মুদালিয়র কমিশনের প্রস্তাবিত মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ভাষাশিক্ষার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছিল। কমিশন মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে দুটি ভাষা শেখার কথা বলেছিল। এর মধ্যে একটি হল মাতৃভাষা বা আঞ্চলিক ভাষা এবং অন্যটি হল নীচে প্রদত্ত ভাষা তালিকা থেকে যে-কোনাে একটি। যেমন- (১) হিন্দি (যাদের মাতৃভাষা হিন্দি নয়), (২) প্রাথমিক ইংরেজি (যারা পূর্বে ইংরেজি পড়েনি), (৩) ইংরেজি (যারা পূর্বে ইংরেজি পড়েছে), (৪) হিন্দি বাদে একটি আধুনিক ভারতীয় ভাষা, (৫) ইংরেজি বাদে একটি আধুনিক ইউরােপীয় ভাষা, (৬) একটি প্রাচীন ভাষা।

ভারতীয় শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি সাধারণ সমস্যা হল ভাষা শিক্ষার সমস্যা। সাধারণ ভারতীয় নাগরিকগণ আঞ্চলিক ভাষায় ভাবের আদান প্রদানে অভ্যস্ত হওয়ায়, কমিশন মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে মাতৃভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম …. Central Advisory Board of Education বা CABE-এর বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে আঞ্চলিক ভাষাগুলি ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়ক। তা ছাড়া ভারতের মতো বহুভাষিক রাষ্ট্র শিক্ষা ক্ষেত্রে ভাষার মধ্যে সমতা আনা খুবই দুরূহ বিষয়। তাই CABE-এর নির্দেশানুসারে মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন (১৯৫২-৫৩ খ্রি.) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য আলিক ভাষায় শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দান করে।

Rate this post