বাংলাদেশের রণ সংগীত কোনটি? সেটা কী?
Sign up to join our community!
Please sign in to your account!
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
বাংলাদেশের রণ সংগীত নতুনের গান ।
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কর্তৃক ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে রচিত এবং সুরারোপিত সন্ধ্যা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত একটি গান। দাদরা তালের এই সঙ্গীতটি ১৯৭২ সালের ১৩ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের তৎকালীন মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকে বাংলাদেশের রণ-সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
গানের কথাঃ
প্রায় প্রতিটি দেশের সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর একটি রণসংগীত থাকে। এই সংগীত যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকদের মধ্যে দেশাত্মবোধ, উদ্দীপনা, আত্মোৎসর্গ করার প্রেরণা ইত্যাদি জাগিয়ে তোলে এবং তাদের জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করতে উৎসাহিত করে। এই সংগীত সৈনিকদের মধ্যেই শুধু নয়, দেশের আপামর জনগণের মধ্যেও দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধ জাগিয়ে তোলে।
বিখ্যাত উর্দু কবি ইকবালের ‘সারা জাঁহাসে আচ্ছা, হিন্দুস্তাঁ হাঁমারা’ কবিতাটি ব্রিটিশ আমলে জাতিধর্ম-নির্বিশেষে ভারতবাসীকে স্বদেশপ্রেমের অনুপ্রেরণা জোগাত। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর কবিতাটি ভারতের সম্মিলিত বাহিনীর রণসংগীতের মর্যাদা পায়।
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে কাজী নজরুল ইসলামের আগে রণসংগীতের ব্যবহার দেখা যায়না। এ বিষয়ে নজরুল-গবেষক বাঁধন সেনগুপ্ত বলেছেন—
পল্টনে থাকা অবস্থাতেই নজরুল সামরিক জীবনের বিভিন্ন বিষয়কে কাব্যছন্দে রূপান্তরিত করতেন বলে সুবেদার মনবাহাদুর উল্লেখ করেছেন—
নতুনের গান বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কর্তৃক ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে রচিত এবং সুরারোপিত হয়য়। এটি “সন্ধ্যা” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত একটি গান। দাদরা তালে আরোপিতএই গানটি ১৯৭২ সালের ১৩ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের তৎকালীন মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকে বাংলাদেশের রণ-সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচন করা হয়। বাংলাদেশের যে কোনো সামরিক অনুষ্ঠানে এই গানটির ২১ লাইন যন্ত্রসঙ্গীতে বাজানো হয়।
গানটি ২০০৬ সালে বিবিসি বাংলার সমীক্ষা অনুযায়ী সর্বকালের শ্রেষ্ঠ কুড়িটি বাংলা গানের মধ্যে ১৮তম স্থান অধিকার করে।১৯২৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নজরুল মুসলিম সাহিত্য সমাজের ২য় বার্ষিকী সম্মেলনের উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসেন। ঢাকায় সৈয়দ আবুল হোসেনের বাসভবনে অবস্থানকালে তিনি এই গানটি রচনা করেন। গানটি “নতুনের গান” শিরোনামে প্রথম প্রকাশিত হয় “শিখা” পত্রিকায়। পরে এটি সন্ধ্যা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়।