স্বদেশের উপকারে নাই যার মন কে বলে মানুষ তারে? পশু সেই জন। 

ভাব-সম্প্রসারণ : দেশপ্রেমহীন ব্যক্তিকে মানুষ বলা যায় না, তারা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট। পবিত্র হাদিসে আছে, ‘দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ। সংস্কৃত প্রবাদ : ‘জননীশ্চজন্মভূমি স্বর্গাদপী গরীয়সা। তাই মানবগম শ্রেষ্ঠতম কর্তব্য এই দেশপ্রেম। যে যেদেশে জনুগ্রহণ করে, সে সেই দেশকে মায়ের মতাে ভালােবাসে, আর এই ভালােবাসা প্রকাশ পায় মাতৃভূমির কল্যাণ কামনায়। নিজের জন্মভূমিকে যারা ভালােবাসে না, তারা নরাধম, তাদের তুলনা চলে কেবল পণ্ডর সঙ্গে। দেশপ্রেম বর্জিত এসব মানুষ নামধারী ব্যক্তি পশুর সমতুল্যই বটে । মানুষ নিজের মাতৃভূমিকে অন্য যেকোনাে দেশের চেয়ে প্রিয় ও শ্রেষ্ঠ বিবেচনা করে। তাই সে মাতৃভূমির জন্য জীবন দিতেও কুণ্ঠাবােধ করে না। নিজের দেশ ছেড়ে মানুষ অন্য কোথাও বসবাস করতে চায় না। কখনাে বিদেশে গেলে স্বদেশের জন্য তার মন কাদে। প্রাণের চেয়েও প্রিয় যে জন্মভূমি তার উন্নতি ও কল্যাণের জন্য মানুষ সর্বদা কাজ করে যাবে- এটিই স্বাভাবিক। দেশপ্রেমিক মানুষের প্রধান কাজ নিজের কল্যাণের পাশাপাশি দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে নিয়ােজিত রাখা। তারা দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত থাকেন। দেশের কল্যাণের জন্য তাঁরা নিবেদিত প্রাণ। মানুষের এই দেশপ্রেমের বৈশিষ্ট্য যার মধ্যে থাকে না, তাকে প্রকৃত মানুষ বলা যায় না। দেশাত্মবােধহীন মানুষ পশুর মতাে বিবেকহীন। তাই তাকে পশুর সঙ্গে তুলনা করা চলে।

দেশপ্রেমিক ব্যক্তিরা মহান। তারা দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি মমতার বন্ধনে আবদ্ধ থাকেন। স্বদেশপ্রেমের বশবর্তী হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য নিজের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিতে তারা কখনাে পিছপা হন না ।

Rate this post