ঢাকা মেডিকেল কলেজ – ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৩ সম্পর্কে
জানা প্রয়োজন। কারণ যারা ভর্তি পরীক্ষা দিতে চান তারা যদি ঢাকা মেডিকেল
কলেজ – ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৩ না জানেন তাহলে সমস্যায়
পড়ে যাবেন। তাই যারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ – ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি
পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৩ জানতে চান আমার পোস্ট তাদের জন্য।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ – ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৩ সহ ঢাকা
মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ২০২৩,মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩ প্রশ্নপত্রের মানবন্টন
বা নম্বর বন্টন,ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা ২০২৩ আমার পোষ্টের
মাধ্যমে তুলে ধরেছি। নিচে ঢাকা মেডিকেল কলেজ – ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি
পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৩ আলোচনা করা হলো-

পোস্ট সূচীপত্রঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজ – ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার
যোগ্যতা ২০২৩

 ঢাকা মেডিকেল কলেজ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ অর্থাৎ ডিএমসি DMC  বা সংক্ষেপে ঢামেক বাংলাদেশের রাজধানী
ঢাকায় অবস্থিত সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত বা সরকারি মেডিকেল কলেজ
। ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা ডিএমসি DMC ১৯৪৬ সালের ১০ জুন প্রতিষ্ঠিত হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল ঢাকা
মেডিকেল কলেজ বা ডিএমসি DMC  বা সংক্ষেপে ঢামেক।

২০১২ সালের পরিবর্তিত পাঠক্রম অনুযায়ী ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা ডিএমসি DMC তে
পাঁচ ৫ বছর মেয়াদী এমবিবিএস কোর্সে প্রতি বছর ২৩০ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়।
ঢাকা নগরীর কেন্দ্রস্থলে শহীদ মিনার ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে
ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা ডিএমসি DMC অবস্থিত।ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা ডিএমসি
DMC  বা সংক্ষেপে ঢামেকএ ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন বাংলাদেশ মেডিকেল
ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীদের একটি লালিত স্বপ্ন। 

আরো পড়ুনঃ রাজশাহী পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার  – এর ডাক্তারেরগণের তালিকা
দেখুন

কিন্তু এই স্বপ্ন পূরণের সুযোগ লাভ করে মাত্র ২৩০ জন ছাত্রছাত্রী। প্রতি বছর লাখো
ছাত্র-ছাত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা ডিএমসি DMC  বা সংক্ষেপে ঢামেক
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এর মধ্যে যারা এখানে পড়ার সুযোগ পায় তারা
সত্যিই ভাগ্যবান।ঢাকা মেডিকেল কলেজ – ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা
২০২৩ জেনে নিন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ২০২৩

ঢাকা মেডিকেল কলেজ অর্থাৎ ডিএমসি DMC বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত সরকারি
অর্থায়নে পরিচালিত একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে
মর্যাদা পূর্ণ মেডিকেল কলেজ। বাংলাদেশে যত মেডিকেল কলেজ রয়েছে তার মধ্যে প্রতিটি
শিক্ষার্থীর প্রথম অগ্রাধিকারের  এবং পছন্দের কলেজ ডিএমসি DMC বা ঢাকা
মেডিকেল কলেজ। যারা ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চান তাদের
জন্য জানা একান্ত প্রয়োজন ঢাকা মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা কতটি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির জন্য মোট আসন সংখ্যা ২৩০ টি। সাধারন
আসন সংখ্যা ২২৬ টি  এবং মুক্তিযোদ্ধার কোটা বরাদ্দ রয়েছে চার ৪ টি। সব
মিলিয়ে মোট ২৩0 টি আসন সংখ্যা। ঢাকা মেডিকেল কলেজে এম বি বি এস এ আন্ডার
গ্রাজুয়েট এবং পোস্ট গ্যাজুয়েট পাঠক্রম চালু রয়েছে। বর্তমানে আন্ডার
গ্র্যাজুয়েট কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পোস্ট গ্যাজুয়েট কার্যক্রম
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত।

আরো পড়ুনঃ  এলার্জি কত ধরনের – এলার্জি হলে কি কি সমস্যা হয় জানুন

ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাধারণ আসন সংখ্যা এবং কোটা মিলিয়ে এমবিবিএস কোর্সে ২০২১
সালের তথ্য অনুযায়ী ২৩0 জন ছাত্রছাত্রী ভর্তির সুযোগ পায়। তবে ২০২০ সাল থেকে
ঢাকা মেডিকেল কলেজে বিদেশী ছাত্রছাত্রীর জন্য আসন সংখ্যা বরাদ্দ রয়েছে ১২৮টি।
তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ছাত্রছাত্রীরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য
মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভর্তি হয়ে থাকে। ২০১২ সালের পরিবর্তিত পাঠক্রম অনুযায়ী
একজন শিক্ষার্থী এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন মোট চার ৪ টি পেশাগত পরীক্ষার বাধা
পেরিয়ে।

আবার একজন শিক্ষার্থীকে ডিএমসি DMC র রেজিস্ট্রেশন লাভ করতে হলে তাকে এক বছর
মেয়াদে ইন্টারশীপ করার প্রয়োজন হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজে বর্তমানে ৪২ টি বিষয়ে
স্নাতক কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে এমডি, এম এস, এমফিল, ডিপ্লোমা উল্লেখযোগ্য।
ছাড়াও ঢাকা মেডিকেল কলেজে “বাংলাদেশ কলেজ ও ফিজিশিয়ান এন্ড সার্জন” এর বিভিন্ন
বিষয়ের ফেলোশিপ কোর্স চালু রয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৩

বাংলাদেশের সরকারি মেডিকেলের সংখ্যা মোট ৩৭ টি। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা
ডিএমসি DMC  বা সংক্ষেপে ঢামেক হলো মেডিকেল কলেজে ভর্তিচ্ছু 
শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ স্থানীয় কলেজ। ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার
যে যোগ্যতা প্রয়োজন তা হল-

আরো পড়ুনঃ  শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি ১০টি  ব্যবহার 
বিস্তারিত 

  • আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ২০২২ অথবা ২০২৩ সালে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাশ হতে
    হবে। অর্থাৎ যে বছরে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে পরীক্ষার্থীকে
    অবশ্যই সেই বছর অথবা তার আগের বছরে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • শিক্ষার্থীর উভয় পরীক্ষায় অর্থাৎ এস এস সি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান,
    রসায়ন এবং পদার্থবিজ্ঞান সহ উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • শিক্ষার্থীর জীববিজ্ঞান পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ GPA ৪.০০ থাকতে হবে।
  • শিক্ষার্থীর অবশ্যই এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ
    GPA কমপক্ষে নয় ৯.০০ থাকতে হবে। তবে এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষায় ৩.৫০ এর কম
    জিপিএ থাকলে সে ভর্তি পরীক্ষায় অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
  • উপজাতীয় ও পার্বত্য জেলার অ – উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমান
    এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ  GPA কমপক্ষে ৮.০০
    থাকতে হবে। তবে তাদের ক্ষেত্রে যদি কোন পরীক্ষায় অর্থাৎ এসএসসি বা এইচএসসি
    পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ এর কম থাকে তাহলে সে আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩ প্রশ্নপত্রের মানবন্টন বা নম্বর বন্টন

বাংলাদেশী মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি বছরের মত এবারেও অর্থাৎ ২০২৩ সালেও ১০০
নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সময় থাকবে এক ঘণ্টা এবং এমসিকিউ প্রশ্ন
থাকলে ১০০ টি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ – ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা
২০২৩ জেনে নিন।

বিষয় ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষার নম্বর বন্টন

পরীক্ষার্থীকে যে সব বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর করতে হবে তা হল-

  • জীববিজ্ঞান – ৩০
  • পদার্থবিজ্ঞান – ২০
  • রসায়ন – ২০
  • ইংরেজি – ১৫
  • সাধারণ জ্ঞান অর্থাৎ বাংলাদেশের ইতিহাস – ১০

শিক্ষার্থীকে mcq লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের
জন্য ০.২৫ নাম্বার কাটা যাবে। তবে একজন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে
অবশ্যই তাকে কমপক্ষে ৪০ নম্বর পেতে হবে। আর যেসব পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হবে
কেবলমাত্র তাদেরই মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে।

আরো পড়ুনঃ
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ – কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

মেধা তালিকা নির্ধারণের মানদন্ড ২০২৩

  • মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর অর্থাৎ এস এস সি বা সমমান এবং এইচ এস
    সি বা সমমান পরীক্ষার ফলাফল অর্থাৎ জিপিএ এর যোগফলের ভিত্তিতে মেধা তালিকা
    প্রণয়ন করা হবে
  • এসএসসি এবং এইচএসসি সমমান পরীক্ষার প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর ধরে এবং ভর্তি
    পরীক্ষার 100 নম্বর মিলে মোট ৩০০ নম্বর এর ভিত্তিতে মেধা মান নির্ণয় করা হবে।
  • এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১৫ গুণ = ৭৫ নম্বর সর্বোচ্চ ধরা হবে
    এবং
  • এইচএসসি বা সম্মান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ২৫ গুন – ১২৫ নম্বর
    সর্বোচ্চ ধরা হবে।
  • আবার যে সব শিক্ষার্থী পূর্বের বছরে উত্তীর্ণ অর্থাৎ অর্থাৎ যে বছর মেডিকেলে
    ভর্তি পরীক্ষা দিবে তার আগের বছর উত্তীর্ণ যেমন ২০২৩ সালে যদি মেডিকেল পরীক্ষা
    দেয় এবং সে যদি ২০২২ সালে উত্তীর্ণ হয় তাহলে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
    শিক্ষার্থীদের মোট প্রাপ্ত নাম্বার থেকে ৫ নম্বর বাদ দেওয়া হবে।
  • এবং যেসব শিক্ষার্থী পূর্ববর্তী সরকারি মেডিকেল কলেজ বা ডেন্টাল কলেজ বা ইউনিট
    এ  ভর্তি কৃত শিক্ষার্থী ছিল তাদের মোট ৮ নম্বর বাদ দিয়ে মেধা তালিকা
    প্রণয়ন করা হবে। ভর্তি পরীক্ষা সাধারণত সকাল দশ ১০টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত
    অর্থাৎ এক ঘণ্টা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা ২০২৩

বাংলাদেশে মোট সরকারি মেডিকেলের সংখ্যার ৩৭ টি। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হল
পরীক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষস্থানীয় কলেজ।  ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা ডিএমসি
DMC  বা সংক্ষেপে ঢামেক এ ভর্তি হতে হলে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই মেধা
তালিকায় প্রথম সারিতে থাকতে হবে। অর্থাৎ  ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা ডিএমসি
DMC  বা সংক্ষেপে ঢামেক ভর্তির আসন সংখ্যা ২৩০ টি। তাই যেসব 
শিক্ষার্থী  ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা ডিএমসি DMC  বা সংক্ষেপে ঢামেক
এ ভর্তি হতে চায় তাকে অবশ্যই সিরিয়াল ১ থেকে ২৩০ পর্যন্ত থাকতে হবে।

আরো পড়ুনঃ  মাদকাসক্তি ও যুবসমাজ রচনা সম্পর্কে জেনে নিন

ঢাকা মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের মোট ১১টি বিষয়ে পড়ানো হয়ে থাকে এগুলো
হলো-

  • অ্যানাটমি
  • ফিজিওলজি
  • বায়োকেমিস্ট্রি
  • ফরেনসিক মেডিসিন এবং টক্সিকোলজি
  • কমিউনিটি মেডিসিন
  • প্যাথলজি এবং হেমাটোলজি
  • ফার্মাকোলজি এবং থেরাপিউ টিকস
  • মাইক্রোবায়োলজি এবং ইমিউনোলজি
  • গাইনি ও প্রসূতিবিদ্যা
  • সার্জারি
  • ঔষধ

এছাড়াও ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা ডিএমসি DMC  বা সংক্ষেপে ঢামেক এ পোস্ট
গ্রেজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয় মোট ৪২ টি বিষয়ের ওপর।ঢাকা মেডিকেল কলেজ –
ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৩ জেনে নিন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য হলের সংখ্যা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা ডিএমসি DMC  বা সংক্ষেপে ঢামেক এ শিক্ষার্থীদের
জন্য মোট দুইটি হল রয়েছে।এর মধ্যে ছেলেদের জন্য যে হল রয়েছে  তার নাম হল
ডাক্তার ফজলে রাব্বি। এবং মেয়েদের জন্য যে হল রয়েছে তার নাম হলো শহীদ ডাক্তার
আলিম চৌধুরী। এছাড়া ইন্টার্নশিপ ডাক্তারের জন্য দুইটা হলেই  অর্থাৎ ছেলেদের
জন্য নির্ধারিত ডাক্তার ফজলে রাব্বি হল এবং মেয়েদের জন্য নির্ধারিত ডাক্তার আলিম
চৌধুরীহলের সাথে ডাক্তার মিলন নামে আলাদাভাবে একটি করে ভবন রয়েছে।

বাংলাদেশের সরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা

বাংলাদেশে মেডিকেল কলেজ মানে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে একটি লালিত স্বপ্ন।
যারা বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করে তাদের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীর স্বপ্ন থাকে
মেডিকেলে পড়াশোনা করার।বর্তমানে বাংলাদেশের সরকার পরিচালিত বা সরকারি মেডিকেলের
সংখ্যা ৩৭ টি। এর মধ্যে –

আরো পড়ুনঃ
চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ  – সহ যাবতীয় তথ্য জেনে নিন

  • ঢাকা বিভাগে রয়েছে দশ ১০ টি 
  • চট্টগ্রাম বিভাগের ছয় ৬ টি
  • রাজশাহী বিভাগে পাঁচ ৫ টি
  • খুলনা বিভাগে পাঁচ ৫ টি
  • রংপুর বিভাগে তিন ৩ টি
  • সিলেট বিভাগে তিন ৩ টি
  • ময়মনসিং বিভাগে তিন ৩ টি
  • বরিশাল বিভাগে দুই ২ টি মেডিকেল কলেজ অবস্থিত।

বাংলাদেশের প্রথম মেডিকেল কলেজ কোনটি

বাংলাদেশের প্রথম মেডিকেল কলেজ হল ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা ডিএমসি DMC  বা
সংক্ষেপে ঢামেক। এই কলেজটি ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ শাসন আমলে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকার
বকশীবাজারে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা ডিএমসি DMC  বা সংক্ষেপে ঢামেক কলেজটি
সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত অর্থাৎ সরকারি মেডিকেল কলেজ। বর্তমানে বাংলাদেশে
মেডিকেলে ভর্তি শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে শীর্ষস্থানীয় পছন্দের কলেজ।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা কি শর্ট সিলেবাসে হবে

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার সাধারণত পূর্ণ সিলেবাসেই হয়ে থাকে। এই বছর অর্থাৎ ২০২১
২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী যারা ২০২৩ সালে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিবে তাদেরও
পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা দিতে হবে। অর্থাৎ সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা
অনুষ্ঠিত হবে না। ঢাকা মেডিকেল কলেজ – ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা
২০২৩ জেনে নিন।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সময় কত

অনেকেই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সময় সম্পর্কে জানতে চায়। আর যারা মেডিকেলে ভর্তি
পরীক্ষা সম্পর্কে জানতে চাই আমার আজকের পোস্ট তাদের জন্য। মেডিকেলের ভর্তি
পরীক্ষা ১ ঘন্টা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে অর্থাৎ সকাল ১0 টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত এই এক
ঘন্টা পরীক্ষার্থীদের mcq পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিতে হয় এবং তাদের পরীক্ষায় ১00
মার্কের হয়ে থাকে। আবার মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার সাধারণত শুক্রবারে অনুষ্ঠিত
হয়।

মেডিকেল ক্লাস কবে থেকে শুরু ২০২৩

বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজের সমস্ত বিষয় বাংলাদেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে
হয়ে থাকে। মুজতাহিদ মোহাম্মদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে,
বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ২০২২ – ২৩ শিক্ষাবর্ষের
এমবিবিএস কোর্সের শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ২৩ জুলাই ২০২৩ তারিখ থেকে অনুষ্ঠিত
হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ – ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৩ জেনে
নিন।

মেডিকেল পাশ মার্ক কত

মেডিকেলে ভর্তি হতে হলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে ৪০ প্লাস নম্বর পেতে হবে।
অর্থাৎ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ১00 নম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে শিক্ষার্থীকে
অবশ্যই কমপক্ষে ৪০ নম্বর পেতে হবে। তবে একজন শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার
যোগ্যতা অর্জন করবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ – ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার
যোগ্যতা ২০২৩ জেনে নিন।

শেষ কথা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা ডিএমসি DMC  বা সংক্ষেপে ঢামেক হলো বাংলাদেশের
সেরা এবং শীর্ষস্থানীয় মেডিকেল কলেজ যা একজন মেডিকেল ভর্তি শিক্ষার্থীদের জন্য
লালিত স্বপ্ন এই ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা ডিএমসি DMC  বা সংক্ষেপে
ঢামেক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ – ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৩ জেনে
নিন।

Rate this post