মরুভূমিতে মরীচিকা সৃষ্টির জন্য দুটি প্রধান কারণ দায়ী:
১) আলোর প্রতিফলন ও প্রতিসরণ:

• উষ্ণ মরুভূমিতে, বালির তাপমাত্রা দিনের বেলায় খুব বেশি হতে পারে।
• গরম বালি থেকে উঠে আসা বাতাস কম ঘন হয় এবং ঠান্ডা বাতাসের চেয়ে উপরে উঠে যায়।
• ফলে, দূরবর্তী বস্তু (যেমন গাছপালা, পানি, বা পাহাড়) থেকে আসা আলো প্রথমে বাতাসের নিচের স্তর দিয়ে প্রতিসরিত হয়, তারপর উপরের উষ্ণ বাতাসের স্তর দ্বারা প্রতিফলিত হয়।
• এই প্রতিফলিত আলো আমাদের চোখে এমনভাবে পৌঁছায় যাতে মনে হয় যে দূরবর্তী বস্তু আসলে আমাদের কাছেই অবস্থিত।

২) বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রার পার্থক্য:

• মরুভূমিতে, দিনের বেলায় বায়ুমণ্ডলের নিচের স্তর (যেখানে বালি থাকে) বেশি গরম থাকে।
• উপরের স্তর তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকে।
• এই তাপমাত্রার পার্থক্য বাতাসের ঘনত্বে পার্থক্য তৈরি করে, যার ফলে আলো বাকঁক হয়ে যায়।
• বাকঁকা আলো আমাদের চোখে এমনভাবে পৌঁছায় যাতে মনে হয় যে দূরবর্তী বস্তু তাদের আসল অবস্থান থেকে ভিন্ন স্থানে অবস্থিত।

এই দুটি কারণের সমন্বয়ে মরুভূমিতে বিভিন্ন ধরণের মরীচিকা সৃষ্টি হয়।
মনে রাখবেন, মরীচিকা একটি ভ্রম।
আশা করি এই উত্তরটি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে সাহায্য করবে।