❋ তােমার কলেজে আয়ােজিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযােগিতা অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা বর্ণনা কর।

কলেজে আয়ােজিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযােগিতা অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা বর্ণন 

দিন আসে দিন যায়, মাস পেরিয়ে একসময় বছরও কেটে যায়– সতি-বিস্মৃতির দোলায় জীবনও থেমে থাকে না। সুখ-দুঃখকে বয়ে নিয়ে সেও ধেয়ে চলে। তার গন্তব্য কোথায় আমরা কেউ জানি না বলেই জীবনের আগামী দিনগুলাের অপেক্ষায় থাকি। কিন্তু ফেলে আসা দিনগুলাে কি ভােলা যায়? 

স্মৃতির পাতায় দাগ কেটে দেয় কিছু কথা, কিছু ব্যথা, সুখ, দুঃখ, আনন্দ অথবা কিছু মুহুর্ত অথবা পুরাে একটি দিন। এরকম একটা দিন আমার স্মৃতির পাতায় আজও উসুল হয়ে আছে। সেটি হলাে আমার কলেজে আয়ােজিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযােগিতা অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা। প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় এবারেও আমাদের কলেজে ক্রীড়া প্রতিযােগিতার আয়ােজন করা হয়েছিল। কলেজ সংসদের ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্বে এ আয়ােজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ততা ঘটে আমার। গতকাল সুষ্ঠু নিয়মশৃঙলার মধ্য দিয়ে সারা দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলেজের বিশাল মাঠ এ অনুষ্ঠান উপলকে মনােরমভাবে সজ্জিত হয়েছিল। 

সকাল ১০টার দিকে মাননীয় জেলা প্রশাসক অনুষ্ঠানটি উদ্বােধন করেছিলেন। প্রতিযােগী ও স্কাউটদের কুচকাওয়াজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রধান অতিথি পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন ঘােষণা করেন। তারপর শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান, অর্থাৎ, ক্রীড়া প্রতিযােগিতা। এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে কলেজের ক্রীড়া শিক্ষকের নির্দেশনায় শিক্ষার্থীরা দারুণভাবে আগ্রহী হয়ে উঠেছিল। 

সেজন্য মূল প্রতিযােগিতার পূর্বে সবাইকে বাছাইপর্ব পার করে আসতে হয়েছে। বাছাইপর্ব শুরু হয়েছিল আরাে একমাস আগে। অনেক শিক্ষার্থী বাছাইপর্বে বাদ পড়েছিল। বিভিন্ন দৌড়-ঝাপ, সাইকেল দৌড়, দ্রুত হাঁটা, লৌহগােলক নিক্ষেপ, চাকতি নিক্ষেপ এবং বর্শা নিক্ষেপসহ প্রায় পাঁচশটিরও বেশি খেলায় প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বিভিন্ন বিনোদন মূলক ব্যবস্থা দশকদের বিপুলভাবে আনন্দ দিয়েছে। এগুলাের মধ্যে দৌড় ও দীর্ঘ – লম্ফ  প্রতিযােগিতায় দ্বিতীয় স্থান এবং বর্শা নিক্ষেপ প্রতিযােগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলাম আমি। 

ক্রিয়া প্রতিযোগিতা শেষে অনুষ্ঠিত হলো পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। মাননীয় জেলা প্রশাসক সকালে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার পর বিশেষ কাজে চলে গিয়েছিলেন, কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পূর্বে তিনি আরেকবার এসে আমাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। মাননীয় অধ্যাপক তার সভাপতির বক্তব্যে ক্রীড়া প্রতিযােগিতার গুরুত্বের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরেন। সবশেষে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘােষণা করলেন। সেদিনের আনন্দ-ফুর্তিতে ভরা বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা কোনােদিনই ভুলবার নয়।

Rate this post