দাঁত ভালো রাখতে কোন কোন অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে?
Sign up to join our community!
Please sign in to your account!
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
আমাদের সকলেই প্রিয় ঝকঝকে মজবুত দাঁত। এক গাল মিষ্টি হাসির পেছনে লুকিয়ে থাকে এই দাঁতের সারি। দাঁত শরীরের এক বিশেষ প্রয়োজনীয় অংশ। তবে আমাদের কিছু বদভ্যাসের কারণে দাঁত ও মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে দাঁত ক্ষয়, ক্যাভিটি, দাঁতের গোড়া দুর্বল হয়ে যাওয়া, অকালে দাঁত পড়ে যাওয়া, দাঁতের সেটিং নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার মতো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই শরীরের পাশাপাশি দাঁতেরও যত্ন নিতে হবে।
দাঁত ভালো রাখতে যেসব অভ্যাস ত্যাগ করবেন:
দাঁত এবং মাড়িতে জোরে ব্রাশ করা: অতিরিক্ত জোরে ব্রাশ করলে দাঁত এবং মাড়ি উভয়ের ক্ষতি হয়। আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন (ADA) এর মতানুসারে, শক্ত টুথব্রাশের ব্যবহার বা জোরে জোরে ব্রাশ করলে তা দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি করে।
দাঁত দিয়ে নখ কাটা: মানসিক চাপ, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বা স্বভাবগত কারণে অনেকেই দাঁত দিয়ে নখ কেটে থাকি। দাঁত দিয়ে নখ কাটা দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ADA- এর মতে, দাঁত দিয়ে নখ কাটলে চোয়ালের কর্মহীনতা হতে পারে। এছাড়া দাঁতেরও ক্ষতি হয়।
বরফ চিবিয়ে খাওয়া: আমরা অনেকেই বরফ চিবোতে পছন্দ করি। ঠান্ডা শরবত খাওয়ার পর গ্লাসে থাকা অবশিষ্ট বরফ চিবিয়ে খাই। তবে যা দাঁতের মারাত্নক ক্ষতি করতে পারে। এতে দাঁতের এনামেল বা প্রতিরক্ষামূলক স্তরের ক্ষতি হতে পারে।
দাঁত ক্লেঞ্চিং করা: অনেকে দাঁতে দাঁত দিয়ে পিষার অভ্যাস থাকে। বিশেষ করে অবচেতন মনে এইরকম প্রায় হয়ে থাকে। এতে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া মাড়িতে ব্যথা বা চোয়ালের গতিবিধি সীমাবদ্ধ হতে পারে।
তামাক ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন: তামাক কিংবা সিগারেটের সেবন, দাঁত এবং মাড়ির স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতি করে। তামাক ব্যবহারের ফলে মাড়ির রোগ, মুখে দুর্গন্ধ, শুষ্ক মুখ, দাঁতের ক্ষয় এবং ওরাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
আঙ্গুল চোষা: আঙুল চোষা শিশুদের জন্য ভালো তবে পাঁচ বছর বয়সের পরে এই অভ্যাসের কারণে দাঁতের সমস্যা হতে পারে। এতে দাঁতের সেটিং নষ্ট হতে পারে।
টুথপিক ব্যবহার করা: খাওয়ার পর অনেকে টুথপিক ব্যবহার করে থাকেন। বিশেষ করে দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে গেলে, অনেকে টুথপিক দিয়ে পরিষ্কার করে। তবে এই টুথপিকের ব্যবহার কারণে দাঁতের সমস্যা হতে পারে। একই সাথে মাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দাঁত ভালো রাখতে এ নিয়মগুলো মেনে চলুন:
১) দিনে ২বার করে দাঁত মাজা উচিত। সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে।
২) খাওয়ার পর ভালো করে মুখ পরিষ্কার করবেন।
৩) প্রতি ৩ মাস পর পর টুথব্রাশ পরিবর্তন করুন।
৪) দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে মিষ্টি, অম্ল জাতীয় খাবার কম খান খাবেন।
৫) মুখের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে চা খাবেন।
৭) খাবার পর মিষ্টিহীন টুইংগাম চেবাবেন এতে মুখের ময়েশ্চারাইজড ভাব ঠিক থাকবে।