Hello,

Sign up to join our community!

Welcome Back,

Please sign in to your account!

Forgot Password,

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Please briefly explain why you feel this question should be reported.

Please briefly explain why you feel this answer should be reported.

Please briefly explain why you feel this user should be reported.

QNA BD Latest Questions

কোন দেশে বিমানবন্দর নেই?

কোন দেশে বিমান নেই?

1 Answer

  1. বিমানবন্দর নেই এমন স্বাধীন দেশ বিশ্বে  পাঁচটি  আছে ।

    অবাক করার মতো হলেও সত্যি যে এই আধুনিক যুগে বেশ কয়েকটি স্বাধীন দেশে বিমানবন্দর নেই। এরকম পাঁচটি দেশের নাম হল- ভ্যাটিকান সিটি, মোনাকো, সান মেরিনো, লিচেনস্টাইন এবং অ্যান্ডোরা।

    দেশগুলো আকারে ছোট হওয়ার কারণে কোন বিমানবন্দর নেই। তাছাড়া কোন কোন দেশের ভূ-প্রকৃতি পাহাড়ি হওয়ার কারণে সেখানে বিমান উত্তরণ ও অবতরণের কোন সুযোগ নেই এবং এসব এলাকায় বিমানবন্দর স্থাপন করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। নিজস্ব বিমানবন্দর না থাকলেও দেশগুলোর কোন অসুবিধা হয় না কারণ এই দেশগুলো তাদের প্রতিবেশী বড় দেশগুলোর বিমানবন্দর ব্যবহার করে থাকে।

    ভ্যাটিকান সিটি:

    ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশ। মাত্র দশমিক ৪৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটিতে জনসংখ্যা মাত্র ৮০০। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এখানে উড়োজাহাজ অবতরণ বা উত্তরণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তাছাড়া এখানে নেই কোনো নদী বা সাগর। এমনকি অন্য ধরনের কোনো যাতায়াত ব্যবস্থাও নেই। দেশটি পায়ে হেঁটেই ভ্রমণ করা সম্ভব। ভ্যাটিকান সিটিতে যাওয়ার জন্য সাধারণত পাশের রোমে অবস্থিত সিয়ামপিনো আর ফিওমিচিনো বিমানবন্দর ব্যবহার করে থাকে সবাই। ভ্যাটিকান সিটির ঠিক বাইরে থেকে থেকে ট্রেনে করে মাত্র আধা ঘণ্টায় পৌঁছানো যায় বিমানবন্দরে।

    মোনাকো:

    পৃথিবীর দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ মোনাকো। দেশটি ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত।  তিন দিক থেকেই দেশটিকে ঘিরে রেখেছে ফ্রান্স। ২দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা ৩৮ হাজার ৪০০। মোনাকো পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় গন্তব্য। দেশটিতে যেতে চাইলে আগে বিমানে করে যেতে হবে ফ্রান্সের নিসের অবস্থিত কোতে দে জিও বিমানবন্দরে। সেখান থেকে একটি ক্যাব ভাড়া করে কিংবা নৌকায় করে পৌঁছে যেতে পারবেন মোনাকো শহরে।

    সান মেরিনো:

    মাত্র ৬১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির সবদিকেই ইতালি। জলপথেও যাওয়ার কোনো উপায় নেই দেশটিতে। ছোট্ট এ দেশটিতে নেই কোনো বিমানবন্দর। পাহাড়ে-সমতলে মিশানো দেশটির রাস্তা-ঘাটে পরিপূর্ণ। এসব রাস্তা ব্যবহার করে দেশ ও দেশের বাইরে যাতায়াত চলে। দেশটি থেকে ইতালির রিমিনি বিমানবন্দর বেশ কাছে। ফ্লোরেন্স, বলোগনা, ভেনিস আর পিসা বিমানবন্দরও দূরে নয় সান মেরিনোর সীমান্ত থেকে। দেশটিতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা এবং সেখানকার বাসিন্দারা প্রায়ই বিমানবন্দরগুলো ব্যবহার করে থাকে।

    লিচেনস্টাইন:

    লিচেনস্টাইন দেশটির আয়তন ১৫৮ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। দেশটির বেশিরভাগই পাহাড়ি এলাকা। পার্বত্য এলাকা হওয়ায় লিচেনস্টাইন কোনো বিমানবন্দর তৈরি করতে পারেনি। তবে কাছেই আছে ছোট্ট দুই বিমানবন্দর। একটি সুইজারল্যান্ডের স্যান্ট গ্যালেন-অ্যাল্টেনরাইন এয়ারপোর্ট এবং অপরটি জার্মানির ফ্রেডরিচশ্যাফেন এয়ারপোর্ট। আর সহজে যাওয়া যায় এমন বড় বিমানবন্দর জুরিখ এয়ারপোর্টের দূরত্ব মাত্র ১২০ কিলোমিটার।

    অ্যান্ডোরা:

    অ্যান্ডোরার আয়তন বাকি চারটি দেশের তুলনায় বেশ বড়। দেশটির আয়তন ৪৬৮ বর্গকিলোমিটার এবং দেশটি পর্বতময়। ফ্রান্স আর স্পেনের মাঝখানে অবস্থিত অ্যান্ডোরাকে ঘিরে আছে পিরেনিজ পর্বতমালা। দেশটিতে প্রায় ৩ হাজার মিটার উচ্চতার চূড়াও আছে। সবকিছু মিলিয়ে তাই এই এলাকায় উড়োজাহাজ উড্ডয়ন-অবতরণ মোটেই সহজ নয়। তবে স্পেন এবং ফ্রান্সের বার্সেলোনা, লেরিদা কিংবা জিরোনার মতো শহরগুলো অ্যান্ডোরার মোটামুটি ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে।

     

Leave an answer

Leave an answer

Related Questions