কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ব্যথার দান । বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ও গল্পগ্রন্থ - "ব্যাথার দান"(১৯২২)। কিন্তু তার প্রকাশিত প্রথম রচনা ও গল্প হলো - "বাউন্ডুলের আত্মকাহিনী" যা ১৯১৯ সালে "সওগাত " পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। "অগ্নিবীণা" তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ এবং "রাজবনRead more
কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ব্যথার দান ।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ও গল্পগ্রন্থ – “ব্যাথার দান”(১৯২২)। কিন্তু তার প্রকাশিত প্রথম রচনা ও গল্প হলো – “বাউন্ডুলের আত্মকাহিনী” যা ১৯১৯ সালে “সওগাত ” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। “অগ্নিবীণা” তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ এবং “রাজবন্দীর জবানবন্দি” তার প্রবন্ধগ্রন্থ। আর “নবযুগ” তার সম্পাদিত পত্রিকা।
See less
জন্মদিনে আজান হয় মৃত্যুদিনে নামাজ হয় এর অর্থটা কী?
প্রথম কথা হচ্ছে, এমন কোনো উক্তি কোরআন বা হাদিসে কোথাও পাই নি। এবং এটি আপাতদৃষ্টিতে কোরআন ও হাদিসের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। তবে উক্তিটি বেশ প্রজ্ঞাসিদ্ধ ও তাৎপর্যপূর্ণ। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে এই পার্থিব জীবনটা কত সংক্ষিপ্ত এটা বুঝানো। অর্থাৎ আযান ও জামাতে নামাযের মাঝে ব্যবধান যেমন মাত্র কয়েক মিনিট; (আমাRead more
প্রথম কথা হচ্ছে, এমন কোনো উক্তি কোরআন বা হাদিসে কোথাও পাই নি। এবং এটি আপাতদৃষ্টিতে কোরআন ও হাদিসের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। তবে উক্তিটি বেশ প্রজ্ঞাসিদ্ধ ও তাৎপর্যপূর্ণ। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে এই পার্থিব জীবনটা কত সংক্ষিপ্ত এটা বুঝানো। অর্থাৎ আযান ও জামাতে নামাযের মাঝে ব্যবধান যেমন মাত্র কয়েক মিনিট; (আমাদের দেশে আযান ও নামাযের ব্যবধান হয় সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট) আমাদের জীবনকালও তেমনি সামান্য সময়ের; কখন ফুরিয়ে যাবে কেউ জানে না। তাই আল্লাহর ইবাদতে এবং ভাল কাজে সময়ের যথাযথ ব্যবহার করা উচিত। সময় একদম অপচয় করা বৈধ না।
নবজাতকের কানে আজান দেওয়ার কারণ
জন্মের পর নবজাতককে গোসল দেওয়া, ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেওয়া সুন্নাত। এতে রয়েছে নবজাতকের অনেক কল্যাণ ও উপকারিতা। হাদিস থেকেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়-
হজরত হাসান বিন আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যার সন্তান হয়, তারপর লোকটি সন্তানের ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেয়; তাহলে তাকে ‘উম্মুস সিবয়ান’ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না।’ (বায়হাকি, আল-আজকার লিননববি)
জন্মের সঙ্গে সঙ্গে সন্তান-সন্তুতির কানে আজান ও ইকামত দেওয়ার অন্যতম কারণ হলো, আজান-ইকামতের মাধ্যমে নবজাতকের কানে মহান আল্লাহর পবিত্র নাম, তাওহিদ ও রেসালাতের ঘোষণা পৌঁছে দেওয়া হয়। ফলে নবজাতকের হৃদয় ও মস্তিষ্কে ঈমানের আওয়াজ পৌঁছে। আর শয়তানের আক্রমণ থেকেও নিরাপদ থাকে নবজাতক।
ইসলামিক স্কলারদের মতে
অধিকাংশ সময় নবজাতক থেকে শুরু করে সন্তান-সন্তুতি বড় হয়ে গেলেও তারা খারাপ জ্বিন কিংবা শয়তানের বদ-নজর থেকে মুক্ত হতে পারে না। এ কারণে জন্মের সময় কারো কানে আজান-ইকামত দেওয়া না হলে পরে হলেও আজান ও ইকামত দেওয়া জরুরি। আর তাতে শয়তান ও মন্দ জ্বিনের প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়া যায়।
মৃত্যুর পর জানাজার নামাজ পড়ার কারণ
কোনো মুসলমান মারা গেলে জানাজার নামাজ আদায় করার পর তাকে দাফন করা হয়। জানাজার নামাজ ফরজে কেফায়া তথা সমগ্রিক ফরজ। যদি সমাজের একদল মানুষ মৃত ব্যক্তির জানাজা আদায় করে, তবে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যাবে। আর কেউ তা আদায় না করলে সবাই গুনাহগার হবে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি মৃতের জন্য সালাত আদায় করা পর্যন্ত জানাজায় উপস্থিত থাকবে, তার জন্য এক কিরাত, আর যে ব্যক্তি মৃতের দাফন হয়ে যাওয়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকবে তার জন্য দুই কিরাত। জিজ্ঞাসা করা হলো দুই কিরাত কী? তিনি বললেন, দুটি বিশাল পর্বত সমতুল্য (সওয়াব)।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৩২৫)জানাজা নামাজের রহস্য
জানাজার নামাজের প্রতি ইসলাম এত বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কিছু অন্তর্নিহিত কারণ আছে।
যা নিম্নে বর্ণনা করা হলো।১. মৃত ব্যক্তির জন্য সুপারিশ : পৃথিবীর নিয়ম হলো, যখন কোনো ব্যক্তি কোনো রাজদরবারে নতুন আগমন করে, তখন তাঁর জন্য উপস্থিত ব্যক্তিরা বিনয়ের সঙ্গে সুপারিশ করতে থাকে। যেন আগত ব্যক্তির জন্য উত্তম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তেমনি কোনো মুসলমান যখন পৃথিবী ছেড়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হয়, তখন মুমিনরা জানাজার মাধ্যমে তাঁর পরকালীন জীবনের কল্যাণ কামনা করে।
আল্লাহর দরবারে মুমিনের এই সুপারিশের বিশেষ মূল্য আছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোনো মুসলিম মারা গেলে, তার জানাজায় যদি এমন ৪০ জন দাঁড়িয়ে যায়, যারা আল্লাহর সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক করে না, তবে মহান আল্লাহর তার অনুকূলে তাদের প্রার্থনা কবুল করেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২০৮৮)২. আল্লাহর সুসংবাদ লাভ : হাকিমুল উম্মত আল্লামা আশরাফ আলী থানবি (রহ.) বলেন, ‘মানুষের আত্মা দেহ ত্যাগ করার পরও অভ্যন্তরীণ ইন্দ্রিয়গুলো সঙ্গে সঙ্গে অক্ষম হয় না; বরং তাতে অনুভূতি অবশিষ্ট থাকে। জাগতিক জীবনে অর্জিত জ্ঞানও তাঁর সঙ্গে থাকে। এই সময় ঊর্ধ্বজগৎ থেকে তার প্রতি এক ধরনের জ্ঞান ও বার্তা অবতীর্ণ হয়।
যার ভিত্তিতে সে শাস্তি বা প্রশান্তি অনুভব করে। এই সময় যদি আল্লাহর বান্দারা তার জন্য দোয়া করতে থাকে, মৃত ব্যক্তির জন্য সদকা করে, তবে মৃত ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে উপকারী জ্ঞান ও বার্তা লাভ করে। (যুক্তির আলোকে শরয়ি আহকাম, পৃষ্ঠা ১১০)৩. আমৃত্যু ভ্রাতৃত্ব : পৃথিবীতে মুমিনের সঙ্গে মুমিনের ভ্রাতৃত্ব আমৃত্যু। মৃত্যুর পরও তা অটুট থাকে এবং ভাই হিসেবে তার অধিকার শেষ হয়ে যায় না। এ জন্য নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের অধিকার পাঁচটি। তা হলো—১. সালামের উত্তর দেওয়া, ২. অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজখবর নেওয়া, ৩. জানাজার অনুসরণ করা, ৪. দাওয়াত কবুল করা, ৫. হাঁচির উত্তর দেওয়া। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১২৪০)
৪. ক্ষমার শিক্ষা : জানাজার নামাজে দাঁড়িয়ে মুমিন ব্যক্তি সবার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। যা তাকে পারস্পরিক ক্ষমার শিক্ষা দেয়। বিশেষত মৃত ব্যক্তির প্রতি যেন তার মনে কোনো ক্ষোভ ও কষ্ট ধরে না রাখে। জানাজায় সে পাঠ করে, ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের জীবিত ও মৃত, উপস্থিত ও অনুপস্থিত, ছোট ও বড়, পুরুষ ও নারী সবাইকে ক্ষমা করে দিন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৪৯৮)
৫. মৃত্যুর স্মরণ : জানাজায় উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে জীবিত ব্যক্তিদের ভেতর মৃত্যুর স্মরণ জাগ্রত হয়। আর মৃত্যুর স্মরণ মানুষকে পাপ থেকে বিরত রাখে। বারা (রা.) বলেন, ‘আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে এক জানাজায় উপস্থিত ছিলাম। তিনি কবরের কিনারে বসে কাঁদলেন, এমনকি তাঁর চোখের পানিতে মাটি ভিজে গেল। অতঃপর তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়েরা, তোমাদের অবস্থাও তার মতোই হবে, সুতরাং তোমরা প্রস্তুতি গ্রহণ কোরো।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪১৯৫)
আল্লাহ সবাইকে উত্তম জীবন দান করুন। আমিন
জন্মের পর শিশুর কানে আজান কে দেবে?
আজানের জন্য মসজিদ থেকে মুয়াজ্জিন ডেকে আনতে হবে না, যে কেউ দিতে পারবে। এমনকি মহিলারাও। মহিলা নাপাক থাকলেও সমস্যা নেই। এমনকি প্রসূতি নিজেও দিতে পারবে। ছেলে হলে আজান দেওয়া আর মেয়ে হলে ইকামত দেওয়ার প্রচলন ভুল। আবার আজান শিশুর কানে না দিয়ে ঘরের বাইরে দেওয়া হয়, এটাও ভুল প্রথা। ছেলে বা মেয়ে জন্মের পর ডানকাRead more
আজানের জন্য মসজিদ থেকে মুয়াজ্জিন ডেকে আনতে হবে না, যে কেউ দিতে পারবে। এমনকি মহিলারাও। মহিলা নাপাক থাকলেও সমস্যা নেই। এমনকি প্রসূতি নিজেও দিতে পারবে। ছেলে হলে আজান দেওয়া আর মেয়ে হলে ইকামত দেওয়ার প্রচলন ভুল। আবার আজান শিশুর কানে না দিয়ে ঘরের বাইরে দেওয়া হয়, এটাও ভুল প্রথা। ছেলে বা মেয়ে জন্মের পর ডানকানে আজান ও বামকানে ইকামত দিতে হবে। মৃদু ও সহনীয় আওয়াজে আজান ও ইকামত দেওয়া উত্তম।
১. হজরত হাসানের কানে নবীজির আজান : শিশু জন্মের পর কানে আজান দেওয়া সুন্নত। তিরমিজি শরিফে হজরত আবু রাফে সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলকে (সা) দেখেছি, হজরত ফাতিমার গর্ভে হাসানের (রা) জন্ম হলে রাসুল (সা) নামাজের আজানের মতো হাসানের কানে আজান দিয়েছেন। হজরত হাসান ইবনে আলী সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা) বলেছেন, নবজাতক জন্ম নিলে ডানকানে আজান ও বামকানে ইকামত দেবে। ফলে মাতৃকা রোগ শিশুকে আক্রান্ত করতে পারবে না। বায়হাকি শরিফ
খ.শিশুর হৃদয় পবিত্র করবে : জন্মের পর আল্লাহর পবিত্র নাম শিশুর হৃদয় পবিত্র করবে। বিশ্বাসের ডানা প্রসারিত হবে। শয়তানের প্ররোচণা থেকে নিরাপদ থাকবে। শয়তান শিশুর মন-মেজাজ পরিবর্তনের আগেই আল্লাহ নামে সে শান্ত হয়ে যায়। তরবিয়াতে আওলাদ ফিল ইসলাম।
See lessছেলে সন্তান হলে আযান দিতে হয় কেন?
কন্যা সন্তানের কানে আজান ও সেবা-যত্ন নিয়ে অবহেলা নয় নিয়ম হলো, সন্তান ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক- ভূমিষ্ট হওয়ার পর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেওয়া। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, অনেকেই ছেলে সন্তান হলেই কেবল কানে আজান ইকামত দেয় কিন্তু মেয়ে সন্তান হলে আজান ইকামত দেয় না কিংবা শুধু আজান দেয়- ইকামতRead more
কন্যা সন্তানের কানে আজান ও সেবা-যত্ন নিয়ে অবহেলা নয়
নিয়ম হলো, সন্তান ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক- ভূমিষ্ট হওয়ার পর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেওয়া। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, অনেকেই ছেলে সন্তান হলেই কেবল কানে আজান ইকামত দেয় কিন্তু মেয়ে সন্তান হলে আজান ইকামত দেয় না কিংবা শুধু আজান দেয়- ইকামত দেয় না।
নিয়ম হলো, সন্তান ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক- ভূমিষ্ট হওয়ার পর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেওয়া।
.
কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, অনেকেই ছেলে সন্তান হলেই কেবল কানে আজান ইকামত দেয় কিন্তু মেয়ে সন্তান হলে আজান ইকামত দেয় না কিংবা শুধু আজান দেয়- ইকামত দেয় না।
এমন বৈষম্যমূলক চিন্তা ও কাজ ইসলামি শরিয়ত অনুমোদন করে না। এ ক্ষেত্রে ছেলে সন্তান বা মেয়ে সন্তানের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই।
আবার অনেকেই এই আমলটির ব্যাপারে পুরোই অবহেলা করেন; এটাও অনুচিত।
কন্যা সন্তান হলে আজান ইকামত না দিয়ে এক ধরনের অসন্তুষ্টির কথা পরোক্ষভাবে প্রকাশ করা হয়। যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। এমন চিন্তা জাহেলি যুগের চিন্তা। যে যুগে কন্যা সন্তানের পিতা হওয়া ছিল ভীষণ লজ্জার বিষয়।
তাদের ওই অবস্থা তুলে ধরে কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আর যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেওয়া হয় তখন তার চেহারা কালো হয়ে যায় এবং অসহ্য মনস্তাপে ক্লিষ্ট হতে থাকে। তাকে শুনানো সুসংবাদের দুঃখে সে লোকদের কাছ থেকে চেহারা লুকিয়ে রাখে। সে ভাবে, অপমান সহ্য করে তাকে রাখবে, না মাটির নিচে পুঁতে ফেলবে। শুনে রাখ, তাদের ফয়সালা খুবই নিকৃষ্ট।’ -সূরা নাহল: ৫৮-৫৯
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যা সন্তানকে জিজ্ঞাসা করা হবে, কী অপরাধে তাকে হত্যা করা হলো।’ -সূর ইনফিতার: ৮-৯
এটা ছিল ইসলামপূর্ব জাহেলি যুগের চিত্র। কিন্তু বর্তমান সময়! বর্তমান যুগ! এ তো শিক্ষা-দীক্ষার যুগ! সভ্যতার যুগ! বিজ্ঞান-প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতার যুগ! এরপরও মানুষ কেন কন্যা সন্তানের জন্মে এমন আচরণ করবে?
দেখুন, সন্তান দেওয়া, না দেওয়া, কিংবা মেয়ের পরিবর্তে ছেলে বা ছেলের পরিবর্তে মেয়ে সন্তান প্রসবে এখতিয়ার কোনো মায়ের নেই। এ বিষয়ে পূর্ণ এখতিয়ার ও ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।
এর পরও যদি কোনো হতভাগা কন্যা সন্তান জন্মের অপরাধে নারী নির্যাতন করে, কন্যা শিশুর সেবা-যত্নে অবহেলা করে- তাহলে সে নিশ্চয়ই আল্লাহর সামনে অপরাধী হিসেবে উত্থিত হবে।
শিশুর কানে আজান দেবে কে?
১. হজরত হাসানের কানে নবীজির আজান : শিশু জন্মের পর কানে আজান দেওয়া সুন্নত। তিরমিজি শরিফে হজরত আবু রাফে সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলকে (সা) দেখেছি, হজরত ফাতিমার গর্ভে হাসানের (রা) জন্ম হলে রাসুল (সা) নামাজের আজানের মতো হাসানের কানে আজান দিয়েছেন। হজরত হাসান ইবনে আলী সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা) বলেছেন, নবজাতক জন্ম নিলে ডানকানে আজান ও বামকানে ইকামত দেবে। ফলে মাতৃকা রোগ শিশুকে আক্রান্ত করতে পারবে না। বায়হাকি শরিফ
খ.শিশুর হৃদয় পবিত্র করবে : জন্মের পর আল্লাহর পবিত্র নাম শিশুর হৃদয় পবিত্র করবে। বিশ্বাসের ডানা প্রসারিত হবে। শয়তানের প্ররোচণা থেকে নিরাপদ থাকবে। শয়তান শিশুর মন-মেজাজ পরিবর্তনের আগেই আল্লাহ নামে সে শান্ত হয়ে যায়। তরবিয়াতে আওলাদ ফিল ইসলাম।
আজান দেবে কে? : ছেলে বা মেয়ে জন্মের পর ডানকানে আজান ও বামকানে ইকামত দিতে হবে। মৃদু ও সহনীয় আওয়াজে আজান ও ইকামত দেওয়া উত্তম। আজানের জন্য মসজিদ থেকে মুয়াজ্জিন ডেকে আনতে হবে না, যে কেউ দিতে পারবে। এমনকি মহিলারাও। মহিলা নাপাক থাকলেও সমস্যা নেই। এমনকি প্রসূতি নিজেও দিতে পারবে। ছেলে হলে আজান দেওয়া আর মেয়ে হলে ইকামত দেওয়ার প্রচলন ভুল। আবার আজান শিশুর কানে না দিয়ে ঘরের বাইরে দেওয়া হয়, এটাও ভুল প্রথা।
See lessমেয়ে সন্তান হলে আযান দিতে হয় কেন?
সন্তান ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক- ভূমিষ্ট হওয়ার পর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেওয়া। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, অনেকেই ছেলে সন্তান হলেই কেবল কানে আজান ইকামত দেয় কিন্তু মেয়ে সন্তান হলে আজান ইকামত দেয় না কিংবা শুধু আজান দেয়- ইকামত দেয় না। নিয়ম হলো, সন্তান ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক- ভূমিষ্ট হRead more
সন্তান ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক- ভূমিষ্ট হওয়ার পর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেওয়া। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, অনেকেই ছেলে সন্তান হলেই কেবল কানে আজান ইকামত দেয় কিন্তু মেয়ে সন্তান হলে আজান ইকামত দেয় না কিংবা শুধু আজান দেয়- ইকামত দেয় না।
নিয়ম হলো, সন্তান ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক- ভূমিষ্ট হওয়ার পর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেওয়া।
কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, অনেকেই ছেলে সন্তান হলেই কেবল কানে আজান ইকামত দেয় কিন্তু মেয়ে সন্তান হলে আজান ইকামত দেয় না কিংবা শুধু আজান দেয়- ইকামত দেয় না।
এমন বৈষম্যমূলক চিন্তা ও কাজ ইসলামি শরিয়ত অনুমোদন করে না। এ ক্ষেত্রে ছেলে সন্তান বা মেয়ে সন্তানের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই।
আবার অনেকেই এই আমলটির ব্যাপারে পুরোই অবহেলা করেন; এটাও অনুচিত।
কন্যা সন্তান হলে আজান ইকামত না দিয়ে এক ধরনের অসন্তুষ্টির কথা পরোক্ষভাবে প্রকাশ করা হয়। যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। এমন চিন্তা জাহেলি যুগের চিন্তা। যে যুগে কন্যা সন্তানের পিতা হওয়া ছিল ভীষণ লজ্জার বিষয়।
তাদের ওই অবস্থা তুলে ধরে কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আর যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেওয়া হয় তখন তার চেহারা কালো হয়ে যায় এবং অসহ্য মনস্তাপে ক্লিষ্ট হতে থাকে। তাকে শুনানো সুসংবাদের দুঃখে সে লোকদের কাছ থেকে চেহারা লুকিয়ে রাখে। সে ভাবে, অপমান সহ্য করে তাকে রাখবে, না মাটির নিচে পুঁতে ফেলবে। শুনে রাখ, তাদের ফয়সালা খুবই নিকৃষ্ট। ’ -সূরা নাহল: ৫৮-৫৯
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যা সন্তানকে জিজ্ঞাসা করা হবে, কী অপরাধে তাকে হত্যা করা হলো। ’ -সূর ইনফিতার: ৮-৯
এটা ছিল ইসলামপূর্ব জাহেলি যুগের চিত্র। কিন্তু বর্তমান সময়! বর্তমান যুগ! এ তো শিক্ষা-দীক্ষার যুগ! সভ্যতার যুগ! বিজ্ঞান-প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতার যুগ! এরপরও মানুষ কেন কন্যা সন্তানের জন্মে এমন আচরণ করবে?
দেখুন, সন্তান দেওয়া, না দেওয়া, কিংবা মেয়ের পরিবর্তে ছেলে বা ছেলের পরিবর্তে মেয়ে সন্তান প্রসবে এখতিয়ার কোনো মায়ের নেই। এ বিষয়ে পূর্ণ এখতিয়ার ও ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।
এর পরও যদি কোনো হতভাগা কন্যা সন্তান জন্মের অপরাধে নারী নির্যাতন করে, কন্যা শিশুর সেবা-যত্নে অবহেলা করে- তাহলে সে নিশ্চয়ই আল্লাহর সামনে অপরাধী হিসেবে উত্থিত হবে।
See lessমানুষের জন্ম গ্রহণের পর তার কানে আজান দেওয়া হয় কেন ?
নিয়ম হলো, সন্তান ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক- ভূমিষ্ট হওয়ার পর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেওয়া। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, অনেকেই ছেলে সন্তান হলেই কেবল কানে আজান ইকামত দেয় কিন্তু মেয়ে সন্তান হলে আজান ইকামত দেয় না কিংবা শুধু আজান দেয়- ইকামত দেয় না। এমন বৈষম্যমূলক চিন্তা ও কাজ ইসলামি শরিয়ত অRead more
নিয়ম হলো, সন্তান ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক- ভূমিষ্ট হওয়ার পর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেওয়া।
কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, অনেকেই ছেলে সন্তান হলেই কেবল কানে আজান ইকামত দেয় কিন্তু মেয়ে সন্তান হলে আজান ইকামত দেয় না কিংবা শুধু আজান দেয়- ইকামত দেয় না।
এমন বৈষম্যমূলক চিন্তা ও কাজ ইসলামি শরিয়ত অনুমোদন করে না। এ ক্ষেত্রে ছেলে সন্তান বা মেয়ে সন্তানের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই।
আবার অনেকেই এই আমলটির ব্যাপারে পুরোই অবহেলা করেন; এটাও অনুচিত।
ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুযায়ী নবজাতকের ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেওয়া সুন্নাত। চাই নবজাকত ছেলে হোক কিংবা মেয়ে। উভয়ের ক্ষেত্রে আজান ও ইকামতের বিধান সমান। এটি একাধিক হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
১. হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহ আনহু বর্ণনা করেন, হজরত হাসান ইবন আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর জন্মগ্রহণের দিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দিয়েছিলেন।‘ (বায়হাকি)
২. হজরত উবাইদুল্লাহ ইবনু আবু রাফে রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন হজরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা হাসান ইবনু আলিকে প্রস্রাব করালে আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হাসানের কানে নামাজের আজানের মতো আজান দিতে দেখেছি।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ, মুসনাদে আহামদ, বায়হাকি)
৩. হজরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যার সন্তান (ভূমিষ্ঠ) হয়, সে যেন তার ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেয়।’ (বায়হাকি, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক)
নবজাতকের কানে আজান দেওয়ার কারণ
জন্মের পর নবজাতককে গোসল দেওয়া, ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেওয়া সুন্নাত। এতে রয়েছে নবজাতকের অনেক কল্যাণ ও উপকারিতা। হাদিস থেকেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়-
হজরত হাসান বিন আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যার সন্তান হয়, তারপর লোকটি সন্তানের ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেয়; তাহলে তাকে ‘উম্মুস সিবয়ান’ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না।’ (বায়হাকি, আল-আজকার লিননববি)
জন্মের সঙ্গে সঙ্গে সন্তান-সন্তুতির কানে আজান ও ইকামত দেওয়ার অন্যতম কারণ হলো, আজান-ইকামতের মাধ্যমে নবজাতকের কানে মহান আল্লাহর পবিত্র নাম, তাওহিদ ও রেসালাতের ঘোষণা পৌঁছে দেওয়া হয়। ফলে নবজাতকের হৃদয় ও মস্তিষ্কে ঈমানের আওয়াজ পৌঁছে। আর শয়তানের আক্রমণ থেকেও নিরাপদ থাকে নবজাতক।
ইসলামিক স্কলারদের মতে
অধিকাংশ সময় নবজাতক থেকে শুরু করে সন্তান-সন্তুতি বড় হয়ে গেলেও তারা খারাপ জ্বিন কিংবা শয়তানের বদ-নজর থেকে মুক্ত হতে পারে না। এ কারণে জন্মের সময় কারো কানে আজান-ইকামত দেওয়া না হলে পরে হলেও আজান ও ইকামত দেওয়া জরুরি। আর তাতে শয়তান ও মন্দ জ্বিনের প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়া যায়।
নারীরা কি নবজাতকের কানে আজান দিতে পারবে?
ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্যই আজান দেওয়ার বিধান সমান। নবজাতক বাচ্চার ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেওয়া সুন্নত। যদি পুরুষ না থাকে-
‘তাহলে মা (কিংবা অন্য নারী) যদি নেফাসগ্রস্থ না হয়, তাহলে তিনিও আজান দিতে পারবেন।’
এমনকি যদি কারো আজান ও ইকামতের শব্দগুলো মুখস্ত না থাকে তবে সন্তানের ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামতের শব্দগুলো দেখে দেখে হলেও বলা যাবে। আর তাতেও আজান-ইকামত দেওয়ার বিষয়টি আদায় হয়ে যাবে।
মনে রাখতে হবে
সন্তান ছেলে হোক আর মেয়ে হোক; তাদের উভয়ের ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেওয়াই ইসলামের বিধান এবং সুন্নাত। যদি কোনো পুরুষ না থাকে তবে নেফাস থেকে মুক্ত নারীরাও সন্তানের কানে আজান-ইকামত দিতে পারবেন। যদি আজান-ইকামতের শব্দগুলো মুখস্ত না থাকে তবে দেখে দেখে হলেও আজান-ইকামত দিলে এ হুকুম ও সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে।
ফলে মহান আল্লাহ তাআলা ওই নবজাতককে অনেক রোগ-ব্যধি, জাদু-টোনা, বদ-জ্বিন ও শয়তানের আক্রমণ থেকে হেফাজত করবেন।
কন্যা সন্তানের কানে আজান ও সেবা-যত্ন নিয়ে অবহেলা নয়
কন্যা সন্তান হলে আজান ইকামত না দিয়ে এক ধরনের অসন্তুষ্টির কথা পরোক্ষভাবে প্রকাশ করা হয়। যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। এমন চিন্তা জাহেলি যুগের চিন্তা। যে যুগে কন্যা সন্তানের পিতা হওয়া ছিল ভীষণ লজ্জার বিষয়।
তাদের ওই অবস্থা তুলে ধরে কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আর যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেওয়া হয় তখন তার চেহারা কালো হয়ে যায় এবং অসহ্য মনস্তাপে ক্লিষ্ট হতে থাকে। তাকে শুনানো সুসংবাদের দুঃখে সে লোকদের কাছ থেকে চেহারা লুকিয়ে রাখে। সে ভাবে, অপমান সহ্য করে তাকে রাখবে, না মাটির নিচে পুঁতে ফেলবে। শুনে রাখ, তাদের ফয়সালা খুবই নিকৃষ্ট। ’ -সূরা নাহল: ৫৮-৫৯
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যা সন্তানকে জিজ্ঞাসা করা হবে, কী অপরাধে তাকে হত্যা করা হলো। ’ -সূর ইনফিতার: ৮-৯
এটা ছিল ইসলামপূর্ব জাহেলি যুগের চিত্র। কিন্তু বর্তমান সময়! বর্তমান যুগ! এ তো শিক্ষা-দীক্ষার যুগ! সভ্যতার যুগ! বিজ্ঞান-প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতার যুগ! এরপরও মানুষ কেন কন্যা সন্তানের জন্মে এমন আচরণ করবে?
দেখুন, সন্তান দেওয়া, না দেওয়া, কিংবা মেয়ের পরিবর্তে ছেলে বা ছেলের পরিবর্তে মেয়ে সন্তান প্রসবে এখতিয়ার কোনো মায়ের নেই। এ বিষয়ে পূর্ণ এখতিয়ার ও ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।
এর পরও যদি কোনো হতভাগা কন্যা সন্তান জন্মের অপরাধে নারী নির্যাতন করে, কন্যা শিশুর সেবা-যত্নে অবহেলা করে- তাহলে সে নিশ্চয়ই আল্লাহর সামনে অপরাধী হিসেবে উত্থিত হবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের অনুসরণ ও অনুকরণে নবজাতক সন্তানের ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেয়ার মাধ্যমে সুন্নাতের যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। যাবতীয় অকল্যাণ থেকে হেফাজত রাখুন। আমিন।
See lessইসলামের প্রথম খলিফার নাম কী?
ইসলামের প্রথম খলিফার নাম হযরত আবু বকর (রাঃ)। তিনি ছিলেন হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একজন প্রধান সাহাবি, ইসলামের প্রথম খলিফা এবং প্রথম মুসলিমদের মধ্যে অন্যতম। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রথম ইসলাম গ্রহণের সম্মান তাকে দেওয়া হয়। এছাড়া তিনি মহানবী (সা) এর শ্বশুর ছিলেন। রাসুল মুহাম্Read more
ইসলামের প্রথম খলিফার নাম হযরত আবু বকর (রাঃ)।
তিনি ছিলেন হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একজন প্রধান সাহাবি, ইসলামের প্রথম খলিফা এবং প্রথম মুসলিমদের মধ্যে অন্যতম। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রথম ইসলাম গ্রহণের সম্মান তাকে দেওয়া হয়। এছাড়া তিনি মহানবী (সা) এর শ্বশুর ছিলেন।
রাসুল মুহাম্মহ (সা.) এর মৃত্যুর পর তিনি খলিফা হন এবং মুসলিমদের নেতৃত্ব দেন। হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর প্রতি অতুলনীয় বিশ্বাসের জন্য তাকে “সিদ্দিক” বা বিশ্বস্ত উপাধি প্রদান করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কোন হাদিস পাওয়া যায়নি। হাদিসে অন্য তিনজনকে সিদ্দীক উপাধীকরণ করা হয়েছে। মিরাজের ঘটনা এক ব্যক্তির নিকট শুনে বিশ্বাস করেছিলেন। তাই তাকে আবু বকর সিদ্দিক নামেও সম্বোধন করা হয়।
হজরত আবু বকর রা. সম্পর্কে বিস্তারিত-
ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর (রা.) ৫৭৩ সালে মক্কার কুরাইশ বংশের বনু তাইম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবু কুহাফা ও মায়ের নাম সালমা বিনতে সাখার।
শৈশবকাল থেকে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে আবু বকর (রা.)-এর বন্ধুত্ব ছিল। রাসুল (সা.) নবুয়তপ্রাপ্ত হওয়ার পর বয়স্ক স্বাধীন পুরুষদের মধ্য সর্বপ্রথম তিনিই ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শুশুর ছিলেন। তার মেয়ে আয়েশা রা.- রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহধর্মীনী ছিলেন।
তরুণ বয়সে আবু বকর (রা.) একজন বণিক হিসাবে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন। ইয়েমেন থেকে বাণিজ্য শেষে ফেরার পর তিনি মুহাম্মাদের ইসলাম প্রচারের সংবাদ পান। এরপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। তার ইসলাম গ্রহণ অন্য অনেকের ইসলাম গ্রহণের উৎসাহ জুগিয়েছে।
আবু বকর রা. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একান্ত কাছের মানুষ ছিলেন। ইসলামের প্রথম যুগে কাফের-মুশরিকদের নির্মম নির্যাতনের দিনগুলোতে তিনি আল্লাহর রাসুলের পাশে ছিলেন। হিজরতের সময় তিনিই ছিলেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একমাত্র সঙ্গী। ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ সব জিহাদে তিনি অংশগ্রহণ করেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাতের পর তিনি খলিফা হন এবং মুসলমানদের নেতৃত্ব দেন।
আবু বকরের খিলাফত ২৭ মাস অর্থাৎ দুই বছরের কিছু বেশি সময় স্থায়ী ছিল। এ সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তাকে বেশ কিছু অস্থিতিশীলতার সম্মুখীন হতে হয় এবং তিনি তা সফলভাবে মোকাবিলা করেন। নতুন নবী দাবিকারী বিদ্রোহীদের তিনি রিদ্দার যুদ্ধে দমন করেন। তিনি বাইজেন্টাইন ও সাসানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন, যা ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
এসব অভিযানের ফলে মুসলিম সাম্রাজ্য কয়েক দশকের মধ্যে শক্তিশালী হিসাবে আবির্ভূত হয়। আবু বকর সর্বপ্রথম গ্রন্থাকারে কুরআন সংকলন করেন। ইতোপূর্বে কুরআনের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্নভাবে লিপিবদ্ধ ছিল। মৃত্যুর আগে আবু বকর (রা.) কুরআনের এ কপিটি তার উত্তরসূরি উমর ইবনুল খাত্তাবকে দিয়ে যান। উমর (রা.)-এর শাসনকালে এটি তার কাছেই রক্ষিত ছিল।
পারিবারিক জীবনে তিনি স্ত্রী, ছেলেমেয়েদের সঙ্গে প্রীতি ও সদ্ভাব রাখতেন। তার চাল-চলন ছিল সাদাসিধে, মোটা কাপড় ব্যবহার করতেন। বাহ্যিক কোনো জাঁকজমক ছিল না। জগতের আদর্শ প্রশাসক, মহানবীর সাথি খলিফা হজরত আবু বকর (রা.) ৬৩৪ সালের ২৩ আগস্ট, ২২ জমাদিউস সানি ১৩ হিজরি ইন্তেকাল করেন। আয়েশা (রা.)- এর ঘরে মুহাম্মাদ (সা.)-এর পাশে তাকে দাফন করা হয়।
See lessভূমিকম্প মাপার যন্ত্রের নাম কি ?
ভূমিকম্প মাপার যন্ত্রের নাম সিসমোগ্রাফ। এছাড়াও ফ্যাদোমিটার সমুদ্রের গভীরতা নির্ণায়ক যন্ত্র। ক্রেসকোগ্রাফ উদ্ভিদের বৃদ্ধি নির্ণায়ক যন্ত্র। সিসমোগ্রাফ ভূমিকম্প নির্ণায়ক যন্ত্র।
ভূমিকম্প মাপার যন্ত্রের নাম সিসমোগ্রাফ।
এছাড়াও ফ্যাদোমিটার সমুদ্রের গভীরতা নির্ণায়ক যন্ত্র। ক্রেসকোগ্রাফ উদ্ভিদের বৃদ্ধি নির্ণায়ক যন্ত্র। সিসমোগ্রাফ ভূমিকম্প নির্ণায়ক যন্ত্র।
See lessপৃথিবীর সবচেয়ে বড় এয়ারপোর্ট কোথায় অবস্থিত?
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এয়ারপোর্ট হচ্ছে কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। যেটা সৌদি আরবের দাম্মামে অবস্থিত। কিং ফাহদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আয়তব ২৯৯ বর্গ মাইল। কিং ফাহদ বিমানবন্দর বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এয়ারপোর্ট হচ্ছে কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। যেটা সৌদি আরবের দাম্মামে অবস্থিত।
কিং ফাহদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আয়তব ২৯৯ বর্গ মাইল। কিং ফাহদ বিমানবন্দর বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর।
See lessআপেল দিবস কবে?
প্রতি বছরের ২১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র আপেল দিবস পালন করে। ন্যাশনাল টুডে বলছে, গবেষণায় দেখা গেছে—১০ থেতে ২০ বছর আগে প্রাচীন বন্য আপেল গাছের সন্ধান পাওয়া যায় মধ্য এশিয়াতে। তবে, শুরুর দিকে সেই আপেলগুলো স্বাদ কিছুটা টক ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ১৭তম শতাব্দীর প্রথম দিকে আপেল ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। কিছু ইতিহাসবিদ বRead more
প্রতি বছরের ২১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র আপেল দিবস পালন করে।
ন্যাশনাল টুডে বলছে, গবেষণায় দেখা গেছে—১০ থেতে ২০ বছর আগে প্রাচীন বন্য আপেল গাছের সন্ধান পাওয়া যায় মধ্য এশিয়াতে। তবে, শুরুর দিকে সেই আপেলগুলো স্বাদ কিছুটা টক ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ১৭তম শতাব্দীর প্রথম দিকে আপেল ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। কিছু ইতিহাসবিদ বিশ্বাস করেন, এই সময়েই রোমান জনগোষ্ঠী আপেলের আকার বড়, মিষ্টি ও বৃহৎ পরিসরে চাষাবাদ শুরু করে। আমরা এখন যে আপেল খাই, এই আপেলের বিকাশ তখনই হয়েছিল। তারপর আপেল যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ে।
আপেল দিবস যুক্তরাষ্ট্রে পালন করা হলেও দিবসের শিকড় আসলে ইউরোপে। ১৯৯০ সালের ২১ অক্টোবর যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা কমন গ্রাউন্ড আপেলের বিভিন্ন প্রজাতির গুরুত্ব বোঝাতে দিবসটির প্রচলন করেছিল। বর্তমানে আপেলপ্রেমীরা এখনো বিশ্বজুড়ে উৎপাদিত সাড়ে সাত হাজারের বেশি জাতের আপেলের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে আপেল দিবস পালন করে।
আপেল দিবস উদযাপনের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, একটি সুস্বাদু আপেলের স্বাদ নিন। হতে পারে হলুদ, সবুজ, গোলাপি বা লাল রঙের আপেল।
See lessপ্রেমিকা দিবস কবে?
'জাতীয় প্রেমিকা দিবস' হচ্ছে ১ আগস্ট ।
‘জাতীয় প্রেমিকা দিবস’ হচ্ছে ১ আগস্ট ।
See less