দেশের প্রথম “যুদ্ধ শিশু” হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পান কে?
Sign up to join our community!
Please sign in to your account!
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
Notifications
উত্তর: মেরিনা খাতুন।
বাংলাদেশে এই প্রথম যুদ্ধশিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশের যুদ্ধশিশু মেরিনা খাতুন।
এর আগে তাড়াশের বীরঙ্গানা পচি বেওয়া (মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত) তার কন্যা মেরিনা খাতুনকে যুদ্ধশিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য ২০২২ সালের সেপ্টম্বর মাসের ৮ তারিখে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) ৮২ তম সভায় মাননীয় মন্ত্রী বিষয়টি উথাপন করেন। সেখানে ৯.১৩ নং আলোচ্য সূচীতে আলোচনা আনন্তে সভায় যুদ্ধশিশু হিসেবে মেরিনা খাতুন কে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্থানীয় রাজাকাররা তাড়াশের উত্তর পাড়ার মৃত ফাজিল আকন্দের বিধবা স্ত্রী পচি বেওয়াকে (বর্তমানে মৃত) তার বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় পাক বাহিনীর সামরিক ক্যাম্পে। তারপর সেখানে ওই নরপিশাচরা ওই বীরাঙ্গনার ওপর পাশবিক, শারিরীক ও মানসিক ভাবে নিমর্মভাবে নির্যাতন চালায়। আর পাক-হানাদার বাহিনীর পাশবিক নির্যাতনের ফলে জন্ম হয় যুদ্ধ শিশু মেরিনা খাতুনের। এর আগে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরে ২০১৮ সালে পচি বেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়ে গেজেট ভুক্ত হন।
দেশের প্রথম যুদ্ধশিশু হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া মেরিনা খাতুন বলেন, আমাকে স্বীকৃতি প্রদানের সিদ্ধান্ত সম্বলিত একটি পত্র আমি হাতে পেয়েছি। এতে আমি দারুন আনন্দিত। যুদ্ধশিশু হিসেবে স্বীকৃতির পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের মতো যুদ্ধশিশুদের আর্থিকভাবে সম্মানী প্রদানের জন্যও দাবী জানান এই নারী।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গাজী মো. আরশেদুল ইসলাম বলেন, আমরা তাকে যুদ্ধশিশু হিসেবে স্বীকৃতি পাইয়ে দেওয়ার জন্য ২০১২ সাল থেকে চেষ্টা করছি। অবশেষে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) তাকে যুদ্ধশিশু হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিধ্যান্ত নিয়েছে এবং মেরিনাকে স্বীকৃতি স্বরুপ এই সংক্রান্ত একটা চিঠি দিয়েছে।