উত্তর: পাদ্রি লঙ সাহেব। প্যারীচাঁদ মিত্রকে ‘ডিফেন্স অফ বেঙ্গল’ বলেছেন পাদ্রি লঙ সাহেব।
Sign up to join our community!
Please sign in to your account!
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
সিংহ বনের রাজা হলেও বাঘ কেন রাজা নয়?
বিড়াল শ্রেণীর প্রাণিদের মধ্যে বাঘই সবচেয়ে শক্তিশালী এবং আকারের দিক থেকেও সবচেয়ে বড় । সিংহ বাঘের চেয়ে আকারে ছোট এবং এর শারীরিক শক্তিও বাঘের চেয়ে কম। তবুও সিংহকেই বনের রাজা বলা হয়, বাঘকে নয়। বাঘকে কেন বনের রাজা বলা হয় না এ প্রশ্ন জাগতে পারে অনেকের মনেই। এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হলে প্রথমেইRead more
বিড়াল শ্রেণীর প্রাণিদের মধ্যে বাঘই সবচেয়ে শক্তিশালী এবং আকারের দিক থেকেও সবচেয়ে বড় । সিংহ বাঘের চেয়ে আকারে ছোট এবং এর শারীরিক শক্তিও বাঘের চেয়ে কম। তবুও সিংহকেই বনের রাজা বলা হয়, বাঘকে নয়। বাঘকে কেন বনের রাজা বলা হয় না এ প্রশ্ন জাগতে পারে অনেকের মনেই। এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে
See lessহলে প্রথমেই আলোকপাত করতে হয় একজন রাজার স্বভাব এবং বৈশিষ্ট্যের দিকটিতে। একজন রাজা যেমন সবসময় দাপট নিয়ে চলাফেরা করেন, সিংহও তেমনি সবসময় বুক ফুলিয়ে মাথা উঁচু করে জঙ্গলের ভেতর চলাফেরা করে। সিংহের কেশর, হুংকার ও গর্জন যেন একজন রাজার দাপুটে স্বভাবেরই পরিচায়ক। অপরদিকে,
বাঘের গর্জন সিংহের চেয়েও ভয়ংকর এবং জোরালো হলেও সিংহের মতো বহুদুর পর্যন্ত বিস্তৃতি তার নেই। একটি প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের গর্জন ৩ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায়। আপাতদৃষ্টিতে এটি অনেক বলে মনে হলেও সিংহের গর্জনের তুলনায় তা অতি নগন্য। একটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সিংহের গর্জন প্রায় ৮ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে শোনা যায়। রাজার হুংকার প্রজা যেন অনেক দূর থেকে শুনতে পায় , এ দিক বিবেচনা করেও সিংহকেই বনের রাজার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, বাঘকে নয়। একটি সিংহ একটী বাঘের চেয়ে বেশিক্ষণ ধরে লড়তে পারে। বাঘ যদিও সিংহের চেয়ে বেশি শক্তিশালী এবং আকারেও বড়, তবুও সে সিংহের মতো বেশিক্ষণ ধরে লড়তে পারেনা, হাঁপিয়ে যায়। এছাড়াও বাঘ নিজের চেয়ে বড় প্রাণি, যেমনঃ হাতি, ভাল্লুকদের ভয় পায়। কিন্তু সিংহ কোনো প্রাণিকেই ভয় পায়না, হোক সে তার চেয়ে বড় অথবা শক্তিশালী।
কোনো জন্তুর সাথে যখন বাঘ লড়াই করে এবং নিজের জয় লাভের কোনো সম্ভাবনা না দেখে, তখন বাঘ লড়াইক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু সিংহ যখন কোনো জন্তুর সাথে লড়াই করে, তখন সে কখনো লড়াই ছেড়ে পালায় না। যদি এমনও হয় যে, এই লড়াইয়ে সিংহের মৃত্যু নিশ্চিত, তবুও সিংহ লড়তেই থাকে। একজন রাজা
যেমন কাউকে ভয় পায়না, অকুতোভয় মনোবল নিয়ে রাজ্যের শাসনকার্য পরিচালনা করে, সিংহও তেমনি কাউকে ভয় না পেয়ে জঙ্গলে রাজত্ব করে। একারণেই সিংহ বনে নিজের কর্তৃ্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে, যা বাঘ পারেনি। আর এজন্যই সিংহই বনের রাজা, বাঘ নয়।
সিংহকে বনের রাজা বলা হয় কেন?
সিংহ ফেলিডি পরিবারের প্রাণী যা প্যানথেরাগণের চারটি বৃহৎ বিড়ালের একটি। সিংহের মূলত দুটি উপপ্রজাতি বর্তমানে টিকে আছে। একটি হল আফ্রিকান সিংহ অপরটি হল এশীয়। আফ্রিকান সিংহ মোটামুটি আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে পাওয়া গেলেও অল্পসংখ্যক ভারতীয় সিংহ শুধু ভারতের গিরি অভয়ারণ্যে পাওয়া যায়। সংখ্যাধিক্যের দরুন সিংRead more
সিংহ ফেলিডি পরিবারের প্রাণী যা প্যানথেরাগণের চারটি বৃহৎ বিড়ালের একটি। সিংহের মূলত দুটি উপপ্রজাতি বর্তমানে টিকে আছে। একটি হল আফ্রিকান সিংহ অপরটি হল এশীয়। আফ্রিকান সিংহ মোটামুটি আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে পাওয়া গেলেও অল্পসংখ্যক ভারতীয় সিংহ শুধু ভারতের গিরি অভয়ারণ্যে পাওয়া যায়। সংখ্যাধিক্যের দরুন সিংহ বলতে তাই আফ্রিকান সিংহকেই বোঝায়।
বর্তমানে আফ্রিকার বনে প্রায় ৩০,০০০ সিংহ রয়েছে। আর এশিয়ায় প্রায় ৩৫০টি। পুরুষ সিংহের সাধরণত ওজন হয় ১৫০ এবং ২৫০ কিলোগ্রাম। স্ত্রীরা (সিংহী) সাধারণত ১২০ থেকে ১৮২ কেজি ওজনের হয়। পুরুষ সিংহদের কেশর থাকে। সিংহ মাংসাশী প্রাণী। বিভিন্ন জাতের হরিণ, জেব্রা, বুনো মহিষ, জিরাফ, শূকর ইত্যাদি এদের প্রধান খাদ্য।
সিংহের ইংরেজি নাম রোমান ভাষার সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি লাতিন ভাষার লিও শব্দ এবং প্রাচীন গ্রিকের লিওন থেকে এসেছে।
সিংহের দলকে প্রাইড বলে। যেটির অর্থ গর্ব। একটি প্রাইডে দশ থেকে চল্লিশটি সিংহ থাকে। প্রত্যেক প্রাইডের নিজস্ব অঞ্চল আছে। সিংহ কখনও তাদের অঞ্চলে অন্য মাংসাশী প্রাণী ঢোকা পছন্দ করে না। তাদের একটি অঞ্চল প্রায় ২৬০ বর্গকিলোমিটার (১০০ বর্গমাইল)। পুরুষ সিংহরা খুব রাগী হয়। এরা এদের এলাকা রক্ষার্থে প্রয়োজনে সহিংস লড়াই করে। এ কারণে সিংহকে বনের রাজা বলা হয়।
এছাড়াও
রাজার বৈশিষ্ট্য কি?
এবার তবে সিংহের দিকে তাকানো যাক,
উপরে যে কয়টা বৈশিষ্ট্য বলা হয়েছে, সবই সিংহের মাঝে বিদ্যমান।
বিড়াল প্রজাতির প্রাণীদের মাঝে সিংহ ই একমাত্র সামাজিক বিড়াল। এদের দায়িত্ব পরিবারকে রক্ষা করা, আর বড় শিকারে অংশগ্রহণ করা। সিংহ পরিবারে সিংহী রা মূলত শিকার করে, কিন্তু বড় আর শক্তিশালী শিকারের ক্ষেত্রে পরিবারের প্রধান পুরুষ সিংহ হাত লাগায়। তবে যে কোন শিকারের ভাগ প্রথমে তিনিই নেবেন। (রাজা বলে কথা!)
পরিবার বিপদে পড়লে প্রধান পুরুষ সিংহ (রাজা) আমৃত্যু লড়াই করে যায়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুটি পুরুষ সিংহের লড়াই মৃত্যু পর্যন্ত গড়ায়। এই প্রাণীটির আত্মসম্মানবোধ এতটাই প্রবল যে এরা জীবন দিয়ে দেবে, কিন্তু হার মানবে না। অন্যান্য বিড়ালদের মাঝে এমনটা দেখা যায় না।
পেটে খাদ্য থাকলে এরা অযথা প্রাণী হত্যা করে না।
পশুরাজ তো একেই বলা যায়, তাই না?
See lessজেলা প্রশাসকের প্রধানকে কী বলে?
উত্তরঃ ডিপুটি কমিশনার বা (ডিসি) । জেলা প্রশাসকের প্রধানকে ডিপুটি কমিশনার বা (ডিসি) বলা হয়।
উত্তরঃ ডিপুটি কমিশনার বা (ডিসি) ।
জেলা প্রশাসকের প্রধানকে ডিপুটি কমিশনার বা (ডিসি) বলা হয়।
See lessসিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভার মধ্যে পার্থক্য কি?
সিটি কর্পোরেশনঃ সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের মহানগর সমূহের স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার একক। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ ( ২০০৯ সনের ৬০ নং আইন ) অনুসারে বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন গঠনের জন্য ৮ টি শর্ত পুরণ করতে হয়। বিদ্যমান পৌর এলাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩,০০০ জন। স্থানীয় আয়েRead more
সিটি কর্পোরেশনঃ
সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের মহানগর সমূহের স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার একক। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ ( ২০০৯ সনের ৬০ নং আইন ) অনুসারে বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন গঠনের জন্য ৮ টি শর্ত পুরণ করতে হয়।
সরাসরি নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি মেয়র যিনি সিটি কর্পোরেশনের প্রধান। অনেকেই মেয়রকে নগরপিতা বলে থাকেন। মেয়রকে সহযোগিতা করার জন্য রয়েছে সরাসরি নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তথা কাউন্সিলরগণ। প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে একজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এবং প্রতি ৩ টি ওয়ার্ড থেকে একজন মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
পৌরসভাঃ
পৌরসভা বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় প্রশাসনের স্বায়ত্বশাসিত গুরুত্বপূর্ণ একক। পৌরসভা আইন ২০০৯ অনুসারে বাংলাদেশের কোন এলাকাকে পৌরসভা ঘোষণা করা যেতে পারে যদি ঐ এলাকা ৪টি শর্ত পুরণ করতে পারে যথাঃ
সিটি কর্পোরেশন গঠনের জন্য কয়টি শর্ত পুরণ করতে হয়?
সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের মহানগর সমূহের স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার একক। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ ( ২০০৯ সনের ৬০ নং আইন ) অনুসারে বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন গঠনের জন্য ৮ টি শর্ত পুরণ করতে হয়। বিদ্যমান পৌর এলাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩,০০০ জন। স্থানীয় আয়ের উৎস বাৎসরিক ৫Read more
সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের মহানগর সমূহের স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার একক। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ ( ২০০৯ সনের ৬০ নং আইন ) অনুসারে বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন গঠনের জন্য ৮ টি শর্ত পুরণ করতে হয়।
সরাসরি নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি মেয়র যিনি সিটি কর্পোরেশনের প্রধান। অনেকেই মেয়রকে নগরপিতা বলে থাকেন। মেয়রকে সহযোগিতা করার জন্য রয়েছে সরাসরি নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তথা কাউন্সিলরগণ। প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে একজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এবং প্রতি ৩ টি ওয়ার্ড থেকে একজন মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
See lessইউনিয়ন পরিষদ কি?
ইউনিয়ন পরিষদ হলঃ ইউনিয়ন পরিষদ হল বাংলাদেশে পল্লী অঞ্চলের সর্বনিম্ন প্রশাসনিক একক। গ্রাম চৌকিদারী আইনের ১৮৭০ এর অধীনে ইউনিয়ন পরিষদের সৃষ্টি হয়। এ আইনের অধীনে প্রতিটি গ্রামে পাহারা টহল ব্যবস্থা চালু করার উদ্দেশ্যে কতগুলো গ্রাম নিয়ে একটি করে ইউনিয়ন গঠিত হয়। ইউনিয়ন গঠনের বিস্তারিত দিকনির্দেশনা লRead more
ইউনিয়ন পরিষদ হলঃ
ইউনিয়ন পরিষদ হল বাংলাদেশে পল্লী অঞ্চলের সর্বনিম্ন প্রশাসনিক একক। গ্রাম চৌকিদারী আইনের ১৮৭০ এর অধীনে ইউনিয়ন পরিষদের সৃষ্টি হয়। এ আইনের অধীনে প্রতিটি গ্রামে পাহারা টহল ব্যবস্থা চালু করার উদ্দেশ্যে কতগুলো গ্রাম নিয়ে একটি করে ইউনিয়ন গঠিত হয়। ইউনিয়ন গঠনের বিস্তারিত দিকনির্দেশনা লিপিবদ্ধ রয়েছে বেঙ্গল চৌকিদারী ম্যানুয়েলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অনুচ্ছেদে। এই প্রক্রিয়ার বিকাশের মধ্য দিয়ে একটি স্থানীয় সরকার ইউনিটের ধারণার সৃষ্টি হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এর ভূমিকা নিরাপত্তামূলক কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তী কালে এটিই স্থানীয় সরকারের প্রাথমিক ইউনিটের ভিত্তিরূপে গড়ে উঠে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৫৭১টি ইউনিয়ন আছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে এর ভূমিকা নিরাপত্তামূলক কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তী কালে এটিই স্থানীয় সরকারের প্রাথমিক ইউনিটের ভিত্তিরুপে গড়ে উঠে। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স, চারিত্রিক সনদপত্র, ভূমিহীন সনদপত্র, ওয়ারিশান সনদপত্র, অবিবাহিত সনদপত্র, প্রত্যয়নপত্র, অস্বচ্ছল প্রত্যয়নপত্র, নাগরিক সনদপত্র, উত্তরাধিকার সনদপত্র ইত্যাদি সেবা প্রদান করা হয়।
ইতিহাসঃ
বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার একটি দীর্ঘ ও ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস রয়েছে। অতি প্রাচীন কাল থেকে উপমহাদেশে স্থানীয় সরকারের অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়। সাধারণত স্থানীয় সরকার বলতে এমন জনসংগঠনকে বুঝায় যা অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র ভৌগোলিক সীমা রেখায় একটি দেশের অঞ্চল ভিত্তিতে জাতীয় সরকারের অংশ হিসেবে কাজ করে। স্থানীয় কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য স্থানীয়ভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমম্বয়ে গঠিত সংস্থাকে স্থানীয় সরকার বলা হয়। জাতীয় সরকারের মত স্থানীয় সরকার সার্বভৌম কোন প্রতিষ্ঠান নয়। জাতীয় সরকার বিভিন্ন সার্কুলার ও নির্দেশের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। স্থানীয় সরকার নির্দিষ্ট এলাকার কর, রেট, ফিস, টোল প্রভৃতি নির্ধারণ ও আদায়ের ব্যাপারে জাতীয় সরকারের নির্দেশ অনুসরণ করে থাকে। ব্রিটিশ শাসন আমলের পূর্বে প্রাচীন ও মধ্য যুগীয় আমলে খ্রীষ্ট পূর্ব ১৫০০-১০০০ অব্দে গ্রাম পরিষদের উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া খ্রীষ্ট পূর্ব ৩২৪-১৮৩ অব্দে মৌর্য বা মৌর্য পূর্ব যুগে গ্রাম প্রশাসনের অস্তিত্বের স্বাক্ষর পাওয়া যায়। ব্রিটিশদের আগমনের পূর্বে তৎকালীন বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে অধিকাংশ গ্রামে পঞ্চায়েত প্রথা প্রচলিত ছিল। পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা ছিল ৫ জন। জনগণের মতামতের উপর ভিত্তি করে সামাজিক প্রয়োজনে পঞ্চায়েত প্রথার উদ্ভব ঘটে। তাই এগুলোর আইনগত কোন ভিত্তি ছিল না।
ব্রিটিশ শাসনামলে অর্থনৈতিক প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কারণে ও ব্রিটিশদের ভিত্তি আরও সুদৃঢ় করার জন্য লর্ড মেয়ো ১৮৭০ সালে চৌকিদারী আইন পাশ করেন। এর ফলে প্রথমবারের মত স্থানীয় সরকারের উদ্ভব হয় এবং পঞ্চায়েত প্রথার পুনরাবৃত্তি ঘটে। চৌকিদারী পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা ছিল পাঁচ জন এবং জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট পঞ্চায়েতের সকল সদস্যকে তিন বৎসরের জন্য নিয়োগ করতেন। চৌকিদারী পঞ্চায়েত ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে ১৮৮৫ সালে বঙ্গীয় স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়। ইউনিয়ন কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ৫-৯ জন এবং গ্রামবাসী কর্তৃক নির্বাচিত হতেন এবং ইউনিয়ন কমিটির পাশাপাশি চৌকিদারী পঞ্চায়েত কাজ করতো। এর ফলে দ্বৈত শাসনের অসুবিধা সমূহ প্রকটভাবে দেখা দেয়। অতঃপর ১৯১৯ সালে চৌকিদারী পঞ্চায়েত ও ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত করে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন বোর্ড গঠন করা হয়। ইউনিয়ন বোর্ডের সদস্য ১/৩ অংশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক মনোনয়ন দান করতেন অবশিষ্ট সদস্যগণ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হতেন। সদস্যগণ তাদের মধ্য থেকে প্রেসিডেন্ট ও একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতেন। কার্যকাল ছিল ৩ (তিন) বৎসর। তবে ১৯৩৬ সাল হতে ৪ (চার) বৎসর করা হয় এবং মনোনয়ন প্রথা ১৯৪৬ সালে রহিত করা হয়।
মৌলিক গণতন্ত্র আদেশ,১৯৫৯ এর অধীনে ইউনিয়ন কাউন্সিল গঠন করা হয় এবং সদস্য সংখ্যা ছিল ১০-১৫ জন। মোট সদস্যের ২/৩ অংশ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতো এবং অবশিষ্ট ১/৩ অংশ মহুকুমা প্রশাসক সরকারের পক্ষ থেকে মনোনয়ন প্রদান করতেন। ১৯৬২ সালে শাসনতন্ত্র প্রবর্তনের ফলে মনোনয়ন প্রথা রহিত করা হয়। সদস্যগণ তাদের মধ্য থেকে একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন করতেন। পরবর্তীতে ভাইস চেয়ারম্যানের পদটি বিলুপ্ত করা হয়। ইউনিয়ন কাউন্সিলের মেয়াদ ছিল ৫ বছর বাংলাদেশে স্থানীয় সরকারের যে কাঠামো রয়েছে তার সূচনা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে প্রণীত কিছু কিছু আইনের মাধ্যমে। অষ্টাদশ শতকের শেষ ভাগে শহর অঞ্চল এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়।
See lessপৌরসভা, ইউনিয়ন এবং সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে পার্থক্য কী?
পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশন এর মধ্যে পার্থক্য এবং সুবিধা অসুবিধা কি? সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের মহানগর সমূহের স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার একক। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ ( ২০০৯ সনের ৬০ নং আইন ) অনুসারে বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন গঠনের জন্য ৮ টি শর্ত পুরণ করতে হয়। ১. বিদ্যমান পৌর এলাকার জনসংখ্যRead more
পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশন এর মধ্যে পার্থক্য এবং সুবিধা অসুবিধা কি?
সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের মহানগর সমূহের স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার একক। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ ( ২০০৯ সনের ৬০ নং আইন ) অনুসারে বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন গঠনের জন্য ৮ টি শর্ত পুরণ করতে হয়। ১. বিদ্যমান পৌর এলাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩,০০০ জন। ২. স্থানীয় আয়ের উৎস বাৎসরিক ৫ কোটি টাকা। ৩. প্রস্তাবিত এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান। ৪. বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ৫. ভৌত অবকাঠামোগত সুবিধা যা ভবিষ্যতে সম্প্রসারণ। ৬. বিদ্যমান পৌরসভার বার্ষিক আয় ন্যূনতম ১০ কোটি টাকা। ৭. আয়তন কম্পক্ষে ২৫ বর্গ কিলোমিটার ও ৮. সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে অনুকূল জনমত।
সরাসরি নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি মেয়র যিনি সিটি কর্পোরেশনের প্রধান। অনেকেই মেয়রকে নগরপিতা বলে থাকেন। মেয়রকে সহযোগিতা করার জন্য রয়েছে সরাসরি নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তথা কাউন্সিলরগণ। প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে একজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এবং প্রতি ৩ টি ওয়ার্ড থেকে একজন মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
পৌরসভা বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় প্রশাসনের স্বায়ত্বশাসিত গুরুত্বপূর্ণ একক। পৌরসভা আইন ২০০৯ অনুসারে বাংলাদেশের কোন এলাকাকে পৌরসভা ঘোষণা করা যেতে পারে যদি ঐ এলাকার ১. তিন চতুর্থাংশ বা শতকরা ৭৫ ভাগ লোক অকৃষজ পেশায় নিয়োজিত থাকে। ২. শতকরা এক তৃতীয়াংশ বা ৩৩ ভাগ লোক অকৃষিজ পেশায় নিয়োজিত থাকে। ৩. জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১,৫০০ জনের অধিক হয়। এবং ৪. ঐ এলাকার মোট জনসংখ্যা ৫০,০০০ জনের কম হবে না।
ইউনিয়ন পরিষদ হলঃ
ইউনিয়ন পরিষদ হল বাংলাদেশে পল্লী অঞ্চলের সর্বনিম্ন প্রশাসনিক একক। গ্রাম চৌকিদারী আইনের ১৮৭০ এর অধীনে ইউনিয়ন পরিষদের সৃষ্টি হয়। এ আইনের অধীনে প্রতিটি গ্রামে পাহারা টহল ব্যবস্থা চালু করার উদ্দেশ্যে কতগুলো গ্রাম নিয়ে একটি করে ইউনিয়ন গঠিত হয়। ইউনিয়ন গঠনের বিস্তারিত দিকনির্দেশনা লিপিবদ্ধ রয়েছে বেঙ্গল চৌকিদারী ম্যানুয়েলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অনুচ্ছেদে। এই প্রক্রিয়ার বিকাশের মধ্য দিয়ে একটি স্থানীয় সরকার ইউনিটের ধারণার সৃষ্টি হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এর ভূমিকা নিরাপত্তামূলক কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তী কালে এটিই স্থানীয় সরকারের প্রাথমিক ইউনিটের ভিত্তিরূপে গড়ে উঠে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৫৭১টি ইউনিয়ন আছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে এর ভূমিকা নিরাপত্তামূলক কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তী কালে এটিই স্থানীয় সরকারের প্রাথমিক ইউনিটের ভিত্তিরুপে গড়ে উঠে। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স, চারিত্রিক সনদপত্র, ভূমিহীন সনদপত্র, ওয়ারিশান সনদপত্র, অবিবাহিত সনদপত্র, প্রত্যয়নপত্র, অস্বচ্ছল প্রত্যয়নপত্র, নাগরিক সনদপত্র, উত্তরাধিকার সনদপত্র ইত্যাদি সেবা প্রদান করা হয়।
See lessইউনিয়ন পরিষদের কয়টি বাধ্যতামূলক এবং কয়টি ঐচ্ছিক দায়িত্ব রয়েছে?
উত্তর: : ইউনিয়ন পরিষদের ১০টি বাধ্যতামূলক এবং ৩৮টি ঐচ্ছিক দায়িত্ব রয়েছে। বাধ্যতামূলক কার্যাবলী আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করে এবং এ বিষয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করে। অপরাধ, বিশৃঙ্খলা এবং চোরাচালান দমনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কৃষি, বৃক্ষরোপণ, মৎস্য ও পশুপালন, স্বাস্থ্য, কুটিরশিল্প, সেচ, যোগাযোগ ইত্যাদি কারRead more
উত্তর: : ইউনিয়ন পরিষদের ১০টি বাধ্যতামূলক এবং ৩৮টি ঐচ্ছিক দায়িত্ব রয়েছে।
বাধ্যতামূলক কার্যাবলী
ঐচ্ছিক কার্যাবলী
ইউনিয়ন পরিষদ পৌর ও উন্নয়ন কাজের আওতায় সামাজিক,অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক ৪টি দায়িত্ব পালন করে। যথা:
যোগাযোগ
শিক্ষা,কৃষি,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ
পানীয় জল সরবরাহ
সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ
পুলিশ ও নিরাপত্তা
সরকারগেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার গ্রাম পুলিশ বাহিনী প্রতিষ্ঠাএবং তাদের নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও শিষ্টাচার নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের চাকুরিরশর্তাবলী নির্ধারণ করে। অধ্যাদেশের প্রথম তফসীলের দ্বিতীয় অংশে গ্রাম পুলিশবাহিনীর ক্ষমতা ও দায়িত্বগুলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকযদি মনে করেন যে কোন ইউনিয়ন বা তার অংশবিশেষে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাজননিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, তাহলে তিনি আদেশ জারিরমাধ্যমে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। তাঁর আদেশ অনুযায়ী ইউনিয়ন বাঅংশবিশেষে সক্ষম যুবক পুরুষ বসবাসকারী টহল দেন। জেলা প্রশাসকের আদেশঅনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ তার ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করে।
গ্রামাঞ্চলেরজনসাধারণ ও তাদের মালামালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ইউনিয়ন পরিষদেরঅন্যতম দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ মহল্লাদার ওদফাদার নিয়োগ করে। মহল্লাদার ও দফাদারদের কাজ হচ্ছে ইউনিয়নের গ্রাম ওমহল্লায় প্রহরার ব্যবস্থা করা এবং পুলিশকে অপরাধ দমনে যথাসাধ্য সাহায্যকরা। সন্দেহজনক কোন ব্যক্তি বা কোন কারণে ইউনিয়নে শামিত্ম বিঘ্নিত হতেপারে এমন কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে সে সম্বন্ধে থানার ওসিকে এরা অবহিত করেএবং ১৫ দিনে অমত্মত একবার তার কাছে রিপোর্ট করে। ইউনিয়নে কোন প্রকারমহামারীর আশংকা দেখা দিলে বা কোন বাঁধ বা সেচ প্রকল্পের কোন ক্ষতিরসম্ভাবনা হলে বা ইউনিয়ন পরিষদের কোন সম্পত্তি অন্যায় দখল হলে ইউনিয়নপরিষদকে তা তখনই জানাতে হয়। তাছাড়া রেললাইন, টেলিফোন বা টেলিগ্রাম বাইলেকট্রিক লাইন, টিউবওয়েল এবং অন্যান্য সরকারি সম্পত্তি ক্ষতির সম্মুখীনহলে জনসাধারণ, মহল্লাদার বা দফাদার ইউনিয়ন পরিষদকে জানায়। সেই অনুযায়ীইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রেমহল্লাদার বা দফাদাররা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ও ওয়ারেনট ছাড়াই গ্রেফতার করতেপারে যেমন-কেউ যদি কোন আদালত অগ্রাহ্য অপরাধ করে, বা কারও কাছে কোন সিদেলযন্ত্র বা চোরাই মাল থাকে বা কেউ হাজত থেকে পলায়ন করে গ্রামে আত্মগোপন করে ইত্যাদি। কিন্তু তাদেরকে যত শীঘ্র সম্ভব থানায় সোপর্দ করতে হয়। এছাড়ামহল্লাদারের আরেকটি অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রারেলিপিবদ্ধ করা।
গ্রামপ্রতিরক্ষা দলের গঠন ও কার্যাবলীর সাথে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসদস্যগণ সম্পৃক্ত। গ্রাম প্রতিরক্ষা দল গঠনের প্রধান উদ্দেশ্যাবলী হচ্ছে:
রাজস্ব ও প্রশাসন
নিজস্ব দায়িত্ব সম্পাদন ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ:
উন্নয়ন ও দারিদ্র দূরীকরণ
গ্রামউন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। কৃষি ও কুটির শিল্পের উন্নতিএবং সমবায় আন্দোলনের বিসত্মার এবং বন, পশু ও মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির জন্যইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন পরিকল্পনাএমনভাবে তৈরি করে যাতে একে যেসব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যেমন-কৃষি, শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, কুটিরশিল্প ইত্যাদি বিষয়ক প্রকল্পগুলো পৃথক পৃথকভাবেদেখানো হয়। নিম্নলিখিত তথ্যাদি উন্নয়ন পরিকল্পনায় লিপিবদ্ধ করা হয়:
প্রত্যেকইউনিয়ন পরিষদ বিভিন্ন এলাকার চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী একটি উন্নয়নপরিকল্পনা তৈরি করে। উন্নয়ন পরিকল্পনার মেয়াদ সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী হয়।তবে এযাবৎ সরকারের নির্দেশ মোতাবেক উন্নয়ন পরিকল্পনার মেয়াদ পাঁচ বছর করেহয়ে আসছে। বিভিন্ন এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের চাহিদা একসঙ্গে বা এক বছরেমেটানো সম্ভব নয়, পরিষদের আর্থিক সংগতিও পর্যাপ্ত নয়। এসব কারণে পরিকল্পনাপ্রণয়নের সময় দেখা হয় বৃহত্তর জনস্বার্থে এবং পরিষদের আর্থিক সংগতির দিকেলক্ষ্য রেখে কোন ধরনের প্রকল্প বা প্রকল্পগুলো প্রথম বছর, কোনগুলো দ্বিতীয়বছর, কোনগুলো তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম বছরে কার্যকরী করা সম্ভব হবে। এককথায় বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পগুলোর সামগ্রিক অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পাঁচশালাপরিকল্পনা গ্রহণ করে ইউনিয়ন পরিষদ। প্রতিবছর উন্নয়ন পরিকল্পনা খাতে যেপরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হবে তা পাঁচশালা পরিকল্পনার ভিত্তিতে খরচ করা হয়, অন্যভাবে নয়। তবে যে প্রকল্পগুলো আগে সম্পন্ন করা হয়েছে তার উন্নয়ন বামেরামতের কাজ এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়। প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে একটিপ্লানবুক আছে যার মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নির্দেশ করা থাকে।বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ যাতে সুচারুরূপে সম্পাদিত হয় সেজন্য ইউনিয়ন পরিষদ বিভিন্ন কমিটি গঠন করে।
ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্প গ্রহণ ও বাসত্মবায়নের মূল লক্ষ্য হল:
(ক) গ্রামের বেকার, গরীব ও দুঃস্থ জনগণের কর্মসংস্থান করা ও স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টি করা এবং সব সম্পদ সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
(খ)গ্রাম, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নভিত্তিক দরিদ্র ও বেকার এবং দুঃস্থ লোকদের সঠিকপরিসংখ্যান বাসত্মব জরিপের মাধ্যমে প্রস্ত্তত করা। এ পরিসংখ্যান সর্বদাইউনিয়ন পরিষদ সংরক্ষণ করবে এবং ইউনিয়ন অভ্যমত্মরে যেসব উন্নয়ন প্রকল্পবাস্তবায়িত হবে তাতে বেকার ও দরিদ্র এবং দুঃস্থ জনাংশের কর্মসংস্থানেরঅগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
বিচার
বাংলাদেশেরগ্রামীণ জনসাধারণের ঝগড়া-বিবাদের মীমাংসা ও মামলা মোকদ্দমা নিস্পত্তি এবংবিড়ম্বনা এবং এ সংক্রামত্ম খরচের হাত থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সরকারগ্রামাঞ্চলে প্রাথমিকভাবে বিচার ব্যবস্থার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের উপরন্যাস্ত করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালত গঠনের মাধ্যমে কতিপয় ফৌজদারী ওদেওয়ানী উভয় প্রকার মামলার বিচার করতে পারে।
See lessইউনিয়ন পরিষদের কয় ধরণের কাজ রয়েছে ?
উত্তর: ইউনিয়ন পরিষদের প্রধানত ৫ ধরণের কাজ রয়েছে, যথা- পৌর,পুলিশ ও নিরাপত্তা,রাজস্ব ও প্রশাসন,উন্নয়ন ও দারিদ্র দূরীকরণএবং বিচার।
উত্তর: ইউনিয়ন পরিষদের প্রধানত ৫ ধরণের কাজ রয়েছে,
যথা- পৌর,পুলিশ ও নিরাপত্তা,রাজস্ব ও প্রশাসন,উন্নয়ন ও দারিদ্র দূরীকরণএবং বিচার।
See lessইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলী কি?
ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলী স্থানীয়সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ৩০, ৩১, ৩২ ও ৩৩ ধারায় ইউনিয়নপরিষদের কার্যাবলীর কথা বলা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের কাজগুলো মূলত পাঁচ ভাগেবিভক্ত। ইউনিয়ন এলাকায় পৌর,পুলিশ ও নিরাপত্তা,রাজস্ব ও প্রশাসন,উন্নয়ন ওদারিদ্র দূরীকরণ এবং বিচার কাজ করে ইউনিয়ন পরিষদ। পৌর কার্যাবলীRead more
ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলী
স্থানীয়সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ৩০, ৩১, ৩২ ও ৩৩ ধারায় ইউনিয়নপরিষদের কার্যাবলীর কথা বলা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের কাজগুলো মূলত পাঁচ ভাগেবিভক্ত। ইউনিয়ন এলাকায় পৌর,পুলিশ ও নিরাপত্তা,রাজস্ব ও প্রশাসন,উন্নয়ন ওদারিদ্র দূরীকরণ এবং বিচার কাজ করে ইউনিয়ন পরিষদ।
পৌর কার্যাবলী
স্থানীয়সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ৩০ ধারায় পৌর কাজের কথা বলাহয়েছে। পৌর কার্যাবলী বাধ্যতামূলক ও ঐচ্ছিক কার্যাবলী এই দুই ভাগে বিভক্ত।তবে এই কাজগুলো ছাড়াও সরকার সকল বা নির্দিষ্ট কোন ইউনিয়ন পরিষদকে ভিন্ন কোনদায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিতে পারে। প্রচলিত অন্য কোন আইনের মাধ্যমেও সরকারইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দিতে পারে। ইউনিয়ন পরিষদের বাধ্যতামূলক কাজ ১০ টিএবং ঐচ্ছিক কাজ ৩৮ টি।
বাধ্যতামূলক কার্যাবলী
ঐচ্ছিক কার্যাবলী
ইউনিয়ন পরিষদ পৌর ও উন্নয়ন কাজের আওতায় সামাজিক,অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক ৪টি দায়িত্ব পালন করে। যথা:
যোগাযোগ
শিক্ষা,কৃষি,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ
পানীয় জল সরবরাহ
সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ
পুলিশ ও নিরাপত্তা
সরকারগেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার গ্রাম পুলিশ বাহিনী প্রতিষ্ঠাএবং তাদের নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও শিষ্টাচার নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের চাকুরিরশর্তাবলী নির্ধারণ করে। অধ্যাদেশের প্রথম তফসীলের দ্বিতীয় অংশে গ্রাম পুলিশবাহিনীর ক্ষমতা ও দায়িত্বগুলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকযদি মনে করেন যে কোন ইউনিয়ন বা তার অংশবিশেষে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাজননিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, তাহলে তিনি আদেশ জারিরমাধ্যমে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। তাঁর আদেশ অনুযায়ী ইউনিয়ন বাঅংশবিশেষে সক্ষম যুবক পুরুষ বসবাসকারী টহল দেন। জেলা প্রশাসকের আদেশঅনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ তার ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করে।
গ্রামাঞ্চলেরজনসাধারণ ও তাদের মালামালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ইউনিয়ন পরিষদেরঅন্যতম দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ মহল্লাদার ওদফাদার নিয়োগ করে। মহল্লাদার ও দফাদারদের কাজ হচ্ছে ইউনিয়নের গ্রাম ওমহল্লায় প্রহরার ব্যবস্থা করা এবং পুলিশকে অপরাধ দমনে যথাসাধ্য সাহায্যকরা। সন্দেহজনক কোন ব্যক্তি বা কোন কারণে ইউনিয়নে শামিত্ম বিঘ্নিত হতেপারে এমন কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে সে সম্বন্ধে থানার ওসিকে এরা অবহিত করেএবং ১৫ দিনে অমত্মত একবার তার কাছে রিপোর্ট করে। ইউনিয়নে কোন প্রকারমহামারীর আশংকা দেখা দিলে বা কোন বাঁধ বা সেচ প্রকল্পের কোন ক্ষতিরসম্ভাবনা হলে বা ইউনিয়ন পরিষদের কোন সম্পত্তি অন্যায় দখল হলে ইউনিয়নপরিষদকে তা তখনই জানাতে হয়। তাছাড়া রেললাইন, টেলিফোন বা টেলিগ্রাম বাইলেকট্রিক লাইন, টিউবওয়েল এবং অন্যান্য সরকারি সম্পত্তি ক্ষতির সম্মুখীনহলে জনসাধারণ, মহল্লাদার বা দফাদার ইউনিয়ন পরিষদকে জানায়। সেই অনুযায়ীইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রেমহল্লাদার বা দফাদাররা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ও ওয়ারেনট ছাড়াই গ্রেফতার করতেপারে যেমন-কেউ যদি কোন আদালত অগ্রাহ্য অপরাধ করে, বা কারও কাছে কোন সিদেলযন্ত্র বা চোরাই মাল থাকে বা কেউ হাজত থেকে পলায়ন করে গ্রামে আত্মগোপন করে ইত্যাদি। কিন্তু তাদেরকে যত শীঘ্র সম্ভব থানায় সোপর্দ করতে হয়। এছাড়ামহল্লাদারের আরেকটি অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রারেলিপিবদ্ধ করা।
গ্রামপ্রতিরক্ষা দলের গঠন ও কার্যাবলীর সাথে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসদস্যগণ সম্পৃক্ত। গ্রাম প্রতিরক্ষা দল গঠনের প্রধান উদ্দেশ্যাবলী হচ্ছে:
রাজস্ব ও প্রশাসন
নিজস্ব দায়িত্ব সম্পাদন ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ:
উন্নয়ন ও দারিদ্র দূরীকরণ
গ্রামউন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। কৃষি ও কুটির শিল্পের উন্নতিএবং সমবায় আন্দোলনের বিসত্মার এবং বন, পশু ও মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির জন্যইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন পরিকল্পনাএমনভাবে তৈরি করে যাতে একে যেসব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যেমন-কৃষি, শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, কুটিরশিল্প ইত্যাদি বিষয়ক প্রকল্পগুলো পৃথক পৃথকভাবেদেখানো হয়। নিম্নলিখিত তথ্যাদি উন্নয়ন পরিকল্পনায় লিপিবদ্ধ করা হয়:
প্রত্যেকইউনিয়ন পরিষদ বিভিন্ন এলাকার চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী একটি উন্নয়নপরিকল্পনা তৈরি করে। উন্নয়ন পরিকল্পনার মেয়াদ সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী হয়।তবে এযাবৎ সরকারের নির্দেশ মোতাবেক উন্নয়ন পরিকল্পনার মেয়াদ পাঁচ বছর করেহয়ে আসছে। বিভিন্ন এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের চাহিদা একসঙ্গে বা এক বছরেমেটানো সম্ভব নয়, পরিষদের আর্থিক সংগতিও পর্যাপ্ত নয়। এসব কারণে পরিকল্পনাপ্রণয়নের সময় দেখা হয় বৃহত্তর জনস্বার্থে এবং পরিষদের আর্থিক সংগতির দিকেলক্ষ্য রেখে কোন ধরনের প্রকল্প বা প্রকল্পগুলো প্রথম বছর, কোনগুলো দ্বিতীয়বছর, কোনগুলো তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম বছরে কার্যকরী করা সম্ভব হবে। এককথায় বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পগুলোর সামগ্রিক অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পাঁচশালাপরিকল্পনা গ্রহণ করে ইউনিয়ন পরিষদ। প্রতিবছর উন্নয়ন পরিকল্পনা খাতে যেপরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হবে তা পাঁচশালা পরিকল্পনার ভিত্তিতে খরচ করা হয়, অন্যভাবে নয়। তবে যে প্রকল্পগুলো আগে সম্পন্ন করা হয়েছে তার উন্নয়ন বামেরামতের কাজ এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়। প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে একটিপ্লানবুক আছে যার মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নির্দেশ করা থাকে।বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ যাতে সুচারুরূপে সম্পাদিত হয় সেজন্য ইউনিয়ন পরিষদ বিভিন্ন কমিটি গঠন করে।
ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্প গ্রহণ ও বাসত্মবায়নের মূল লক্ষ্য হল:
(ক) গ্রামের বেকার, গরীব ও দুঃস্থ জনগণের কর্মসংস্থান করা ও স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টি করা এবং সব সম্পদ সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
(খ)গ্রাম, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নভিত্তিক দরিদ্র ও বেকার এবং দুঃস্থ লোকদের সঠিকপরিসংখ্যান বাসত্মব জরিপের মাধ্যমে প্রস্ত্তত করা। এ পরিসংখ্যান সর্বদাইউনিয়ন পরিষদ সংরক্ষণ করবে এবং ইউনিয়ন অভ্যমত্মরে যেসব উন্নয়ন প্রকল্পবাস্তবায়িত হবে তাতে বেকার ও দরিদ্র এবং দুঃস্থ জনাংশের কর্মসংস্থানেরঅগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
বিচার
বাংলাদেশেরগ্রামীণ জনসাধারণের ঝগড়া-বিবাদের মীমাংসা ও মামলা মোকদ্দমা নিস্পত্তি এবংবিড়ম্বনা এবং এ সংক্রামত্ম খরচের হাত থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সরকারগ্রামাঞ্চলে প্রাথমিকভাবে বিচার ব্যবস্থার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের উপরন্যাস্ত করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালত গঠনের মাধ্যমে কতিপয় ফৌজদারী ওদেওয়ানী উভয় প্রকার মামলার বিচার করতে পারে।
সচরাচর জিজ্ঞাসা
প্রশ্ন ১:ইউনিয়ন পরিষদের কয় ধরণের কাজ রয়েছে ?
উত্তর: ইউনিয়ন পরিষদের প্রধানত ৫ ধরণের কাজ রয়েছে,যথা- পৌর,পুলিশ ও নিরাপত্তা,রাজস্ব ও প্রশাসন,উন্নয়ন ও দারিদ্র দূরীকরণএবং বিচার।
প্রশ্ন ২: ইউনিয়ন পরিষদের কয়টি বাধ্যতামূলক এবং কয়টি ঐচ্ছিক দায়িত্ব রয়েছে?
উত্তর: : ইউনিয়ন পরিষদের ১০টি বাধ্যতামূলক এবং ৩৮টি ঐচ্ছিক দায়িত্ব রয়েছে।
See less