উত্তর : বড়ু চণ্ডীদাস রচিত শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের একমাত্র নিদর্শন। কবি সংস্কৃত সাহিত্যে সুপণ্ডিত ছিলেন। তাই কাব্যের প্রতিটি পদের প্রারম্ভে সংস্কৃত শ্লোক উদ্ধৃত করেছেন। বাংলা ভাষার বিশিষ্ট বাকভঙ্গি এবং রচনাশৈলী এতে আপন স্বভাবে ভাস্বর। নিচে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের ধ্বনিতাত্ত্বিক ...
QNA BD Latest Articles
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য অবলম্বনে রাধার বিরহস্বরূপ তুলে ধর
অথবা, বিরাহশিখায় রাধার হৃদয় জ্বলছে – তোমার নিজের ভাষায় বর্ণনা কর উত্তর: রাধা বড়ায়িকে অনুরোধ করে কৃষ্ণকে খুঁজে আনার জন্য। এদিকে বসন্ত সমাগত। প্রকৃতিতে নতুন সাজ। বসন্তে সরস কোকিল ডাকছে। মদনের পাঁচ বাণ রাধা সইতে পারছে না। এ অবস্থায় রাধার ...
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের বংশী খণ্ড অবলম্বনে কৃষ্ণের বাঁশির বর্ণনা দাও
অথবা, কৃষ্ণের বাঁশির মোহিনী সুরে জগৎ জুড়ায় – বিশ্লেষণ কর উত্তর: মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের ভুবনে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য অতুলনীয়। এ কাব্যের প্রধান চরিত্র রাধা এবং কৃষ্ণ। উভয়ের প্রেম প্রণয় কাব্যের গঠন বিন্যাস। কৃষ্ণ বড়ায়ির মুখে রাধা রূপের বর্ণনা শুনে উন্মাদ। এজন্য ...
কৃষ্ণের বাশির সুর রাধার রন্ধন কার্যে যে বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টি করে তার বর্ণনা দাও
অথবা, নন্দের নান্দন কাহ্ন আড়বাঁশী বাএ যেন রএ পাঞ্জরের শুআ – এখানে আড়বাঁশী বলতে কী বুঝানো হয়েছে? আলোচনা কর। উত্তর: কৃষ্ণ বিহনে রাধার রূপ যৌবন বৃথা। তাই পৃথিবী দ্বিধাবিভক্ত হলে রাধা প্রবেশ করে আত্মগোপন করতে চাচ্ছে। কালিন্দী নদীতীরে মৃদুমন্দ বাতাস ...
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রাধা এবং বৈষ্ণব পদাবলীর রাধার তুলনামূলক আলোচনা কর।
অথবা, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রাধা লৌকিক আর বৈষ্ণব পদাবলীর রাধা পরমাত্মার প্রতীক – আলোচনা করে বুঝিয়ে দাও উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য এবং বৈষ্ণব পদাবলী মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের এক নান্দনিক সৃষ্টিসম্ভার। এ সাহিত্যদ্বয়ের রস আস্বাদনে পাঠক বিমোহিত। রাধা চরিত্রই এ সাহিত্যদ্বয়কে দান করেছে ...
বসন্ত ঋতু বিরহ বেদনাকে কীভাবে বাড়িয়ে দেয়? আলোচনা কর
অথবা, রাধার বিরহকে প্রকৃতি কীভাবে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে? সংক্ষেপে লেখ উত্তর: “শ্রীকৃষ্ণকীর্তন” কাব্যে বসন্ত ঋতু বিরহ বেদনাকে কীভাবে বাড়িয়ে দেয়? আলোচনা করা হলো: বৃন্দাবন ছেড়ে কৃষ্ণ মথুরায় চলে যাওয়ার পর রাধার বিরহবেদনাকে প্রকৃতি যেন আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বসন্ত এসেছে। গাছে ...
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য অবলম্বনে রাধা চরিত্রের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও
অথবা, রাধা শাশ্বত বাঙালি নারীর প্রতিমূর্তি – এ প্রসঙ্গে তোমার মতামত উপস্থাপন কর উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের প্রধান এবং আকর্ষণীয় চরিত্র শ্রীরাধা। রাধার চরিত্র চিত্রণে কবি নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়েছেন। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে রাধা রক্তমাংসে গঠিত সাধারণ নারী। সে বৈকুন্ঠের লক্ষ্মী কিংবা কৃষ্ণের ...
রাধার বার মাস্যার বিরহ দশার বর্ণনা দাও
উত্তর : প্রকৃতি চারদিকে সুসজ্জিত। গাছে গাছে কদম ফুল ফুটেছে। ডালগুলো ফুলের ভারে নুয়ে পড়েছে। কিন্তু বিরহিণী রাধার মনে শান্তি নেই, কারণ এখনো কৃষ্ণের দেখা সে পায়নি। কৃষ্ণবিরহে তার অন্তর ক্রমশ দগ্ধ হচ্ছে। আর কত সে বসনে বুক ঢেকে রাখবে। ...
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য অবলম্বনে বংশীখণ্ডের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও
উত্তর: বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম কাব্য হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন স্বীকৃত। তেরো খণ্ডে বিভক্ত এ কাব্যের গুরুত্বপূর্ণ খণ্ড হচ্ছে বংশীখণ্ড। রাধাকে আকৃষ্ট করার জন্য কৃষ্ণ সময়ে অসময়ে বাঁশিতে সুর তোলে। কৃষ্ণের বাঁশির সুর শুনে রাধার রান্না এলোমেলো হয়ে যায়। রাধার রাতে ঘুম ...
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য অবলম্বনে বিরহখণ্ডে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও
উত্তর: ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এ কাব্যে শ্রীকৃষ্ণের প্রেমে রাধা ও গোপীদের পাগল প্রায় অবস্থা বর্ণিত হয়েছে। তেরো খণ্ডের সমন্বিত এ কাব্যের বংশীখণ্ডের পর বিরহখণ্ডের বর্ণনা করা হয়েছে। বংশী খণ্ডে কৃষ্ণের রাধার সাথে চুক্তিতে সম্মত হলে বাঁশি ফিরে ...