এক ফোঁটা বীর্য তৈরিতে রক্তের কোন প্রয়োজন নেই।

বীর্য এবং রক্ত দুটি ভিন্ন শারীরিক তরল যাদের ভিন্ন ভিন্ন উৎস এবং কাজ রয়েছে।
* বীর্য পুরুষ প্রজনন তন্ত্রের একটি তরল যা শুক্রাণু ধারণ করে। শুক্রাণু হলো পুরুষের যৌন কোষ যা ডিম্বের সাথে মিলিত হয়ে সন্তান তৈরি করে।
* রক্ত শরীরে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ করে এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে।

একজন পুরুষের বীর্য তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি মূলত প্রোস্টেট গ্রন্থি এবং অন্যান্য সেমিনাল ভেসিকল থেকে উৎপন্ন হয়। রক্ত থেকে কিছু উপাদান বীর্যে মিশে যেতে পারে, তবে এটি বীর্য তৈরির প্রাথমিক উপাদান নয়।একজন পুরুষের বীর্য উৎপাদনের সাথে জড়িত অঙ্গসমূহ তথা বীর্যের উৎস হল: টেস্টিকল বা টেস্টিস, ইউরেথ্রা, ভাস ডিফেরেন্স, প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড, সেমিনাল ভেসিকল এবং লিঙ্গ। টেস্টিকল (অণ্ডকোষ) সেমিনোফেরাস টিউবলস নামক একধরণের পেচানো অঙ্গানু থাকে, এটিই বীর্য উৎপাদনের মূল এলাকা। এখানে মাসে ১০ কোটি শুক্রাণু তৈরি হয়। এই শুক্রাণু তৈরি হয় ফ্রুক্টোজ (একজাতীয় চিনি), দস্তা, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-১২, সামান্য শর্করা এবং অন্যান্য জটিল রাসায়নিক পদার্থ থেকে। দেখতেই পাচ্ছেন এসব উপাদানের কোথাও রক্তের উপাদান যেমন: হিমোগ্লোবিন, লোহিত কণিকা, শ্বেতকণিকা, অণুচক্রিকা এসবের নাম নেই তাছাড়া রক্তকোষ এ ৪৬ টি ক্রোমোজোম থাকে আর বীর্যে ২৩ টি। সুতরাং রক্ত থেকে বীর্য তৈরি হয় এটা সম্পূর্ন ভ্রান্ত ধারনা। আপনিই চিন্তা করেন। ৬০/৮০ ফোটা রক্ত যদি বীর্য উৎপাদনে লাগতো তাহলে বছরে ট্রিলিয়ন সংখ্যক বীর্য তৈরি হতে গেলে আমরা নির্ঘাত রক্তশূন্যতায় মারা পড়তাম।