কাদেরকে আনসার এমং মুহাজির বলা হয়ে থাকে?
Sign up to join our community!
Please sign in to your account!
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
মক্কা থেকে হিজরত করে যাঁরা মদিনায় যান তাদের বলা হয় ‘মুহাজির’। ‘মুহাজির’ মানে হিজরতকারী।মূলত মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতকারী সাহাবিদের ‘মুহাজির’ বলা হয়। ‘আনসার’ মানে সাহায্যকারী। হিজরতকারী মুহাজিরদেরকে মদিনার যেসব লোক আশ্রয় ও সাহায্য-সহযোগিতা দিয়েছিলেন, তাঁরা হলেন ‘আনসার’।
আনসার বা আনসারি শব্দটি ‘নাসরুন’ শব্দমূল থেকে উৎকলিত। আরবি ‘নাসিরুন’ এর বহুবচন ‘আনসার’। এর আভিধানিক অর্থ সাহায্যকারী। মক্কার কাফিরদের অত্যাচারে মুসলমানরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠলে মহানবী (সা.) তাদের মদিনায় হিজরত করার অনুমতি দেন।
মদিনার হিজরতকারী মক্কাবাসী মুসলমানদের সহোদের ভাইয়ের মতো সাদরে গ্রহণ করে যারা আশ্রয় দেন, তাদের আনসারি সাহাবি বলা হয়। আর হিজরতকারী সাহাবিদের মুহাজির বলা হয়। আনসারি সাহাবিরা মুহাজিরদের নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তিও সমভাবে ভোগ করার অধিকার দেয়। বিশ্বের ইতিহাসে এ ধরনের স্বার্থত্যাগের ঘটনা বিরল।
মদিনার এ স্বার্থত্যাগী ভাইয়েরাই ইসলামের আনসার বা সাহায্যকারী নামে পরিচিত। ইসলামে আনসারদের অবদানের ফলে ইসলামের প্রচার, প্রসার ও প্রতিষ্ঠা অনেকটা সহজতর হয়। ইসলামের প্রাথমিক বিপ্লব সাধনে আনসারদের অবদান চিরস্মরণীয়। তাঁদের সর্বাত্মক সহযোগিতায় মুসলমানরা মাত্র ১০ বছরের মধ্যে সারা বিশ্বের নিয়ন্ত্রণকর্তায় পরিণত হয়।
মুহাজিরদের পাশাপাশি আনসাররা প্রতিটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ইসলামকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেন। তাদের আন্তরিকতায় মহানবী (সা.) মদিনায় একটি স্থায়ী ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। দ্বিন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। আনসারদের এই আত্মত্যাগের ঘটনা সর্বকালের মুসলমানদের জন্য অসীম প্রেরণার উৎস।