রানী ভিক্টোরিয়া – ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে আমাদের অনেকের ইচ্ছে হয়। কিন্তু আমরা রানী ভিক্টোরিয়া – ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানিনা। তাই আমি আপনাদের জন্য রানী ভিক্টোরিয়া – ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছি।

১৮৫৭ সাল থেকে ১৯০২ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসকরা ভারতবর্ষ শাসন করেছে এবং এই শাসন কার্য পরিচালনা করেছেন ব্রিটিশরাণী ভিক্টোরিয়া।, আর রানী ভিক্টোরিয়ার নামে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে।রানী ভিক্টোরিয়া – ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

রানী ভিক্টোরিয়া – ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল স্মৃতিসৌধ 

রানী ভিক্টোরিয়া 

১৮৫৭ সাল থেকে ১৯০২ সাল পর্যন্ত ভারতে ব্রিটিশ শাসন ছিল আর এই ব্রিটিশ শাসন চলাকালীন অবস্থায় ভারতের রাজধানী ছিল কলকাতা। আর ব্রিটিশ রানী ভিক্টোরিয়া ইংল্যান্ডের রানী ছিলেন এবং তিনি সেই সাথে কলকাতার ও সম্রাজ্ঞী ছিলেন। তাই কলকাতা শহরকে ঘিরে অনেক গল্প এবং ইতিহাস রয়েছে আর এই ইতিহাসের প্রথম স্থানে রয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল স্মৃতিসৌধ। .১৮৭৬ সালের ১ মে তিনি ধারণ করেন ভারত সম্রাজ্ঞী উপাধি।

তার জন্মগত নাম আলেকজান্দ্রিয়া ভিক্টোরিয়া। তিনি যুক্তরাজ্য ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রানী ছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাসে নারী শাসক হিসেবে যে কয়জন নারী দীর্ঘ সময় ধরে শাসন কার্য পরিচালনা করেছেন ব্রিটিশ রাণী ভিক্টোরিয়া তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ছয় দশক ব্রিটিশ শাসন করেন এবং তার শাসনামলেই তিনি আধুনিকায়ন করেন পুরো ব্রিটিশ সাম্রাজ্য।

আরো পড়ুনঃ   পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য – জিনিস সম্পর্কে জেনে নিন

তার শাসনামলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়। তিনি একজন নারী হয়েও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে ৬৪ বছর যাবত শাসন করেছেন একহাতে। ব্রিটিশ শাসকদের মধ্যে রানী ভিক্টোরিয়া ভারতবর্ষের মানুষদের কাছে ছিলেন সর্বাধিক পরিচিত। তিনি ১৮৭৬ সাল থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত ভারতবর্ষ শাসন করেন এবং যাবতীয় কার্য পরিচালনা করেন।

রানীর মৃত্যুর পর লর্ড কার্জন ভারতবর্ষের তৎকালীন রাজধানী কলকাতায় ঐতিহাসিক ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরি করেন রানী ভিক্টোরিয়াকে স্মরণ করে রাখার জন্য। এছাড়া ১৮৯৯ সালে বাংলা ত্রিপুরা খ্যাত কুমিল্লায় ভিক্টোরিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। লর্ড কার্জন কুমিল্লা এই কলেজকে ভিক্টোরিয়ার নাম দেওয়ার কারণে ব্রিটিশ সরকার তাকে রায় বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করেন। ভিক্টোরিয়ার ব্যাক্তি জীবন ভারতবর্ষের ইতিহাসে অতোপ্রোত ভাবে জড়িত।

ভিক্টোরিয়ার শৈশব

ভিক্টোরিয়া রাজা দ্বিতীয় জর্জের চতুর্থ ছেলে এডওয়ার্ডের কন্যা ছিলেন। তার মায়ের নাম ছিল প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া। ১৮১৯ সালের ২৪ শে মে ভিক্টোরিয়া লন্ডনের ক্যানিংটন প্যালেসের জন্মগ্রহণ করেন। তার মা প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া ছিলেন একজন জার্মানি ডিউকের কন্যা। ভিক্টোরিয়ার বয়স যখন মাত্র আট ৮ মাস তখন তার পিতা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

পিতার মৃত্যুর পর ভিক্টোরিয়া তার মা এবং তাদের উপদেষ্টা উসকাঙ্ক্ষী জন কয়রয় এর অধীনে বেড়ে ওঠেন। উপদেষ্টা জন কয়রয়  সবসময় ভিক্টোরিয়াকে তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইতেন। এদিকে রাজা এড ওয়ার্ডের মৃত্যুর পর রনী  প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার সাথে রাজা উইলিয়ামের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। এমনকি রাজা উইলিয়াম প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়াকে রাজপ্রাসাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন এবং সেইসাথে প্রাসাদের সকল গুরুত্বপূর্ণ সভায় যোগদানে নিষেধাজ্ঞা ও আরোপ করেন।

আরো পড়ুনঃ   সায়েন্স সিটি – কলকাতা সম্পর্কে জানুন

আর এতে করে ছোট আলেকজান্দ্রিয়া শুধু রাজ পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে বসবাস করতে থাকেন। রাজা উলিয়াম নির্দেশ দেন মা আর মেয়েকে শুধু রাজপ্রাসাদের একটি রুম বরাদ্দ দিতে। রানী ভিক্টোরিয়া অন্য পন্থায় লেখাপড়া করেন।তার মানসিক চাপ বাড়ানোর জন্য তার ওপর নতুন নতুন নিয়ম চাপানো হতো এমনকি নিজ কক্ষের বাইরে তার একা হাটা পর্যন্ত নিষেধ ছিল।

ভিক্টোরিয়া রানী হওয়ার পর আদালতের মাধ্যমে উপদেষ্টার জন কয়রয় এর ক্ষমতা কমিয়ে এনেছিলেন। মূলত ছোটবেলায় ভিক্টোরিয়াকে ঘর বন্দী করার কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি মূলত জন কয় রয়ের উপর প্রতিশোধ স্বরূপ এমন কাজ করেছিলেন।এরপর জন কয়রয় লজ্জিত হয়ে দুই ২ বছর পর পদত্যাগ করে ইতালিতে পালিয়ে যান।

পরবর্তী জীবনে এসে রানী ভিক্টোরিয়া শিশু জীবনের কথা স্মরণ করে বলেন,- “শিশু হিসেবে অখুশি জীবন যাপন; আসলে আমি তখনো বুঝতে পারিনি সুখী জীবন যাপন বলতে মানুষ কি বুঝায়”।

ভিক্টোরিয়ার মুকুট অর্জন

১৮৩৭ সালের ২০ জুন সকাল ছয় ৬ টার সময় রানী জানতে পারেন তার চাচাত তৎকালীন রাজা চতুর্থ উইলিয়াম আগের রাতে মারা গেছেন।তাকে নিশ্চিত করে যে ইংল্যান্ডের নিয়ম অনুসারে আলেকজান্দ্রিয়া ভিক্টোরিয়া ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের নতুন রানী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে রানীর জীবনের মোড় ঘুরে যায়। আলেকজান্দ্রিয়া ভিক্টোরিয়াকে মাত্র আঠারো ১৮ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের রানীর মুকুট পরানো হয়। কন্যা হিসেবে ভিক্টোরিয়া সিংহাসনের পঞ্চম দাবিদার ছিলেন। 

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় – বুয়েট সম্পর্কে জেনে নিন

চাচার মৃত্যুর পর ভিক্টোরিয়া সিংহাসনে আরোহন করেন। সিংহাসনে আরোহণের পর তাকে মোকাবেলা করতে হয়েছিল চলমান নানা ষড়যন্ত্র। সিংহাসনে আরোহনকালে রানীর উচ্চতা ছিল মাত্র চার ৪ ফুট ১১ ইঞ্চি। তাই শাসন কার্য বুঝে নেওয়ার পর রাজপ্রাসাদের মন্ত্রীদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে নিজের উচ্চতা নিয়ে রানীকে বিপাকে পড়তে হয়েছিল।

জানা যায় রানী যখন রাজপ্রাসাদের বৈঠকে এসেছিলেন তখন অনেকেই তার উচ্চতার কারণে তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু রানী এতে মোটেও ভীত সন্ত্রস্ত হননি বরং নিজের জন্য বড় উচ্চতার চেয়ার আনার নির্দেশ দেন। আর এতে মন্ত্রীরা বুঝতে পেরেছিলেন রানীর সাথে বোঝাপড়া এত সহজ হবে না। আর এভাবে আলেকজান্দ্রিয়া  ভিক্টোরিয়া ইংল্যান্ডের ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হন।

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল স্মৃতিসৌধ

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল ইংল্যান্ডের রানী ভিক্টোরিয়ার নাম অঙ্কিত তৎকালীন ভারতের রাজধানী কলকাতায় অবস্থিত ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধ। ১৯০১ সালের ২২শে জানুয়ারি রানী ভিক্টোরিয়া মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর তার স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতেই এই স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। কলকাতার ময়দান নামক স্থানে সবচেয়ে বড় সবুজের উপর অবস্থিত এই স্মৃতিসৌধটি। 

আরো পড়ুনঃ আইফেল টাওয়ার (Eiffel Tower)  – আইফেল টাওয়ার  (Eiffel Tower) কেন বিখ্যাত জানুন

কলকাতার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে প্রথম তিন অবস্থান এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল যা মানুষ এক পলক দেখার জন্য ছুটে যায় কলকাতার ময়দান চত্বরে। একে আবার কলকাতার পার্ক স্ট্রীট ও বলা হয়। রানীর মৃত্যুর পর কলকাতায় একটি তড়িঘড়ি করে বৈঠক ডাকা হয় এই বৈঠকে প্রয়াত রানীকে সম্মান জানানোর জন্য প্রস্তাব রাখেন তৎকালীন ভাইস লর্ড কার্জন।

এবং এই বৈঠকে প্রস্তাব রাখা হয় একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের। আর এই স্মৃতিসৌধে থাকবে প্রচুর গাছ এবং ফুলবাগান। আর ভাইস রয়ের উদ্দেশ্য ছিল এমন স্মৃতিসৌধ নির্মাণের যা দেখতে পর্যটকরা কলকাতায় ভিড় জমাবে।

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর নকশা

১৯০১ সালে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল বা রানীর স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য প্রস্তাব করা হয়। প্রায় পাঁচ ৫ বছর ধরে এগোতে থাকে নকশা তৈরির কাজ। স্যার উইলিয়াম এমার্সোন ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের নকশা প্রস্তুত করেন বেল ফাস্ট সিটি হলের স্থাপত্য শৈলীর আদলে ইতালির রেনেসাঁ স্থাপত্যশৈলীতে। তাকে প্রথমে স্মৃতিসৌধের নকশা প্রস্তুত করতে বলা হয়।

কিন্তু তিনি শুধু ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলীর প্রয়োগের বিরোধিতা  করেন ইন্দো সারাশেনিক শৈলীর সঙ্গে মুঘল উপাদান যুক্ত করেন এবং ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিসৌধের নকশা প্রস্তুত করেন। এই ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের  স্থপতি ছিলেন জিন সেন্ট এসচ। স্মৃতিসৌধের সাথে যে বাগানটি রয়েছে তার নকশা করেছিলেনষন প্রেইন ও লর্ড রেডেসডেল।

আরো পড়ুনঃ লিওলেন মেসির – জীবনী  সম্পর্কে  জেনে নিন

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজের জন্য দায়িত্ব অর্পণ করা হয় কলকাতার মার্টিন এন্ড কোম্পানি সংস্থার ওপর। ১৯০৬ সালে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। রাজা পঞ্চম জর্জ এই স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। চাচাতো বোন ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুর পর তার  রাজা হওয়ার কথা থাকলেও তার বাবা বেঁচে থাকার কারণে তারা রাজা হওয়া হয়নি। 

পঞ্চম জর্জ যখন ভারতে এসেছিলেন তখন ভারতীয়দের প্রতি ব্রিটিশদের জাতিগত বিদ্বেষ ছিল যা দেখে অত্যন্ত বিরক্ত প্রকাশ করেন।ভারতীয়দের প্রশাসনিক কাজে এবং রাজনীতিতে তিনি উৎসাহ দেন তার বাবার মৃত্যুর পর তিনি ইংল্যান্ডের রাজা নির্বাচিত হন এবং সেইসাথে তিনি কোলকাতা তথা ভারতবর্ষ ও শাসন করেন। আর তার রাজত্বকালে ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়।

ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের অবকাঠামো

ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯০৬ সালের জানুয়ারি মাসে এবং১৯২১ সালে এ নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছিল দীর্ঘ ১৫ বছর। এই ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের প্রস্থ ও ৫০০ ফুট এবং উচ্চতা ২৮৯ ফুট। .১৯২১ সাল থেকে এই স্মৃতিসৌধ জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এই স্মৃতিসৌধ নির্মাণে ভারতীয় ব্যক্তি এবং ব্রিটিশ অফিসার দ্বারা অর্থায়নের মাধ্যমে নির্মিত হয়েছিল।

৬৪ একর জমির ওপর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল নির্মিত হয়। আর এই শক্তি নির্মাণ করা হয় রাজস্থানের সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে। এই ভবনে রয়েছে তাজমহলের আইকনিক গম্বুজ, অষ্টভুজাকৃতির গম্বুজ যুক্ত ৩৬0 টি সহায়ক সাদা উঁচু পোর্টাল এবং কোনার টাওয়ার গুলো ও গম্বুজ বিশিষ্ট। এই ভবনটিতে রয়েছে মোট ২৫ টি গ্যালারী। এই পঁচিশ ২৫টি গ্যালারির মধ্যে রয়েছে রাজকীয় গ্যালারি, জাতীয় নেতাদের গ্যালারি, প্রাকৃতিক গ্যালারি, ভাস্কর্য গ্যালারী, অস্ত্র ও অস্ত্রাগার গ্যালারি,

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা কতটি ২০২৩ জেনে নিন

কেন্দ্রীয় হল এবং নতুন সংযোজন হয়েছে কলকাতা গ্যালারি, এই কলকাতা গ্যালারিতে সব সময় যুদ্ধের ভিডিওগুলো প্রদর্শন করানো হয়। এই স্মৃতিসৌধে  থমাস জানিয়েলের রচনা সমূহের একক বৃহত্তম সংগ্রহ রয়েছে তার সাথে রয়েছে তার ভাতিজা উইলিয়াম ডানিয়েলের লেখা। এছাড়াও রয়েছে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের সচিত্র কাজ।

ওমর খৈয়ামের রুবায়াত ওয়াজিদ আলী শাহের ফ্যামিলি সঙ্গীত এরাবিয়ান নাইট এবং কিছু বিরল নৃত্যের বই সহ আরো অনেক বই। ভিক্টোরিয়া গ্যালারিতে রানী ভিক্টোরিয়ার প্রতিকৃতি সহ জেনসেন এর প্রতিকৃতি। ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের দক্ষিণে আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস রোড, আইপিজি এমইআর এবং এস এস কে এম হাসপাতাল।

উত্তর দিকে ডান্সিং ফাউন্টেন কুইন্স ওয়ে, বিস্তীর্ণ ব্রিগেড প্যারেড ময়দান, পশ্চিমে কলকাতার রেসকোর্স ময়দান, পূর্বে বিখ্যাত সেন্টাল এম পি বিড়ালা, তারামণ্ডল স্মৃতিসৌধ, ভবনের উত্তরে এবং দক্ষিণ দুইদিকেই বিশাল ফটোক দেখতে পাবেন। উত্তর ফটোক থেকে দুই দিকেই জলধারা রয়েছে যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।

আপনি কিভাবে যাবেন

আপনি ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধ দেখতে যদি যান তাহলে যে কোন ট্রেনে করে অথবা বাসে করে ময়দান নামক স্থানে যেতে হবে। আপনি এখানে যাওয়ার জন্য মেট্রো ট্রেন এবং লোকাল ট্রেন যে কোন ট্রেন পেয়ে যাবেন। আর ময়দান নামক স্থানে গেলেই আপনি ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধে পৌঁছে যাবেন। ১৯২১ সাল থেকে এই স্মৃতিসৌধ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল।

আরো পড়ুনঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় – সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

২০০৪ সাল থেকে হাইকোর্টের জারি করা আদেশে ফি ধার্য করা হয়েছে। আগে এই ফি এর পরিমাণ ছিল ১০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে এই ফি ভারতীয়দের জন্য ৩০ রুপি এবং পর্যটকদের জন্য ১০০ রুপি করা হয়েছে। এই স্মৃতি সৌধ সোমবারে বন্ধ থাকে। তাই আপনাকে অবশ্যই সোমবার ব্যতীত অন্য কোন দিনে যেতে হবে।

শেষ বক্তব্য

রানী ভিক্টোরিয়া শুধু ইংল্যান্ডের শাসক ছিলেন না তিনি গোটা ভারতবর্ষকেও শাসন করেছেন এক হাতে। তিনি ৬৪ বছর তার শাসন কার্য পরিচালনা করেছেন। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে ৬৪ এ একর জমির উপর এবং রাজস্থানের সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে।এখানে রয়েছে অনেক গ্যালারি যা দেখলে আপনি অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।

তবে আপনি যদি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল স্মৃতিসৌধে বেশ কিছু সময় কাটাতে চান তাহলে জলধারার ২ পাশে অনেক গাছ এবং গাছের নিচে বেশ মনোরম পরিবেশ অনেক বসার জন্য বেঞ্চ তৈরি করা রয়েছে। আপনি এর ওপর বসে অনেক সময় কাটাতে পারবেন। তবে আপনাকে অবশ্যই অধিক সময় কাটানোর জন্য বাহিরে থেকে খাবার কিনে নিয়ে যেতে হবে।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের পনেরো  ১৫ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নিন

আপনি এই স্মৃতিসৌধের মধ্যে কোন খাবার পাবেন না শুধু পানি পাবেন ঠান্ডা এবং গরম যে কোন প্রকারের পানি আপনি পেয়ে যাবেন। তবে গেটের বাইরে আপনি যে লোকজন দেখতে পাবেন তারা আপনাকে শুধু বলবে ভেতরে পানি পাওয়া যাবে না। আপনারা পানি কিনে নিয়ে যান। আপনারা ভুলেও পানি কিনে নিয়ে ঢুকবেন না কারণ ভেতরে আপনি অনেক খাবার পানি পাবেন।

Rate this post