৬ থেকে ১৪ বছর বয়সি ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত করে জীবনযাত্রার এবং শিক্ষাগত মান বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট পাঠক্রম সমাপ্তির মহান প্রচেষ্টা হল সর্বশিক্ষা অভিযান।

সর্বশিক্ষা অভিযানের উদ্দেশ্য

[1] ২০০৩ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বিদ্যালয়ে ভরতি সুনিশ্চিত করা: নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (২০০৩ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে) সকল শিশুর জন্য (৫-১৪ বছর বয়সি) বিকল্প অথবা পরিপূরক বিদ্যালয় এবং পর্ষদ স্বীকৃত বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করা।

[2] ২০১০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করা: ২০১০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সমস্ত শিশু যাতে প্রথম-অষ্টম শ্রেণির বিদ্যালয় শিক্ষা (প্রাথমিক শিক্ষা) সম্পূর্ণ করতে পারে, তা নিশ্চিত করা।

[3] ২০১০ খ্রিস্টানদের মধ্যে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা: ২০১০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য -সহ নানা সামাজিক ব্যবধান দূর করা।

[4] বিদ্যালয়ে ধরে রাখা: ২০১০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সমস্ত শিশুকে বিদ্যালয়ে ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। ৬-১৪ বছর বয়সি যেসব ছেলেমেয়ে বিদ্যালয়ের অভাবে ভর্তি হতে পারে না অথবা স্কুল-ছুট তাদেরকে সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা।

দেশের সংবিধানের নীতি কে বাস্তবায়িত করার জন্য সর্বশিক্ষা অভিযান, দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে সুযোগ এনে দিয়েছে। কিন্তু ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে পৌছে আমরা দেখতে পাচ্ছি এত কিছু সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানের তেমন উন্নতি ঘটেছে। সব ছেলে মেয়ে ভর্তি সুনিশ্চিত করা যায়নি।

Rate this post