মানুষ তার জীবনে কোনাে সমস্যা কীভাবে সমাধান করবে সেই সংক্রান্ত শিখন কৌশল হল প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন এবং অন্তদৃষ্টিমূলক শিখন। এই ধরনের শিখনের তাৎপর্যগুলি নিম্নলিখিতー

(১) শিক্ষক কোনাে সমস্যার সমগ্রটি প্রথমে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করে তারপর তাকে ছােটো ছােটো অংশে বিশ্লেষণ করে তার ব্যাখ্যা করবেন।

(২) শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা বিষয়বস্তুকে দৈনন্দিন জীবন পরিবেশের সঙ্গে সংযুক্ত করে উপস্থাপন করবেন।

(৩) শিক্ষার্থীরা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলিকে ত্যাগ করে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলিকে সাজিয়ে সূত্র গঠন করে সমস্যাসমাধানের দিকে এগােবে।

(৪) সমগ্র অংশটির খণ্ডাংশগুলি স্থাপনের মাধ্যমে সমস্যাসমাধান সম্ভব হয়। তার ফলে অন্তদৃষ্টি জাগ্রত হয়।

(৫) মাঝে মাঝে শিক্ষার্থীদের উপর শক্তিদায়ক উদ্দীপক প্রয়ােগের মাধ্যমে সমস্যাসমাধানে উদ্যম তৈরি হয়।

(৬) শিখনলব্ধ জ্ঞানকে অনুশীলনের মাধ্যমে জীবন-পরিবেশে প্রয়ােগের মাধ্যমে সমস্যাসমাধান সম্ভব হয়।

(৭) কোনাে বিষয় পাঠদানের পূর্বে পাঠসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করে শিক্ষার্থীর মানসিক প্রস্তুতি তৈরি করা হয়।

(৮) পূর্বে শেখা পাঠের সঙ্গে বর্তমান পাঠের কী সাদৃশ্য রয়েছে, তা সম্বন্ধ স্থাপনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে পারবে।

(৯) যে-কোনাে সমস্যা শিক্ষার্থীরা যাতে নিজে সমাধানের চেষ্টা করে এবং তার নিজের ভুল হলে তা বুঝতে পেরে সংশােধনের জন্য আচরণ পরিবর্তন করতে পারে, সমস্যাসমাধানমূলক শিখনে তা সম্ভব।

(১০) যেসকল ক্ষেত্রে শিখনলব্ধ ফলাফল তৃপ্তিদায়ক হয়, সেই সকল সমস্যা সমাধান মূলক শিখন স্থায়ী হয়।

Rate this post