কেন নারায়ণগঞ্জ কে প্রাচ্যের ডান্ডি বলা হতো?
Sign up to join our community!
Please sign in to your account!
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
উনিশ শতকে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার (সড়ক, ট্রেন, স্টিমার প্রভৃতি) কারনে নারায়ণগঞ্জ নগরটি পাট ব্যবসার জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠে। নারায়ণগঞ্জ বিশ্বময় “প্রাচ্যের ডান্ডি” (Dundee of the East) হিসেবে পরিচিতি পায় এবং ১৯৫০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাটকল “আদমজী পাটকল” প্রতিষ্ঠিত হয়।
ইতিহাস-ঐতিহ্য ও শিল্প- বাণিজ্যে সমৃদ্ধ নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক নাম হলো “প্রাচ্যের ডান্ডি”। এবং এই নামটির সাথে মোটামুটি আমরা সবাই পরিচিত।
কিন্ত কি কারণে নারায়ণগঞ্জ জেলাটি এই নামে অভিহিত হয় এবং ডান্ডি বলতে আসলে কি বুঝায় তা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। আজ আমরা জানবো নারায়ণগঞ্জ জেলার ” প্রাচ্যের ডান্ডি” নামকরণের ইতিহাস।
ডান্ডি মূলত ইউরোপের স্কটল্যান্ডে অবস্থিত একটি বিখ্যাত বাণিজ্যিক বন্দর নগরী। যা শিল্প বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রভূত উন্নতি লাভ করে এবং বিশ্বের অন্যতম একটি সমৃদ্ধশালী বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত হয়।
এই বাণিজ্যিক নগরীর মূল ব্যবসায় পণ্য ছিল পাট এবং পাটকে কেন্দ্র করে এখানে বহু শিল্প কারখানা গড়ে ওঠে যেগুলোতে মূলত পাটজাত দ্রব্য ও সুতা উৎপন্ন হতো। ফলে পাটের তৈরী এসব পণ্য ও সুতার জন্য সমগ্র বিশ্বে ডান্ডি শহরের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে।
কিন্ত বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ইউরোপে পাটের চাহিদা কমতে থাকায় এবং ভারতের কলকাতায় বহু পাটকল নির্মিত হওয়ায় ডান্ডির পাট ব্যবসায় ধ্বস নামে। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে হারিয়ে যেতে থাকে ডান্ডির পাটের ব্যবসার গৌরব।
ইউরোপের এই ডান্ডি শহরের ন্যায় বাংলার নারায়ণগঞ্জ নগরটিও বিংশ শতাব্দীতে পাট ব্যবসার অন্যতম কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়। এবং শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত এই নারায়ণগঞ্জ নগরটি তৎকালীন সময়ে “ঢাকার প্রবেশ দ্বার” হিসেবে পরিচিত ছিলো।
তাছাড়া শীতলক্ষ্যা নদীর স্বচ্ছ পানি এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে বৃটিশ আমলে নারায়ণগঞ্জ একটি ব্যস্ততম বন্দর বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠে। সে সময় নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর থেকে স্টিমার সার্ভিস চালু ছিল এবং নারায়ণঞ্জ থেকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সকল ট্রেন ছেড়ে যেত।
সড়ক, ট্রেন ও স্টিমার সার্ভিস সম্বলিত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নারায়ণগঞ্জ নগরকে পাট ব্যবসার জন্য বিখ্যাত করে তোলে। এ জন্য নারায়ণগঞ্জ বিশ্বময় “প্রাচ্যের ডান্ডি” (Dundee of the East) হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। এবং এই নগরেই ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাটকল “আদমজী পাটকল”।