Hello,

Sign up to join our community!

Welcome Back,

Please sign in to your account!

Forgot Password,

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Please briefly explain why you feel this question should be reported.

Please briefly explain why you feel this answer should be reported.

Please briefly explain why you feel this user should be reported.

QNA BD Latest Questions

Mithu Khan
Enlightened

খ্রিস্টপূর্ব ও খ্রিস্টাব্দ-এর মধ্যে পার্থক্য কী? ইংরেজি সাল কখন থেকে গণনা করা হয়?

খ্রিস্টপূর্ব ও খ্রিস্টাব্দ-এর মধ্যে পার্থক্য কী? ইংরেজি সাল কখন থেকে গণনা করা হয়?

1 Answer

  1. BC এর পূর্ণরূপ হচ্ছে – Before Chirst ( খ্রিষ্টপর্ব)।

    AD এর পূর্ণরূপ হচ্ছে – Anno Domini ( খ্রিষ্টাব্দে)।

    যীশু খ্রিস্টাব্দের পর থেকে যে বছর গণনা করা হয়, তা হল খ্রিস্টাব্দ (Anno domino বা AD) এবং খ্রিস্ট জন্মের পূর্বে যে বছর গণনা করা হয়, তা হল খ্রিস্টপূর্বাব্দ (Before Christ বা BC)।

    খ্রিস্টাব্দ’ শব্দটির শুরুর কথা আমরা অনেকেই জানতে চাই। তাই এর উৎপত্তির একটু ধারণা দেওয়ার জন্যই আজকের লেখা। খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্টের জন্মের বছর থেকে যে বছর গণনা করা হয়, তাকেই খ্রিস্টাব্দ বলে। যিশুখ্রিস্টের জন্ম, জীবন, সেবাকাজ, মৃত্যু, পুনরুত্থান অবিস্মরণীয় করে রাখার জন্য সাধু গ্রেগরি নতুন এ বছরের গণনা শুরু করেছেন।

    বর্তমান পৃথিবীতে এ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও প্রচলিত।বছর গণনায় ইংরেজিতে BC ও AD দুটি শব্দ প্রচলিত। BC শব্দের অর্থ হলো Before Christ, বঙ্গানুবাদ হলো খ্রিস্টপূর্ব বা খ্রিস্টপূর্বাব্দ। AD এসেছে লাতিন শব্দ Anno Domini Nostri Jesu Christi—যার ইংরেজি অনুবাদ হলো The year of our Lord, বঙ্গানুবাদ হলো খ্রিস্টাব্দ। সহজ কথায় বলা যায়, যিশুখ্রিস্টের জন্মবছর থেকে যে বছরের গণনা শুরু করা হয়েছে, তা-ই হলো খ্রিস্টাব্দ (AD)। আর যিশুখ্রিস্টের জন্মের আগ থেকে যে বছর গণনা করা হয়, তা হলো খ্রিস্টপূর্বাব্দ (BC)। এ গণনারীতি অনুযায়ীই কোনো শূন্য বছর নেই, অর্থাৎ যিশুখ্রিস্টের জন্মবছরই হলো খ্রিস্টপূর্ব (BC) বছরের শেষ বছর আর খ্রিস্টাব্দের (AD) প্রথম বছর।

    বাংলাদেশে বিভিন্ন সরকারি নথিপত্রে, গণমাধ্যমে, পত্রপত্রিকায়, অফিস-আদালতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খ্রিস্টাব্দকে ইংরেজি বছর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অনেকে লেখে এভাবে, ‘২০১৮ ইং’। ১ জানুয়ারিকে অনেকে বলে, ‘ইংরেজি’ বছরের প্রথম দিন। আমি গণমাধ্যমে বলতে শুনেছি, ‘ইংরেজি বছরের শুভেচ্ছা জানাই।’ প্রকৃতপক্ষে এ পৃথিবীতে ইংরেজি বছর বলতে কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই। একেবারেই ভুল করে তা ব্যবহার করার একটা প্রবণতা আমরা লক্ষ করছি। অনেকে আবার অজ্ঞানতাবশত তা করছে।

    সঠিকটা জানা, ব্যবহার করা ও প্রয়োগ করাই তো প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তির পরিচয়। ইতিহাস বিকৃত করে বা ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল ব্যবহার বা শব্দের ভুল প্রয়োগ কোনোভাবেই বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক নয়। বরং আমাদের দায়িত্বশীল কাজ হলো, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষা দেওয়া। তাদের বিভ্রান্ত না করা।

    কেমন করে এলো খ্রিস্টাব্দের হিসাব

    যিশুখ্রিস্ট যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে আজ তার বয়স হত ২০২০ বছর।

    অন্তত, অর্থানুসারে তাই হওয়া উচিৎ। খ্রিস্ট জন্ম থেকেই তো খ্রিস্টাব্দ। কিন্তু তাহলে তো যিশুর জন্ম পয়লা জানয়ারি হওয়া উচিৎ। সে তো নয়, আমরা তো পঁচিশে ডিসেম্বর…

    মাঝখানের ছ’ছটা দিন কোথায় গায়েব হয়ে গেল?

    ছোটবেলায় প্রশ্নটা আমাকে ভাবাত খুব। আর তখন তো হাতের কাছে সবজান্তা গুগল ছিল না। যাই হোক, পরবর্তীতে এই নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করে যা পেলাম, তাতে তো আরও চমকে চুয়াল্লিশ! জন্ম তারিখের কথা বাদ দিন, গবেষকরা বলছেন, যিশুর জন্ম চার খ্রিস্টপূর্বাব্দে। বুঝুন ঠ্যালা! যিশুর জন্ম নাকি যিশুর জন্মের চার বছর আগেই!

    তাহলে আসুন, এই বিষয়ে যা পড়াশুনা করেছি তারই নির্যাসের এই লেখা, শোনাই খ্রিস্টাব্দের ইতিকথা।

    প্রথমে আসি, বারোটি মাসের নামকরণ বিষয়ে।

    সেপ্টেম্বর কথাটি এসেছে সংস্কৃত ‘সপ্তম’ বা ল্যাটিন ‘সেপ্টেম’ থেকে। গ্রিক, ল্যাটিন তথা প্রায় সমস্ত ইউরোপিয় ভাষার অনেক শব্দই উচ্চারণে ও অর্থে সংস্কৃতের সঙ্গে মেলে। তেমনি, অক্টোবর এসেছে, অষ্টম বা অক্টা থেকে, নবম বা নভেম থেকে নভেম্বর, দশম বা ডিসেম থেকে ডিসেম্বর।

    জুলিয়াস সিজার তার জন্মমাস কুইন্টিলিস এর নাম পরবর্তন করে জুলাই করেন। শুধু তাই নয়, ফেব্রয়ারি মাস থেকে এক দিন কেটে জুলাই মাসে এক দিন যোগ করে দেন।

    জানি ভাবছেন, সেপ্টেম্বর তো সপ্তম মাস নয়, নবম মাস, তেমনি অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বরও যথাক্রমে দশম, একাদশ আর দ্বাদশ। আরে দাদা, দিদিরা, রসুন (গার্লিক না কিন্তু)।

    বিদ্যা বুদ্ধিতে, শক্তিতে, সে সময় রোম সাম্রাজ্যের খুব নামডাক ছিল।এই রোমানরা একপ্রকার ক্যালেন্ডার ব্যবহার করত। সম্ভবত রোমান সম্রাট রোমুলাস ৭৩৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই ক্যালেন্ডার চালু করেন। এতে থাকত দশটি মাস, যার শুরু মার্চ মাসে আর শেষ ডিসেম্বরে। সেই হিসাবে দাদা দিদিরা, সাতে সেপ্টেম্বর, আটে অক্টোবর, নয়ে নভেম্বর আর দশে ডিসেম্বর।ছয়ে ছিল সেক্সটিলিস, আর পাঁচে কুইন্টিলিস, যে দুটো মাসকে এখন আমরা অগাস্ট আর জুলাই নামে চিনি।

    জুন মাসের নামকরণ হয়েছে রোমান দেবতা জুপিটারের স্ত্রী জুনোর নামে, মে হয়েছে ‘মেইয়া’, এপ্রিল ‘আফ্রেদিৎ’ আর মার্চ যুদ্ধের দেবতা মার্সের নামে।

    দশ মাসের বছরে ছিল মোট তিনশ চার দিন। স্বভাবতই এই ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে চাষবাস, পালাপার্বণ কিছুই ঠিকমতো করা যেত না। তার ওপর, রাজা মহারাজারা ইচ্ছাখুশি ক্যালেন্ডারে দিন-টিন বাড়িয়ে কমিয়ে দিতেন।

    পরবর্তী কালে সম্রাট নুমা পূর্বের দশ মাসের সঙ্গে আরও দুটি মাস জানয়ারি আর ফেব্রুয়ারি যোগ করেন। বাইশ দিনের একটি তেরোতম মাসও সে সময় ক্যালেন্ডারে এসেছিল, যেটি এক বছর অন্তর অন্তর ক্যালেন্ডারে জায়গা পেত। মাসটির নাম ছিল মার্সিডানাস।

    মিশরিয়রা সে সময় জ্যোতির্বিদ্যায় অনেকখানি পারঙ্গম হয়ে উঠেছিল। আটচল্লিশ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার মিশর থেকে একটি ক্যালেন্ডার আমদানি করেন ও পরিমার্জন করে রাজ্যে তিনশ সাড়ে পঁয়ষট্টি দিনে সৌরবৎসর এরকম ক্যালেন্ডার চালু করে জানুয়ারি আর ফেব্রুআরি এই দুটি মাসকে বছরের শুরুতে নিয়ে আসেন।

    শুরুতে ফেব্রুয়ারি মাস ত্রিশ দিনেরই ছিল। কুইন্টিলিসও ছিল ত্রিশ দিনের মাস। জুলিয়াস সিজার তার জন্মমাস কুইন্টিলিস এর নাম পরবর্তন করে জুলাই করেন। কিন্তু রাজার নামে মাস; অন্য মাসের চেয়ে ছোট হয় কী করে? তাই ফেব্রয়ারি থেকে এক দিন কেটে জুলাই মাসটি একত্রিশ দিনের করেন।

    জুলিয়াস সিজারের পরবর্তী রোমান সম্রাট সিজার অগাস্টাস সেক্সটিলিস মাসটির নাম পরিবর্তন করে অগাস্ট করেন এবং এবারও একই ভাবে বেচারা ফেব্রুয়ারির আরেকটি দিন কাটা যায়।

    জুলিয়াস সিজারের নামে এই ক্যালেন্ডার ‘জুলিয়ান ক্যালেন্ডার’ নামে পরিচিত হয়। কিন্তু তখন খ্রিস্টই নেই; তাই খ্রিস্টাব্দও নেই।

    সময়ের হিসাবে ৫২৫ খ্রিস্টাব্দে, তখন বাইজানটিয়াম শাসকদের অব্দ প্রচলিত ছিল, যারা কিনা বহু খ্রিশ্চান নিধনের সঙ্গে যুক্ত, সে সময় পোপ ডাইনোসিস এক্সিগুয়াস হিসাব নিকাশ করে একেবারে ৫২৫ AD চালু করেন।

    ২১ শে মার্চ মহাবিষুব, তার চার দিন পর অর্থাৎ ২৫ শে মার্চ খ্রিস্টানদের একটি অতি পবিত্র দিন। ওই দিন গ্যাব্রিয়েল মেরিকে দর্শন দিয়ে যিশুর আগমনের সুসমাচার দিয়েছিল। আর ২১ শে মার্চ থেকে নয় মাস পরে অর্থাৎ ২৫শে ডিসেম্বর দিনটিকে যিশুর জন্মদিন ধরা হয়।

    ত্রয়োদশ শতাব্দীতে পোপ গ্রেগরি লক্ষ করলেন, জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে মহাবিষুবের তারিখ হচ্ছে ১০ই মার্চ অর্থাৎ জুলিয়ান ক্যালেন্ডার ১১ দিন পিছিয়ে পড়েছে। তিনিই জ্যোতির্বিদের সঙ্গে পরামর্শ করে ক্যালেন্ডারে ১১ দিন যোগ করেন, লিপ ইয়ারের নিয়ম চালু করেন।

    ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দে ইংলন্ড আইন করে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার বাতিল করে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে। পরে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশই এই ক্যালেন্ডার মেনে চলতে শুরু করে।

    ইস্টার্ন অর্থোডক্সিয়ানরা গ্রেগরের এই সংস্কার মানেনি। তাই ওরা ২৫শে ডিসেম্বরের সঙ্গে ১১ দিন যোগ করে ৬ই জানুয়ারি বড়দিন পালন করেন। বর্তমানে আর্মেনিয়াতে ও আরও কয়েকটি দেশে ৬ই জানুয়ারি বড়দিন।

    রাশিয়া অনেক পরে (১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে রুশ বিপ্লবের পরে) গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে। ১৯০৮ সালে লন্ডন অলিম্পিকে রাশিয়ান দল ১১ দিন পরে পৌঁছায়।

Leave an answer

Leave an answer

Related Questions