Hello,

Sign up to join our community!

Welcome Back,

Please sign in to your account!

Forgot Password,

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Ask A Question

Please type your username.

Please type your E-Mail.

Please choose an appropriate title for the question so it can be answered easily.

Please choose the appropriate section so the question can be searched easily.

Please choose suitable Keywords Ex: question, poll.

Type the description thoroughly and in details.

Please briefly explain why you feel this question should be reported.

Please briefly explain why you feel this answer should be reported.

Please briefly explain why you feel this user should be reported.

QNA BD Latest Questions

Mithu Khan
Enlightened

ইসলামের দ্বিতীয় খলিফার নাম কী?

ইসলামের দ্বিতীয় খলিফার নাম কী?

1 Answer

  1. উত্তরঃ হযরত উমর (রাঃ)।

    ইসলামের দ্বিতীয় খলিফার নাম হযরত উমর (রাঃ)।

    হজরত ওমর ফারুক রা. সম্পর্কে বিস্তারিত-

    ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর ফারুক (রা.)। ৫৮৩ খিস্টাব্দে তিনি কুরাইশ বংশের বিখ্যাত আদ্দি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। উমর (রা.) এর বাবা খাত্তাব কুরাইশ বংশের একজন বিখ্যাত লোক ছিলেন। উমর (রা.) এর মাতার নাম হানতামা।

    হজরত উমর (রা.) শিক্ষা-দীক্ষায় বেশ অগ্রসর ছিলেন। তিনি কবিতা লেখায় পারদর্শী ছিলেন। কুস্তিবিদ্যায় তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়।

    নবীজি যখন মানুষকে ইসলামের পথে আহ্বান করছিলেন এসময় কাফের-মুশরিকেরা সত্য ধর্মের আহ্বান সহ্য করতে না পেরে নবীজীকে হত্যা করার ঘোষণা দিল। এ জন্য তারা পুরস্কারও ঘোষণা করল। এ ঘোষণার পর কেউ মহানবী (সা.) কে মারার দুঃসাহস দেখাতে না পারলেও ওমর রা রাজি হয়ে যান। কিন্তু নবীজিকে হত্যা করতে গিয়ে তিনি নিজেই প্রিয় নবীর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন।

    ওমর রা.-এর ইসলাম গ্রহণ মুসলমানদের শক্তিশালী করে। তার ইসলাম গ্রহণের আগে কেউ প্রকাশ্যে ইসলাম গ্রহণের কথা বলার সাহস পেত না এমনকি মুসলমানদের কেউ প্রকাশ্যে কোরআন তেলাওয়াত করার সাহস পেত না। কিন্তু ওমর রা. ইসলাম গ্রহণের পর কাবার সামনে প্রকাশ্যে ইসলাম এবং নামাজ আদায়ের ঘোষণা দেন।

    ইসলাম গ্রহণের পর তিনি নবীজি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুখ-দুঃখ ও সমস্যাবলির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। বদর, ওহুদ, খন্দক, হুনাইন, খাইবার প্রভৃতি যুদ্ধে যোগদান করে অসাধারণ বীরত্ব, যোগ্যতা ও দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন।

    ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর রা.-এর ওফাতের পর হজরত ওমর (রা.) শাসনভার গ্রহণ করেন। তার খেলাফতকাল (৬৩৪-৬৪৪) ইসলামের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা করে। বিশ্বের সর্বকালের শাসকদের কাছে তিনি ছিলেন আদর্শ স্থানীয়।

    হজরত ওমর (রা) শুধু একজন বিখ্যাত বিজেতাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক এবং নিরঙ্কুশ সফলকাম জাতীয় নেতাদের অন্যতম। এক বিশাল সাম্রাজ্যের শাসক হয়েও হজরত ওমর (রা) সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতেন।

    ১০ বছর ৬ মাস ৩ দিন ইসলামি রাষ্ট্রের খেলাফতের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার শাসনকাল থেকে ব্যাপকভাবে ইসলামের বিকাশ ঘটে। তার সময়ে সাসানীয় সাম্রাজ্য ও বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের দুই তৃতীয়াংশ মুসলিমদের অধীনে আসে। তার শাসনামলেই জেরুজালেম মুসলিমদের হস্তগত হয়।

    হজরত ওমর (রা) জ্ঞান চর্চার অনুরাগী ছিলেন। বিদ্বান ও বাগ্মী হিসেবে তার সুখ্যাতি ছিল। কোরআন-হাদিসে তার অসাধারণ পাণ্ডিত্য ছিল। সামরিক বিজ্ঞান ও কৌশলের দিক দিয়ে তিনি সমগ্র আরবের সুপরিচিত ছিলেন। তিনি ২৬ জিলহজ ২৩ হিজরি/৬৪৪ খ্রিস্টাব্দে দুষ্কৃতকারীর হাতে শাহাদাত বরণ করেন।

Leave an answer

Leave an answer

Related Questions