পোশাক পরার সময় দোয়া পড়লে কী হয়?
Sign up to join our community!
Please sign in to your account!
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
দুনিয়াতে পোশাক-পরিচ্ছেদ মহান আল্লাহর নেয়ামতের অন্যতম নিদর্শন। পোশাক পরায় যেমন মানুষের লজ্জা-শরম নিবারন হয় পাশাপাশি মর্যাদাবোধ ও আভিজাত্য ফুটে ওঠে। সভ্যতা, সংস্কৃতি, সৌন্দর্য্য ও রুচিবোধ প্রকাশ পায়। মহান আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য এ নেয়ামতের কথা তুলে ধরে বলেন-
‘হে বনি আদম! আমি তোমাদের জন্যে পোশাক অবর্তীণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং অবর্তীণ করেছি সাজ-সজ্জার বস্ত্র এবং পরহেজগারীর পোশাক, এটি সর্বোত্তম। এটি আল্লাহর কুদরতের অন্যতম নিদর্শন, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ২৬)
এ পোশাক পরায় বান্দার সংযমশীলতা ও তাকওয়া প্রকাশ পায়। এ কারণে পোশাক পরার সময় প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনার নসিহত করেছেন। যারা আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করবে বা দোয়া পড়বে তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও পরকালে অনন্য নেয়ামত লাভের হাতছানি। হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নতুন কাপড় পরার সময় এ দোয়া পড়বে, আল্লাহ তাআলা তাকে দুনিয়া ও পরকালে নিজের নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণে রাখবেন।’ (তিরমিজি)
আল্লাহ তাআলা অনুগ্রহ করে মানুষকে এ কাপড় দান করেছেন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে এ দোয়া পড়ার তাগিদ দিয়েছেন।
হাদিসে নতুন পোশাক পরার সময় ওই পোশাকে নাম ধরে এভাবে আনন্দ প্রকাশ করতে বলেছেন-
– হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়অল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কোনো নতুন কাপড়, পাগড়ি, জামা অথবা চাদর পরতেন, তখন ওই কাপড়ের নাম ধরে বলতেন-
اَللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ اَنْتَ كَسَوْتَنِيْهِ أَسْئَلُكَ خَيْرَهُ وَ خَيْرَ مَا صُنِعَ لَهُ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّهِ وَ شَرِّ مَا صُنِعَ لَهُ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আনংতা কাসাওতানিহি আসআলুকা খায়রাহু ওয়া খায়রা মা সুনিআলাহু ওয়া আউজুবিকা মিন শাররিহি ওয়া শাররি মা সুনিআলাহু।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তোমার প্রশংসা, তুমি আমাকে এ কাপড় পরিয়েছ, আমি তোমার কাছে এর কল্যাণের প্রত্যাশী । যে কল্যাণের উদ্দেশ্যে এ কাপড় তৈরি করা হয়েছে। আর আমাকে তোমার আশ্রয়ে দিচ্ছি। এ কাপড় যে মন্দ উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে সে মন্দ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (আবু দাউদ)
– হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি নতুন কাপড় পরবে, তার পক্ষে যদি সম্ভব হয় তবে পুরাতন কাপড়টি যেন গরিবদের দান করে দেয়। আর নতুন কাপড় পরার সময় এ দোয়া পড়বে-
اَلْحَمْدُ للهِ الَّذِى كَسَانِىْ مَا اُوَارىُ بِهِ عَوْرَاتِىْ وَ اَتَجَمَّلُ بِهِ فِىْ حَيَاتِىْ
উচ্চারণ : ‘আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি কাসানি মা উয়ারিউবিহি আওরাতি ওয়া আতাঝাম্মালুবিহি ফি হায়াতি।’
অর্থ : সব ওই আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে কাপড় পরিয়েছেন। যার দ্বারা আমি লজ্জা নিবারণ করি এবং আমার জীবনে শোভা ও সৌন্দর্য্য লাভ করি।’
যে ব্যক্তি নতুন কাপড় পরার সময় এ দোয়া পড়বে, আল্লাহ তাআলা তাকে দুনিয়া ও পরকালে নিজের নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণে রাখবেন।’ (তিরমিজি)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত নতুন কাপড়/পোশাকসহ সব সময় কাপড়/পোশাক পরার সময় প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা। আর তাতে প্রথমত আদায় করা হবে আল্লাহর শুকরিয়া আর দ্বিতীয়ত পাওয়া যাবে অনন্য নেয়ামত দুনিয়া ও পরকালের নিরাপত্তা।