বাজারটির অবস্থান: সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ভারতবর্ষ গল্পটি গড়ে উঠেছেরাঢ়বাংলার একটি ছােট্ট গ্রাম্য বাজারকে কেন্দ্র করে। পিচের সড়ক আদ্যিকালের এক বটগাছের পাশে যেখানে বাঁক নিয়েছে, সেখানেই গড়ে উঠেছিল বাজারটি।

বাজারটির বর্ণনা : বাজারটিতে সবমিলিয়ে ছিল তিনটি চায়ের দোকান, দুটো সন্দেশের দোকান, তিনটি পােশাকের দোকান, একটা মনােহারির দোকান এবং দুটি মুদিখানা। এ ছাড়াও একটি আড়ত এবং একটি হাস্কিং মেশিনেরও দোকান ছিল সেখানে। বাজারটির উত্তরে ছিল বিরাট একটি মাঠ এবং পেছনে ছিল বাঁশবন। চারপাশের গ্রামের মানুষ প্রতিদিন এখানেই কেনাকাটা করতে আসত।

পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ সংযােগ না থাকলেও বাজারে বিদ্যুৎ ছিল। সকাল থেকে শুরু করে রাত নটা পর্যন্ত এই বাজার খােলা থাকত। চারপাশের গ্রামের মানুষদের কাছে এটা তাই একটা আড্ডার জায়গাও ছিল। ‘সভ্যতার ছােট্ট উনােনের পাশে হাত-পা সেঁকে নিতে’ তারা প্রায়শই বাজারে আসত, বিশেষত সন্ধ্যায়, যখন গ্রামগুলি প্রায় অন্ধকার থাকত। রাত নটায় বাজার ফঁাকা হয়ে গেলে জনহীন বাজারের বৈদ্যুতিক আলােয় দু-একটা নেড়িকুত্তাকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যেত। একটা-দুটো ট্রাক কখনাে-সখনাে রাস্তা দিয়ে শহরের দিকে চলে যেত। রাতে নিস্তব্ধ বাজারের পাশের বটগাছ থেকে পাচার ডাক শােনা যেত।

Rate this post