ভারতের কোন গ্রামে মেয়ে জন্মালে ১১১ টি গাছ লাগাতে হয়?
Sign up to join our community!
Please sign in to your account!
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
রাজস্থানের পিপালান্ত্রি (Piplantri) গ্রামে একটি কন্যা শিশু জন্মালে তার জন্য লাগাতে হয় ১১১টি গাছ। এই অদ্ভুত নিয়ম অনুসরণ করে গ্রামের বাসিন্দারা কন্যাসন্তানের জন্ম উদযাপন করে।
সন্তানের জন্মকে ঘিরে প্রতিটি সংস্কৃতিরই একটি নিজস্ব ঐতিহ্য রয়েছে। এই সংস্কৃতি নানা দেশে নানা রকম। তবে ভারতের রাজস্থানের পিপলান্ত্রি গ্রামে সন্তানের জন্ম উপলক্ষ পালন করা হয় অভিনব উপায়ে। নবজাতকের জন্য কোনো উপহার নয়, তারা নবজাতকে স্বাগত জানায় ১১১টি গাছ লাগিয়ে। এবং এই বৃক্ষরোপন উদযাপন করা হয় শুধু মেয়ে শিশুর জন্ম উপলক্ষে।
প্রতিবার পিপলান্ত্রি গ্রামে একজন মেয়ে জন্মগ্রহণ করে, তার সম্মানে ১১১টি চারা গাছ লাগানো হয়!
এক সময় ভারতের অন্য অঞ্চলের মতো এই গ্রামেও, কন্যা শিশুর জন্মকে আর্শীবাদ নয় বরং অভিশাপ হিসেবেই দেখা হত। মেয়ে মানে পরিবারের বোঝা। যৌতুক ছাড়া মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যাবে না। আর যৌতুকের টাকা যোগাড় করা সহজ নয়- সব পরিবারের জন্য। বহুকাল থেকেই মেয়েদের এখানে পুরুষের চেয়ে দুর্বল বিবেচনা করা হয়। তাই ১৮ বছরের আগেই মেয়েকে বিয়ে দিয়ে হাঁপ ছেড়ে বাঁচে অধিকাংশ পরিবার। মেয়েরা কখনই পুরো শিক্ষার আলো পায় না। নারীর প্রতি অবহেলা সহিংসতা এই সমস্যা গোটা ভারতে এখনও প্রকট
কিন্তু এই মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসার উদ্যোগ হিসেবেই পিপলান্ত্রির মানুষেরা বৃক্ষরোপনের এ কর্মসূচি পালন করা শুরু করেছে। বিস্ময়কর এই উদ্যোগটি নিয়মিত এক রীতিতে পরিণত করেন সাবেক গ্রাম প্রধান শ্যামসুন্দর পিলাউলি। তার কন্যাসন্তান তরুণ বয়সেই মারা যান। মৃত সন্তানের স্মৃতি রক্ষার পরিকল্পনা থেকেই তিনি এই প্রথা চালু করেন গ্রাম জুড়ে।