1799 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী প্রাউস স্থিরানুপাত সূত্র আবিষ্কার করেন।  

স্থিরানুপাত সূত্রটি দুটি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। 

১. সমানুতা ধর্ম বিশিষ্ট যৌগ সমূহের ক্ষেত্রে স্থিরানুপাত সূত্র প্রযোজ্য নয়। যেমন- বিউটেন ও 2-মিথাইল প্রোপেন এদের আণবিক সংকেত (C₄H₁₀) একই। 

কিন্তু গাঠনিক সংকেত ভিন্ন হওয়ায় এদের ভৌত ধর্মের পার্থক্য পাওয়া যায়। অথচ যৌগটি দুটি কার্বন ও হাইড্রোজেন দ্বারা গঠিত এবং এদের ভরের অনুপাত 24:5 একই। 

যেহেতু এরা ভিন্ন যৌগ সেজন্য স্থিরানুপাত সূত্র এখানে প্রযোজ্য নয়।

২. একই মৌলের ভিন্ন ভর বিশিষ্ট পরমানু অর্থাৎ আইসোটোপ যখন যৌগ গঠন করে তখন একই রাসায়নিক ধর্ম বিশিষ্ট যৌগ হলেও তাদের ভরের অনুপাত একই হয় না, যা স্থিরানুপাত সূত্রকে সমর্থন করে না। 

যেমন- কার্বনের তিনটি আইসোটোপ আছে যাদের ভর 12 ; 13 ও 14  ।  12 ও 14 ভর বিশিষ্ট কার্বন অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড ¹²CO₂ ; ¹⁴CO₂ উৎপন্ন করে, যাদের রাসায়নিক ধর্ম একই। অথচ এদের ভরের অনুপাত 3:8 ও 7:16. 

অর্থাৎ এক্ষেত্রে স্থিরানুপাত সূত্র প্রযোজ্য নয়।

Rate this post