বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি যে কোন নির্দিষ্ট প্রাণী ভূমিকম্প হওয়ার আগেই তা জানতে পারে। তবে, কিছু প্রাণীর অস্বাভাবিক আচরণ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে যা ভূমিকম্পের পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

কিছু প্রাণী যাদের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়ার সাথে যুক্ত বলে মনে করা হয়:

কুকুর: কুকুরদের তীব্র শ্রবণশক্তি এবং স্পর্শকাতর কম্পন অনুভব করার ক্ষমতা থাকে। ভূমিকম্পের পূর্বে, তারা অস্থিরতা, হাউলিং, কাঁপুনি, বা তাদের মালিকদের থেকে দূরে সরে যাওয়ার মতো আচরণ প্রদর্শন করতে পারে।

ইঁদুর: ইঁদুররা ভূমিকম্পের পূর্বে গর্ত ত্যাগ করে এবং উন্মুক্ত স্থানে আশ্রয় নিতে পারে।

সাপ: সাপরা ভূমিকম্পের পূর্বে অস্বাভাবিকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে এবং তাদের গর্ত ত্যাগ করতে পারে। সাপ এমন একটি প্রাণী যা ভূমিকম্পের ৩ থেকে ৫ দিন আগেই কম্পন হবে বলে জানতে পারে। শীতকালে সাপেরা গর্তের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে, কিন্তু তারা গর্ত থেকে ঘুম ভেঙে বেরিয়ে আসে যদি তারা আন্দাজ পায় যে ভূমিকম্প আসছে ।

মাছ: মাছ পানিতে অস্থিরতা প্রদর্শন করতে পারে, যেমন উপরের দিকে লাফানো বা পানির উপরের দিকে ভেসে ওঠা।

পাখি: পাখিরা ভূমিকম্পের পূর্বে অস্থিরভাবে উড়তে পারে বা অস্বাভাবিক শব্দ করতে পারে।

তবে, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এই আচরণগুলি সর্বদা ভূমিকম্পের সাথে সম্পর্কিত নাও হতে পারে। আরও গবেষণা প্রয়োজন এই প্রাণীদের আচরণ এবং ভূমিকম্পের মধ্যে সম্ভাব্য সম্পর্ক বুঝতে।

ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য বিজ্ঞানীরা আরও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি তৈরি করার জন্য কাজ করছেন। এর মধ্যে রয়েছে ভূমিকম্পের পূর্বে ভূমিকম্পের তরঙ্গ শনাক্ত করার জন্য সিসমোগ্রাফ ব্যবহার করা এবং ভূমিকম্প-প্রবণ এলাকায় ভূমিগর্ভস্থ চাপ পরিমাপ করা।

উপসংহারে, বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি যে কোন নির্দিষ্ট প্রাণী ভূমিকম্প হওয়ার আগেই তা জানতে পারে। কিছু প্রাণীর অস্বাভাবিক আচরণ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে যা ভূমিকম্পের পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, তবে এই আচরণগুলি সর্বদা নির্ভরযোগ্য হয় না। ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য আরও গবেষণা এবং আরও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি প্রয়োজন।