উল্লেখযোগ্য বাংলা ব্যান্ড মিউজিকের ইতিহাস কি?
Sign up to join our community!
Please sign in to your account!
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
একটি রক ব্যান্ড বা পপ ব্যান্ড হল একটি ছোট মিউজিক্যাল এনসেম্বল যা রক মিউজিক, পপ মিউজিক বা এটি সম্পর্কিত ঘরানা পরিবেশন করে। একটি চার-পিস ব্যান্ড হল রক এবং পপ সঙ্গীতের সবচেয়ে সাধারণ কনফিগারেশন। প্রাথমিক বছরগুলিতে, কনফিগারেশনটি সাধারণত দুই গিটারিস্ট, একজন বেসিস্ট এবং একজন ড্রামার ছিল। বাংলাদেশে ব্যান্ড মিউজিকের সূত্রপাত ঘটে আজম খান এর হাত ধরে। ব্যান্ড বলতে বাংলাদেশে প্রচলিত রক ঘরনার সঙ্গীত ব্যান্ড বোঝায়। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তার গাওয়া পপ সংগীত সৈনিকদের উজ্জীবিত করতো। তার সেই পপ সংগীত থেকেই একটু একটু করে গড়ে উঠেছিল ব্যান্ড সংগীত। আজম খানের হাত ধরে শুরু হয়ে ৮০’র দশক পর্যন্ত রক ঘরনার ব্যান্ডের ব্যাপক বিস্তার লাভ করে।বাংলাদেশের প্রথম রক ব্যান্ডের নাম ‘আন্ডারগ্রাউন্ড পিচ লাভারস”। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় শতাধিক ব্যান্ড রয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো আর্টসেল,শিরোনামহীন, অর্থহীন,এল আর বি, নগর বাউল, ওয়ারফেজ, মাইলস, আ্যভোয়েড রাফা, চিরকুট, আ্যশেজ, নেমেসিস, শুণ্য, ব্ল্যাক, অনকোর, পপাই ইত্যাদি।
আর্টসেলঃ আর্টসেল বাংলাদেশের একটি প্রগ্রেসিভ মেটাল ব্যান্ড।আর্টসেল গঠিত ১৯৯৯ সালে। ২০১৯ সালে ব্যান্ডটির ২০ বছর পূর্তি হয়। আর্টসেলের মূল ভোকালিস্ট এবং গিটারিস্ট লিংকন ডি’কস্টা। আর্টসেলের জনপ্রিয় গানগুলো হলো – অনিকেত প্রান্তর, দুঃখবিলাস, লীন, ধূসর সময়, ঘুনে খাওয়া রোদ ইত্যাদি।
শিরোনামহীনঃ শিরোনামহীন ১৯৯৬ সালে গঠিত ঢাকা ভিত্তিক বাংলা রক ব্যান্ড। ব্যান্ডের সদস্যবৃন্দ জিয়াউর রহমান জিয়া, কাজী আহমাদ শাফিন, দিয়াত খান, শেখ ইশতিয়াক,সাইমন চৌধুরী। বিখ্যাত ভোকালিস্ট তানজিন তুহিনও এই ব্যান্ডের সদস্য ছিলেন।তার হাত ধরেই গড়ে উঠেছিলো শিরোনামহীন। ২০১৭ সালে ব্যক্তিগত অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে তিনি শিরোনামহীন ত্যাগ করে আভাসে যোগদান করেন। শিরোনামহীনের প্রকাশিত আ্যলবামগুলি হলো জাহাজী, ইচ্ছে ঘুড়ি, বন্ধ জানালা, শিরোনামহীন ইত্যাদি। মুক্তির পর থেকেই তাদের হাসিমুখ, আবার হাসিমুখ, পাখি,জাদুকর,এই অবেলায়, বোহেমিয়ান গানগুলো তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
লাভ রানস ব্লাইন্ডঃ লাভ রানস ব্লাইন্ড যা প্রায়শই এলআরবি নামে পরিচিত, যা ১৯৯০ সালের ৫ এপ্রিল চট্টগ্রামে আইয়ুব বাচ্চু দ্বারা গঠিত হয়েছিল। তারা বাংলাদেশের অন্যতম সফল রক ব্যান্ড। তারা বাংলাদেশের অন্যতম সফল রক ব্যান্ড। ৯০ এর দশক কাপানো এই রক ব্যান্ডের প্র্যাক্তন সদস্যরা হলে আইয়ুব বাচ্চু, এস.আই টুটুল,মিল্টন আকবর প্রমুখ। ২০১৮ সালে ব্যান্ডের কিংবদন্তী প্রধান গায়ক এবং গিটারিস্ট আইয়ুব বাচ্চুর ইন্তেকাল ব্যান্ডটির প্রায় অবসান ঘটে। চলো বদলে যাই এলআরবি-র সবচেয়ে জনপ্রিয় গান।এল আর বি’র অন্যান্য গানগুলো হলো মাধবী, হাসতে দেখো, এখন অনেক রাত ইত্যাদি।
নগর বাউলঃ বাংলাদেশের আরেক জীবন্ত কিংবদন্তি গায়ক ফারুক মাহফুজ আনাম (মঞ্চ নাম জেমস হিসাবেই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়) হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী গায়ক-গীতিকার, গিটারিস্ট, সুরকার ও অভিনেতা এবং একজন বলিউড নেপথ্য গায়ক যিনি রক ব্যান্ড “ফিলিংস” যা বর্তমানে নগর বাউল হিসাবে পরিচিত যা তিনি ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন।তিনি ব্যান্ডের প্রধান গায়ক, গীতিকার ও গিটারিস্ট। কষ্ট,মাটির ঠিকানা,লস্ট ড্রিম, লাইফ ইন এ মেট্রো ইত্যাদি ব্যান্ডটির পপুলার আ্যলবাম।
ওয়ারফেজঃ ওয়ারফেজ বা ওয়ারফেইজ বাংলাদেশের অন্যতম একটি জনপ্রিয় হেভি মেটাল ঘরানার সঙ্গীতদল। ১৯৮৪ সালের ৫ জুন ওয়ারফেইজ গঠিত হয়। ১৯৯১ সালে ওয়ারফেইজ নামক সঙ্গীত-সঙ্কলন (অ্যালবাম) প্রকাশের মাধ্যমে দলটির যাত্রা শুরু। এই সঙ্গীত-সঙ্কলনটি বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।বর্তমান সদস্যরা হলেন ইব্রাহীম আহমেদ কমল (লিড গিটার), শেখ মনিরুল আলম টিপু (ড্রামস), সামস মনসুর (কিবোর্ড), নাঈম হক রজার (বেস গিটার), সামির হাফিজ, সৌমেন দাস (লিড গিটার) এবং পলাশ নূর (ভোকাল)। এ পর্যন্ত দলটির আটটি আ্যলবাম প্রকাশ পেয়েছে।ওয়ারফেজের জনপ্রিয় গান পূর্ণতা, বসে আছি,সত্য, না, অবাক ভালোবাসা, তোমাকে,ধূপছায়া, জননী, নেই প্রয়োজন,প্রতিচ্ছবি, ধূসর মানচিত্র ইত্যাদি।