প্রশ্নঃ “নামজারির মামলার ফলে প্রস্তুতকৃত ও চূড়ান্তকৃত খতিয়ান প্রচলিত খতিয়ানের কোন নম্বরের সাথে মেলা উচিত নয়”- আলোচনা কর।

ভূমিকাঃ ভূমি আইনে খতিয়ানের ন্যায় নামজারি বা মিউটেশনও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নামজারির মাধ্যমে সরকারি রেকর্ডে পুরাতন মালিকের নামের স্থানে নতুন মালিকের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়। জমি হালনাগাদ করার একটি প্রক্রিয়া হলো নামজারি।

“নামজারির মামলার ফলে প্রস্তুতকৃত ও চূড়ান্তকৃত খতিয়ান প্রচলিত খতিয়ানের কোন নম্বরের সাথে মেলা উচিত নয়”- আলোচনাঃ নামজারির ফলে নতুন খতিয়ান নাম্বার সৃষ্টি হয়। এই নাম্বার পুরাতন বা বর্তমান নাম্বারের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারবে না। যদি কোন খতিয়ানের সকল জমি কোন ব্যক্তির নিকট উত্তরাধিকার সূত্রে বা বিনিময় সূত্রে হস্তান্তর হয় অর্থাৎ একই ব্যক্তি যদি কোন খতিয়ানের সকল জমির মালিক হয় তাহলে নতুন খতিয়ানে পুরাতন খতিয়ান নাম্বার অপরিবর্তিত রাখা বাঞ্ছনীয়। যদি একই খতিয়ানের জমির বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর হয় তাহলে প্রত্যেক মালিকের জন্য আলাদা আলাদা খতিয়ান খোলার সময় একটি বাটা নাম্বার দিতে হবে। যেমনঃ কোন এক ব্যক্তির জমির খতিয়ান নাম্বার ৫০। উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করল। তার ৪ পুত্রের মধ্যে এই জমি ভাগ হলো। প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা খতিয়ান খুলতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথম বিভক্ত খতিয়ান নাম্বার হবে ৫০/১, দ্বিতীয় বিভক্ত খতিয়ান নাম্বার হবে ৫০/২, তৃতীয় বিভক্ত খতিয়ান নাম্বার হবে ৫০/৩ এবং চতুর্থ বিভক্ত খতিয়ান নাম্বার হবে ৫০/৪।

উপসংহারঃ কোন জমির নামজারি করা না হলে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক বা সহ-শরীক তাদের নামে নামজারি করাতে পারে। এটি মালিকানার জন্য হুমকিস্বরূপ। নিজ নামে নামজারি করে রাখা হলে উক্ত জমি নিরাপদে থাকে। এছাড়া নামজারির কারণে জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

Rate this post