কী উদ্দেশ্যে চর্যাপদ রচিত হয়েছিল? আলোচনা কর। চর্যাপদের ধর্মদর্শন কী? উত্তর: বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ। এটি বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকদের সাধনসংগীত। বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যরা তাঁদের ধর্মমত প্রচারের উদ্দেশ্যে চর্যাপদ রচনা করেন। এটি কবিতার আকারে লেখা হলেও আসলে সাধন-ভজন বিষয়ক তত্ত্বগ্রন্থ। চর্যার ...
QNA BD Latest Articles
অপনা মাংসে হরিণা বৈরি – ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আলোচ্য পদটি ‘চর্যাগীতিকা’র ৬ নং পদের অন্ত র্গত। পদটির রচয়িতা ভুসুকুপাদ। এই পদটিতে ইঙ্গিতে মানবজীবনের চিরন্তন সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে। হরিণের আপন মাংসই তার চির শত্রু। আর হরিণের এই সুস্বাদু মাংসের জন্য শিকারি সুযোগ পেলেই তাকে শিকার করে। ` ...
কাহ্নপা’র পরিচয় দাও।
কাহপা সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ। উত্তর: কাহ্নপা বা কানুপা বাংলা ভাষা-সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদের আদি কবিদের মধ্যে অন্যতম। তিনি চর্যাপদের সর্বোচ্চ পদকর্তা হিসেবে তেরোটি পদ [৭, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৮, ১৯, ৩৬, ৪০, ৪২, ৪৪ ও ৪৫] রচনা করেন। ...
চর্যাপদের ভাষাকে ‘সন্ধ্যাভাষা’ বলা হয় কেন?
চর্যাপদের ভাষা কি সান্ধ্যভাষা ? মতামত দাও। উত্তর: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবারের পুথিশালা থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন এবং ১৯১৬ সালে তা প্রকাশ করেন। চর্যাপদ আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে এর প্রাচীনত্ব নিয়ে কোনো বিরোধ ...
জো সো বুধী সোহি নিবুধী জো সো চোর সোহি সাধী – চরণ দুটি বিশ্লেষণ কর
“জো সো বুধী সোহি নিবুধী জো সো চোর সোহি সাধী” উত্তর: প্রদত্ত চরণগুচ্ছ ঢেণপাদানাম রচিত ৩০ নং চর্যাপদ থেকে গৃহীত হয়েছে। এখানে চোর ও সাধু সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। আলোচ্য চরণদ্বয়ের দুটি অর্থ বিদ্যমান- একটি বাহ্যিক অর্থ- আরেকটি অন্তর্নিহিত অর্থ। ...
চর্যাপদে বিধৃত নারীদের অবস্থান নির্ণয় কর।
চর্যাপদে বর্ণিত সমাজচিত্রে নারীদের অবস্থান কী ছিল? চর্যার সমাজচিত্রে নারীদের অবস্থান তুলে ধর। উত্তর: চর্যাগীতিকাগুলো বৌদ্ধ, সহজিয়াদের পদ্ধতিমূলক গান। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সন্ধ্যাভাষায় ত্রিপকের মাধ্যমে সাধকদের গুড় ধর্মসাধনার কথা প্রচার করটি ঐতিহাসিক পটভূমিকায় চর্যাগীতিগুলো রচিত। চর্যাপদকর্তাগণ নিজ নিজ অবস্থায় নিজেদের ...
চর্যাপদ থেকে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত দ্রব্যসামগ্রীর একটি তালিকা তৈরি কর।
উত্তর: বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ। বৌদ্ধ সহজিয়াদের সাধনসংগীত। বৌদ্ধ সহজিয়াগণ তাঁদের আধ্যাত্মিক তত্ত্ব ব্যাখ্যা করতে যেয়ে প্রাচীন বাংলার মানুষের জীবন ও সমাজের বিশ্বাস, সংস্কার, আচার, রীতিনীতিকে সহজভাবে তুলে ধরেছেন। চর্যার বাঙালি সমাজ মূলত ডোম, শবর, জেলে, কাপালিক, তাঁতিসহ সমাজের ...
নগর বাহিরি রে ডোম্বি তোহোরি কুড়িআ। ছোই ছোই জাসি বামহণ নাড়িআ। – উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
উত্তর : প্রদত্ত চরণগুচ্ছ কাহ্নপাদানাম রচিত ১০ নং চর্যাপদ থেকে গৃহীত হয়েছে। এখানে অন্ত্যজশ্রেণির প্রতিনিধি ডোম্বী এবং তাদের আবাস-অবস্থার কথা বর্ণিত হয়েছে। বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ। বৌদ্ধ সহজিয়াদের সাধনসংগীত। বৌদ্ধ সহজিয়াগণ তাঁদের আধ্যাত্মিক তত্ত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রাচীন বাংলার ...
কাহেরে ঘিনি মেলি আছহু কীস। বেঢ়িল হাক পড়ই চৌদীস। আপণা মাংসে হরিণা বৈরী। খনহ ন ছাড়ই ভুসুকু অহেরী। – আধুনিক বাংলায় রূপান্তর কর।
উত্তর: আধুনিক বাংলায় রূপান্তর: কাকে নিয়ে (বা কাকে) ছেড়ে কেমন করে আছি। আমাকে ঘিরে চারদিকে হাঁক পড়ে। আপন মাংসের জন্যই হরিণ সকলের শত্রু। ক্ষণ মুহূর্তের জন্যও শিকারী ভুসুক (তাকে) ছাড়ে না। ব্যুৎপত্তি: ঘিনি = গহ্নাতি> গেণহই >ঘেনি, ঘিনি। বেঢ়িল = ...
জে জে আইলা তে তে গেলা অবনাগমনে কাহ বিমনা ভইলা ॥ হেরি সে কাহি নিঅড়ি জিনউর বটই। ভনই কাহ্ হি অহি ন পাইসই ॥- আধুনিক বাংলায় রূপান্তর কর।
উত্তর: জে জে আইলা তে তে গেলা অবনাগমনে কাহ বিমনা ভইলা ॥ হেরি সে কাহি নিঅড়ি জিনউর বটই। ভনই কাহ্ হি অহি ন পাইসই ॥ প্রদত্ত চরণগুচ্ছ কাহ্নপাদানাম রচিত ৭নং চর্যাপদ থেকে গৃহীত হয়েছে। নিচে পদটি আধুনিক বাংলায় রূপান্তর করা ...