প্রশ্নঃ একটি কোম্পানির নাম কিভাবে নির্ধারিত হয়? কোম্পানির নাম পরিবর্তনের পদ্ধতি কি? 

ভূমিকাঃ কোম্পানি আইন ১৯৯৪ অনুসারে কোম্পানি একটি কৃত্রিম ব্যক্তি হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। কিছু ব্যক্তি একত্রিত হয়ে মূলধন সংগ্রহ করে কোম্পানি গঠন করে। এজন্য কোম্পানিকে যৌথ মূলধনী কোম্পানিও বলা হয়। যে কোন কোম্পানি ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন অনুযায়ী নিবন্ধন করতে হয়।

একটি কোম্পানির নাম কিভাবে নির্ধারিত হয়ঃ কোম্পানি আইনের ১১ ধারা অনুযায়ী নিম্নে একটি কোম্পানির নাম নির্ধারণের পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো-

(i) সহজ-সরল নাম : কোম্পানির নাম সহজ-সরল হতে হবে। অর্থাৎ সহজে বোঝা যায় এমন নাম হতে হবে।

(ii) অন্য কোম্পানির নাম না হওয়া : চালু আছে এমন কোন কোম্পানির নাম না হওয়া বা অনুরূপ কোন কোম্পানির নাম অবিকল হলে তা গ্রহণীয় হবে না।

(iii) সরকারি দফতর সম্পর্কিত নাম না হওয়া : বাংলাদেশ সরকারে কোন দফতরের সাথে সম্পর্কিত কোন নাম বা অনুমতি ব্যতীত King, Queen, State, Crown, Royal, Emperor ইত্যাদি নাম গ্রহণ করা যাবে না।

(iv) জাতিসংঘের সাথে সম্পর্কিত নাম না হওয়া : জাতিসংঘ বা তার অঙ্গ-সংগঠনের সাথে সম্পর্কিত নাম গ্রহণ করা যাবে না।

(v) স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত নাম না হওয়া : সরকারের অনুমতি ব্যতীত কোন পৌরসভা বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত নাম গ্রহণ করা যাবে না।

(vi) 

নামের শেষে লিমিটেড ব্যবহার করা : কোম্পানির নামের শেষে অবশ্যই ‘লিমিটেড’ বা ‘লিঃ’ শব্দটি ব্যবহার করতে হবে।

কোম্পানির নাম পরিবর্তনের পদ্ধতিঃ কোম্পানি আইনের ১১ ধারা অনুযায়ী নিম্নে একটি কোম্পানির নাম পরিবর্তনের পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো-

(১) নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব পাস : কোম্পানির সাধারণ সভায় বা বিশেষ সভায় নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব পাস করতে হবে।

(২) রেজিষ্ট্রারের অনুমতি গ্রহণ : কোম্পানির নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব পাস হলে উক্ত নাম পরিবর্তনের জন্য রেজিষ্ট্রারের লিখিত অনুমতি গ্রহণ করতে হবে।

(৩) রেজিস্ট্রারকে জানাতে হবে : নাম পরিবর্তন হলে কোম্পানিসমূহের রেজিষ্ট্রারকে জানাতে হবে।

(৪) রেজিষ্টার কর্তৃক নিবন্ধনপত্র ইস্যু : রেজিষ্ট্রার নাম পরিবর্তনের বিষয় অবহিত হওয়ার পর উক্ত তালিকা পরীক্ষা করে সন্তুষ্ট হলে নতুন করে নিবন্ধনপত্র ইস্যু করবেন।

উপসংহারঃ কোন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে হলে তা ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত হতে হয়। কোন পাবলিক কোম্পানি বা বৃহৎ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হলে তা পরিচালনা করা সম্ভব না হলে যেমন ছোট কোম্পানিতে পরিণত করা যায় তেমনি কোন প্রাইভেট বা ছোট কোম্পানির পরিসর বৃদ্ধি করতে চাইলে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে তা করা যায়।

Rate this post