কন্যা সন্তান আমাদের ঘরের সৌন্দর্য, আমাদের মনের পরিতৃপ্তি। তাই জাতীয় কন্যা
শিশু দিবস কবে পালিত হয় তা আমাদের জানা প্রয়োজন এবং পালন করা উচিত।
আমাদের কন্যা সন্তানদের ভালোবাসার স্বীকৃতি স্বরূপ জাতীয় কন্যা শিশু
দিবস কবে পালিত হয় তা জানা একান্ত প্রয়োজন। তাই আমি জাতীয় কন্যা
শিশু দিবস কবে পালিত হয় বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

পৃথিবীর সূচনা লগ্নে হয়তো মেয়েদের কোন মূল্যায়ন ছিল না কিন্তু এখন সময়ের
পরিবর্তনে এসেছে তাই আমি জাতীয় কন্যা শিশু দিবস কবে পালিত হয়,আন্তর্জাতিক
কন্যা শিশু দিবস পালনের ইতিহাস,কেন আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালন করা
হয়,জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের তাৎপর্য,জাতীয় কন্যা শিশু
দিবসের থিম/প্রতিপাদ্য বিষয় সহজ যাবতীয় তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। নিচে
জাতীয় কন্যা শিশু দিবস কবে পালিত হয় আলোচনা করা হলো-

পোস্ট সূচীপত্রঃ জাতীয় কন্যা শিশু দিবস কবে পালিত হয় 

জাতীয় কন্যা শিশু দিবস কবে পালিত হয়

কন্যা শিশু দিবস বা আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস প্রতিবছর ১১ অক্টোবর পালন করা
হয়। একে আবার ডটার্সডে ও বলা হয়। কন্যা সন্তানের প্রতি সচেতনতা তৈরি করতে এই
দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। মেয়ে সন্তান ও যে ছেলে সন্তানের চেয়ে কোন অংশে কম
নয় তা আমরা জাতীয় কন্যা দিবস পালনের মাধ্যমে বুঝতে পারি। এই দিবসটিকে আবার
মেয়েদের দিবস নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।

এবং তাদের জন্ম উদযাপনের বিষয়টিও অভিভাবকদের বোঝানোর জন্য সাধারণত এই দিবসটি
পালন করা হয়।আমরা ইতিহাসের পাতা উল্টালে জাহিলি যুগ সম্পর্কে জানতে পারি। সে
সময় মেয়েদের জীবন্ত  কবর দেয়া হতো। পরবর্তী সময়ে আমাদের প্রিয় নবী হযরত
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেয়েদের সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত
করেন। আর তখন থেকেই মেয়েরা আজ পর্যন্ত সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত।

মেয়ে একজন মা, একজন গৃহকর্তী, একজন সেবিকা এটিই ছিল তাদের পরিচয়। কিন্তু এখন
বর্তমানে সেসব পরিচয় ভেদ করে মেয়েরা এখন পৌঁছে গেছে অন্তর্জাতিক পর্যায়ে। আর
জাতিসংঘ ১১ই অক্টোবর বিশ্ব শিশু কন্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।

আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালনের ইতিহাস

কানাডা প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। 
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের কাছে কানাডা সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস
পালনের প্রস্তাব প্রদান করে। আর এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ১৯
ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এ প্রস্তাব গৃহীত হয়। আর এই প্রস্তাব প্রদানের
পরের বছর অর্থাৎ ১৯১২ সালের ১১ই অক্টোবর প্রথম আন্তর্জাতিক শিশু কন্যা দিবস
হিসেবে পালন করা হয়।

আন্তর্জাতিক শিশু কন্যা দিবসের জন্ম হয়েছিল প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি
বেসরকারি অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায়। আর এই প্ল্যানে একটি দিবসের ধারণা জাগ্রত
হয়েছিল আর এই দিবসের নামকরণ করা হয়েছিল “কারণ আমি একজন মেয়ে” বিকজ আই এম এ
গার্ল Because I am gorl আর এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বজুড়ে কন্যার
পরিপুষ্ট সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। 

আরো পড়ুনঃ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস সমূহ সম্পর্কে জেনে নিন

আর কানাডা সরকারের সহায়তায় কানাডার কর্মচারীরা এই আন্দোলনকে বিশ্বের দরবারে
প্রতিষ্ঠা করে। আর এই প্রস্তাবের পরবর্তী সময়ে কানাডায় আন্তর্জাতিক শিশু কন্যা
দিবস উদযাপনের প্রস্তাব শুরু হয়। আর এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ ২০১১
সালে ১৯ ডিসেম্বর তারিখে এই প্রস্তাব রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ সভায় গৃহীত হয় এবং
২০১২ সালের ১১ অক্টোবর তারিখে প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালন করার
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

কেন আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালন করা হয়

আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা।
এছাড়াও এই দিবস পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য হল নারীর অধিকার, পুষ্টি, আইনি সহায়তা ও
ন্যায় অধিকার, চিকিৎসা সুবিধা ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা, নারীর বিরুদ্ধে হিংসা ও
বলপূর্বক তথা বাল্যবিবাহ বন্ধ করা। মেয়েদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের অধিকারের
পরিপূর্ণতা দেওয়া এবং মেয়েদের প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করাই এই দিনটি
পালনের প্রধান উদ্দেশ্য।

রাষ্ট্রসঙ্ঘের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আন্তর্জাতিক কন্যা সন্তান দিবস পালনের
উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে – ” বিশ্বজুড়ে মেয়েরা তাদের শিক্ষা, তাদের
শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা এবং হিংসা বিহীন জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষার
ক্ষেত্রে মানসিক জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের
মুখোমুখি হচ্ছে। প্রতিবন্ধী মেয়েরা সহায়তা এবং পরিষেবা গুলি পাওয়ার ক্ষেত্রে
অতিরিক্ত বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছে”।

জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের তাৎপর্য

বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক কন্যা সন্তান দিবস বিভিন্ন তাৎপর্যের সাথে
পালন করা হয়ে থাকে। মূলত এই দিবসের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল সারা বিশ্বের মেয়েরা যে
সমস্যাগুলির সম্মুখীন হয়, যেমন – শিক্ষা, আইনি, অধিকার, চিকিৎসা, পুষ্টি,
জোরপূর্বক বাল্যবিবাহ এবং নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন না থাকা। এই জাতীয়
সমস্যা সম্পর্কে সকলকে সচেতন করে তোলা এই দিবসটির প্রধান তাৎপর্য।

আন্তর্জাতিক কন্যা সন্তান দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বলা
হয়েছে -” এখন সময় এসে গিয়েছে মেয়েদের কাজ, তাদের অধিকার সম্পর্কে আমাদের
সকলের দায়বদ্ধ হতে হবে। তাদের নেতৃত্বে বিশ্বাস রাখতে হবে”। এটি সব মিলিয়ে
আন্তর্জাতিক কন্যা সন্তান দিবসের গুরুত্ব।

জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের থিম/প্রতিপাদ্য বিষয়

২০১২ সালের ১১ই অক্টোবর তারিখ থেকে প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালন করা
হয় এবং এই ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন প্রতিপাদ্য বিষয় বা থিম নিয়ে এই আন্তর্জাতিক
কন্যা সন্তান দিবস পালন করা হয়। ২০১২ সাল থেকে যে প্রতিপাদ্য
বিষয়গুলো নির্ধারণ করা হয় সেগুলো হল-

আরো পড়ুনঃ  রচনা – বিশ্ব পরিবেশ দিবস -বিস্তারিত জানুন (৬-১২)

  • ২০১২ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো -বাল্যবিবাহ বন্ধ করা
  • ২০১৩ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো – মেয়েদের শিক্ষা ক্ষেত্রে অভিনব করে
    তোলা।
  • ২০১৪ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো – কৈশরকে ক্ষমতা সম্পন্ন করা ও হিংসা চক্র
    বন্ধ করা।
  • ২০১৫ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো – কৈশরকে ক্ষমতা সম্পন্ন করা ও হিংসা চক্র
    বন্ধ করা।
  • ২০১৬ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো – মেয়েদের উন্নতি, লক্ষ্যর উন্নতি।
  • ২০১৭ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো – মেয়েদের ক্ষমতায়নে জরুরী সহায়তা ও
    প্রতিরোধ পরিকল্পনা।
  •  ২০১৯ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো – উজ্জ্বল আগামীকালের জন্য
    মেয়েদের ক্ষমতায়ন।
  •  ২০২০ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো – আমরা সবাই সোচ্চার, বিশ্ব হবে
    সমতা।
  • ২০২১ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো – সময়ের অঙ্গীকার, কন্যা শিশুর অধিকার।
  • ২০২২ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো – শিক্ষা পুষ্টি নিশ্চিত করি, শিশু বিয়ে
    বন্ধ করি।
  • এ বছরের  প্রতিপাদ্য বিষয় হলো – এখনই সময় ভবিষ্যৎ গড়ার, নিশ্চিত
    করো নিজের অধিকার।
  • এ বছরের  প্রতিপাদ্য বিষয় হলো – আমরা কন্যা শিশু, প্রযুক্তিতে
    সমৃদ্ধ হব, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব।

জাতীয় কন্যা শিশু দিবস বাংলাদেশ

বাংলাদেশেও ও আন্তর্জাতিক কন্যা সন্তান দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম এবং যথাযজ্ঞ
মর্যাদার সাথে এই দিবস পালন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ও নারীর সম অধিকার প্রতিষ্ঠা
করার পাশাপাশি সমাজ থেকে বাল্যবিবাহ দূর করতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি
বেসরকারিভাবে ও সচেতন মূলক ভূমিকা পালন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের ২০০৩ সাল থেকে
কন্যা শিশুদের অধিকার এবং সুরক্ষায় ৩০ সেপ্টেম্বর কে জাতীয় শিশু কন্যা দিবস
হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৪০ শতাংশ শিশু এবং তাদের সুরক্ষা ও অধিকার
প্রতিষ্ঠায় শিশু দিবস পালন করা হয়। এবং বাংলাদেশের যত শিশু রয়েছে তার মধ্যে
অন্তত ১৫ শতাংশ হলো কন্যা শিশু। বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৯ শে সেপ্টেম্বর থেকে ৫
অক্টোবর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক শিশু সপ্তাহ হিসেবে পালন করা হয়। আর এই শিশু
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর পালন করা হয় কন্যা শিশু দিবস
হিসেবে।

কন্যা দিবসের উক্তি

কন্যা দিবসের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব ও পরিসীম। পৃথিবীর বিখ্যাত জ্ঞানী গুণী
ব্যক্তি বিভিন্ন কন্যা দিবসে তারা বিভিন্ন উক্তি প্রদান করেছেন। বিশেষ করে যারা
প্রকৃত অর্থে জ্ঞানী এবং যারা সমাজের ভালো মন্দ ঠিকমতো বুঝতে পারেন তারাই কন্যা
দিবসের গুরুত্ব প্রদান করে থাকেন। এবং বিভিন্ন সময়ে তারা বিভিন্ন উক্তি প্রদান
করে থাকেন। নিচে এরকম কিছু উক্তি তুলে ধরা হলো-

আরো পড়ুনঃ  বাংলাদেশের উৎসব রচনা সম্পর্কে  জেনে নিন

  • আমার জীবনের সবচেয়ে সুখের মুহূর্তটি সম্ভবত আমার কন্যার জন্মের সময় হয়েছিল
    – ডেভিট ভুচভনি।
  • আমি বাড়িতে এলে আমার মেয়েটি দৌড়ে এসে আমাকে একটি বড় আলিঙ্গন দেবে এবং সেদিন
    যা ঘটেছিল তা কেবল গলে যায় – হিউ জ্যাকম্যান।
  • আমার পিতা আমাকে নিজের মূল্যবান হতে শিখিয়েছিলেন – ভোর ফরাসি।
  • আমার বাবা কিভাবে বাঁচবেন তা আমাকে জানায়নি তিনি বেঁচে আছেন এবং আমাকে এটি
    করতে দেখেন – ক্লেরাস বুডিংটন ক্যাল্যান্ড।
  • কন্যার ভালোবাসা জীবনকে সার্থক করে তোলে। এটা আমার হৃদয় আনন্দে পরিপূর্ণ করে
    এবং আমি চলতে থাকি।
  • আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমার মেয়ে। আমি শুধু তার জন্য
    যুদ্ধ করছি।
  • ভেবেছিলেন আপনি একজন আজীবন বন্ধুকে ব্যবহার করতে পারেন, ঈশ্বর বলেছেন একটি
    কন্যার মাধ্যমে।
  • আমার মেয়ের সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত অমূল্য।
  • আপনার মেয়ের বাহুবলি আপনার গলায় থাকা সবচেয়ে মূল্যবান রত্ন হবে।
  • আপনার মেয়ে আপনার কোল থেকে বড় হতে পারে, কিন্তু সে কখনো আপনার হৃদয় থেকে বড়
    হতে পারে না।
  • কন্যা সন্তান হল এমন একজন যার জন্য আপনি হাসেন, মন থেকে ভালোবাসেন এবং স্বপ্ন
    দেখেন।
  • একজন মেয়ের সাথে তার মায়ের যে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা থাকে তা কখনো ভাষায়
    প্রকাশ করা যায় না।
  • এই পৃথিবীতে মেয়েরা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে তার বাবাকে।
  • একজন কন্যা যে বড় হয়ে আপনার সেরা বন্ধু হয়ে ওঠে।
  • একটি কন্যা সন্তান হল প্রস্ফুটিত গোলাপ, যাকে দেখলেই ভালবাসতে ইচ্ছে করে।
  • কন্যারা বুঝতে পারে যে তারা বড় হওয়ার সাথে সাথে তাদের দৃঢ় বন্ধুত্ব গড়ে
    ওঠে।
  • একটি কন্যা একজনের দিন উজ্জ্বল করে এবং একজনের হৃদয়কে উষ্ণ করে।
  • আমার মেয়ের হাসি আমার দিনকে উজ্জ্বল করে। তার হৃদয় আন্তরিক এবং অকৃত্রিম। তাই
    আমি আমার মেয়েকে অনেক ভালোবাসি এবং আমি আমার মেয়ের জন্য গর্বিত।
  • এই পৃথিবীতে প্রতিটি মেয়েই তার বাবার রাজকন্যা।
  • আমার মেয়েই আমার প্রেম, আমার ভালোবাসা, আমার হাসি, আমার আনন্দ এবং আমার ধন।
  • একটি ফুল গাছ যেমন অনেক যত্নে বড় করতে হয় তেমনি এটি কন্যা ও অনেক যত্নে আগলে
    রাখতে হয়।
  • এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর আশীর্বাদ গুলির মধ্যে একটি হলো কন্যা।
  • আমার কন্যা আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান উপহার কারণ সে আমার হৃদয়কে আনন্দে
    নাচিয়ে তোলে।

মনে রাখবেন, কন্যা সন্তান আল্লাহর দেয়া একটি বড় নেয়ামত। আপনার জীবনের হাসি,
আনন্দ সবকিছুই আপনার মেয়েকে নিয়ে। আপনি আপনার মেয়ের জন্য কিছু করুন কারণ তারা
আমাদের কাছে অমূল্য সম্পদ। মহান আল্লাহতালা প্রতিটি মেয়েকে সুখী করুন।

কন্যার জন্য শুভকামনা

  • আজ কন্যা দিবস। এবং আপনি আমাদের জন্য এত কিছু করেছেন যে এই শুভেচ্ছা গুলি
    তুচ্ছ। কিন্তু আমি আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চেয়েছিলাম যে, আপনি আমার জীবনকে আরো
    ভালো করে তুলেছেন এবং আমি আপনার সুখী হওয়ার জন্য প্রার্থনা চালিয়ে যাব। শুভ
    কন্যা দিবস।
  • তোমাকে কন্যা হিসেবে পেয়ে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। তুমি তোমার ঘ্রাণ
    সর্বত্র ছাড়িয়ে দাও অনেকটা গোলাপের মতো এবং এভাবে তুমি তোমার সারা জীবনে
    ইতিবাচকতা ছড়িয়ে দাও। শুভকন্যা দিবস।
  • কন্যা সন্তান হলো তার পিতা-মাতার জন্য অতীতের সুখের স্মৃতি, বর্তমানের মনোরম
    মুহূর্ত এবং ভবিষ্যতের আশা ও প্রতিশ্রুতি। সকলের আশা এবং আনন্দ হওয়ার জন্য
    আপনাকে ধন্যবাদ। আমাদের সবচেয়ে সুন্দর এবং আশ্চর্যজনক কন্যাকে শুভ কন্যা দিবস।
  • প্রতিটি কন্যা সন্তানিই উজ্জ্বল তারকা রশ্মি যা অন্ধকার দিনকে উজ্জ্বল করে। শুভ
    কন্যা দিবস।
  • হে আমার স্নেহের কন্যা! আমি যদি তোমাকে জীবনে একটি জিনিস দিতে পারতাম, তা হবে
    আমার চোখের মাধ্যমে নিজেকে দেখার ক্ষমতা। তবেই আমি বুঝতে পারতাম তুমি আমার কাছে
    কতটা অনন্য এবং মূল্যবান।
  • তোমার প্রাণোচ্ছল হাসি আমার সমস্ত উদ্যোগ দূর করে এবং আমি জানি যে, তুমি সব
    সময় আমার হৃদয়ের জন্য লালিত। তোমাকে মেয়ে হিসেবে পেয়ে আমি গর্বিত। আমি সারা
    জীবন তোমার পাশে থাকবো। শুভকামনা কন্যা দিবস।
  • জীবনে অনেক আনন্দ আছে আর কন্যা সন্তান হলো জীবনের অন্যতম আনন্দ। আমি বেশ
    সৌভাগ্যবান হয়েছি যে আমি একটি কন্যা সন্তান পেয়েছি। আমি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
    যে জিনিসটির জন্য এবং কৃতজ্ঞতা হলো আমার কন্যা। তাই আমার জীবনের সবচেয়ে
    গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে শুভকন্যা দিবস।
  • হে কন্যা ! তুমি বড় হওয়ার সাথে সাথে তুমি আমাকে অনেক উজ্জ্বল করেছ। তাই আমি
    তোমাকে অনেক ভালোবাসি। আমি মনে করি, তোমার মত মেয়ে পাওয়ার জন্য আমি অবশ্যই
    কিছু পূর্ণ করেছি। শুভকন্যা দিবস।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প রচনা সম্পর্কে জেনে নিন

প্রতিটি কন্যাসন্তানই তার বাবা-মার কাছে অমূল্য সম্পদ। তাই কন্যা দিবসে প্রতিটি
কন্যাকে স্বাগত জানানো উচিত। তাদেরকে কাজে উৎসাহিত করা উচিত। আপনার একটু উৎসাহ
তাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রতিটি কন্যা সন্তানকেই ভালোবাসুন। মনে
রাখবেন, কন্যা সন্তানই আপনার জান্নাত।

শেষ কথা

আমাদের দেশে বর্তমানে জনসংখ্যার ৪0 শতাংশ শিশু এবং এর মধ্যে ১৫ শতাংশ কন্যা
শিশু। ২০০৩ সাল থেকে কন্যা শিশুদের সুরক্ষা এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ৩০
সেপ্টেম্বরকে জাতীয় কন্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং প্রতিবছর ৩০
সেপ্টেম্বর কে কন্যা শিশু দিবস হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করা হয়।
বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে আমরা দেখতে পাই মেয়েরা আর কোথাও পিছিয়ে নেই।
ছেলেদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারা দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

Rate this post