বাংলাদেশে অষ্টম শতকে পাল রাজবংশের শাসন শুরু হয়। প্রবল সামাজিক-রাজনৈতিক অরাজকতা ও অস্থিরতার সময়ে সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে জনগণ গােপাল নামে এক সামন্তকে নেতা নির্বাচিত করে। গােপাল-ই পালবংশের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ৭৫০-৭৭০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। ক্ষত্রিয়বংশে জন্মগ্রহণ করলেও গােপাল পরবর্তীকালে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন। সমাজের বিশৃঙ্খলা ঘুচিয়ে শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। গােপালের পুত্র ধর্মপালের রাজত্বকালে (৭৭০-৮১০ খ্রিস্টাব্দ) পাল রাজবংশের গৌরবময় যুগের সূচনা হয়। তার চল্লিশ বছর রাজত্বের সময়ে তিনি এক ক্ষুদ্র আঞ্চলিক রাজ্যকে বৃহৎ সাম্রাজ্যে পরিণত করেন।

ধর্মপালের পুত্র দেবপালকে পালবংশের শ্রেষ্ঠ রাজা বিবেচনা করা হয়ে থাকে। বাংলার ইতিহাসে ধর্মপাল ও দেবপালের রাজত্বের সময় এক গৌরবােজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। দেবপালের পর প্রথম মহিপাল, জয়পাল, বিগ্রহপাল, দ্বিতীয় মহিপাল, রামপাল, কুমারপাল, গােবিন্দপাল প্রমুখ রাজত্ব করলেও বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেননি। দ্বাদশ শতকের শেষে পালবংশের অবসান ঘটে।

বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপােষক হিসেবে পালবংশের রাজাদের যথেষ্ট খ্যাতি ছিল। নালন্দা ও বিক্রমশীলার মতাে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শিল্পের ক্ষেত্রেও তারা যথেষ্ট পৃষ্ঠপােষকতা করেন। বিখ্যাত শিল্পী ধীমান ও বিটপাল, পাল রাজাদের পৃষ্ঠপােষকতা লাভ করেন.

পালযুগের চিত্রকলার পরিচয় দাও। 

বাংলাদেশে সুলতানি শাসনকালের চিত্রকলার পরিচয় দাও। 

বাংলার চিত্রকলার ইতিহাসে মুরশিদাবাদ শৈলীর গুরুত্ব ও অবদান আলােচনা করাে। 

কোম্পানি শৈলীর মুরশিদাবাদ পর্বের পরিচয় দাও। 

কোম্পানি শৈলী : কলকাতা পর্বের পরিচয় লিপিবদ্ধ করাে। 

চিত্রকলা শিক্ষাচর্চার সূত্রপাত ও প্রসারে দি ইন্ডিয়ান সােসাইটি অব ওরিয়েন্টাল আর্ট-এর ভূমিকা আলােচনা করাে। 

বাঙালি চিত্রকলা চর্চার ধারায় অন্নদাপ্রসাদ বাগচির অবদান আলােচনা করাে। 

বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলােচনা করাে। 

বাংলার চিত্রকলার ইতিহাসে নন্দলাল বসুর অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

অথবা, চিত্রকলাচর্চায় শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুর স্থান নিরূপণ করাে। 

বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় চিত্রশিল্পী হিসেবে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় যামিনী রায়ের ভূমিকা কতখানি তা বুঝিয়ে দাও। 

বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৈশিষ্ট্য ও স্বাত্ত্র্য আলােচনা করাে। 

Rate this post