Hello,

Sign up to join our community!

Welcome Back,

Please sign in to your account!

Forgot Password,

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Please briefly explain why you feel this question should be reported.

Please briefly explain why you feel this answer should be reported.

Please briefly explain why you feel this user should be reported.

QNA BD Latest Questions

Mithu Khan
Enlightened

হজ্জে হাজীদের কোরবানি দেওয়া পশুর মাংস কি করা হয়?

হজ্জে হাজীদের কোরবানি দেওয়া পশুর মাংস কি করা হয়?

1 Answer

  1. আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের আশায় ঈদুল আজহায় বিশ্বব্যাপী একযোগে মুসলমানরা পশু কোরবানি করেন। হজের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে সৌদি আরবে প্রতিবছর লাখ লাখ পশু কোরবানি করা হয়। সৌদিতে হাজীদের একটি অংশ নিজে মুস্তাহালাকায় (পশুরহাট ও জবাই করার স্থান) গিয়ে কোরবানি দেন। আরেকটি অংশ ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকে (আইডিবি) নির্দিষ্ট পরিমাণ রিয়াল জমা দিয়ে তাদের মাধ্যমে কোরবানি দেন।

    আইডিবির তত্ত্বাবধানে সবচেয়ে বেশি কোরবানি হয় মক্কায়। আইডিবির মাধ্যমে কোরবানির জন্য কুপন মুল্যের মধ্যে পশুর দাম, কসাইখানার খরচ, হিমাগারে মাংস সংরক্ষণ ও পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম দেশের গরিব লোকজনের মধ্যে এই মাংস বিতরণের খরচ বাবদ এ মূল্য নেয়া হয়।

    প্রতি বছর ‘দুম্বার মাংস’ নামে বাংলাদেশেও এ মাংস পাঠানো হয়। এছাড়া আফ্রিকা ও এশিয়ার মুসলিম দেশগুলোতে এসব মাংস বিতরণ করা হয়। বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলোতে বেশি দেওয়া হয়। আইডিবির এ প্রজেক্টটির নাম ‘ইউটিলাইজেশন ফর দ্য সেক্রিফিশিয়াল অ্যানিমেল’ যা আদাহি নামেও পরিচিত।

    ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইএসডিবি) সভাপতি ডক্টর বান্দার হাজ্জারের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, হজে বিভিন্ন দেশে মাংসের বিতরণের প্রকল্পটি ৩৭ বছর আগে চালু হয়েছিল। সৌদি সরকার এটি পরিচালনা করে আসছে। কারণ, বছরের পর বছর ধরে হজের সময় মাংসের প্রাচুর্য সৌদি আরবে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। হাজীরা কোরবানির সব মাংস খেতে পারে না। ফলে তারা সেগুলো রাস্তায় ফেলে দিতেন। এতে রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়া মাংস পচে দুর্গন্ধ ছড়াত, দূষণ হতো পরিবেশ।

    অপচয় ও দূষণ এড়াতে দরিদ্রদের সাহায্য করার জন্য সৌদি সরকার ১৯৮৩ সালে প্রথম এ উদ্যোগ নেয়। প্রকল্পটি পরিচালনা করার জন্য সরকার আইডিবিকে দায়িত্ব দেয়। ২০০০ সালের পর আদাহি প্রকল্পটি আরও বিকশিত হয়। যেখানে বর্তমানে ৪০ হাজারেরও বেশি কর্মচারী কাজ করে। অতিরিক্ত মাংস নিরাময়ের জন্য একটি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কেন্দ্রটিতে প্রতিদিন ৫০০ টন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করা যায়। এবং কারখানায় ব্যবহার করা যেতে পারে এমন নিষ্কাশিত চর্বি থেকে আলাদা করে প্রাকৃতিক সার তৈরি করা হয়।

    এসব কোরবানির মাংস নিয়ম মেনে বণ্টন করা হয়। মসজিদুল হারামের আশেপাশের দরিদ্রদের মধ্যে গোশত বিতরণ শুরু হয় পবিত্র ঈদুল আজহার প্রথম দিন এবং মুসলিম দেশগুলাতে শিপিং শুরু হয় মহররম মাসের প্রথম দিন। এছাড়াও সৌদি আরবের মধ্যে ২৫০টি দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে মাংস বিতরণ করা হয়।

    প্রকল্পের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩০ লাখ পশু কোরবানি দেয়া হয়েছে। যার পুরো মাংস মুসলিম দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। বিশ্বের প্রায় ১০ কোটি মানুষের ঘরে এ মাংস পৌঁছানো হয়েছে।

Leave an answer

Leave an answer

Related Questions