Hello,

Sign up to join our community!

Welcome Back,

Please sign in to your account!

Forgot Password,

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Ask A Question

Please type your username.

Please type your E-Mail.

Please choose an appropriate title for the question so it can be answered easily.

Please choose the appropriate section so the question can be searched easily.

Please choose suitable Keywords Ex: question, poll.

Type the description thoroughly and in details.

Please briefly explain why you feel this question should be reported.

Please briefly explain why you feel this answer should be reported.

Please briefly explain why you feel this user should be reported.

What's your question?
  1. বিড়াল শ্রেণীর প্রাণিদের মধ্যে বাঘই সবচেয়ে শক্তিশালী এবং আকারের দিক থেকেও সবচেয়ে বড় । সিংহ বাঘের চেয়ে আকারে ছোট এবং এর শারীরিক শক্তিও বাঘের চেয়ে কম। তবুও সিংহকেই বনের রাজা বলা হয়, বাঘকে নয়। বাঘকে কেন বনের রাজা বলা হয় না এ প্রশ্ন জাগতে পারে অনেকের মনেই। এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হলে প্রথমেইRead more

    বিড়াল শ্রেণীর প্রাণিদের মধ্যে বাঘই সবচেয়ে শক্তিশালী এবং আকারের দিক থেকেও সবচেয়ে বড় । সিংহ বাঘের চেয়ে আকারে ছোট এবং এর শারীরিক শক্তিও বাঘের চেয়ে কম। তবুও সিংহকেই বনের রাজা বলা হয়, বাঘকে নয়। বাঘকে কেন বনের রাজা বলা হয় না এ প্রশ্ন জাগতে পারে অনেকের মনেই। এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে
    হলে প্রথমেই আলোকপাত করতে হয় একজন রাজার স্বভাব এবং বৈশিষ্ট্যের দিকটিতে। একজন রাজা যেমন সবসময় দাপট নিয়ে চলাফেরা করেন, সিংহও তেমনি সবসময় বুক ফুলিয়ে মাথা উঁচু করে জঙ্গলের ভেতর চলাফেরা করে। সিংহের কেশর, হুংকার ও গর্জন যেন একজন রাজার দাপুটে স্বভাবেরই পরিচায়ক। অপরদিকে,
    বাঘের গর্জন সিংহের চেয়েও ভয়ংকর এবং জোরালো হলেও সিংহের মতো বহুদুর পর্যন্ত বিস্তৃতি তার নেই। একটি প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের গর্জন ৩ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায়। আপাতদৃষ্টিতে এটি অনেক বলে মনে হলেও সিংহের গর্জনের তুলনায় তা অতি নগন্য। একটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সিংহের গর্জন প্রায় ৮ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে শোনা যায়। রাজার হুংকার প্রজা যেন অনেক দূর থেকে শুনতে পায় , এ দিক বিবেচনা করেও সিংহকেই বনের রাজার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, বাঘকে নয়। একটি সিংহ একটী বাঘের চেয়ে বেশিক্ষণ ধরে লড়তে পারে। বাঘ যদিও সিংহের চেয়ে বেশি শক্তিশালী এবং আকারেও বড়, তবুও সে সিংহের মতো বেশিক্ষণ ধরে লড়তে পারেনা, হাঁপিয়ে যায়। এছাড়াও বাঘ নিজের চেয়ে বড় প্রাণি, যেমনঃ হাতি, ভাল্লুকদের ভয় পায়। কিন্তু সিংহ কোনো প্রাণিকেই ভয় পায়না, হোক সে তার চেয়ে বড় অথবা শক্তিশালী।
    কোনো জন্তুর সাথে যখন বাঘ লড়াই করে এবং নিজের জয় লাভের কোনো সম্ভাবনা না দেখে, তখন বাঘ লড়াইক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু সিংহ যখন কোনো জন্তুর সাথে লড়াই করে, তখন সে কখনো লড়াই ছেড়ে পালায় না। যদি এমনও হয় যে, এই লড়াইয়ে সিংহের মৃত্যু নিশ্চিত, তবুও সিংহ লড়তেই থাকে। একজন রাজা
    যেমন কাউকে ভয় পায়না, অকুতোভয় মনোবল নিয়ে রাজ্যের শাসনকার্য পরিচালনা করে, সিংহও তেমনি কাউকে ভয় না পেয়ে জঙ্গলে রাজত্ব করে। একারণেই সিংহ বনে নিজের কর্তৃ্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে, যা বাঘ পারেনি। আর এজন্যই সিংহই বনের রাজা, বাঘ নয়।

    See less
  2. সিংহ ফেলিডি পরিবারের প্রাণী যা প্যানথেরাগণের চারটি বৃহৎ বিড়ালের একটি। সিংহের মূলত দুটি উপপ্রজাতি বর্তমানে টিকে আছে। একটি হল আফ্রিকান সিংহ অপরটি হল এশীয়। আফ্রিকান সিংহ মোটামুটি আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে পাওয়া গেলেও অল্পসংখ্যক ভারতীয় সিংহ শুধু ভারতের গিরি অভয়ারণ্যে পাওয়া যায়। সংখ্যাধিক্যের দরুন সিংRead more

    সিংহ ফেলিডি পরিবারের প্রাণী যা প্যানথেরাগণের চারটি বৃহৎ বিড়ালের একটি। সিংহের মূলত দুটি উপপ্রজাতি বর্তমানে টিকে আছে। একটি হল আফ্রিকান সিংহ অপরটি হল এশীয়। আফ্রিকান সিংহ মোটামুটি আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে পাওয়া গেলেও অল্পসংখ্যক ভারতীয় সিংহ শুধু ভারতের গিরি অভয়ারণ্যে পাওয়া যায়। সংখ্যাধিক্যের দরুন সিংহ বলতে তাই আফ্রিকান সিংহকেই বোঝায়।

    বর্তমানে আফ্রিকার বনে প্রায় ৩০,০০০ সিংহ রয়েছে। আর এশিয়ায় প্রায় ৩৫০টি। পুরুষ সিংহের সাধরণত ওজন হয় ১৫০ এবং ২৫০ কিলোগ্রাম। স্ত্রীরা (সিংহী) সাধারণত ১২০ থেকে ১৮২ কেজি ওজনের হয়। পুরুষ সিংহদের কেশর থাকে। সিংহ মাংসাশী প্রাণী। বিভিন্ন জাতের হরিণ, জেব্রা, বুনো মহিষ, জিরাফ, শূকর ইত্যাদি এদের প্রধান খাদ্য।

    সিংহের ইংরেজি নাম রোমান ভাষার সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি লাতিন ভাষার লিও শব্দ এবং প্রাচীন গ্রিকের লিওন থেকে এসেছে।

    সিংহের দলকে প্রাইড বলে। যেটির অর্থ গর্ব। একটি প্রাইডে দশ থেকে চল্লিশটি সিংহ থাকে। প্রত্যেক প্রাইডের নিজস্ব অঞ্চল আছে। সিংহ কখনও তাদের অঞ্চলে অন্য মাংসাশী প্রাণী ঢোকা পছন্দ করে না। তাদের একটি অঞ্চল প্রায় ২৬০ বর্গকিলোমিটার (১০০ বর্গমাইল)। পুরুষ সিংহরা খুব রাগী হয়। এরা এদের এলাকা রক্ষার্থে প্রয়োজনে সহিংস লড়াই করে। এ কারণে সিংহকে বনের রাজা বলা হয়।

    এছাড়াও

    রাজার বৈশিষ্ট্য কি?

    • রাজার রাজত্ব থাকবে
    • আত্মসম্মানবোধ থাকবে
    • সাহস থাকবে
    • শক্তি থাকবে
    • দলবদ্ধ কাজের মানসিকতা থাকবে
    • শৃঙ্খলাবোধ থাকবে
    • ন্যায় বিচারক হতে হবে
    • সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। ইত্যাদি।

    এবার তবে সিংহের দিকে তাকানো যাক,

    উপরে যে কয়টা বৈশিষ্ট্য বলা হয়েছে, সবই সিংহের মাঝে বিদ্যমান।

    বিড়াল প্রজাতির প্রাণীদের মাঝে সিংহ ই একমাত্র সামাজিক বিড়াল। এদের দায়িত্ব পরিবারকে রক্ষা করা, আর বড় শিকারে অংশগ্রহণ করা। সিংহ পরিবারে সিংহী রা মূলত শিকার করে, কিন্তু বড় আর শক্তিশালী শিকারের ক্ষেত্রে পরিবারের প্রধান পুরুষ সিংহ হাত লাগায়। তবে যে কোন শিকারের ভাগ প্রথমে তিনিই নেবেন। (রাজা বলে কথা!)

    পরিবার বিপদে পড়লে প্রধান পুরুষ সিংহ (রাজা) আমৃত্যু লড়াই করে যায়।

    অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুটি পুরুষ সিংহের লড়াই মৃত্যু পর্যন্ত গড়ায়। এই প্রাণীটির আত্মসম্মানবোধ এতটাই প্রবল যে এরা জীবন দিয়ে দেবে, কিন্তু হার মানবে না। অন্যান্য বিড়ালদের মাঝে এমনটা দেখা যায় না।

    পেটে খাদ্য থাকলে এরা অযথা প্রাণী হত্যা করে না।

    পশুরাজ তো একেই বলা যায়, তাই না?

    See less
  3. উত্তরঃ ডিপুটি কমিশনার বা (ডিসি) । জেলা প্রশাসকের প্রধানকে ডিপুটি কমিশনার বা (ডিসি)  বলা হয়।

    উত্তরঃ ডিপুটি কমিশনার বা (ডিসি) ।

    জেলা প্রশাসকের প্রধানকে ডিপুটি কমিশনার বা (ডিসি)  বলা হয়।

    See less
  4. সিটি কর্পোরেশনঃ সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের মহানগর সমূহের স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার একক। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ ( ২০০৯ সনের ৬০ নং আইন ) অনুসারে বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন গঠনের জন্য ৮ টি শর্ত পুরণ করতে হয়।  বিদ্যমান পৌর এলাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩,০০০ জন।  স্থানীয় আয়েRead more

    সিটি কর্পোরেশনঃ

    সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের মহানগর সমূহের স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার একক। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ ( ২০০৯ সনের ৬০ নং আইন ) অনুসারে বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন গঠনের জন্য ৮ টি শর্ত পুরণ করতে হয়।

    1.  বিদ্যমান পৌর এলাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩,০০০ জন।
    2.  স্থানীয় আয়ের উৎস বাৎসরিক ৫ কোটি টাকা।
    3.  প্রস্তাবিত এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান।
    4.  বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
    5.  ভৌত অবকাঠামোগত সুবিধা যা ভবিষ্যতে সম্প্রসারণ।
    6.  বিদ্যমান পৌরসভার বার্ষিক আয় ন্যূনতম ১০ কোটি টাকা।
    7.  আয়তন কম্পক্ষে ২৫ বর্গ কিলোমিটার ও
    8.  সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে অনুকূল জনমত।

    সরাসরি নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি মেয়র যিনি সিটি কর্পোরেশনের প্রধান। অনেকেই মেয়রকে নগরপিতা বলে থাকেন। মেয়রকে সহযোগিতা করার জন্য রয়েছে সরাসরি নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তথা কাউন্সিলরগণ। প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে একজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এবং প্রতি ৩ টি ওয়ার্ড থেকে একজন মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

     

    পৌরসভাঃ

    পৌরসভা বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় প্রশাসনের স্বায়ত্বশাসিত গুরুত্বপূর্ণ একক। পৌরসভা আইন ২০০৯ অনুসারে বাংলাদেশের কোন এলাকাকে পৌরসভা ঘোষণা করা যেতে পারে যদি ঐ এলাকা ৪টি শর্ত পুরণ করতে পারে যথাঃ

    1.  তিন চতুর্থাংশ বা শতকরা ৭৫ ভাগ লোক অকৃষজ পেশায় নিয়োজিত থাকে।
    2.  শতকরা এক তৃতীয়াংশ বা ৩৩ ভাগ লোক অকৃষিজ পেশায় নিয়োজিত থাকে।
    3.  জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১,৫০০ জনের অধিক হয়। এবং
    4.  ঐ এলাকার মোট জনসংখ্যা ৫০,০০০ জনের কম হবে না।
    See less
  5. সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের মহানগর সমূহের স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার একক। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ ( ২০০৯ সনের ৬০ নং আইন ) অনুসারে বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন গঠনের জন্য ৮ টি শর্ত পুরণ করতে হয়।  বিদ্যমান পৌর এলাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩,০০০ জন।  স্থানীয় আয়ের উৎস বাৎসরিক ৫Read more

    সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের মহানগর সমূহের স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার একক। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ ( ২০০৯ সনের ৬০ নং আইন ) অনুসারে বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন গঠনের জন্য ৮ টি শর্ত পুরণ করতে হয়।

    1.  বিদ্যমান পৌর এলাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩,০০০ জন।
    2.  স্থানীয় আয়ের উৎস বাৎসরিক ৫ কোটি টাকা।
    3.  প্রস্তাবিত এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান।
    4.  বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
    5.  ভৌত অবকাঠামোগত সুবিধা যা ভবিষ্যতে সম্প্রসারণ।
    6.  বিদ্যমান পৌরসভার বার্ষিক আয় ন্যূনতম ১০ কোটি টাকা।
    7.  আয়তন কম্পক্ষে ২৫ বর্গ কিলোমিটার ও
    8.  সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে অনুকূল জনমত।

    সরাসরি নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি মেয়র যিনি সিটি কর্পোরেশনের প্রধান। অনেকেই মেয়রকে নগরপিতা বলে থাকেন। মেয়রকে সহযোগিতা করার জন্য রয়েছে সরাসরি নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তথা কাউন্সিলরগণ। প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে একজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এবং প্রতি ৩ টি ওয়ার্ড থেকে একজন মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

    See less
  6. This answer was edited.

    ইউনিয়ন পরিষদ হলঃ ইউনিয়ন পরিষদ হল বাংলাদেশে পল্লী অঞ্চলের সর্বনিম্ন প্রশাসনিক একক। গ্রাম চৌকিদারী আইনের ১৮৭০ এর অধীনে ইউনিয়ন পরিষদের সৃষ্টি হয়। এ আইনের অধীনে প্রতিটি গ্রামে পাহারা টহল ব্যবস্থা চালু করার উদ্দেশ্যে কতগুলো গ্রাম নিয়ে একটি করে ইউনিয়ন গঠিত হয়। ইউনিয়ন গঠনের বিস্তারিত দিকনির্দেশনা লRead more

    ইউনিয়ন পরিষদ হলঃ

    ইউনিয়ন পরিষদ হল বাংলাদেশে পল্লী অঞ্চলের সর্বনিম্ন প্রশাসনিক একক। গ্রাম চৌকিদারী আইনের ১৮৭০ এর অধীনে ইউনিয়ন পরিষদের সৃষ্টি হয়। এ আইনের অধীনে প্রতিটি গ্রামে পাহারা টহল ব্যবস্থা চালু করার উদ্দেশ্যে কতগুলো গ্রাম নিয়ে একটি করে ইউনিয়ন গঠিত হয়। ইউনিয়ন গঠনের বিস্তারিত দিকনির্দেশনা লিপিবদ্ধ রয়েছে বেঙ্গল চৌকিদারী ম্যানুয়েলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অনুচ্ছেদে। এই প্রক্রিয়ার বিকাশের মধ্য দিয়ে একটি স্থানীয় সরকার ইউনিটের ধারণার সৃষ্টি হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এর ভূমিকা নিরাপত্তামূলক কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তী কালে এটিই স্থানীয় সরকারের প্রাথমিক ইউনিটের ভিত্তিরূপে গড়ে উঠে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৫৭১টি ইউনিয়ন আছে।

     প্রাথমিক পর্যায়ে এর ভূমিকা নিরাপত্তামূলক কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তী কালে এটিই স্থানীয় সরকারের প্রাথমিক ইউনিটের ভিত্তিরুপে গড়ে উঠে। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স, চারিত্রিক সনদপত্র, ভূমিহীন সনদপত্র, ওয়ারিশান সনদপত্র, অবিবাহিত সনদপত্র, প্রত্যয়নপত্র, অস্বচ্ছল প্রত্যয়নপত্র, নাগরিক সনদপত্র, উত্তরাধিকার সনদপত্র ইত্যাদি সেবা প্রদান করা হয়।

    ইতিহাসঃ

    বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার একটি দীর্ঘ ও ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস রয়েছে। অতি প্রাচীন কাল থেকে উপমহাদেশে স্থানীয় সরকারের অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়। সাধারণত স্থানীয় সরকার বলতে এমন জনসংগঠনকে বুঝায় যা অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র ভৌগোলিক সীমা রেখায় একটি দেশের অঞ্চল ভিত্তিতে জাতীয় সরকারের অংশ হিসেবে কাজ করে। স্থানীয় কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য স্থানীয়ভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমম্বয়ে গঠিত সংস্থাকে স্থানীয় সরকার বলা হয়। জাতীয় সরকারের মত স্থানীয় সরকার সার্বভৌম কোন প্রতিষ্ঠান নয়। জাতীয় সরকার বিভিন্ন সার্কুলার ও নির্দেশের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। স্থানীয় সরকার নির্দিষ্ট এলাকার কর, রেট, ফিস, টোল প্রভৃতি নির্ধারণ ও আদায়ের ব্যাপারে জাতীয় সরকারের নির্দেশ অনুসরণ করে থাকে। ব্রিটিশ শাসন আমলের পূর্বে প্রাচীন ও মধ্য যুগীয় আমলে খ্রীষ্ট পূর্ব ১৫০০-১০০০ অব্দে গ্রাম পরিষদের উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া খ্রীষ্ট পূর্ব ৩২৪-১৮৩ অব্দে মৌর্য বা মৌর্য পূর্ব যুগে গ্রাম প্রশাসনের অস্তিত্বের স্বাক্ষর পাওয়া যায়। ব্রিটিশদের আগমনের পূর্বে তৎকালীন বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে অধিকাংশ গ্রামে পঞ্চায়েত প্রথা প্রচলিত ছিল। পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা ছিল ৫ জন। জনগণের মতামতের উপর ভিত্তি করে সামাজিক প্রয়োজনে পঞ্চায়েত প্রথার উদ্ভব ঘটে। তাই এগুলোর আইনগত কোন ভিত্তি ছিল না।

    ব্রিটিশ শাসনামলে অর্থনৈতিক প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কারণে ও ব্রিটিশদের ভিত্তি আরও সুদৃঢ় করার জন্য লর্ড মেয়ো ১৮৭০ সালে চৌকিদারী আইন পাশ করেন। এর ফলে প্রথমবারের মত স্থানীয় সরকারের উদ্ভব হয় এবং পঞ্চায়েত প্রথার পুনরাবৃত্তি ঘটে। চৌকিদারী পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা ছিল পাঁচ জন এবং জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট পঞ্চায়েতের সকল সদস্যকে তিন বৎসরের জন্য নিয়োগ করতেন। চৌকিদারী পঞ্চায়েত ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে ১৮৮৫ সালে বঙ্গীয় স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়। ইউনিয়ন কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ৫-৯ জন এবং গ্রামবাসী কর্তৃক নির্বাচিত হতেন এবং ইউনিয়ন কমিটির পাশাপাশি চৌকিদারী পঞ্চায়েত কাজ করতো। এর ফলে দ্বৈত শাসনের অসুবিধা সমূহ প্রকটভাবে দেখা দেয়। অতঃপর ১৯১৯ সালে চৌকিদারী পঞ্চায়েত ও ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত করে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন বোর্ড গঠন করা হয়। ইউনিয়ন বোর্ডের সদস্য ১/৩ অংশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক মনোনয়ন দান করতেন অবশিষ্ট সদস্যগণ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হতেন। সদস্যগণ তাদের মধ্য থেকে প্রেসিডেন্ট ও একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতেন। কার্যকাল ছিল ৩ (তিন) বৎসর। তবে ১৯৩৬ সাল হতে ৪ (চার) বৎসর করা হয় এবং মনোনয়ন প্রথা ১৯৪৬ সালে রহিত করা হয়।

    মৌলিক গণতন্ত্র আদেশ,১৯৫৯ এর অধীনে ইউনিয়ন কাউন্সিল গঠন করা হয় এবং সদস্য সংখ্যা ছিল ১০-১৫ জন। মোট সদস্যের ২/৩ অংশ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতো এবং অবশিষ্ট ১/৩ অংশ মহুকুমা প্রশাসক সরকারের পক্ষ থেকে মনোনয়ন প্রদান করতেন। ১৯৬২ সালে শাসনতন্ত্র প্রবর্তনের ফলে মনোনয়ন প্রথা রহিত করা হয়। সদস্যগণ তাদের মধ্য থেকে একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন করতেন। পরবর্তীতে ভাইস চেয়ারম্যানের পদটি বিলুপ্ত করা হয়। ইউনিয়ন কাউন্সিলের মেয়াদ ছিল ৫ বছর বাংলাদেশে স্থানীয় সরকারের যে কাঠামো রয়েছে তার সূচনা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে প্রণীত কিছু কিছু আইনের মাধ্যমে। অষ্টাদশ শতকের শেষ ভাগে শহর অঞ্চল এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়।

    See less
  7. পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশন এর মধ্যে পার্থক্য এবং সুবিধা অসুবিধা কি? সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের মহানগর সমূহের স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার একক। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ ( ২০০৯ সনের ৬০ নং আইন ) অনুসারে বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন গঠনের জন্য ৮ টি শর্ত পুরণ করতে হয়। ১. বিদ্যমান পৌর এলাকার জনসংখ্যRead more

    পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশন এর মধ্যে পার্থক্য এবং সুবিধা অসুবিধা কি?

    সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের মহানগর সমূহের স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার একক। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ ( ২০০৯ সনের ৬০ নং আইন ) অনুসারে বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন গঠনের জন্য ৮ টি শর্ত পুরণ করতে হয়। ১. বিদ্যমান পৌর এলাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩,০০০ জন। ২. স্থানীয় আয়ের উৎস বাৎসরিক ৫ কোটি টাকা। ৩. প্রস্তাবিত এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান। ৪. বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ৫. ভৌত অবকাঠামোগত সুবিধা যা ভবিষ্যতে সম্প্রসারণ। ৬. বিদ্যমান পৌরসভার বার্ষিক আয় ন্যূনতম ১০ কোটি টাকা। ৭. আয়তন কম্পক্ষে ২৫ বর্গ কিলোমিটার ও ৮. সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে অনুকূল জনমত।

    সরাসরি নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি মেয়র যিনি সিটি কর্পোরেশনের প্রধান। অনেকেই মেয়রকে নগরপিতা বলে থাকেন। মেয়রকে সহযোগিতা করার জন্য রয়েছে সরাসরি নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তথা কাউন্সিলরগণ। প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে একজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এবং প্রতি ৩ টি ওয়ার্ড থেকে একজন মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

    পৌরসভা বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় প্রশাসনের স্বায়ত্বশাসিত গুরুত্বপূর্ণ একক। পৌরসভা আইন ২০০৯ অনুসারে বাংলাদেশের কোন এলাকাকে পৌরসভা ঘোষণা করা যেতে পারে যদি ঐ এলাকার ১. তিন চতুর্থাংশ বা শতকরা ৭৫ ভাগ লোক অকৃষজ পেশায় নিয়োজিত থাকে। ২. শতকরা এক তৃতীয়াংশ বা ৩৩ ভাগ লোক অকৃষিজ পেশায় নিয়োজিত থাকে। ৩. জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১,৫০০ জনের অধিক হয়। এবং ৪. ঐ এলাকার মোট জনসংখ্যা ৫০,০০০ জনের কম হবে না।

    ইউনিয়ন পরিষদ হলঃ

    ইউনিয়ন পরিষদ হল বাংলাদেশে পল্লী অঞ্চলের সর্বনিম্ন প্রশাসনিক একক। গ্রাম চৌকিদারী আইনের ১৮৭০ এর অধীনে ইউনিয়ন পরিষদের সৃষ্টি হয়। এ আইনের অধীনে প্রতিটি গ্রামে পাহারা টহল ব্যবস্থা চালু করার উদ্দেশ্যে কতগুলো গ্রাম নিয়ে একটি করে ইউনিয়ন গঠিত হয়। ইউনিয়ন গঠনের বিস্তারিত দিকনির্দেশনা লিপিবদ্ধ রয়েছে বেঙ্গল চৌকিদারী ম্যানুয়েলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অনুচ্ছেদে। এই প্রক্রিয়ার বিকাশের মধ্য দিয়ে একটি স্থানীয় সরকার ইউনিটের ধারণার সৃষ্টি হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এর ভূমিকা নিরাপত্তামূলক কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তী কালে এটিই স্থানীয় সরকারের প্রাথমিক ইউনিটের ভিত্তিরূপে গড়ে উঠে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৫৭১টি ইউনিয়ন আছে।

     প্রাথমিক পর্যায়ে এর ভূমিকা নিরাপত্তামূলক কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তী কালে এটিই স্থানীয় সরকারের প্রাথমিক ইউনিটের ভিত্তিরুপে গড়ে উঠে। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স, চারিত্রিক সনদপত্র, ভূমিহীন সনদপত্র, ওয়ারিশান সনদপত্র, অবিবাহিত সনদপত্র, প্রত্যয়নপত্র, অস্বচ্ছল প্রত্যয়নপত্র, নাগরিক সনদপত্র, উত্তরাধিকার সনদপত্র ইত্যাদি সেবা প্রদান করা হয়।

    See less
  8. উত্তর: : ইউনিয়ন পরিষদের ১০টি বাধ্যতামূলক এবং ৩৮টি ঐচ্ছিক দায়িত্ব রয়েছে। বাধ্যতামূলক কার্যাবলী আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করে এবং এ বিষয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করে। অপরাধ, বিশৃঙ্খলা এবং চোরাচালান দমনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কৃষি, বৃক্ষরোপণ, মৎস্য ও পশুপালন, স্বাস্থ্য, কুটিরশিল্প, সেচ, যোগাযোগ ইত্যাদি কারRead more

    উত্তর: : ইউনিয়ন পরিষদের ১০টি বাধ্যতামূলক এবং ৩৮টি ঐচ্ছিক দায়িত্ব রয়েছে।

    বাধ্যতামূলক কার্যাবলী

    • আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করে এবং এ বিষয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করে।
    • অপরাধ, বিশৃঙ্খলা এবং চোরাচালান দমনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
    • কৃষি, বৃক্ষরোপণ, মৎস্য ও পশুপালন, স্বাস্থ্য, কুটিরশিল্প, সেচ, যোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পাদন করে।
    • পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের প্রসার ঘটায়।
    • স্থানীয় সম্পদের উনণয়ন ঘটায় এবং তার ব্যবহার নিশ্চিত করে।
    • জনগণের সম্পত্তি যথা-রাসত্মা, ব্রীজ, কালভার্ট, বাঁধ, খাল, টেলিফোন, বিদ্যুত ইত্যাদি সংরক্ষণ করে।
    • ইউনিয়নপর্যায়ে অন্যান্য সংস্থার উন্নয়ন কার্যাবলী পর্যালোচনা করে এবং প্রয়োজনেউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট এ বিষয়ে সুপারিশ করে।
    • স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহ দেয়।
    • জন্ম-মৃত্যু, অন্ধ, ভিক্ষুক ও দুঃস্থদের নিবন্ধন করে।
    • সব ধরনের শুমারী পরিচালনা করে।

    ঐচ্ছিক কার্যাবলী

    • ইউনিয়ন পরিষদ জনপথ ও রাজপথের ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে।
    • সরকারি স্থান, উন্মুক্ত জায়গা, উদ্যান ও খেলার মাঠ-এর ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে।
    • জনপথ, রাজপথ ও সরকারি স্থানে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করে।
    • সাধারণভাবে গাছ লাগানো ও সংরক্ষণ এবং বিশেষভাবে জনপথ, রাজপথ ও সরকারি জায়গায় গাছ লাগায় এবং তা রক্ষা করে।
    • কবরস্থান, শ্মশান ঘাট, জনসাধারণের সভার স্থান ও জনসাধারণের অন্যান্য সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা করে।
    • পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করে এবং তা সংরক্ষণ করে।
    • জনপথ, রাজপথ ও সরকারি স্থান নিয়ন্ত্রণ করে এবং সেসব জায়গায় অনধিকার প্রবেশ রোধ করে।
    •    জনগণের পথ, রাস্তা, নির্ধারিত স্থানে উৎপাত বন্ধ ও নিয়ন্ত্রণ করে।
    • ইউনিয়নের পরিচ্ছন্নতার জন্য নদী, বন ইত্যাদির তত্ত্বাবধান, স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
    • গোবর ও রাসত্মার আবর্জনা সংগ্রহ ও অপসারণ করে।
    • অপরাধমূলক ও বিপজ্জনক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে।
    • মৃত পশুর দেহ অপসারণ ও নিয়ন্ত্রণ করে।
    • পশু জবাই নিয়ন্ত্রণ করে।
    • ইউনিয়নে দালান নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
    • বিপজ্জনক দালান ও সৌধ নিয়ন্ত্রণ করে।
    • কূয়া, পানি তোলার কল, জলাধার পুকুর এবং পানি সরবরাহের অন্যান্য কাজের ব্যবস্থা ও সংরক্ষণ করে।
    • খাবার পানির উৎস শুদ্ধকরণ এবং দূষিতকরণ রোধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
    • জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সন্দেহযুক্ত কূপ, পুকুর বা পানি সরবরাহের অন্যান্য স্থানের পানি ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ।
    • খাবারপানির জন্য সংরক্ষিত কূপ, পুকুর বা পানি সরবরাহের অন্যান্য স্থানে বানিকটবর্তী স্থানে গোসল, কাপড় কাঁচা বা পশুর গোসল নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করে।
    • খাবারপানির জন্য সংরক্ষিত কূপ, পুকুর বা পানি সরবরাহের অন্যান্য স্থানে বানিকটবর্তী স্থানে শন, পাট বা অন্যান্য গাছ ভেজানো নিষিদ্ধ করে।
    • আবাসিক এলাকার মধ্যে চামড়া রং করা বা পাকা করা নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করে।
    • আবাসিক এলাকার মধ্যে মাটি খনন করে পাথর বা অন্যান্য বস্ত্ত উত্তোলন নিষিদ্ধ করে।
    • আবাসিক এলাকায় ইট, মাটির পাত্র বা অন্যান্য ভাটি নির্মাণ  নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করে।
    • গৃহপালিত পশু বা অন্যান্য পশু বিক্রয়ের তালিকা তৈরি করে।
    • মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
    • জনসাধারণের উৎসব পালন নিশ্চিত করে।
    • অগ্নি , বন্যা, শিলাবৃষ্টিসহ ঝড়, ভূমিকম্প বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের তৎপরতার ব্যবস্থা করে।
    • বিধবা, এতিম, গরিব ও দুঃস্থ ব্যক্তিদের সাহায্য করে।
    • খেলাধুলার উন্নয়ন করা।
    • শিল্প ও সামাজিক উন্নয়ন, সমবায় আন্দোলন ও গ্রামীণ শিল্পের উন্নয়নে কাজ করে এবং এসব ক্ষেত্রে অংশ নেওয়ার জন্য মানুষকে উৎসাহ দেয়।
    • বাড়তি খাদ্য উৎপাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
    • পরিবেশ ব্যবস্থাপনার কাজ করে।
    • গবাদিপশুর খোয়াড় নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করে।
    • প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করে।
    • গ্রন্থাগার ও পাঠাগারের ব্যবস্থা করে।
    • ইউনিয়ন পরিষদের সাথে মিল আছে এমন কাজে নিয়োজিত অন্যান্য সংস্থার সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধি করে।
    • জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে শিক্ষার উন্নয়নে সাহায্য করে।
    • ইউনিয়নের বাসিন্দা বা পরিদর্শনকারীদের নিরাপত্তা, আরাম-আয়েশ বা সুযোগ সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

     

     

     

     

    ইউনিয়ন পরিষদ পৌর ও উন্নয়ন কাজের  আওতায় সামাজিক,অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক ৪টি দায়িত্ব পালন করে। যথা:

    যোগাযোগ

    • গ্রামপর্যায়ে রাসত্মাঘাটের উন্নয়ন করা হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব। চলাচল ওউৎপন্ন পণ্য হাটে বাজারে নেয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ রাসত্মা, পুল, কালভার্টনির্মাণ ও সংরক্ষণ করে। জনগণের চলাচলের সুবিধার জন্য রাসত্মার পাশেবৈদ্যূতিক বাতির ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদ উদ্যোগ গ্রহণ করে।ইউনিয়ন পরিষদ রাসত্মার দু’পাশে গাছ লাগায় এবং এই ব্যাপারে জনগণকে   উৎসাহিতকরে। বিভিন্ন জাতের গাছের চারা যাতে গ্রামবাসী কিনতে পারে সেই বিষয়েইউনিয়ন পরিষদ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার সাথে যোগাযোগকরবে। অর্থকরী ফল ও ঔষধি বৃক্ষ লাগানোর সুফল সম্পর্কে জনগণকে উৎসাহিত করেইউনিয়ন পরিষদ।

    শিক্ষা,কৃষি,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ

    • গ্রামেরপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনায় উন্নয়ন, স্কুলে যাওয়ার উপযুক্তছেলেমেয়েদেরকে স্কুলে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করা এবং সরকারের বিভিন্ন শিক্ষাকার্যক্রম বাসত্মবায়নে অর্পিত দায়িত্বগুলো ইউনিয়ন পরিষদ পালন করে। ইউনিয়নপরিষদ বাস্তব জরিপের ভিত্তিতে কৃষি উন্নয়ন ও খাদ্য শস্য উৎপাদন এবং অধিকজমি চাষের আওতায় আনা এবং চাষের জমিতে অতিরিক্ত ফসল উৎপাদনের জন্য পরিকল্পনাও কার্যক্রম তৈরি এবং বাসত্মবায়নের জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। প্রতিবছরইউনিয়ন পরিষদ নিজস্ব এলাকায় সেচের উদ্দেশ্যে ব্যাপক জরিপের মাধ্যমে খাল, নালা, পুকুর এবং বিল খনন ও পুনঃখনন করে। অতিরিক্ত জমি চাষাবাদের আওতায় আনারউদ্দেশ্যে এবং প্রয়োজনের অধিক বাড়তি পানি নিস্কাশনের জন্য বাঁধ তৈরি ওরক্ষা করা ইউনিয়ন পরিষদের কাজ। প্রতিবছরে প্রথমে ফসলওয়ারী সার ও বীজেরচাহিদা তৈরি করে ইউনিয়ন পরিষদ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টকর্মকর্তার নিকট পাঠায়। কৃষকদেরকে সার ও উন্নত জাতের বীজ ব্যবহারে উৎসাহিতকরে এবং ইউনিয়ন এলাকার যেসব কৃষক উন্নত ধরণের বীজ উৎপাদন করেন তাদের তালিকাইউনিয়ন পরিষদ অফিসে টাঙ্গানোর ব্যবস্থা করে। এই তালিকা উপজেলা কৃষিকর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করা হয়। কৃষকরা যাতে উন্নত জাতের বীজ ও পোকামাকড়বিধবংসী ঔষধ ব্যবহার করেন ইউনিয়ন পরিষদ সে প্রেক্ষিতে কর্মসূচি গ্রহণ করে।ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্লক সুপারভাইজারদের মাধ্যমে প্রদর্শনী খামার স্থাপন করেইউনিয়ন পরিষদ।
    • গবাদিপশু,হাঁসমুরগী পালন এবং মাছ চাষের জন্য জনসাধারণকে উৎসাহিত করা ইউনিয়নপরিষদের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথেযোগাযোগ করে জনসাধারণ যাতে পশু ও হাঁস-মুরগির ঔষধ ও টিকা, মৎস্য বীজ, মৎস্যচাষের যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করতে পারে তার ব্যবস্থা করে।
    • গ্রামকেপরিস্কার রাখা,ময়লা দূর করা,পরিবেশকে সুন্দর রাখা, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবারব্যবস্থা করার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের। ইউনিয়ন পরিষদ আবর্জনা ও জঙ্গলঅপসারণ, কচুরিপানা উচ্ছেদ এবং পরিবেশকে মনোরম ও পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থাকরে।। কোন মহামারীর আশংকা দেখা দিলে ইউনিয়ন পরিষদ স্বাস্থ্য বিভাগের সাথেযোগাযোগ করে প্রতিষেধকের ব্যবস্থা করে। গ্রামবাসীদের মাঝে পরিবার পরিকল্পনাসম্পর্কে যে ভুল ধারণা বা কুসংস্কার আছে তা দূর করে এ কর্মসূচিকে জনপ্রিয় ওগ্রহণযোগ্য করার ব্যাপারে কাজ করে ইউনিয়ন পরিষদ।

    পানীয় জল সরবরাহ

    • বিশুদ্ধপানীয় জলের ব্যবস্থা করা ইউনিয়ন পরিষদের অন্যতম দায়িত্ব। এর জন্য ইউনিয়নপরিষদ কূয়া, পুকুর, ইঁদারা ইত্যাদি খনন, পুনঃখনন ও সংরক্ষণ করে এবং এসবেরপানি যাতে অন্য কোন ব্যবহার দ্বারা দূষিত না হয় তার ব্যবস্থা করে।সুবিধাজনক জায়গায় নলকূপ বসানো ও তা রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদেরগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নলকূপ বসানোর কাজ ঠিকমত সম্পন্ন এবং এর গোড়ায়প্লাটফরম ঠিকমত তৈরি হল কিনা এবং তার স্থায়িত্ব সম্পর্কে তত্ত্বাবধান করেনইউনিয়ন পরিষদের সদস্যগণ। নলকূপের যন্ত্রাংশ যাতে চুরি না হয় এবং এর পানিব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা জনসাধারণকে বুঝিয়ে দেওয়া ও সতর্ক করা ইউনিয়ন পরিষদেরদায়িত্ব। নলকূপ বিকল হয়ে যেন বেশিদিন পড়ে না থাকে সেজন্য বিকল হওয়ার সঙ্গেসঙ্গে মেরামতের ব্যবস্থা অবলম্বন করে ইউনিয়ন পরিষদ। গ্রাম এলাকায় বিশুদ্ধপানীয় জলের সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্যে প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়নপরিষদের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কমিটি আছে। এককথায়, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় পানীয় জলের জন্য ব্যবহৃত পুকুর ও নলকুপ সংরক্ষণের জন্যপ্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করাই ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব।

    সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ

    • উন্নয়নমূলককাজ ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ কিছু সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণমূলক কাজ করে। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে পাঠাগার স্থাপন। ইউনিয়ন পরিষদ ইউনিয়ন কমপ্লেক্সেপাঠাগার স্থাপন করে। বয়স্কদের জন্য নৈশ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থা করে। চিত্তবিনোদনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ জাতীয় উৎসবের দিনগুলো উদযাপন, মেলা ওপ্রদর্শনীর আয়োজন, খেলাধুলা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান, মাঠ ও উদ্যানেরব্যবস্থা  ইত্যাদি দায়িত্ব  পালন করে।
    • ইউনিয়নপরিষদের কিছু সমাজকল্যাণমূলক কাজও আছে যেমন-কবরস্থান ও শ্মশান ঘাটরক্ষণাবেক্ষণ এবং বিধবা, অনাথ ও দরিদ্র ব্যক্তিদের সহায়তা করা। ইউনিয়নপর্যায়ে সরকার কর্তৃক গৃহীত সমাজকল্যাণমূলক কাজে ইউনিয়ন পরিষদ অর্পিত এসবদায়িত্বাবলী পালন করে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, সমাজ সেবা অধিদপ্তর এবং পল্লীউন্নয়নবোর্ড এর কর্মসূচিতে অংশ নিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ এবং বাসত্মবায়নেরজন্য সহযোগিতা করে। এছাড়া আগুন, বন্যা, ঝড়, ভূমিকম্প ইত্যাদি পরিস্থিতিতেকর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী ত্রাণকার্য পরিচালনা করা এবং প্রাকৃতিকদুর্যোগ দেখা দিলে জনগণকে দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থাকরাও ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব।

    পুলিশ ও নিরাপত্তা

    সরকারগেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার গ্রাম পুলিশ বাহিনী প্রতিষ্ঠাএবং তাদের নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও শিষ্টাচার নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের চাকুরিরশর্তাবলী নির্ধারণ করে। অধ্যাদেশের প্রথম তফসীলের দ্বিতীয় অংশে গ্রাম পুলিশবাহিনীর ক্ষমতা ও দায়িত্বগুলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকযদি মনে করেন যে কোন ইউনিয়ন বা তার অংশবিশেষে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাজননিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, তাহলে তিনি আদেশ জারিরমাধ্যমে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। তাঁর আদেশ অনুযায়ী ইউনিয়ন বাঅংশবিশেষে সক্ষম যুবক পুরুষ বসবাসকারী টহল দেন। জেলা প্রশাসকের আদেশঅনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ তার ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করে।

     

    গ্রামাঞ্চলেরজনসাধারণ ও তাদের মালামালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ইউনিয়ন পরিষদেরঅন্যতম দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ মহল্লাদার ওদফাদার নিয়োগ করে। মহল্লাদার ও দফাদারদের কাজ হচ্ছে ইউনিয়নের গ্রাম ওমহল্লায় প্রহরার ব্যবস্থা করা এবং পুলিশকে অপরাধ দমনে যথাসাধ্য সাহায্যকরা। সন্দেহজনক কোন ব্যক্তি বা  কোন কারণে ইউনিয়নে শামিত্ম বিঘ্নিত হতেপারে এমন কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে সে সম্বন্ধে থানার ওসিকে এরা অবহিত করেএবং ১৫ দিনে অমত্মত একবার তার কাছে রিপোর্ট করে। ইউনিয়নে কোন প্রকারমহামারীর আশংকা দেখা দিলে বা কোন বাঁধ বা সেচ প্রকল্পের কোন ক্ষতিরসম্ভাবনা হলে বা ইউনিয়ন পরিষদের কোন সম্পত্তি অন্যায় দখল হলে ইউনিয়নপরিষদকে তা তখনই জানাতে হয়। তাছাড়া রেললাইন, টেলিফোন বা টেলিগ্রাম বাইলেকট্রিক লাইন, টিউবওয়েল এবং অন্যান্য সরকারি সম্পত্তি ক্ষতির সম্মুখীনহলে জনসাধারণ, মহল্লাদার বা দফাদার ইউনিয়ন পরিষদকে জানায়। সেই অনুযায়ীইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রেমহল্লাদার বা দফাদাররা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ও ওয়ারেনট ছাড়াই গ্রেফতার করতেপারে যেমন-কেউ যদি কোন আদালত অগ্রাহ্য অপরাধ করে, বা কারও কাছে কোন সিদেলযন্ত্র বা চোরাই মাল থাকে বা কেউ হাজত থেকে পলায়ন করে গ্রামে আত্মগোপন করে  ইত্যাদি। কিন্তু তাদেরকে যত শীঘ্র সম্ভব থানায় সোপর্দ করতে হয়। এছাড়ামহল্লাদারের আরেকটি অন্যতম প্রধান কাজ  হচ্ছে জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রারেলিপিবদ্ধ করা।

    গ্রামপ্রতিরক্ষা দলের গঠন ও কার্যাবলীর সাথে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসদস্যগণ সম্পৃক্ত। গ্রাম প্রতিরক্ষা দল গঠনের প্রধান উদ্দেশ্যাবলী হচ্ছে:

    • রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত এবং অস্ত্রধারী দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করা।
    • নিজনিজ এলাকার মধ্যে যাতে দুস্কৃতিকারী ও অন্যান্য অপরাধীগণ খাদ্য ও আশ্রয় নাপায় তার ব্যবস্থা করা এবং তাদের দমন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকেসাহায্য করা।
    • বে-আইনী অস্ত্র উদ্ধারে সাহায্য করা।
    • নিজ নিজ এলাকায় অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানসমূহ পাহাড়ার কাজে অংশগ্রহণ করা।
    • নতুন লোকের আগমন ও চলাফেরা সম্পর্কে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করা।
    • প্রয়োজনবোধে রাতে টহলদার ও স্থানীয় গ্রাম পুলিশদের পাহাড়ার কাজে সহায়তা করা।

    রাজস্ব ও প্রশাসন

    নিজস্ব দায়িত্ব সম্পাদন ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ:

    • রাজস্ব ও সাধারণ প্রশাসনিক কাজে সহায়তা করে।
    • রাজস্বঅথবা ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে রাজস্ব ও কর্মকর্তা এবং সাধারণ প্রশাসনকেসহায়তা করে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী ইউনিয়নের রাজস্ব ও প্রশাসনপরিচালনা, রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড ও মূল্যায়ন তালিকা প্রণয়ন, সার্ভে বা শস্যপরিদর্শনে সহায়তা করে।
    • কোনঅপরাধ সংগঠিত হলে পুলিশকে অবহিত করে। জনসম্মুখে পুলিশকে কুখ্যাত চরিত্রেরব্যক্তি সম্পর্কে অবহিত করবে, তদমত্ম কাজে, অপরাধ দমনে এবং অপরাধীকেগ্রেফতার করতে সহায়তা করে।
    • জনপথ, রাসত্মা বা জনসাধারণের জায়গায় অবৈধ দখল বা দালান বা সম্পত্তির ক্ষতি হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট রিপোর্ট করে।
    • সরকারঅথবা অন্য কোন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পক্ষে নির্দেশ অনুযায়ী জনসাধারণকেবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যেসকল বিষয় জানানোর  নির্দেশ দেওয়া হয় তা বিজ্ঞপ্তিরমাধ্যমে জানানো।
    • কর্মকর্তাদেরকে তাদের কাজে সহায়তা করা এবং উক্ত কর্মকর্তাদের চাহিদা অনুযায়ী তথ্যাদি সরবরাহ করা।

     

    উন্নয়ন ও দারিদ্র দূরীকরণ

    গ্রামউন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। কৃষি ও কুটির শিল্পের উন্নতিএবং সমবায় আন্দোলনের বিসত্মার এবং বন, পশু ও মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির জন্যইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন পরিকল্পনাএমনভাবে তৈরি করে যাতে একে যেসব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যেমন-কৃষি, শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, কুটিরশিল্প ইত্যাদি বিষয়ক প্রকল্পগুলো পৃথক পৃথকভাবেদেখানো হয়। নিম্নলিখিত তথ্যাদি উন্নয়ন পরিকল্পনায় লিপিবদ্ধ করা হয়:

    • বিভিন্ন খাতের লক্ষ্যমাত্রা
    • প্লানের নির্দিষ্ট প্রকল্পসমূহ
    • কি ধরণের কর্মচারী প্রয়োজন হবে এবং এ ব্যাপারে সরকারের কাছ থেকে কোন সাহায্যের প্রয়োজন হবে কিনা।
    • যে সকল দ্রব্যাদি এবং সরঞ্জামের প্রয়োজন হবে।
    • কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে এবং কিভাবে তা পাওয়া যাবে।
    • জনসাধারণের কাছ থেকে প্রাপ্ত চাঁদা, দ্রব্যাদি ও স্বেচ্ছাশ্রম।
    • কিভাবে বার্ষিক পরিকল্পনা পর্যায়ক্রমে বাসত্মবায়িত হবে।
    • কোন প্রকল্প সমাপ্ত হলে তার সংরক্ষণের ব্যবস্থা ও আবর্তক খরচ।

     

    প্রত্যেকইউনিয়ন পরিষদ বিভিন্ন এলাকার চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী একটি উন্নয়নপরিকল্পনা তৈরি করে। উন্নয়ন পরিকল্পনার মেয়াদ সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী হয়।তবে এযাবৎ সরকারের নির্দেশ মোতাবেক উন্নয়ন পরিকল্পনার মেয়াদ পাঁচ বছর করেহয়ে আসছে। বিভিন্ন এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের চাহিদা একসঙ্গে বা এক বছরেমেটানো সম্ভব নয়, পরিষদের আর্থিক সংগতিও পর্যাপ্ত নয়। এসব কারণে পরিকল্পনাপ্রণয়নের সময় দেখা হয় বৃহত্তর জনস্বার্থে এবং পরিষদের আর্থিক সংগতির দিকেলক্ষ্য রেখে কোন ধরনের প্রকল্প বা প্রকল্পগুলো প্রথম বছর, কোনগুলো দ্বিতীয়বছর, কোনগুলো তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম বছরে কার্যকরী করা সম্ভব হবে। এককথায় বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পগুলোর সামগ্রিক অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পাঁচশালাপরিকল্পনা গ্রহণ করে ইউনিয়ন পরিষদ। প্রতিবছর উন্নয়ন পরিকল্পনা খাতে যেপরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হবে তা পাঁচশালা পরিকল্পনার ভিত্তিতে খরচ করা হয়, অন্যভাবে নয়। তবে যে প্রকল্পগুলো আগে সম্পন্ন করা হয়েছে তার উন্নয়ন বামেরামতের কাজ এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়। প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে একটিপ্লানবুক আছে যার মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নির্দেশ করা থাকে।বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ যাতে সুচারুরূপে সম্পাদিত হয় সেজন্য ইউনিয়ন পরিষদ  বিভিন্ন কমিটি গঠন করে।

     

    ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্প গ্রহণ ও বাসত্মবায়নের মূল লক্ষ্য হল:

    (ক) গ্রামের বেকার, গরীব ও দুঃস্থ জনগণের কর্মসংস্থান করা ও স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টি করা এবং সব সম্পদ সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

    (খ)গ্রাম, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নভিত্তিক দরিদ্র ও বেকার এবং দুঃস্থ লোকদের সঠিকপরিসংখ্যান বাসত্মব জরিপের মাধ্যমে প্রস্ত্তত করা। এ পরিসংখ্যান সর্বদাইউনিয়ন পরিষদ সংরক্ষণ করবে এবং ইউনিয়ন অভ্যমত্মরে যেসব উন্নয়ন প্রকল্পবাস্তবায়িত হবে তাতে বেকার ও দরিদ্র এবং দুঃস্থ জনাংশের কর্মসংস্থানেরঅগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

    বিচার

    বাংলাদেশেরগ্রামীণ জনসাধারণের ঝগড়া-বিবাদের মীমাংসা ও মামলা মোকদ্দমা নিস্পত্তি এবংবিড়ম্বনা এবং এ সংক্রামত্ম খরচের হাত থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সরকারগ্রামাঞ্চলে প্রাথমিকভাবে বিচার ব্যবস্থার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের উপরন্যাস্ত করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালত গঠনের মাধ্যমে কতিপয় ফৌজদারী ওদেওয়ানী উভয় প্রকার   মামলার  বিচার করতে পারে।

    See less
  9. উত্তর: ইউনিয়ন পরিষদের প্রধানত ৫ ধরণের কাজ রয়েছে, যথা- পৌর,পুলিশ ও নিরাপত্তা,রাজস্ব ও প্রশাসন,উন্নয়ন ও দারিদ্র দূরীকরণএবং বিচার।

    উত্তর: ইউনিয়ন পরিষদের প্রধানত ৫ ধরণের কাজ রয়েছে,

    যথা- পৌর,পুলিশ ও নিরাপত্তা,রাজস্ব ও প্রশাসন,উন্নয়ন ও দারিদ্র দূরীকরণএবং বিচার।

    See less
  10. ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলী স্থানীয়সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ৩০, ৩১, ৩২ ও ৩৩ ধারায় ইউনিয়নপরিষদের কার্যাবলীর কথা বলা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের কাজগুলো মূলত পাঁচ ভাগেবিভক্ত। ইউনিয়ন এলাকায় পৌর,পুলিশ ও নিরাপত্তা,রাজস্ব ও প্রশাসন,উন্নয়ন ওদারিদ্র দূরীকরণ এবং বিচার কাজ করে ইউনিয়ন পরিষদ। পৌর কার্যাবলীRead more

    ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলী

    স্থানীয়সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ৩০, ৩১, ৩২ ও ৩৩ ধারায় ইউনিয়নপরিষদের কার্যাবলীর কথা বলা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের কাজগুলো মূলত পাঁচ ভাগেবিভক্ত। ইউনিয়ন এলাকায় পৌর,পুলিশ ও নিরাপত্তা,রাজস্ব ও প্রশাসন,উন্নয়ন ওদারিদ্র দূরীকরণ এবং বিচার কাজ করে ইউনিয়ন পরিষদ।

    • পৌর কার্যাবলী
    • পুলিশ ও নিরাপত্তা
    • রাজস্ব ও প্রশাসন
    • উন্নয়ন ও দারিদ্র দূরীকরণ
    • বিচার
    • সচরাচর জিজ্ঞাসা

    পৌর কার্যাবলী

    স্থানীয়সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ৩০ ধারায় পৌর কাজের কথা বলাহয়েছে। পৌর কার্যাবলী বাধ্যতামূলক ও ঐচ্ছিক কার্যাবলী এই দুই ভাগে বিভক্ত।তবে এই কাজগুলো ছাড়াও সরকার সকল বা নির্দিষ্ট কোন ইউনিয়ন পরিষদকে ভিন্ন কোনদায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিতে পারে। প্রচলিত অন্য কোন আইনের মাধ্যমেও সরকারইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দিতে পারে। ইউনিয়ন পরিষদের বাধ্যতামূলক কাজ ১০ টিএবং ঐচ্ছিক কাজ ৩৮ টি।

     

    বাধ্যতামূলক কার্যাবলী

    • আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করে এবং এ বিষয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করে।
    • অপরাধ, বিশৃঙ্খলা এবং চোরাচালান দমনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
    • কৃষি, বৃক্ষরোপণ, মৎস্য ও পশুপালন, স্বাস্থ্য, কুটিরশিল্প, সেচ, যোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পাদন করে।
    • পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের প্রসার ঘটায়।
    • স্থানীয় সম্পদের উনণয়ন ঘটায় এবং তার ব্যবহার নিশ্চিত করে।
    • জনগণের সম্পত্তি যথা-রাসত্মা, ব্রীজ, কালভার্ট, বাঁধ, খাল, টেলিফোন, বিদ্যুত ইত্যাদি সংরক্ষণ করে।
    • ইউনিয়নপর্যায়ে অন্যান্য সংস্থার উন্নয়ন কার্যাবলী পর্যালোচনা করে এবং প্রয়োজনেউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট এ বিষয়ে সুপারিশ করে।
    • স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহ দেয়।
    • জন্ম-মৃত্যু, অন্ধ, ভিক্ষুক ও দুঃস্থদের নিবন্ধন করে।
    • সব ধরনের শুমারী পরিচালনা করে।

    ঐচ্ছিক কার্যাবলী

    • ইউনিয়ন পরিষদ জনপথ ও রাজপথের ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে।
    • সরকারি স্থান, উন্মুক্ত জায়গা, উদ্যান ও খেলার মাঠ-এর ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে।
    • জনপথ, রাজপথ ও সরকারি স্থানে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করে।
    • সাধারণভাবে গাছ লাগানো ও সংরক্ষণ এবং বিশেষভাবে জনপথ, রাজপথ ও সরকারি জায়গায় গাছ লাগায় এবং তা রক্ষা করে।
    • কবরস্থান, শ্মশান ঘাট, জনসাধারণের সভার স্থান ও জনসাধারণের অন্যান্য সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা করে।
    • পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করে এবং তা সংরক্ষণ করে।
    • জনপথ, রাজপথ ও সরকারি স্থান নিয়ন্ত্রণ করে এবং সেসব জায়গায় অনধিকার প্রবেশ রোধ করে।
    •    জনগণের পথ, রাস্তা, নির্ধারিত স্থানে উৎপাত বন্ধ ও নিয়ন্ত্রণ করে।
    • ইউনিয়নের পরিচ্ছন্নতার জন্য নদী, বন ইত্যাদির তত্ত্বাবধান, স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
    • গোবর ও রাসত্মার আবর্জনা সংগ্রহ ও অপসারণ করে।
    • অপরাধমূলক ও বিপজ্জনক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে।
    • মৃত পশুর দেহ অপসারণ ও নিয়ন্ত্রণ করে।
    • পশু জবাই নিয়ন্ত্রণ করে।
    • ইউনিয়নে দালান নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
    • বিপজ্জনক দালান ও সৌধ নিয়ন্ত্রণ করে।
    • কূয়া, পানি তোলার কল, জলাধার পুকুর এবং পানি সরবরাহের অন্যান্য কাজের ব্যবস্থা ও সংরক্ষণ করে।
    • খাবার পানির উৎস শুদ্ধকরণ এবং দূষিতকরণ রোধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
    • জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সন্দেহযুক্ত কূপ, পুকুর বা পানি সরবরাহের অন্যান্য স্থানের পানি ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ।
    • খাবারপানির জন্য সংরক্ষিত কূপ, পুকুর বা পানি সরবরাহের অন্যান্য স্থানে বানিকটবর্তী স্থানে গোসল, কাপড় কাঁচা বা পশুর গোসল নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করে।
    • খাবারপানির জন্য সংরক্ষিত কূপ, পুকুর বা পানি সরবরাহের অন্যান্য স্থানে বানিকটবর্তী স্থানে শন, পাট বা অন্যান্য গাছ ভেজানো নিষিদ্ধ করে।
    • আবাসিক এলাকার মধ্যে চামড়া রং করা বা পাকা করা নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করে।
    • আবাসিক এলাকার মধ্যে মাটি খনন করে পাথর বা অন্যান্য বস্ত্ত উত্তোলন নিষিদ্ধ করে।
    • আবাসিক এলাকায় ইট, মাটির পাত্র বা অন্যান্য ভাটি নির্মাণ  নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করে।
    • গৃহপালিত পশু বা অন্যান্য পশু বিক্রয়ের তালিকা তৈরি করে।
    • মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
    • জনসাধারণের উৎসব পালন নিশ্চিত করে।
    • অগ্নি , বন্যা, শিলাবৃষ্টিসহ ঝড়, ভূমিকম্প বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের তৎপরতার ব্যবস্থা করে।
    • বিধবা, এতিম, গরিব ও দুঃস্থ ব্যক্তিদের সাহায্য করে।
    • খেলাধুলার উন্নয়ন করা।
    • শিল্প ও সামাজিক উন্নয়ন, সমবায় আন্দোলন ও গ্রামীণ শিল্পের উন্নয়নে কাজ করে এবং এসব ক্ষেত্রে অংশ নেওয়ার জন্য মানুষকে উৎসাহ দেয়।
    • বাড়তি খাদ্য উৎপাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
    • পরিবেশ ব্যবস্থাপনার কাজ করে।
    • গবাদিপশুর খোয়াড় নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করে।
    • প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করে।
    • গ্রন্থাগার ও পাঠাগারের ব্যবস্থা করে।
    • ইউনিয়ন পরিষদের সাথে মিল আছে এমন কাজে নিয়োজিত অন্যান্য সংস্থার সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধি করে।
    • জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে শিক্ষার উন্নয়নে সাহায্য করে।
    • ইউনিয়নের বাসিন্দা বা পরিদর্শনকারীদের নিরাপত্তা, আরাম-আয়েশ বা সুযোগ সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

    ইউনিয়ন পরিষদ পৌর ও উন্নয়ন কাজের  আওতায় সামাজিক,অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক ৪টি দায়িত্ব পালন করে। যথা:

    যোগাযোগ

    • গ্রামপর্যায়ে রাসত্মাঘাটের উন্নয়ন করা হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব। চলাচল ওউৎপন্ন পণ্য হাটে বাজারে নেয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ রাসত্মা, পুল, কালভার্টনির্মাণ ও সংরক্ষণ করে। জনগণের চলাচলের সুবিধার জন্য রাসত্মার পাশেবৈদ্যূতিক বাতির ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদ উদ্যোগ গ্রহণ করে।ইউনিয়ন পরিষদ রাসত্মার দু’পাশে গাছ লাগায় এবং এই ব্যাপারে জনগণকে   উৎসাহিতকরে। বিভিন্ন জাতের গাছের চারা যাতে গ্রামবাসী কিনতে পারে সেই বিষয়েইউনিয়ন পরিষদ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার সাথে যোগাযোগকরবে। অর্থকরী ফল ও ঔষধি বৃক্ষ লাগানোর সুফল সম্পর্কে জনগণকে উৎসাহিত করেইউনিয়ন পরিষদ।

    শিক্ষা,কৃষি,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ

    • গ্রামেরপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনায় উন্নয়ন, স্কুলে যাওয়ার উপযুক্তছেলেমেয়েদেরকে স্কুলে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করা এবং সরকারের বিভিন্ন শিক্ষাকার্যক্রম বাসত্মবায়নে অর্পিত দায়িত্বগুলো ইউনিয়ন পরিষদ পালন করে। ইউনিয়নপরিষদ বাস্তব জরিপের ভিত্তিতে কৃষি উন্নয়ন ও খাদ্য শস্য উৎপাদন এবং অধিকজমি চাষের আওতায় আনা এবং চাষের জমিতে অতিরিক্ত ফসল উৎপাদনের জন্য পরিকল্পনাও কার্যক্রম তৈরি এবং বাসত্মবায়নের জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। প্রতিবছরইউনিয়ন পরিষদ নিজস্ব এলাকায় সেচের উদ্দেশ্যে ব্যাপক জরিপের মাধ্যমে খাল, নালা, পুকুর এবং বিল খনন ও পুনঃখনন করে। অতিরিক্ত জমি চাষাবাদের আওতায় আনারউদ্দেশ্যে এবং প্রয়োজনের অধিক বাড়তি পানি নিস্কাশনের জন্য বাঁধ তৈরি ওরক্ষা করা ইউনিয়ন পরিষদের কাজ। প্রতিবছরে প্রথমে ফসলওয়ারী সার ও বীজেরচাহিদা তৈরি করে ইউনিয়ন পরিষদ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টকর্মকর্তার নিকট পাঠায়। কৃষকদেরকে সার ও উন্নত জাতের বীজ ব্যবহারে উৎসাহিতকরে এবং ইউনিয়ন এলাকার যেসব কৃষক উন্নত ধরণের বীজ উৎপাদন করেন তাদের তালিকাইউনিয়ন পরিষদ অফিসে টাঙ্গানোর ব্যবস্থা করে। এই তালিকা উপজেলা কৃষিকর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করা হয়। কৃষকরা যাতে উন্নত জাতের বীজ ও পোকামাকড়বিধবংসী ঔষধ ব্যবহার করেন ইউনিয়ন পরিষদ সে প্রেক্ষিতে কর্মসূচি গ্রহণ করে।ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্লক সুপারভাইজারদের মাধ্যমে প্রদর্শনী খামার স্থাপন করেইউনিয়ন পরিষদ।
    • গবাদিপশু,হাঁসমুরগী পালন এবং মাছ চাষের জন্য জনসাধারণকে উৎসাহিত করা ইউনিয়নপরিষদের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথেযোগাযোগ করে জনসাধারণ যাতে পশু ও হাঁস-মুরগির ঔষধ ও টিকা, মৎস্য বীজ, মৎস্যচাষের যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করতে পারে তার ব্যবস্থা করে।
    • গ্রামকেপরিস্কার রাখা,ময়লা দূর করা,পরিবেশকে সুন্দর রাখা, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবারব্যবস্থা করার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের। ইউনিয়ন পরিষদ আবর্জনা ও জঙ্গলঅপসারণ, কচুরিপানা উচ্ছেদ এবং পরিবেশকে মনোরম ও পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থাকরে।। কোন মহামারীর আশংকা দেখা দিলে ইউনিয়ন পরিষদ স্বাস্থ্য বিভাগের সাথেযোগাযোগ করে প্রতিষেধকের ব্যবস্থা করে। গ্রামবাসীদের মাঝে পরিবার পরিকল্পনাসম্পর্কে যে ভুল ধারণা বা কুসংস্কার আছে তা দূর করে এ কর্মসূচিকে জনপ্রিয় ওগ্রহণযোগ্য করার ব্যাপারে কাজ করে ইউনিয়ন পরিষদ।

    পানীয় জল সরবরাহ

    • বিশুদ্ধপানীয় জলের ব্যবস্থা করা ইউনিয়ন পরিষদের অন্যতম দায়িত্ব। এর জন্য ইউনিয়নপরিষদ কূয়া, পুকুর, ইঁদারা ইত্যাদি খনন, পুনঃখনন ও সংরক্ষণ করে এবং এসবেরপানি যাতে অন্য কোন ব্যবহার দ্বারা দূষিত না হয় তার ব্যবস্থা করে।সুবিধাজনক জায়গায় নলকূপ বসানো ও তা রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদেরগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নলকূপ বসানোর কাজ ঠিকমত সম্পন্ন এবং এর গোড়ায়প্লাটফরম ঠিকমত তৈরি হল কিনা এবং তার স্থায়িত্ব সম্পর্কে তত্ত্বাবধান করেনইউনিয়ন পরিষদের সদস্যগণ। নলকূপের যন্ত্রাংশ যাতে চুরি না হয় এবং এর পানিব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা জনসাধারণকে বুঝিয়ে দেওয়া ও সতর্ক করা ইউনিয়ন পরিষদেরদায়িত্ব। নলকূপ বিকল হয়ে যেন বেশিদিন পড়ে না থাকে সেজন্য বিকল হওয়ার সঙ্গেসঙ্গে মেরামতের ব্যবস্থা অবলম্বন করে ইউনিয়ন পরিষদ। গ্রাম এলাকায় বিশুদ্ধপানীয় জলের সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্যে প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়নপরিষদের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কমিটি আছে। এককথায়, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় পানীয় জলের জন্য ব্যবহৃত পুকুর ও নলকুপ সংরক্ষণের জন্যপ্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করাই ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব।

    সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ

    • উন্নয়নমূলককাজ ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ কিছু সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণমূলক কাজ করে। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে পাঠাগার স্থাপন। ইউনিয়ন পরিষদ ইউনিয়ন কমপ্লেক্সেপাঠাগার স্থাপন করে। বয়স্কদের জন্য নৈশ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থা করে। চিত্তবিনোদনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ জাতীয় উৎসবের দিনগুলো উদযাপন, মেলা ওপ্রদর্শনীর আয়োজন, খেলাধুলা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান, মাঠ ও উদ্যানেরব্যবস্থা  ইত্যাদি দায়িত্ব  পালন করে।
    • ইউনিয়নপরিষদের কিছু সমাজকল্যাণমূলক কাজও আছে যেমন-কবরস্থান ও শ্মশান ঘাটরক্ষণাবেক্ষণ এবং বিধবা, অনাথ ও দরিদ্র ব্যক্তিদের সহায়তা করা। ইউনিয়নপর্যায়ে সরকার কর্তৃক গৃহীত সমাজকল্যাণমূলক কাজে ইউনিয়ন পরিষদ অর্পিত এসবদায়িত্বাবলী পালন করে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, সমাজ সেবা অধিদপ্তর এবং পল্লীউন্নয়নবোর্ড এর কর্মসূচিতে অংশ নিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ এবং বাসত্মবায়নেরজন্য সহযোগিতা করে। এছাড়া আগুন, বন্যা, ঝড়, ভূমিকম্প ইত্যাদি পরিস্থিতিতেকর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী ত্রাণকার্য পরিচালনা করা এবং প্রাকৃতিকদুর্যোগ দেখা দিলে জনগণকে দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থাকরাও ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব।

    পুলিশ ও নিরাপত্তা

    সরকারগেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার গ্রাম পুলিশ বাহিনী প্রতিষ্ঠাএবং তাদের নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও শিষ্টাচার নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের চাকুরিরশর্তাবলী নির্ধারণ করে। অধ্যাদেশের প্রথম তফসীলের দ্বিতীয় অংশে গ্রাম পুলিশবাহিনীর ক্ষমতা ও দায়িত্বগুলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকযদি মনে করেন যে কোন ইউনিয়ন বা তার অংশবিশেষে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাজননিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, তাহলে তিনি আদেশ জারিরমাধ্যমে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। তাঁর আদেশ অনুযায়ী ইউনিয়ন বাঅংশবিশেষে সক্ষম যুবক পুরুষ বসবাসকারী টহল দেন। জেলা প্রশাসকের আদেশঅনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ তার ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করে।

     

    গ্রামাঞ্চলেরজনসাধারণ ও তাদের মালামালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ইউনিয়ন পরিষদেরঅন্যতম দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ মহল্লাদার ওদফাদার নিয়োগ করে। মহল্লাদার ও দফাদারদের কাজ হচ্ছে ইউনিয়নের গ্রাম ওমহল্লায় প্রহরার ব্যবস্থা করা এবং পুলিশকে অপরাধ দমনে যথাসাধ্য সাহায্যকরা। সন্দেহজনক কোন ব্যক্তি বা  কোন কারণে ইউনিয়নে শামিত্ম বিঘ্নিত হতেপারে এমন কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে সে সম্বন্ধে থানার ওসিকে এরা অবহিত করেএবং ১৫ দিনে অমত্মত একবার তার কাছে রিপোর্ট করে। ইউনিয়নে কোন প্রকারমহামারীর আশংকা দেখা দিলে বা কোন বাঁধ বা সেচ প্রকল্পের কোন ক্ষতিরসম্ভাবনা হলে বা ইউনিয়ন পরিষদের কোন সম্পত্তি অন্যায় দখল হলে ইউনিয়নপরিষদকে তা তখনই জানাতে হয়। তাছাড়া রেললাইন, টেলিফোন বা টেলিগ্রাম বাইলেকট্রিক লাইন, টিউবওয়েল এবং অন্যান্য সরকারি সম্পত্তি ক্ষতির সম্মুখীনহলে জনসাধারণ, মহল্লাদার বা দফাদার ইউনিয়ন পরিষদকে জানায়। সেই অনুযায়ীইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রেমহল্লাদার বা দফাদাররা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ও ওয়ারেনট ছাড়াই গ্রেফতার করতেপারে যেমন-কেউ যদি কোন আদালত অগ্রাহ্য অপরাধ করে, বা কারও কাছে কোন সিদেলযন্ত্র বা চোরাই মাল থাকে বা কেউ হাজত থেকে পলায়ন করে গ্রামে আত্মগোপন করে  ইত্যাদি। কিন্তু তাদেরকে যত শীঘ্র সম্ভব থানায় সোপর্দ করতে হয়। এছাড়ামহল্লাদারের আরেকটি অন্যতম প্রধান কাজ  হচ্ছে জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রারেলিপিবদ্ধ করা।

    গ্রামপ্রতিরক্ষা দলের গঠন ও কার্যাবলীর সাথে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসদস্যগণ সম্পৃক্ত। গ্রাম প্রতিরক্ষা দল গঠনের প্রধান উদ্দেশ্যাবলী হচ্ছে:

    • রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত এবং অস্ত্রধারী দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করা।
    • নিজনিজ এলাকার মধ্যে যাতে দুস্কৃতিকারী ও অন্যান্য অপরাধীগণ খাদ্য ও আশ্রয় নাপায় তার ব্যবস্থা করা এবং তাদের দমন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকেসাহায্য করা।
    • বে-আইনী অস্ত্র উদ্ধারে সাহায্য করা।
    • নিজ নিজ এলাকায় অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানসমূহ পাহাড়ার কাজে অংশগ্রহণ করা।
    • নতুন লোকের আগমন ও চলাফেরা সম্পর্কে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করা।
    • প্রয়োজনবোধে রাতে টহলদার ও স্থানীয় গ্রাম পুলিশদের পাহাড়ার কাজে সহায়তা করা।

    রাজস্ব ও প্রশাসন

    নিজস্ব দায়িত্ব সম্পাদন ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ:

    • রাজস্ব ও সাধারণ প্রশাসনিক কাজে সহায়তা করে।
    • রাজস্বঅথবা ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে রাজস্ব ও কর্মকর্তা এবং সাধারণ প্রশাসনকেসহায়তা করে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী ইউনিয়নের রাজস্ব ও প্রশাসনপরিচালনা, রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড ও মূল্যায়ন তালিকা প্রণয়ন, সার্ভে বা শস্যপরিদর্শনে সহায়তা করে।
    • কোনঅপরাধ সংগঠিত হলে পুলিশকে অবহিত করে। জনসম্মুখে পুলিশকে কুখ্যাত চরিত্রেরব্যক্তি সম্পর্কে অবহিত করবে, তদমত্ম কাজে, অপরাধ দমনে এবং অপরাধীকেগ্রেফতার করতে সহায়তা করে।
    • জনপথ, রাসত্মা বা জনসাধারণের জায়গায় অবৈধ দখল বা দালান বা সম্পত্তির ক্ষতি হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট রিপোর্ট করে।
    • সরকারঅথবা অন্য কোন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পক্ষে নির্দেশ অনুযায়ী জনসাধারণকেবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যেসকল বিষয় জানানোর  নির্দেশ দেওয়া হয় তা বিজ্ঞপ্তিরমাধ্যমে জানানো।
    • কর্মকর্তাদেরকে তাদের কাজে সহায়তা করা এবং উক্ত কর্মকর্তাদের চাহিদা অনুযায়ী তথ্যাদি সরবরাহ করা।

     

    উন্নয়ন ও দারিদ্র দূরীকরণ

    গ্রামউন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। কৃষি ও কুটির শিল্পের উন্নতিএবং সমবায় আন্দোলনের বিসত্মার এবং বন, পশু ও মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির জন্যইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন পরিকল্পনাএমনভাবে তৈরি করে যাতে একে যেসব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যেমন-কৃষি, শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, কুটিরশিল্প ইত্যাদি বিষয়ক প্রকল্পগুলো পৃথক পৃথকভাবেদেখানো হয়। নিম্নলিখিত তথ্যাদি উন্নয়ন পরিকল্পনায় লিপিবদ্ধ করা হয়:

    • বিভিন্ন খাতের লক্ষ্যমাত্রা
    • প্লানের নির্দিষ্ট প্রকল্পসমূহ
    • কি ধরণের কর্মচারী প্রয়োজন হবে এবং এ ব্যাপারে সরকারের কাছ থেকে কোন সাহায্যের প্রয়োজন হবে কিনা।
    • যে সকল দ্রব্যাদি এবং সরঞ্জামের প্রয়োজন হবে।
    • কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে এবং কিভাবে তা পাওয়া যাবে।
    • জনসাধারণের কাছ থেকে প্রাপ্ত চাঁদা, দ্রব্যাদি ও স্বেচ্ছাশ্রম।
    • কিভাবে বার্ষিক পরিকল্পনা পর্যায়ক্রমে বাসত্মবায়িত হবে।
    • কোন প্রকল্প সমাপ্ত হলে তার সংরক্ষণের ব্যবস্থা ও আবর্তক খরচ।

     

    প্রত্যেকইউনিয়ন পরিষদ বিভিন্ন এলাকার চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী একটি উন্নয়নপরিকল্পনা তৈরি করে। উন্নয়ন পরিকল্পনার মেয়াদ সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী হয়।তবে এযাবৎ সরকারের নির্দেশ মোতাবেক উন্নয়ন পরিকল্পনার মেয়াদ পাঁচ বছর করেহয়ে আসছে। বিভিন্ন এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের চাহিদা একসঙ্গে বা এক বছরেমেটানো সম্ভব নয়, পরিষদের আর্থিক সংগতিও পর্যাপ্ত নয়। এসব কারণে পরিকল্পনাপ্রণয়নের সময় দেখা হয় বৃহত্তর জনস্বার্থে এবং পরিষদের আর্থিক সংগতির দিকেলক্ষ্য রেখে কোন ধরনের প্রকল্প বা প্রকল্পগুলো প্রথম বছর, কোনগুলো দ্বিতীয়বছর, কোনগুলো তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম বছরে কার্যকরী করা সম্ভব হবে। এককথায় বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পগুলোর সামগ্রিক অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পাঁচশালাপরিকল্পনা গ্রহণ করে ইউনিয়ন পরিষদ। প্রতিবছর উন্নয়ন পরিকল্পনা খাতে যেপরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হবে তা পাঁচশালা পরিকল্পনার ভিত্তিতে খরচ করা হয়, অন্যভাবে নয়। তবে যে প্রকল্পগুলো আগে সম্পন্ন করা হয়েছে তার উন্নয়ন বামেরামতের কাজ এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়। প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে একটিপ্লানবুক আছে যার মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নির্দেশ করা থাকে।বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ যাতে সুচারুরূপে সম্পাদিত হয় সেজন্য ইউনিয়ন পরিষদ  বিভিন্ন কমিটি গঠন করে।

     

    ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্প গ্রহণ ও বাসত্মবায়নের মূল লক্ষ্য হল:

    (ক) গ্রামের বেকার, গরীব ও দুঃস্থ জনগণের কর্মসংস্থান করা ও স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টি করা এবং সব সম্পদ সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

    (খ)গ্রাম, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নভিত্তিক দরিদ্র ও বেকার এবং দুঃস্থ লোকদের সঠিকপরিসংখ্যান বাসত্মব জরিপের মাধ্যমে প্রস্ত্তত করা। এ পরিসংখ্যান সর্বদাইউনিয়ন পরিষদ সংরক্ষণ করবে এবং ইউনিয়ন অভ্যমত্মরে যেসব উন্নয়ন প্রকল্পবাস্তবায়িত হবে তাতে বেকার ও দরিদ্র এবং দুঃস্থ জনাংশের কর্মসংস্থানেরঅগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

    বিচার

    বাংলাদেশেরগ্রামীণ জনসাধারণের ঝগড়া-বিবাদের মীমাংসা ও মামলা মোকদ্দমা নিস্পত্তি এবংবিড়ম্বনা এবং এ সংক্রামত্ম খরচের হাত থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সরকারগ্রামাঞ্চলে প্রাথমিকভাবে বিচার ব্যবস্থার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের উপরন্যাস্ত করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালত গঠনের মাধ্যমে কতিপয় ফৌজদারী ওদেওয়ানী উভয় প্রকার   মামলার  বিচার করতে পারে।

    সচরাচর জিজ্ঞাসা

    প্রশ্ন ১:ইউনিয়ন পরিষদের কয় ধরণের কাজ রয়েছে 

    উত্তর: ইউনিয়ন পরিষদের প্রধানত ৫ ধরণের কাজ রয়েছে,যথা- পৌর,পুলিশ ও নিরাপত্তা,রাজস্ব ও প্রশাসন,উন্নয়ন ও দারিদ্র দূরীকরণএবং বিচার।

    প্রশ্ন ২: ইউনিয়ন পরিষদের কয়টি বাধ্যতামূলক এবং কয়টি ঐচ্ছিক দায়িত্ব রয়েছে

    উত্তর: : ইউনিয়ন পরিষদের ১০টি বাধ্যতামূলক এবং ৩৮টি ঐচ্ছিক দায়িত্ব রয়েছে।

    See less

Latest News & Updates

  1. উত্তর: পাদ্রি লঙ সাহেব। প্যারীচাঁদ মিত্রকে ‘ডিফেন্স অফ বেঙ্গল’ বলেছেন পাদ্রি লঙ সাহেব।

    উত্তর: পাদ্রি লঙ সাহেব।

    প্যারীচাঁদ মিত্রকে ‘ডিফেন্স অফ বেঙ্গল’ বলেছেন পাদ্রি লঙ সাহেব।

    See less
  2. উত্তরঃ হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিয়ো । প্যারীচাঁদ মিত্র হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিয়ো বিখ্যাত শিক্ষকের ছাত্র ছিলেন ।

    উত্তরঃ হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিয়ো ।

    প্যারীচাঁদ মিত্র হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিয়ো বিখ্যাত শিক্ষকের ছাত্র ছিলেন ।

    See less
  3. উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ গুলোর নামঃ অতসী মামীও অন্যান্য গল্প (১৯৩৫) প্রাগৈতিহাসিক (১৯৩৭) মিহি ও মোটা কাহিনী (১৯৩৮) সরীসৃপ (১৯৩৯) বৌ (১৯৪০) সমুদ্রের স্বাদ(১৯৪৩) ভেজাল (১৯৪৪) হলুদপোড়া (১৯৪৫) টিকটিকি হারানের নাতজামাই আজ কাল পরশুর গল্প (১৯৪৬) পরিস্থিতি (১৯৪৬) খতিয়ান (১৯৪Read more

    উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ গুলোর নামঃ

    • অতসী মামীও অন্যান্য গল্প (১৯৩৫)
    • প্রাগৈতিহাসিক (১৯৩৭)
    • মিহি ও মোটা কাহিনী (১৯৩৮)
    • সরীসৃপ (১৯৩৯)
    • বৌ (১৯৪০)
    • সমুদ্রের স্বাদ(১৯৪৩)
    • ভেজাল (১৯৪৪)
    • হলুদপোড়া (১৯৪৫)
    • টিকটিকি
    • হারানের নাতজামাই
    • আজ কাল পরশুর গল্প (১৯৪৬)
    • পরিস্থিতি (১৯৪৬)
    • খতিয়ান (১৯৪৭)
    • মাটির মাশুল (১৯৪৮)
    • ছোট বড় (১৯৪৮)
    • ছোট বকুলপুরের যাত্রী (১৯৪৯)
    • ফেরিওলা (১৯৫৩)
    • লাজুকলতা (১৯৫৪)
    • আত্নহত্যার অধিকার
    See less
Explore Our Blog