বিশ্বের প্রথম হাইড্রোজেন পার্ক কোথায় অবস্থিত?
Sign up to join our community!
Please sign in to your account!
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
পৃথিবীর প্রথম হাইড্রোজেন পার্ক জাপানে অবস্থিত।
মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজের (MHI) তাকাসাগো হাইড্রোজেন পার্কটির কার্যক্রম শুরু করেছে। পার্কটি এমএইচআইর পশ্চিম-মধ্য জাপানের হিয়গো প্রিফেকচারের তাকাসাগো মেশিনারি ওয়ার্কসে অবস্থিত।
সম্প্রতি এখানে ইলেক্ট্রোলাইসিস পদ্ধতিতে হাইড্রোজেন উৎপাদন শুরু হয়েছে। গ্যাস টারবাইনে হাইড্রেজেন কোফায়ারিং এবং ১০০% হাইড্রোজেন ফায়ারিং প্রযুক্তির ভ্যালিডেশনের মাধ্যমে মিতসুবিশি পাওয়ার তার পণ্যের নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে।
একইসাথে পরবর্তী প্রজন্মের হাইড্রোজেন উৎপাদনের প্রযুক্তির ক্রমান্নতিতেও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি ।
হাইড্রোজেন উৎপাদন, সংরক্ষণ, এবং ব্যবহারের জন্য তাকাসাগো হাইড্রোজেন পার্কটি তিনটি এলাকায় বিভক্ত ।
উৎপাদনের ক্ষেত্রে, নরওয়ের হাইড্রোজেন প্রো এএস দ্বারা তৈরি একটি অ্যালকালাইন ইলেক্ট্রোলাইজার ব্যবহৃত হচ্ছে, যার উৎপাদন ক্ষমতা ১,১০০ Nm3/h, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ ।
উৎপাদনকৃত হাইড্রোজেন ৩৯,০০০ Nm3/h ধারণক্ষম একটি স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হবে।
এ ছাড়াও হাইড্রোজেন ফায়ারিং প্রযুক্তির ভ্যালিডেশনের জন্য টি-পয়েন্ট ২ কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার-প্লান্টে একটি মিতসুবিশি পাওয়ার জেএসি (জে-সিরিজ এয়ার কুলড) বড় ফ্রেমের গ্যাস টারবাইন (৪৫০ মেগাওয়াট ক্লাস) এবং ছোট ও মাঝারি সাইজের এইচ-২৫ গ্যাস টারবাইন (৪০ মেগাওয়াট ক্লাস) স্থাপন করা হয়েছে ।
তাকাসাগো হাইড্রোজেন পার্কে তৈরি হাইড্রোজেন ৩০% হাইড্রোজেন কো-ফায়ারিং প্রযুক্তির ভ্যালিডেশনের জন্য টি-পয়েন্ট ২তে ব্যবহৃত হবে, যা একটি গ্রিড সংযুক্ত জেএসি গ্যাস টারবাইন কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র; এটি চলতি বছরেই সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তাছাড়া এইচ-২৫ গ্যাস টারবাইনে শতভাগ হাইড্রোজেন ফায়ারিং-এর ভ্যালিডেশন ২০২৪ সাল নাগাদ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
মিতসুবিশি পাওয়ার বর্তমানে হাইড্রোজেন উৎপাদন প্রযুক্তিগুলোর বিকাশে কাজ করছে – যার মাঝে আছে সলিড অক্সাইড ইলেক্ট্রোলাইসিস সেল (এসওইসি), অ্যানিয়ন এক্সচেঞ্জ মেমব্রেন (এইএম) পানির ইলেক্ট্রোলাইজার, এবং পরবর্তী প্রজন্মের টারকোইজ-হাইড্রোজেন উৎপাদন প্রযুক্তি যা মিথেনের হাইড্রোজেন ও সলিড কার্বনে পাইরোলাইসিসের মাধ্যমে CO2 নিষ্কাশন ছাড়াই হাইড্রোজেন তৈরি করতে সক্ষম।
মিতসুবিশি এইসব প্রযুক্তির যাচাইকরণ এবং ভ্যালিডাশন কার্যক্রম ক্রমাগতভাবে চালিয়ে যেতে চায়। কোম্পানিটি নাগাসাকি কার্বন নিউট্রাল পার্ক-এ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এইসব পণ্যগুলো তাকাসাগো হাইড্রোজেন পার্কে ভ্যালিডেশনের মাধ্যমে বাণিজ্যিকীকরণের পরিকল্পনা করেছে।
এমএইচআই গ্রুপ ২০৪০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে “মিশন নেট জিরো“ ঘোষণা করে এনার্জি ট্রাঞ্জিশনকেই তার ব্যবসা বৃদ্ধির উপায় হিসেবে অবলম্বন করছে।
যার উদ্যোগগুলি তিনটি মৌলিক কাঠামোতে বিভক্ত – বর্তমান পরিকাঠামোর ডিকার্বোনাইজেশন, একটি হাইড্রোজেন সল্যুশন ইকোসিস্টেম অর্জন এবং একটি CO2 সল্যুশন ইকোসিস্টেম বাস্তবায়ন।
মিতসুবিশি পাওয়ার তার তাকাসাগো হাইড্রোজেন পার্ককে ব্যবহার করেই হাইড্রোজেন উৎপাদন এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রযুক্তির ভ্যালিডেশনের মাধ্যমে এই হাইড্রোজেন সল্যুশন ইকোসিস্টেম বাস্তবায়ন করতে চায়।
মিতসুবিশি তার নির্ভরযোগ্য পণ্যগুলোর মাধ্যমেই বিশ্বব্যাপি বিদ্যুতের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করবে এবং কার্বন-নিরপেক্ষ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখবে।