষ (political (executive) সরকারের নীতি নির্ধারণ করেন এবং আমলারা সেই নীতিকে কার্যকর করেন। এই দু’ধরনের কাজের মধ্যে পার্থক্য করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়েছে। এবং উভয়বিধ দায়িত্ব সম্পাদনের ক্ষেত্রে আমলাদের ভূমিকা ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ছে। বল তাঁর Modern Politics and Government গ্রন্থে বলেছেন: “It is difficult to draw a hard and fast line between the policy-making of government and the implementation of these policies by professional administrators, and that increased functions of modern states have emphasised the roles and the size of modern bureaucracies.”

(৯) রাজনীতিক শাসকদের অভিজ্ঞতার অভাব:

নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিক প্রশাসকগণ ক্ষমতাসীন হন। এঁদের ক্ষমতা ও কার্যকাল জনসমর্থনের উপর নির্ভরশীল। তাই তাঁরা জনগণের মনোরঞ্জনের জন্য সতত আত্মনিয়োগ করেন। তাই প্রশাসনিক কাজকর্মে এঁরা মনোযোগ বা সময় দিতে পারেন না। কার্যকালের অনিশ্চয়তা ও রাজনীতিক উত্থান-পতনের কারণে এঁদের প্রশাসনিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থাকে না। এই সমস্ত কিছুর ফলশ্রুতি হিসাবে অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও বিচক্ষণতার ভিত্তিতে আমলারাই প্রশাসন ব্যবস্থার উপর সামগ্রিক কর্তৃত্ব কায়েম করেন।

উপসংহার: বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই আমলাতন্ত্রের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলিতে আমলাতন্ত্রের ভূমিকা অতিমাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আর্থনীতিক ক্ষেত্রে সংকট, দুর্বল দলব্যবস্থা, জাতিদাঙ্গা প্রভৃতি কারণে আমলাতন্ত্রের অপরিহার্যতা প্রতিপন্ন হয়েছে। ম্যাক্স ওয়েবার মন্তব্য করেছেন: “Bureaucratic administration is superior to any other form in precision, stability in the stringency of its discipline and its reliability.” সাম্প্রতিক অতীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অস্থির রাজনীতিক পরিস্থিতিতে রাজনীতিক কাঠামোর স্থায়িত্ব রক্ষা করেছে আমলাতন্ত্র। বল বলেছেন: “The bureaucracy may become an important stabilising force within the political system this may sometimes be an even more important function of bureaucracies in developing societies within tribal or ethnic divisions, poverty, lack of Industrialisation and a weakly structured party system.” প্রকৃত প্রস্তাবে বর্তমানে উন্নয়নমুখী ও জনকল্যাণমূলক শাসনব্যবস্থার ধারণা সম্প্রসারিত হয়েছে। এ ধরনের শাসনব্যবস্থার প্রয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে আমলাতন্ত্রের কাজকর্মের পরিধি ও গুরুত্ব বিশেষভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে আমলাতন্ত্রের ধারণা এবং বহুমুখী ও বহুবিধ কার্য সম্পাদনের ধারণা পরস্পরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। শিল্প-বাণিজ্য ও আনুষঙ্গিক আর্থনীতিক কার্যকলাপের প্রসার, সামাজিক ক্ষেত্রে জটিলতা বৃদ্ধি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যাদির বিস্তার প্রভৃতি বহুবিধ কারণে সরকারের দায়-দায়িত্ব বাড়ছে এবং সঙ্গে সঙ্গে আমলাতন্ত্রের গুরুত্বও বাড়ছে।

Rate this post