মহাশ্মশান কাব্যের কাহিনি সংক্ষেপে লেখ।

উত্তর: বাংলা সাহিত্যে কায়কোবাদের (১৮৫৭-১৯৫১) পরিচয় মহাকবি হিসেবে। মহাকাব্য (১৯০৪) কাব্য রচনার মাধ্যমে তিনি বাংলা মহাকাব্যের ধারাটি সম্প্রসারণ করেন। কায়কোবাদের কাব্যসাধনায় এ কাব্যটি একটি বিশেষ স্থান জুড়ে আছে।

‘মহাশ্মশান’ পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের কাহিনি অবলম্বনে রচিত। সমগ্র কাব্যটি তিন খণ্ডে বিভক্ত। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে মহারাষ্ট্রীয়দের পরাজয় এবং আহমদ শাহ আবদালীর বিজয় বর্ণনা কাব্যটির বিষয়বস্তু। ১৭৬১ খ্রিষ্টাব্দে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ভারতে হিন্দু রাজ্য পুনঃস্থাপনের সংকল্পে মারাঠারা অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে উঠে। কাবুল অধিপতি আহমদ শাহ আবদালীর সহায়তায় রোহিলার অধিপতি নজীবদ্দৌলা ভারতের মুসলিম শক্তি সংগঠন করেন। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে মুসলমানরা জয়লাভ করলেও উভয় জাতির জীবনে করুণ ও মর্মান্তিক পরিণতি নেমে আসে। কায়কোবাদ এ ভয়াবহ সংগ্রামের মাধ্যমে মানব ভাগ্যের উত্থানপতনের বিস্ময়কর রহস্য অনুধাবন করেছিলেন। তাঁর মতে, একপক্ষে পানিপথ যেমন হিন্দু গৌরবের সমাধিক্ষেত্র, অপরপক্ষে সেরূপ মুসলমান গৌরবেরও মহাশ্মশান। কায়কোবাদ এ ঐতিহাসিক কাহিনিকে তার মহাকাব্যে তুলে ধরেছেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।

Rate this post