বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ।  তাই নতুন – চ্যাটিং অ্যাপস গুলোর তালিকা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। আপনারা যদি নতুন – চ্যাটিং অ্যাপস গুলোর তালিকা না জানেন তাহলে কোন অ্যাপের কি সুবিধা তা নিতে পারবেন না। তাই যারা নতুন – চ্যাটিং অ্যাপস গুলোর তালিকা জানতে চান আমার পোস্ট তাদের জন্য।

আমি অনলাইন চ্যাটিং অ্যাপস গুলি যেমন – হোয়াটসঅ্যাপ   Whatsapp, ফেসবুক মেসেঞ্জার ( Facebook Massenger ), ইমু ( Imo ),স্কাইপ ( Skype ),উইচ্যাট ( We Chat ),ভাইবার ( Viber ),টেলিগ্রাম ( Telegram ),টেলিগ্রাম ( Telegram ), সহ আরো  নতুন – চ্যাটিং অ্যাপস গুলোর তালিকা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। নিচে  নতুন – চ্যাটিং অ্যাপস গুলোর তালিকা পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হলো-

চ্যাটিং অ্যাপস কি

চ্যাটিং অ্যাপ হল অনলাইনে বার্তা পাঠানো ও গ্রহণকারীদের কাছে একটি জনপ্রিয়র টুলস। বর্তমানে প্রতিটি স্মার্টফোনেই এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হয়েছে যা অনেক জনপ্রিয়। চ্যাটিং অ্যাপস কে আবার অনলাইন অ্যাপস ও বলা হয় কারণ ইন্টারনেট ছাড়া এই চ্যাটিং অ্যাপস গুলো অনর্থক হয়ে যায়। চ্যাটিং অ্যাপের মাধ্যমে কথা বলার পাশাপাশি বার্তা পাঠানো, অডিও-ভিডিও সবকিছুই করা যায়। এটি এমন একটি মেসেজিং অ্যাপস যা দিন দিন জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। 

চ্যাটিং অ্যাপস গুলো হল – হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক মেসেঞ্জার,ইমু,স্কাইপ,উইচ্যাট,ভাইবার,টেলিগ্রাম,

উইকার মি,লাইন, স্ন্যাপচ্যাট,সিগন্যাল,টক্স। আর এই চ্যাটিং অ্যাপস গুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই আপনার প্রিয়জনের সঙ্গে ছবি দেখে কথা বলতে পারবেন।চ্যাটিং অ্যাপস কে আবার গল্প করার অ্যাপসও বলা হয়। এই এপস গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ছবি, যেকোনো ফাইল শেয়ার করতে পারবেন।

নতুন – চ্যাটিং অ্যাপস গুলোর তালিকা 

আমরা সবাই অনলাইনে কথা বলতে পছন্দ করি। আর অনলাইনে কথা বলতে হলে আমাদের নতুন – চ্যাটিং অ্যাপ গুলোর তালিকা জেনে তারপর একটি চ্যাটিং এপস পছন্দ করে নিতে হয়। নিচে নতুন – চ্যাটিং অ্যাপ গুলোর তালিকা পর্যায়ক্রমে দেওয়া হল-

  • হোয়াটসঅ্যাপ   Whatsapp
  • ফেসবুক মেসেঞ্জার ( Facebook Massenger )
  • ইমু ( Imo )
  • স্কাইপ ( Skype )
  • উইচ্যাট ( We Chat )
  • ভাইবার ( Viber )
  • টেলিগ্রাম ( Telegram )
  • উইকার মি ( Wicker Me )
  • লাইন ( Line )
  • স্ন্যাপচ্যাট ( Snap Chat )
  • সিগন্যাল ( Signal )
  • টক্স (  Tox)
  • সেশন (ব্যক্তিগত মেসেঞ্জার)
  • হাইক (Hike)

হোয়াটসঅ্যাপস   Whatsapp

অনলাইন চ্যাটিং অ্যাপস গুলোর মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় চ্যাটিং অ্যাপস। বিশেষ করে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি হোয়াটস অ্যাপস চ্যাটিং অ্যাপস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর স্মার্ট ফোনে খুব সহজে এই হোয়াটসঅ্যাপস ব্যবহার করা যায় বলে এর জনপ্রিয়তা ও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। whatsapp এর অর্থ হচ্ছে কি খবর এবং এই এপ্লিকেশনে রয়েছে কি খবর। এটি এন্ড্রয়েড এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয়।

এবং তাৎক্ষণিক বার্তা প্রেরণের জন্য এবং চ্যাটিং এবং কথোপকথন সুরক্ষিত করতে সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন। এই অ্যাপ্লিকেশনটিতে এন্ড টু এন্ড এন্ডক্রিপসন বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে যার কারণে যে কেউ ইচ্ছে করলে আপনার ফাইল ব্যাকআপ এক্সেস করতে পারবে না। এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ আপনার ফোনে সেভ করা যতগুলো কন্টাক্ট নাম্বার থাকবে তার মধ্যে সকল গুলোতেও whatsapp ব্যবহারকারীর নাম্বার যুক্ত করে নেয়।

নতুন করে আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপে আর কারো নাম্বার সেভ করতে বা যুক্ত করতে হয় না। এখানে আপনি সর্বোচ্চ ৮ জন সদস্য বা মেম্বারের জন্য একটি করে গ্রুপ তৈরি করতে পারবেন এবং খুব সহজে তাদের সাথে ভিডিও বা অডিও কলে কথা বলতে পারবেন। এই whatsapp এপ্লিকেশনে প্রাইভেসি বা সিকিউরিটি অনেক বেশি যার কারণে এই অ্যাপস টি জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। আপনিও নিশ্চিন্তে এই অ্যাপ্লিকেশনটি চ্যাটিং অ্যাপস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

ফেসবুক মেসেঞ্জার ( Facebook Massenger )

বর্তমানে সারা বিশ্বের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অর্থাৎ ফেসবুক ব্যবহার করে প্রায় ২৯১ কোটি মানুষ এবং তারা মাসিক সক্রিয় হিসেবে ব্যবহার করে। আর বাংলাদেশে বর্তমানে ৪.৮ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি তিনজন মানুষের মধ্যে একজন ফেসবুক চালায়। আর এ সংখ্যা ক্রমেই বেড়েই চলেছে। ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশে আগামী পাঁচ ৫ বছরের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারের সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি হবে।

যদিও এশিয়া মহাদেশের দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি ফেসবুক ব্যবহার করা হয় তবে এখনো চীনে ফেসবুক ব্যবহার করার অনুমতি পায়নি। আর বর্তমানে যে হারে ফেসবুক ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে সেহারে ফেসবুক মেসেঞ্জার ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনার যদি একটি ফেসবুক আইডি থাকে তাহলে আপনি ফেসবুক মেসেঞ্জারও ব্যবহার করতে পারবেন। ফেসবুক মেসেঞ্জার হল একটি গোপন চ্যাটিং  মোড।

আরোপড়ুনঃ  হোয়াটসঅ্যাপ  (Whatsapp) থেকে টাকা ইনকাম করার ১০টি উপায় জেনে নিন

 আর এই চ্যাটিং  মোডে কাজ করে এন্ড টু এ এন্ড যোগাযোগ এনক্রিপ্ট এর মাধ্যমে।এবং and to and ancive করা মাত্রা গুলি মেসেঞ্জার আনলক করে থাকে। ফেসবুক মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে আপনি অডিও, ভিডিও, টেক্সট, ছবি শেয়ারিং করতে পারেন এর পাশাপাশি ২৪ ঘন্টা মেয়াদী পোস্ট স্টোরি সুবিধা রয়েছে। বর্তমানে মেসেঞ্জারে চালু হয়েছে রুমস নামের একটি অপশন।

যেখানে ফেসবুক একাউন্ট না থাকলেও লিংক ব্যবহার করে ৫০ জন ব্যক্তিকে আপনি যুক্ত করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি ফ্রিতে ৫০ জন ব্যক্তিকে নিয়ে অডিও কল বা ভিডিও কল গ্রুপে যুক্ত করতে পারবেন। এবং মেসেঞ্জারে সর্বোচ্চ ২৫০ জন ব্যক্তিকে নিয়ে আপনি গ্রুপিং চ্যাটিং  করতে পারবেন।

ইমু ( Imo )

২০০৫ সালে ইমু ( Imo ) অনলাইন চ্যাটিং অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে প্রথম চালু হয়। ইমু ( Imo ) ফিচারটি খুব সহজ যার কারণে এর জনপ্রিয়তা খুব সহজেই অনেক বৃদ্ধি পায়। ইমু ( Imo ) নামক এই চ্যাটিং অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই অডিও, ভিডিও কলসহ টেক্সট, চ্যাটিং করতে পারবেন। আর এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এই অ্যাপটি  ২জি G, ৩G ,এবং ফোর ৪ জি নেটওয়ার্কে সহজে চালাতে পারবেন। 

আপনি আপনার ফোনে ইমু ( Imo ) অ্যাপসটি  ইন্সটল করার পরে সেভ করা অন্য ইমু ব্যবহারকারীর নাম্বার গুলো আপনি জেনে নিতে পারবেন এর নোটিফিকেশন এর মাধ্যমে। অন্যান্য অনলাইন চ্যাটিং এপস গুলোর মত আপনি ইমুতে ও চ্যাটিং অ্যাপ্লিকেশন যেমন মেসেঞ্জার এর মত ২৪ ঘন্টার জন্য পোস্ট স্টোরি ব্যবহার করতে পারবেন। তাই আপনি খুব সহজেই অনলাইন চ্যাটিং অ্যাপ হিসাবে ইমু ( Imo ) বেছে নিতে পারেন।

স্কাইপ ( Skype )

বেশ কিছুদিন আগে অনলাইন চ্যাটিং  অ্যাপস গুলোর মধ্যে স্কাইপ ( Skype ) একাই রাজত্ব করেছে। তবে সময়ের সাথে সাথে স্কাইপ ( Skype ) নামক অ্যাপ্লিকেশনটি আপডেট করতে না পারার কারণে এর রাজত্ব হারিয়ে গেছে। স্কাইপ ( Skype ) তে আপনি সাধারণ টেক্সট, চ্যাটিং  করার পাশাপাশি ভিডিও কল, অডিও কল, স্টিকার, ফাইলস এর সুবিধা পেয়ে যাবেন। তবে স্কাইপ ( Skype ) হল একটি পেইড অ্যাপ্লিকেশন। এখানে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণে ফ্রি দিয়ে যে কোন মোবাইল নাম্বারে কল করতে পারবেন।

উইচ্যাট ( We Chat )

বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ whatsapp এবং facebook messenger  চ্যাটিং অ্যাপস হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকে। তবে অনলাইনে চ্যাটিং অ্যাপস গুলোর মধ্যে whatsapp এবং facebook messenger এর পরেই  উইচ্যাট ( We Chat ) সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। বিশেষ করে চীন ও ভারতে সবথেকে বেশি জনপ্রিয় একটি অনলাইন চ্যাটিং অ্যাপস হল উইচ্যাট ( We Chat ) চ্যাটিং অ্যাপস। ভারত এবং চীনে প্রায় এক বিলিয়নেরও অধিক লোক উইচ্যাট ( We Chat ) ব্যবহার করে থাকে।

আরোপড়ুনঃ  রচনা – মাদককে রুখবো,স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব 

আপনি যদি ভারত এবং চীনে বসবাসকারী কোন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান তাহলে উইচ্যাট ( We Chat ) এর মাধ্যমে খুব সহজে যোগাযোগ করতে পারবেন। এখানে আপনি অডিও, ভিডিও কলসহ এসএমএস, এমএমএস সম্পূর্ণ ফ্রিতে করতে পারবেন। এছাড়াও এর একটি সবচেয়ে বড় সুবিধা হল ফোরজি 4G কানেকশন না থাকলেও আপনি টুজি 2G অথবা থ্রিজি 3G কানেকশনের মাধ্যমে হাই কোয়ালিটির অডিও, ভিডিও খুব দ্রুত টেক্সটিং করতে পারবেন।

এছাড়াও এই উইচ্যাট ( We Chat ) অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ফ্র্যাকশন যেমন – মোবাইল পেমেন্ট, ব্রডকাস্টিং মেসেজ, লোকেশন শেয়ারিং করতে পারবেন। কারণ এই অ্যাপসের প্রেমেন্ট ক্ষমতা বা মেথড অনেক বেশি। যে কারণে  ভিসা কার্ড অথবা মাস্টার কার্ড এবং আমেরিকার এক্সপ্রেস এর মত বড় বড় কোম্পানিগুলো এর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছে।

ভাইবার ( Viber )

ভাইবার ( Viber ) অ্যাপসটি হলো অনলাইনে চ্যাটিং অ্যাপস গুলোর মধ্যে সবচেয়ে উন্নত এবং ফিচার সমৃদ্ধ অনলাইন চ্যাটিং অ্যাপস। বিশ্বের প্রায় এক ১ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ এই ভাইবার ( Viber ) চ্যাটিং অ্যাপস ব্যবহার করে থাকে। বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি ভাইবার ( Viber ) এপস টি ব্যবহৃত হয়। আর এই ভাইবার ( Viber ) অ্যাপসটি জনপ্রিয় তা অর্জনের প্রধান কারণ হলো এর রয়েছে বিনামূল্যে অডিও, ভিডিও কল এবং টেক্সট করার অনুমতি।

এছাড়াও ভাইবার ( Viber ) অ্যাপস এরয়েছে সেলফ ডিস্ট্রাকটিং, সাধারণ মেসেজিং, গ্রুপ চ্যাটিং, ভিডিও চ্যাটিং সহ বিভিন্ন ধরনের ফিচারস যা সহজেই মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারে। তবে ভাইবার ( Viber ) অ্যাপস এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর মাধ্যমে আপনি অনেক বড় সাইজের অডিও, ভিডিও ফাইল খুব সহজে ট্রান্সফার করতে পারবেন। এছাড়াও ভাইবার ( Viber ) অ্যাপস এ রয়েছে পেইড ভার্সন আর এই ভার্সনের নাম হল ভাইবার ( Viber ) আউট।

আর এর মাধ্যমে আপনি যে কোন মোবাইলের সাহায্যে বিশ্বের যেকোনো ল্যান্ড লাইনে কল করতে পারবেন। এছাড়াও ভাইবার ( Viber ) অ্যাপসের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্টিকার যার মাধ্যমে আপনি সারা বিশ্বের সব খবর খুব সুন্দর ভাবে পেয়ে যাবেন। আরও রয়েছে এন্ড  টু এন্ড এসক্রিপশন, মেসেজিং ভয়েস এসিস্ট্যান্ট এর সাথে কাজ করার ক্ষমতা এবং অডিও ভিডিও কল। এছাড়াও আপনি QR কোড স্ক্যান করে আপনার ভাইবার ( Viber ) অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন।

আরোপড়ুনঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি আসক্তি আজ তরুণ সমাজের প্রধান সমস্যা 

এছাড়াও আপনি এই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে হিডেন চ্যাট তৈরি করতে পারবেন। এবং পাবলিক অ্যাকাউন্ট ও চ্যাট ফলো করতে পারবেন এবং এর যতগুলো গেম আছে আপনি সেগুলোও খেলতে পারবেন। যার কারনে ভাইবার ( Viber ) অ্যাপটি অত্যন্ত জনপ্রিয় অ্যাপস। আপনি এর জনপ্রিয়তা দেখতে চাইলে গুগল প্লে স্টোরে ভাইবার apps এর ডাউনলোড দেখতে পারেন।

তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন এই ভাইবার ( Viber ) অ্যাপসটি কত জনপ্রিয়। তাই আপনি ইচ্ছে করলে ভাইবার ( Viber ) অ্যাপসটি ব্যবহার করতে পারেন। আর এই অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য আপনাকে কোন অর্থ প্রদান করতে হবে না শুধু আপনার ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই চলবে।

টেলিগ্রাম ( Telegram )

অনলাইনে চ্যাটিং অ্যাপস গুলোর মধ্যে টেলিগ্রাম ( Telegram ) হল একটি সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন মুক্ত চ্যাটিং এপ্লিকেশন। আপনার কাছে এই application অ্যাপসটি নতুন মনে হলেও এটা একটি চমৎকার চ্যাটিং অ্যাপস। আর এই অ্যাপটি আপনি কোন প্রকার অর্থ প্রদান না করে শুধু ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন মুক্ত হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। এই এপসটি ব্যবহার করতে আপনাকে ফোরজি 4G ইন্টারনেট প্রয়োজন হবে না।

আপনি থ্রিজি 3G অথবা টুজি ২G ইন্টারনেট কানেকশনে কোন সমস্যা ছাড়াই অনায়াসে এই অ্যাপসটি ব্যবহার করতে পারবেন। আর এই এপস টি ব্যবহারের একটি সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনি এই অ্যাপসটির মাধ্যমে কমপক্ষে দুই ২ লক্ষ জন পর্যন্ত মেম্বার নিয়ে একটি চ্যাটিং গ্রুপ তৈরি করতে পারবেন। এবং আপনি খুব সহজেই এই টেলিগ্রাম ( Telegram ) নামক অ্যাপস টি উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্ম থেকে ব্যবহার করতে পারবেন।

 আপনি বিনামূল্যে এই অ্যাপ্লিকেশনটি থেকে কোন সমস্যা ছাড়াই টেক্সট, মেসেজ, অডিও, ভয়েস কল পাঠাতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যেকোনো ধরনের বড় সাইজের ভিডিও ও ডকুমেন্ট পাঠাতে পারবেন। এই এপস টি কোন প্রকার বিজ্ঞাপন দেখায় না যার কারণে আপনি যথেষ্ট নিরাপত্তার সাথে এই অ্যাপসটির মাধ্যমে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান প্রদান করতে পারবেন। আবার এই এপস টি সম্পূর্ণ এন্ডক্রিপ্টেড অর্থাৎ এই অ্যাপ্লিকেশনেও কোন ধরনের ট্রেকিং পদ্ধতি নেই।

আরোপড়ুনঃ শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি ১০টি  ব্যবহার  বিস্তারিত 

যার কারণে আপনার কোন চ্যাটিং বা কোন মেসেজ কেউ কখনো ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে বের করতে পারবে না বা খুঁজে পাবে না। এছাড়াও এই অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম এর মাধ্যমে আপনি ফিচারের self dist coating, ছবি, ভিডিও ফাইল ও মেসেজ প্রেরণ করতে পারবেন। আর এই এপস টি হল বিনামূল্যে  ব্যবহারকারী অ্যাপস গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি অ্যাপস যেটা লিনাক্স প্লাটফর্মে ব্যবহার করা অনেক সহজ। 

টেলিগ্রাম ( Telegram ) নামক এই অ্যাপসটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল দুই ২ লক্ষ জন সদস্য বা মেম্বার আপনি আপনার চ্যাটিং গ্রুপে অ্যাড করতে পারবেন। যা অন্য কোন অনলাইন চ্যাটিং এপ্সে আপনি এ্যাড করতে পারবেন না এবং সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনি পরিষ্কারভাবে অডিও ভিডিও কল করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি আপনার কাছে থাকা ছবি ভিডিও যে কোন তথ্য মুহূর্তের মধ্যে শেয়ার করতে পারবেন। তাই আপনি এই অ্যাপসটি ব্যবহার করতে পারেন।

উইকার মি ( Wicker Me )

উইকার মি ( Wicker Me ) নামক এই অ্যাপটি আপনার কাছে নতুন মনে হলেও অনলাইন চ্যাটিং অ্যাপ্লিকেশনের সবচেয়ে নিরাপদ মূলক অ্যাপ্লিকেশন হলো এই উইকার মি ( Wicker Me ) নামক অ্যাপ টি। এই চ্যাটিং অ্যাপস এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক ভালো। তাই আপনি নিশ্চিন্তে এই চ্যাটিং অ্যাপসটি ব্যবহার করতে পারেন। কারণ আপনি এই অ্যাপসের মাধ্যমে যে চ্যাটিং গুলো করবেন তা সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং সুরক্ষিত থাকবে।

এবং আপনার এই চ্যাটিং গুলো অটোমেটিক ভাবে ছয় ৬ দিন পর ডিলিট হয়ে যাবে। এই উইকার মি ( Wicker Me ) নামক অ্যাপসটি আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দিবে এবং এই অ্যাপসের মাধ্যমে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে গ্রুপে চ্যাটিং করতে পারবেন। কারণ এই উইকার মি ( Wicker Me ) নামক অ্যাপসটি শক্তিশালী এনক্রিপশন আপনাকে নিরাপদ ভাবে ভয়েজ মেমো, image, video, file, calling সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন।

আরোপড়ুনঃ ফেসবুক পেজ বুস্ট কি – ফেসবুক পেজ বুস্ট করার যাবতীয় নিয়ম

আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল এই এপসটি ব্যবহার করার জন্য এখানে কোন ফোন নাম্বার বা আইডি দিতে হয় না কারণ এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারকারীদের ইনবিল্ট ভিপিএন অফার করে। এ ছাড়াও এখানে শ্রেডার নামের একটা ফিচার রয়েছে যার সাহায্যে আপনি ডিলিট হয়ে যাওয়া মেসেজ গুলো অভার রাইট করতে পারবেন যাতে করে আপনার তথ্যগুলো কেউ কখনো খুঁজে না পায়। 

তবে এর প্রাইভেট গ্রুপে আপনি সর্বমোট ১০ জনের সাথে চ্যাটিং করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন উইকার মি ( Wicker Me ) এপ্লিকেশনটি হলো একটি পেইড ভার্সন। তাই এই অ্যাপ্লিকেশনটি আপনি ফ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না। আপনাকে অর্থ প্রদান করে এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে হবে।

লাইন ( Line )

লাইন ( Line ) নামক অনলাইন সেটিং অ্যাপসটি এশিয়া মহাদেশে বেশ জনপ্রিয়। এই অ্যাপসের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই কল, মেসেজ পাঠাতে পারবেন। আর এই অ্যাপসের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফিচার হলো এখানে আপনি পোস্ট করতে পারবেন এবং আপনার বন্ধুরা সেই পোস্টে কমেন্ট করতে পারবেন। আপনি এই অনলাইন চ্যাটিং অ্যাপসে গ্রুপ তৈরি করতে পারবেন এবং আপনার গ্রুপে ৫00 জন পর্যন্ত মেম্বার যোগ করতে পারবেন।

আপনি এই লাইন ( Line ) এপস এর মাধ্যমে অডিও এবং ভিডিও কল করার পাশাপাশি ফ্রিতে ল্যান্ড লাইনেও কল করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি এই অ্যাপটি ব্যবহার করলে একই সাথে ইউটিউবে ভিডিও দেখার পাশাপাশি বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং করতে পারবেন এবং বিভিন্ন স্টিকার এখানে পেয়ে যাবেন চ্যাটিং করার জন্য।

স্ন্যাপচ্যাট ( Snap Chat )

বর্তমানে অনলাইন চ্যাটিং অ্যাপস গুলোর মধ্যে স্ন্যাপচ্যাট ( Snap Chat ) নামক এই চ্যাটিং অ্যাপসটি জনপ্রিয়। এবং সারা পৃথিবীতে এই স্ন্যাপচ্যাট ( Snap Chat ) নামক এপ্লিকেশনটি অনলাইন চ্যাটিং অ্যাপস হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। এই অ্যাপসের মাধ্যমে পৃথিবীর অনেক মানুষ তাদের ব্যক্তিগত তথ্য আদান প্রদান করে এবং এর সাথে অডিও এবং ভিডিও কল করার জন্য এই স্ন্যাপচ্যাট ( Snap Chat ) নামক সেটিং অ্যাপস টি ব্যবহার করে থাকে।

আপনার যদি একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন থাকে তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে এই স্ন্যাপচ্যাট ( Snap Chat ) অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে পারবেন। এই এপ্সটিওপিয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্ক এ কাজ করে যার কারণে গোপনীয়তার দিক থেকে বেশ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনি স্ন্যাপচ্যাট ( Snap Chat ) নামক এই চ্যাটিং অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে পারেন।

সিগন্যাল ( Signal )

বর্তমানে সারা বিশ্বে অনলাইন চ্যাটিং এপস গুলোর মধ্যে সিগন্যাল ( Signal ) নামক এই অ্যাপসটির বা অ্যাপ্লিকেশনটির গুরুত্ব কম নয়। কারণ সারা পৃথিবীতে অনলাইন চ্যাটিং অ্যাপস হিসাবে এই সিগন্যাল ( Signal ) অ্যাপসটি বেশ কার্যকরী। আপনি এই অ্যাপসটি ব্যবহার করে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য আদান-প্রদানসহ অডিও, ভিডিও কল করতে পারবেন এবং সিগনাল নামক অনলাইন চ্যাটিং অ্যাপ টি ব্যবহার করতে পারবেন।

আপনি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের পাশাপাশি পিসি ভার্সনে ও এই অনলাইন চ্যাটিং অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যান্য অনলাইন চ্যাটিং অ্যাপস গুলোর মত এই চ্যাটিং অ্যাপস ও আপনার তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করবে এবং আপনাকে যথেষ্ট নিরাপত্তা দিবে। তাই আপনি নিশ্চিন্তে অনলাইন চ্যাটিং এপস হিসেবে সিগন্যাল ( Signal ) নামক এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে পারেন।

টক্স (  Tox)

বর্তমানে বাজারে যতগুলো নতুন চ্যাটিং অ্যাপস রয়েছে টক্স (  Tox)  হলো তার মধ্যে নতুন একটি চ্যাটিং অ্যাপস। তবে অনলাইনে এই চ্যাটিং অ্যাপসটি নতুন মনে হলেও আপনি খুব সহজেই এই অ্যাপসটি ব্যবহার করতে পারবেন। এটা মূলত একটি বিকেন্দ্রীকৃত apps যা পেয়ার টু পেয়ার ইনস্ট্যান্ট টেক্সট এর মাধ্যমে কাজ করে। অর্থাৎ এই এপ্লিকেশন অ্যাপস এর কোন একক মালিকানা নেই যার ফলে এখানে তথ্য বা পাঠানো তথ্যের প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণের কোন নির্দিষ্ট কারো হাতে থাকে না।

আমি আরো সহজ ভাবে বলি, আপনি যখন কোন তথ্য পাঠাবেন তখন আপনার এই তথ্য ট্রেকিং পদ্ধতিতে কেউ খুঁজে পাবে না অর্থাৎ আপনি যে সকল তথ্য আদান প্রদান করবেন অথবা কোন মেসেজ দিবেন সেগুলো কখনোই কেউ ট্রেকিং করে খুঁজে পাবেনা। তাই এই টক্স নামক অ্যাপসটি একটি আলাদা নিরাপত্তামূলক অ্যাপস। তাই আপনি চাইলে খুব সহজেই এই নিরাপত্তা মূলক অ্যাপসটি  ব্যবহার করতে পারবেন।

আরোপড়ুনঃ পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ২০টি উপায় – ব্রেন ভালো হওয়ার দোয়া জেনে নিন

এই টক্স (  Tox) নামক অ্যাপের মাধ্যমে আপনি যখন কোন চ্যাটিং করবেন তখন এর সমস্ত প্রোটোকল এনক্রিপশন ও  চ্যাটের সুবিধাগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং আপনি খুব সহজেই নিজস্ব ফ্রন্ট এন্ড অ্যাপস তৈরি করতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও আপনি এপ্লিকেশনের সমস্ত ডেস্কটপ ও মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের টক্স (  Tox) সংস্করণ করতে পারবেন। কারণ এই মেসেঞ্জার টি হল সমস্ত ব্যবহারকারীদের জন্য একেবারে বিনামূল্যে ও নিরাপত্তামূলক একটি অ্যাপ্লিকেশন।

কারণ এই টক্স নামক অ্যাপসটি কখনোই আপনার ব্যক্তিগত তথ্যগুলোকে ট্রাকিং করতে দেবে না। আর আপনি যদি এই অ্যাপসটি ব্যবহার করেন তাহলে এই অ্যাপসের ফিচারগুলো ব্যবহার করার জন্য আপনাকে কোন রেজিস্টার করার প্রয়োজন হবে না। কারণ এখানে বেশ অনেকগুলো উল্লেখযোগ্য ফিচার রয়েছে। যথা – গ্রুপ চ্যাট, ডার্ক থিম, ক্লাইন্ট সাইড এন্ডক্রিপসন, ইনবিল্ড, প্লেয়ার এবং এনোনিমাস ফাইল শেয়ারিং। তাই আপনি চাইলে খুব সহজেই এই টক্স (  Tox) নামক চ্যাটিং অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন।

হাইক (Hike)

হাইক (Hike) হল সেরা ইন্টারনেট মেসেজিং অ্যাপস গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম জনপ্রিয় চ্যাটিং অ্যাপস। এই অ্যাপস টি ব্যবহার করে আপনি ভিডিও, অডিও, টেক্সট, মেসেজ সহ যে কোন তথ্য আদান প্রদান করতে পারবেন। অনলাইন চ্যাটিং এপস গুলোর মাধ্যমে অডিও, ভিডিও, টেক্সট, মেসেজ পাঠানো একটি সাধারন ব্যাপার। কিন্তু এর চেয়েও যদি আপনি বেশি কিছু বেশি পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই হাইক (Hike) নামক এই অনলাইন অ্যাপটি ব্যবহার করতে হবে।

কারণ এখানে রয়েছে চল্লিশ ৪০টি ভিন্ন ভিন্ন ভাষার অপশন। আর এই অ্যাপ্লিকেশন অ্যাপটি শুধু চ্যাটিং করতে দেয় তাই নয় এখানে আপনি বিভিন্ন লাইভ খবর, লাইভ ক্রিকেট আপডেট, স্টক মার্কেটিং আপডেট ও আরো অনেক কিছু পাবেন। এছাড়াও আপনি হাইক (Hike) নামক এ্যাপসে নিয়মিতভাবে নিত্যনতুন ফিচার যোগ করতে পারবেন এবং এই অ্যাপসটিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট ভালো। 

আরোপড়ুনঃ বাংলাদেশের পনেরো  ১৫ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নিন

আর এই অ্যাপ্লিকেশন এপস এর সবচেয়ে বেশি মজার ফিচার হলো এখানে পার্সোনালাইজড ইমোজির ব্যবস্থা রয়েছে। আর এই অ্যাপটি নতুন প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় চ্যাটিং অ্যাপস হিসেবে সবার আগে স্থান করে নিয়েছে। নতুন প্রজন্মের কাছে এই অ্যাপটি আরো জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো এখানে চ্যাট হাইড করা, কুইক রিপ্লাই, ডার্ক মোড, লোকেশন পাঠানো এবং গ্রুপ চ্যাটের মতো ফাস্কশন রয়েছে।

তাই আপনি খুব সহজেই আপনার মোবাইল অথবা ল্যাপটপ অথবা ডেক্সটপ এর মাধ্যমে চ্যাটিং অ্যাপস হিসাবে এই হাইক (Hike) অ্যাপটি বেছে নিতে পারেন। কারণ একটি চ্যাটিং এপস এর যত গুণাবলী থাকা প্রয়োজন এই হাইক (Hike) নামক অ্যাপস এ তার সবগুলোই রয়েছে।

শেষ কথা

তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে মানুষ অনলাইনে নির্ভর হয়ে পড়েছে। আর যখন কারো সাথে কথা বলে বা চ্যাটিং করে তখন সময়ের বাধ্যবাধকতা তারা ভুলে যায়। তাই মানুষ এখন অনলাইন চ্যাটিং অ্যাপ গুলো নিশ্চিন্তে ব্যবহার করছে। আমি অনলাইন নতুন – চ্যাটিং অ্যাপস গুলোর তালিকা সহ অ্যাপস গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি আমার এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আর যদি উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।

Rate this post